”ফিলিস্তনিদের পাশে কেউ না থাকলেও বাংলাদেশ থাকবে। প্রয়জনে আহত ফিলিস্তনিদের বাংলাদেশের এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”
অত্যন্ত ভালো কথা। সাধুবাদ। এমন মানবিক প্রধানমন্ত্রী/ নেত্রীই তো আমরা চাই।
ইয়ে ম্যাম, ৭১ এ যাঁরা আপনার পিতার নাম নিয়ে পরিবার পরিজন ফেলে জঙ্গলে চলে গেছিলেন, তাঁদের
পেছনে তাঁদের অনাগত শিশুকেও পেটের মধ্যে মারা হইসিলো বেয়োনেট খুঁচিয়ে, তাদের দুধের শিশুকে ব্রাশ ফায়ার করে ঝাঁঝরা করা হইসিলো, তাদের মা বোন, বউ, কন্যা কেউওই রক্ষা পায় নাই চরম পাশবিকতা থেকে… তাদের বলাৎকার করে তাদের যোনীদার দিয়ে গরম রড ঢুকিয়ে সেই রড মুখ দিয়ে বের করা হইসিলো, খাটের স্ট্যান্ড মুখ দিয়ে ঢুকিয়ে পেট দিয়ে বের করা হইসিলো। ৭০ বছরের বৃদ্ধা নারীও বাদ যায় নাই সে অত্যাচারের হাত থেকে। আর… মুক্তিযোদ্ধাদের নিহত হবার কথা না হয় নাইইবা বলি। আহত হাজার হাজার মুক্তিসেনা এখনো ধুকে ধুকে বেঁচে আছেন – সেই সব চিত্র আমরা জমাবধি দেখি আর এই সব ভুখা নাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন চিত্র এখন অহরহ দেখি। আপনি কি সেই সব অসহায় পঙ্গু অর্ধমৃত বোকা সৈন্যগুলোর সুচিকিৎসার ব্যাবস্থা করার কথা একবারও বলবেন সংসদে দাঁড়িয়ে।
ফিলিস্তিনিদের দুঃখ দূর্দশায় আপনার নরম প্রাণ কেঁদে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। হাজার হলেও আপনি কার কন্যা সেটা তো আমরা জানি। আপনি ফিলিস্তিনিদের কষ্টের ছবি হাতে নিয়ে সংসদে তাদের চিকিৎসা করার ঘোষনা দেন আর আপনার ঘরে অসুস্থ্য সন্তানরা চিকিৎসার অভাবে মারা যায় ! এটা আপনার পিতারও সম্ভবতঃ অন্তরাত্মায় লাগে।
আপনি অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা করাবেন, তবে তার আগে আপনাকে আপনার ঘরের দ্বোরে পড়ে থাকা অসুস্থ্য মুক্তিসেনাটাকে সুস্থ্য করার নির্দেশ দেবেন কি?
ঈশ্বর-আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
২৪টি মন্তব্য
বনলতা সেন
আপনি রাজনীতিবিদ নাকি !
অবশ্যই আমরা আর্তের সেবার পক্ষে । আমরা আমাদের কথাও ভাবতে চাই ।
জিসান শা ইকরাম
বন্দনা কবীর রাজনীতিবিদ নণ, তবে রাজনীতি নিয়ে ভাবা উচিৎ আমাদের সবারই ।
বনলতা সেন
ভালো ভালো , ভাবতে থাকুন । তবে তাতে রীতি নীতির খুব একটা আসবে যাবে বলে মনে হয় না ।
বন্দনা কবীর
আমার রাজনীতি করার যোগ্যতা নেই 🙂
আগুন রঙের শিমুল
হ রাজনীতি করতে হৈলে কূট কৌশলী হৈতে হয়।
আবেগী ঠোঁটকাটা লুকজন দিয়া রাজনীতি হয় না 🙂
জিসান শা ইকরাম
রাজনীতিতে অনেক কৌশলি হতে হয়, এটিও তেমন।
বন্দনা কবীর
কিছু কিছু কৌশল দেখে অবাক হতে হয়।
মোঃ মজিবর রহমান
আপু আপনার ধারাল কথাগুলো মনে হয় আমাদের রাস্তার উপর দাড়িয়ে দাড়িয়ে চিৎকার করতে করতে বলতে পারলে ভাল হত।
খুব মর্মাহত ও তেজিভাবে লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বন্দনা কবীর
ধন্যবাদ আপনাকেও।
শুন্য শুন্যালয়
এটাকে কথার রাজনীতি বলে। আল্লাহ্ তাদের মুখ দিয়েছেন, বাকিটা—ঈশ্বর আল্লাহ্ তাদের মঙ্গল করুন।
বন্দনা কবীর
এটাকে কথার রাজনীতি বলে ।
খসড়া
ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন, কিন্তু ঈশ্বর বারবার সুজোগ দেন না।
বন্দনা কবীর
ঈশ্বর-আল্লাহ বারবার সুযোগ দেননা, ভালো বলেছেন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পারি আর না পারি মূখে ইনশাল্লাহ বলি…………..হবে হবে আমাদের জয়। -{@ (y)
বন্দনা কবীর
🙂 সত্যি তাই।
আগুন রঙের শিমুল
শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা অন্যান্য সুবিধাদি বৃদ্ধি করেছেন কয়েক গুন। তাদের চিকিৎসা প্লাস অবস্থানের জন্য ঢাকা শহরেই বহুতল বিশ্রামাগার আছে।
আর জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন প্লাস তার বৌ রাজাকারদের মন্ত্রী বানাইছে।
তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এই লাইনটার
শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া দুজনেই। কেউ বেশি কেউ কম।
মানুষ এবং শুয়োর কখনো সমকক্ষ হইতে পারেনা।
আপনার কাছে এইরকম বালখিল্য আশা করিনাই।
বন্দনা কবীর
আপনার মন্তব্যের সাথে এটুকু যোগ করি ‘ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করার আশা একমাত্র শেখ হাসিনার কাছ থেকেই আসা সম্ভব।’
আসলে আবদুল আলীমের মৃত্যু,একই সময়ে হাসপাতালের বারান্দায় একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু, যুদ্ধাপরধীদের বিচার ঝুলে যাওয়া ইত্যাদি কারনে কিছু ক্ষোভের জন্ম হয়েছে।
লাইন অপসারন করা হয়েছে। মুল লেখায় এই লাইনটি ছিলো না।
আগুন রঙের শিমুল
বঙ্গবন্ধু শব্দটা ইদানীং অনেকের জন্যই খুব ভারী হইয়া গেছে 🙂
বন্দনা কবীর
বঙ্গবন্ধু শব্দটা বন্দনা কবীরের কাছে ভারী হয়নি,হবেওনা কোনোদিন। তবে বঙ্গবন্ধুর বর্তমান দল যে সব সময় হালকা থাকে, এমন মনে করিনা আমি 🙂
আগুন রঙের শিমুল
লাইনটা ওঅপসারনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কাক্কা 🙂 এজ এস্পেক্টেড ইউ মেক মি প্রাউড , থ্যাংকস কাক্কা
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন আর ভালো লাগেনা। কথা আর কাজে মিল নেই।
ব্লগার সজীব
হায় রাজনীতি ।
মিসু
রাজনিতিকে না বলেছি । ভোট দেবোনা আর কাউকে।
লীলাবতী
আমরা শুধু শুনবো ।