
অনেকেই জানেন দুই ভাইয়ের একমাত্র আদর ও শ্রদ্ধার বড় বোন আমি। আমার এক টুকরো হাসি আর আনন্দের জন্য দুটো ভাই কী না করে। এই যে আমার বর্তমান সত্তা, আমি বহুমুখী কার্যক্রমের সাথে মিশে আছি, যেমন প্রফেশনাল পরিচয়ে আমি একজন সফল গ্রাফিক ডিজাইনার। এর সাথে আরও যা যা করছি সবকিছুর পেছনে প্রধান উৎসাহ দাতা এই দুজন।
বিএড এ ফার্স্ট ক্লাস পাওয়ার উপহার হিসেবে বড় ভাইটা ডিজিটাল ক্যামেরা কিনে দিয়েছিলো। তখন সে সানিএসবি (স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক) তে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি করছে এবং স্কলারশিপ এর অংশ হিসেবে সপ্তাহে ২০ ঘন্টার ক্লাশ নেয়ার বিপরীতে সে সামান্য কিছু ডলার ইনকাম করতো। সেই সামান্য ইনকাম থেকে ওর বাসা ভাড়া, থাকা খাওয়া খরচ বহন করতে হতো। দেশে আসার সময় সে এই ক্যামেরা কিনে নিয়ে এসেছিলো যাতে তার বোন সুন্দর দৃশ্য ক্যাপচার করে সেই ইমেজ থেকে অয়েল পেইন্টিং করতে পারে। চিত্রশিল্পের প্রতি বোনের যে অনেক আগ্রহ।
এম এড এর ফার্স্টক্লাসের উপহার ছিলো নোটবুক। যেন আপু তার মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখালেখি করতে পারে। তখন সে গুগোলের পার্ট টাইম ইঞ্জিনিয়ার পদে কাজ করতো ভার্সিটির ছুটিতে। এরপরেও থেমে থাকে নি তার একের পর এক উপহার এবং তার বোনের হাত খরচের ব্যবস্থা করার।
যখন গুগোলে পার্মানেন্ট চাকরি হয়ে গেলো তখন দেশে টাকা পাঠানোর সময় ছোট ভাইয়ের মেইলে লিখতো বাবাকে যেন বলা হয়, “টাকা তুলে অতি অবশ্যই আপুর পার্লারের বিল, পোশাক আশাক কেনা সহ অন্যান্য খরচের জন্য প্রতি মাসের টাকা থেকে এতটা অংশ দিয়ে তাকে খুশি রাখবেন।” এটা প্রত্যেক মাসে বলতেই হতো। ছোট ভাই রেমিটেন্সের পিনকোড বলার সাথে সাথে বাবাকে জোর দিয়ে জানিয়ে দিতো কথাটা। বাবা পুরনো দিনের মানুষ, পার্লার খরচের বিষয়টা বুঝতেন না আর এত টাকা কেন হাতখরচ দিতে হবে এতেও একমত ছিলেন না। তাই প্রত্যেক মাসেই বাবার কানে গানটা গাইতেই হতো নইলে টাকা হাতে আসতো না কোনভাবেই আমার।
গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য প্রয়োজন ছিলো হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার। সেই ব্যবস্থাটাও সেই করে। এমনকি এখন আমি আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো অবস্থানে থাকা সত্বেও গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে যখন ল্যাপটপ টা অনেক জোড়াতালি দিয়েও আর জীবিত রাখা গেলো না তখন আম্মাকে বললো আপুকে যেন পঞ্চাশ ষাট হাজার যত টাকাই লাগে ডেস্কটপ কম্পিউটার কেনার জন্য যেন খুশীখুশী মনে দেয়া হয় এবং বোনকে পূর্ণ সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকা হয়।
ছেলের টাকার জোরে মা তার মেয়েকে ঢাকা ভার্সিটিতে এম এড করিয়েছেন। ভাইয়ের কল্যাণেই ঢাকা শহরের বুকে একটুকু মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়া।
