আঁধার ঘরে সম অন্ধকারে,বিলাপ করে কিশোরীর স্বপ্ন
এ পৃথিবীতে, তার মুখটি বরষায় ভেজা সবুজের বুকে
ঐ গাঢ় বাদামী পুষ্প কলির মতো।
দিবালোকে সেই স্বপ্ন তার বাতাস হতে বাতাসে বিলাপ করে
সন্ধ্যায় ঐ যে পিশাচ বাদুর,
গাঢ় বাদামি ঐ পুষ্প কলি কদমকে সবুজ থেকে ছিঁড়ে ফেলে দিল, আঁচড়ে পিঁচড়ে, এই ধূলোর বুকে।
তাঁর আকুতি, তাঁর কন্ঠের কম্পন সবই হল নিশ্চুপ।
এই পিশাচ কালো বাদুরের লাল চোখের লোলুপ চাহনি, বিদঘুটে চিৎকারে,
কিশোরীর পৃথিবীতে নেমে এল গভীর নিরবতা।
যে পুষ্প কুঁড়ি ফুটেছিল প্রস্ফুটিত হতে,
কালো এই পিশাচের আঁচড়ে, ধূলোর বুকে লুটিয়ে গেল। সুন্দর এক আলো, গৌরব উচ্চ স্বপ্ন সৃষ্টিতে অক্ষম হল এই পৃথিবী।
# তনু, রিশা, আরো কতো নাম না জানা কিশোরীর স্বপ্ন যে ধুলোয় মিশে গেল! এ দায় যে আমারও। রক্ষা করতে পারিনি তাদের।#
১৮টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
নামটা পড়েই তো বুকের মধ্যে মোচর দিয়ে উঠলো।
রিশার মত একটা কলি ফোটার আগেই ঝরে গেল।
খুব কষ্ট আপু,খুবই কষ্ট ।
মৌনতা রিতু
এমন করে ঝরে পড়ে হাজার শিশু।
এই তো, আমাদের এই হা, হুতাস ছাড়া কিছুই করার নেই।
আমার ছোট বেলার খেলার সাথি, দরিয়ার সাথে এমন হইছিল।
ভাল থেকো আপু। মেয়ের সাথে সময় কেমন কাটছে ?
শুন্য শুন্যালয়
কদম কিশোরী, কী সুন্দর একটি নাম! কদম কলির মিষ্টি সৌরভ বলেই সবাই তা শুধু ছিঁড়ে ছিঁড়ে হাতের মুঠোয় নিতে চায়। সব আলো আর আলোর দেখা পায়না। দায় আমাদের অবশ্যই, দায়মুক্তির দেখা আর মেলা না।
এতো কষ্টের লেখা !! 🙁
মৌনতা রিতু
কদমই নাকি বাদুরের প্রিয় খাবার। যতটা খায় তার থেকে ছিড়ে ফেলে বেশী। সেদিন সন্ধ্যায় দেখে, এই শব্দগুলো মাথায় এলো।
পারি না অনেক কিছু করতে, এ দায়মুক্ত তাই হয়ত হবে না।
ভাল থেকো, অনেক অনেক ভালবাসা নিও।
ব্লগার সজীব
উপমা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলেন আপু। রিশা হত্যা মেনে নিতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমাদের সমাজটি ভাল হবে কবে?
মৌনতা রিতু
হবে না হয়ত আর। এগুলো সেই নর্দমার কীট এরা সহজে পরিষ্কার হয় না।
ভাল থেকো, শুভকামনা রইল।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
হৃদয়ে রক্তক্ষরনের বহি:প্রকাশ পড়ে ভাল লাগল।
মৌনতা রিতু
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। রক্তক্ষরণ হয়, কিন্তু সমাধান হয় না।
শুভকামনা জানবেন।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের খণ্ডচিত্র নিপুন ভাবে তুলে ধরেছেন।
এ যন্ত্রণার শেষ নেই।
মৌনতা রিতু
এ যন্ত্রনার শেষ নেই। সেই সৃষ্টি থেকেই এই যন্ত্রনা।
ধন্যবাদ ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
কদম কিশোরী! বাহ!
আমরা এ সমাজকে পাল্টাতে পারবো কবে জানিনা। আশা ছাড়া আর তো কিছু নেই আমাদের।
ফেসবুকে পড়েছি লেখাটা।
মনটা বিষণ্ণ। আর কতো?
মৌনতা রিতু
হ্যাঁ, আপু, সেদিন সন্ধ্যায় হাঁটতে গিয়ে দেখলাম, বাদুর কেমন কদম ফুল আঁচড়ে ফেলে দিচ্ছে। ওটা দেখেই লিখতে ইচ্ছে করল। সত্যি, তখনই রিশার মতো কিশোরীর মুখটা ভেসে উঠল।
কেন যে পারছি না এদের বাঁচাতে! ভালো থেকো আপু।
ইলিয়াস মাসুদ
কদম কিশোরী , নাম টা শুনেই কেমন ছবি টাও চোখের উপড় ভাসে, কি বলবো বুঝে উঠতে পারছি না, এমন দৃশ্য কি শেষ হবে না?
লেখাতে দারূণ ফুটেছে ওঁর মুখ
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। এই সব জীবনকে আমরা বাঁচাতে পারছি না। এ যেন এক মধ্যযুগ শুরু হইছে।
তবুও নিরাপদ থাক ওরা।
শুভকামনা রইল।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
রিশা মেয়েটির দিকে তাকালেই যে কেহই মায়ায় পড়বেন…আহারে এত নিষ্পাপ একটি মেয়ে অকালেই ঝড়ে গেল। -{@
মৌনতা রিতু
এই সব নরপশুদের বিচার হতে দেখি না বলেই বার বার এমন হয়।
মাঝে মাঝে মনে হয়, এদের গুলি করে নিজেরাই মেরে ফেলি।
ভালো থাকবেন ভাই।
ক্রিস্টাল শামীম
ইচ্ছে করছে আবারও যুদ্ধ করি, আমার দেশের কিশোরী বোনদের জন্য, কিন্তু এ যুদ্ধ কার বিরুদ্বে করবো স্বাধীন দেশের মানুষের বিরুদ্বে, এ কেমন করে হয় ? তারপরও আমাদের লড়তে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্বে। ধন্যবাদ আপনাকে অসাধারণ লেখার জন্য।
মৌনতা রিতু
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
যুদ্ধ করতে হবে। এই নিরবতা ভাঙতে হবে। আমরা পারব, এই আশায় বুক বাধি।
শুভকামনা রইল।