বাবা মা আমাদের তিনজনের জন্যেই অনেক অনেক অনুপ্রেরণা হলেও বিভিন্ন সময়ে তাদের সাপোর্ট না পেয়ে ভেংগে পড়েছি, কষ্ট পেয়েছি, অভিমানে জড়িয়েছি। তখন পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দুই ভাই।
আমি যখন টিটিসি থেকে নেপালে শিক্ষাসফরে যাবো তখন সংসারের কঠিন অবস্থা। বসের সাথে রাগ করে বাবা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিন সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহনই যেখানে ভীষণ রকম কঠিন তখন বোকা মেয়েটা বিদেশ ভ্রমণে যাবে বলে গাল ফুলিয়েছে। পাসপোর্ট করার টাকা দিলো ছোট ভাইটা। সে তখন গণিত অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন সেমিনারে এটেন্ডের বিনিময়ে যে অর্থ পুরস্কার পেতো তা দিয়ে দিলো আমাকে। সে যাত্রায় অভিমানীনির আশা পূরণ হয়েছিলো বেশ ভালোভাবেই।
এরপর পূর্বিতার সাথে চিত্রশিল্পের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করলাম কয়েকবার। সেই পেইন্টিং গুলোর বাইন্ডিং সহ হল ভাড়া ও রেজিষ্ট্রেশনের খরচও বাবার পকেট থেকে খসালো দু ভাইই। আর প্রতিনিয়ত আমার চলার পথে দু ভাই দু দিক থেকে ধরে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার মেন্টাল সাপোর্ট কিন্তু আজও থামেনি। এখন ওর সাথে সাথে সাপোর্ট দেয়ার মানুষ বেড়েছে আরেকজন, সে আমার ভাইয়ের বউ। দেশে আসার আগে ওদেরকে কিছুই বলতে হয় না, বোনের কী চাই তার সবই জানে ওরা, নিয়ে আসে সুটকেস ভরে।
কিন্তু যত ওরা দেয় ততই নিজের মধ্যেকার এক ছোট্ট ছোটলোকি আচরণের জন্য মনে মনে ভীষণ অনুতপ্ত হই আমি।
বলবো সেই কথা। সেই ঘটনা।
২০০৫ সাল। তখন ডিজুস সিম উঠেছে বাজারে। আশেপাশের সবার মোবাইল ফোন আছে অথচ আমাদের পরিবারের কারোরই একটা ফোন সেট নেই। আম্মার চার নাম্বার বোন যে, আমার সেই খালার হাতে আমার ছেলেবেলা কেটেছে অনেক। তিন ভাইবোনের মধ্যে খালার বাড়তি স্নেহ যত্ন সব আমার জন্য। একদম ছোট বেলা থেকে আমার জন্য যত্ন করে ড্রেস বানিয়েছেন, আমাকে এস এস সি কোচিং এও নিয়ে যেতেন। বিয়ের পরে খালামনি নিঃসন্তান। তো ওই ডিজুস সিমের সময়ে উনি নিজের ব্যবহার করা স্প্রিন্ট ফোনসেট টা আমাকে দিয়ে দিলেন আর নিজের জন্য ভালো একটা সেট কিনলেন। সেই সাথে আমাকে বললেন সিম টা নিজে কিনে নিতে। তার সাথে গিয়েই সব কিনে বাসায় ফিরলাম।
ওই সময়টায় সংসারের দুরবস্থা শোচনীয় থেকে একটু ভালোর দিকে। দুই ভাই বোনের টিউশনির টাকায় চলতো সংসার। সাথে মাঝেমধ্যে যুক্ত হতো এলজিডির আন্ডারে বাবার প্রজেক্ট বেজ এনজিও জব এর অর্থ।
ভাইটা তখন বুয়েটে পড়ছে। একদিন হরতালের জন্য বুয়েট এর পরীক্ষা হবে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে ফোন করা জরুরী। বাইরে ঝুম বৃষ্টি। আমার ফোনটা আমি এমন কলিজার ভেতরে ভরে রেখে দেই যে সেটা বাসার অন্য কেউ চাইতেও সাহস করতো না।
ভাইয়ের হয়ে মা ই আমাকে বললো, “ওকে একটা কল করতে দেও না! সিচুয়েশন টা তো বুঝতেই পারতেছো। এই বৃষ্টির মধ্যে মোবাইলের দোকানে কেমনে যাবে?”
এখন ভাবলে খুব হাস্যকর লাগে। সেদিনের সেই স্মৃতি নিজেকেই ধিক্কার দেয় বহুবার। খুব বিরক্ত হয়েই ফোনটা দিয়েছিলাম আর ‘মোবাইলের টাকা সব খরচ করে ফেলতেছে রে’ টাইপের একটা কলিজার খিঁচুনি শুরু হয়েছিলো। ভাইটাও বেশ অস্বস্তিতেই ফোন টা ব্যবহার করেছিলো। ওর সেই অস্বস্তি ভরা ভয় ভয় পাওয়া চাহনী আজও আমার হৃদয় এফোড় ওফোড় করে দেয়। বোনেরা ভাইদের জন্য কতকিছু করে! জীবনটাই দিয়ে দেয়। আর আমি কেমন একটা ফকিন্নি আচরণ করেছিলাম সেদিন। আর আল্লাহর কি বিচার দেখুন, সেই ভাই এখন বছর বছর নতুন সেট দেয় আমাকে। এবারেও বাদ যায়নি। ছোট ভাইটা বলে দিয়েছিলো “আপুর আগের সেট একেবারে আধামরা। অবশ্যই একটা ভালো সেট আনবা।” বড়টা সেই অনুরোধ ফেলে দেয়নি। এনেছে মটরোলা সেট।
সেই যে অনুশোচনা ঢুকেছে কলিজার ভেতরে, তখন থেকে ভাইয়ের কাছে কিছু চাইতেই লজ্জা আর খুব সংকোচ আমার। অনেকেই বলে, ভাইয়ের কাছে বলে এই জিনিস, ওই জিনিস আনিয়ে নিতে পারো না? কেমন করে বুঝাই সে যে আমার ছোট ভাই আর না চাইতেই ভরিয়ে দিয়েছে শুন্য থালা।
ভাইটা সম্পুর্ন নিজের চেষ্টায় আল্লাহর রহমতে স্কলারশিপ পেয়ে আনেরিকা পড়তে চলে যায় ২০০৭ সালে। আর তখন থেকেই ক্ষরণ শুরু হয় আমার। দেশে আসলেই ওর জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা থাকে সবসময়। সবাই যখন আনন্দে ভরপুর সময় কাটাই, পুরনো সেই ঘটনাটা আমার হৃদয় ভিজিয়ে দেয় প্রায়ই।
দিন বদলে গিয়েছে। একটা জীবন অনেক কষ্টের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার পর এই ভাইয়ের হাত ধরেই আল্লাহ এই সংসারের প্রত্যেকটা প্রাণকেই জীবনযুদ্ধে জয়ী করে দিয়েছেন।
সবশেষে বলি, আমি ওর চেয়েও আড়াই বছরের বড়। যথেষ্ট মানবিক অনুভূতির বোধবুদ্ধি সম্পন্ন মেয়ে। মেয়ে শব্দটাই ব্যবহার করলাম। যে আচরণ ছিলো সেদিনের, তাতে নিজেকে মানুষ আখ্যা দেয়া যায় না কোনভাবেই।
//
জাকিয়া জেসমিন যূথী
৮ এপ্রিল ২০২০
২৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এমন লেখা লিখতে সাহস লাগে,
সবাই নিজের দুর্বলতাকে এভাবে প্রকাশ করতে পারেনা।
আমরা নিজেকে তো সব সময় বড় দেখাতে ব্যস্ত, ভুল মিথ্যে তথ্য দিয়ে নিজেকে বড় করার চেষ্টা করি।
আমেরিকায় থাকা আপনার ছোট ভাই আসলে ছোট না,
তিনি আপনার বড় ভাই এর অভাব পূরণ করেছেন।
অত্যন্ত সাবলীল ভাবে নিজের কথাকে সুন্দর ভাবে বলে গিয়েছেন।
আপনার ও আপনার পরিবারের সবার জন্য শুভ কামনা।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
আমার ভাইটা শুধু বড় ভাইই না, সে বাবার দায়িত্বও পালন করেছে সবসময়। বাবাও পারে নি এতটা।
পরিবারের মানুষের কাছে কোন বিষয়ে সরাসরি মাফ চাওয়া কঠিন, তার চেয়ে সহজ লিখে ফেলা। আমি লেখার কাজটা যতটা পারি, বলার কাজে একদমই বোবা। তাই ভুল করে ফেললে আমার ভীষণ বিপদ হয়।
মন্তব্যটা খুবই সুন্দর।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হ্যাঁ সে তোমার ছোট হয়েও বড় ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করেছে। এমন ভাই লাখে পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ। ওদেরকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রেখো আমৃত্যু। ভালো থেকো সুস্থ থেকো
জাকিয়া জেসমিন যূথী
এমন ভাই লাখে পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ। -ঠিকই বলেছো। এমন ভাইটা আমার এখন করোনা আক্রান্ত মৃত্যুপুরীর কাছে। প্রতিদিন ভয় পাচ্ছি। ভয়ে ভয়ে মাথা খারাপের মত লাগে মাঝেমাঝে। তবু প্রকাশ করিনা। কারণ আব্বা আম্মার বয়েস হয়েছে। তাদের ঝুঁকিটা বেশি। আম্মার ডায়াবেটিস, আর আব্বার তো শ্বাসকষ্ট আছে।
তুমিও আংকেল আন্টিকে সাথে করে সাবধানে থেকো। নতুন পৃথিবীর জন্য আমাদের সবাইকে বাঁচতে হবে।
সুপায়ন বড়ুয়া
দুই ভাইয়ের এই লক্ষী বোনটির সকল আশা পূর্ণ হোক।
গল্পের ছলে বলা যায় কত মান অভিমান দু:খ ভরা কথা।
ভাল থাকবেন আপু।
শুভ কামনা।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
করোনায় যেন মারা না যাই। যেতে পারি যেন আরও অনেকগুলো বছর।
আয়ুর জন্য দোয়া চাই।
সচেতন ও সাবধানে থাকবেন ভাইয়া।
সুপায়ন বড়ুয়া
দোয়া সবসময়।
আমরা জিতবই
জাকিয়া জেসমিন যূথী
ইনশাল্লাহ, আল্লাহ আমাদের জেতাবেনই।
সাদিয়া শারমীন
এত সুন্দর সহজ,সরল,অকপট স্বীকারোক্তি মুগ্ধ করলো আমাকে।এমন ভাই প্রতিটা বোনের থাকুক।ভালো থাকুক ভাই দুটো এবং তাদের বোনও।জীবন টা ভাইদের ভালবাসা দিয়ে কাটয়ে দাও। দোয়া থাকলো।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
ওরা খুব বিপদের মধ্যে আছে। জানিসই তো সব। কষ্টে মরে যাচ্ছি সবাই মিলে। কী যে হবে।
আল্লাহ রক্ষা করুন।
আল্লাহ মাফ করুন।
হালিম নজরুল
চমৎকারভাবে আত্মজীবনের অঙ্গগুলো এমন সাহসের সাথে প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
কি জানি কখন এমন করে প্রকাশ পায়। যদি সরাসরি ওর কাছে ক্ষমা নেয়া যেতো। কিংবা যদি এমন কিছু নাই ঘটতো।
ইঞ্জা
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আমার অনুরোধ রক্ষার জন্য।
এমন একটি লেখা যাতে ভাই বোনের ভালোবাসা, স্নেহের বন্ধন, ছোটো বোনের আবদার সহ নিজ জীবনের ছোট ছোট ঘটনা গুলো এইভাবে প্রকাশ করার জন্য সত্যি বড় সাহস লাগে যা সবাইকে দিয়ে হয়না আপু।
আবার বলছি, মনটা ভরে গেলো।
সুন্দর লেখাটির জন্য স্যালুট।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
লেখাটা লেখার সময়েও কান্না পাচ্ছিলো। এখন আপনার এত সুন্দর মন্তব্যেও আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলাম।
দোয়া করবেন ভাইয়া। আমরা সবাই যেন বেঁচে থাকতে পারি।
নতুন প্রৃথিবীর স্বাদ নিয়ে আমরা যেন আরও অনেক দিন মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।
ইঞ্জা
দোয়া সবসময় থাকবে আপু।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
জাজাকাল্লাহ খাইরান।
রেহানা বীথি
কী সৌভাগ্য আপনার, আমার নিজের কোনও ভাই নেই। তবে আমার আপুই আমার শখ পূরণ করতে সচেষ্ট থাকে সবসময়, এখনও। মেডিকেলে পড়া শেষে ইন্টার্নীর প্রথম মাসের টাকা দিয়ে আপু আমাকে একটা ক্যামেরা কিনে দিয়েছিল। তখন ডিজিটাল ক্যামেরার যুগ শুরু হয়নি। পরে ডিজিটাল ক্যামেরা এল, তারপর স্মার্ট ফোন। সেই ক্যামেরা এখন অচল। তবু রেখে দিয়েছি যত্ন করে। মাঝে মাঝে হাত বুলিয়ে দেখি।
আপনাদের ভাই বোনের সম্পর্ক এমনই ভালোবাসায় পূর্ণ থাকুক সারাজীবন, দোয়া করি।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
আমিও আমার ভাইয়ের দেয়া প্রথম নোটবুক আর প্রথম দেয়া নোকিয়া সেট টা, এমনকি মটরোলা সেট আগেও একবার দিয়েছিলো, এখনো সেগুলো রেখে দিয়েছি।
আপনার আপুকে আমার সালাম জানাবেন। দুই বোনের মিষ্টি মধুর স্নেহ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সম্পর্কটা যেন বেঁচে থাকে, বেঁচে থাকে যেন মানুষগুলো আরও অনেক দিন একসাথে পথচলায় সেই দোয়া করি।
তৌহিদ
এত সুন্দর করে বর্ণনা দিলেন সত্যি অভিভূত হলাম। ছোট ভাই হয়েও সে বড়ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করেছে। আমার ভালোবাসা জানিয়ে দেবেন ভাইকে।
আর আপনি নিজের চেষ্টায় এতদূর এসেছেন জেনে ভালো লাগছে। এভাবেই সফলতার সর্বোচ্চ চূড়ায় নিজেকে নিয়ে যাবেন এটাই প্রার্থণা।
ভালো থাকবেন আপু।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
ভাইকে জানাতে গেলে তো তাকে বলতে হবে তাকে নিয়ে লিখেছি। বিপদ হয়ে যাবে যে। আচ্ছা, দেখি উপায় করা গেলে জানাবো। 🙂
আসলে নিজের ইচ্ছা, আগ্রহ অনেক বেশি ছিলো। মা বাবাও চেয়েছেন করি। তবে কখনো বাঁধাও দিয়েছেন। তখন সেই বাঁধা ডিঙ্গিয়ে গিয়েছি দুই ভাইয়ের হাত ধরে আল্লাহর রহমতে।
আরও বহুদূর যেতে চাই। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। দোয়া রাখবেন।
আপনিও ভালো থাকবেন।
তৌহিদ
শুভকামনা সবসময় আপু।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
জাজাকাল্লাহখাইরান
ফয়জুল মহী
লেখা পড়ে ভালো লেগেছে। উপভোগ্য পড়া।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
এমন ভাই থাকলে বোনদের আর লাগে কি, মানুষের জীবনটা সব সময় এক জায়গায় থমকে থাকে না, চেষ্টা থাকলে জীবনে কিছু হবেই……..শুভ কামনা সব সময়।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
জ্বী ভাইয়া। এ আমার মায়ের প্রম সৌভাগ্য। আমারও