যে দিন গুলোতে আমার মন একটু ভার হয়ে থাকে সেইরকম একটা দিনে আমি গালে হাত দিয়ে বসে, মনটা ভীষন বেজার এমন একটা নেতিয়ে পড়া ভাব নিয়ে ঘরে বসে অশ্রু বিসর্জন দিতে রাজি নই।
আমি আমরা আমাদের বুকের গভীরে যে ক্ষত গুলো চাপা পড়ে রয় তা তখনই আমি অন্তত বের করে দিতে চাই, তা কখনও ঐ রেল লাইনে খালি স্লিপারে বসে ঐ দিগন্তে মিশে যাওয়া আকাশটাকে কতো কথাই বলে ফেলি!সন্ধ্যা, তুমি বড় ভাগ্যবতী, তোমাকে আলিঙ্গন করতে সূর্যের যে কি আকুলি বিকুলি!
কখনও কাগজে কলমের খোঁচায় লিখে ফেলি কতো কথা!লোকে বলে মানুষের থেকে কাগজের সয় বেশি।
কখনও আমরা এমন কাউকে খুঁজি, সে ছেলে হোক কি মেয়ে হোক, বলে ফেলতে চাই, ক্ষতগুলো শেয়ার করে বুকের গুমট ভাব ঝেড়ে ফেলতে চাই। তখন মানসপটে সেই বন্ধুটির ছবি বড় করে সাজিয়ে ফেলি। আশা করি কোনো ভুলে সে কখনোই আমার হাত ছেড়ে দিবে না। আমাকে দেখেই বলে দিবে, এই তুই কি ভালো আছিস?
কি খাবি? ঘুমাই ছিলি? আয় মাথা বিলি করে দেই, ঘুমা একটু!
পুরুষ; ক্লান্তিতে নিঃসঙ্গতায় স্বস্তির জন্য একজন সুবোধ সঙ্গী চায়। পুরুষ কিন্তু সেই সঙ্গী হিসেবে শুধু নারীর শরীরটাই খোঁজে। শরীর! মন কেন নয়?
১৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ঐ পথের পথ ধরেই মন ও মননের সত্যি মানুষটিকে একদিন পাওয়া যাবেই,
যাকে বলা যাবে আনন্দ-বেদনার সব কথা।
মৌনতা রিতু
হয়ে ওঠে না।ঐ পথের বাঁকে,রেললাইনের বগি যখন বেঁকে যায়,পথটাও তার মতোই বেঁকে যায়।
জিসান শা ইকরাম
অনেক সময় নিজের কাছে বলে নিজে হালকা হওয়া যায়
পথ মসৃন হোক -{@
লেখাটি অনেক ভালো হয়েছে।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ,
নীলাঞ্জনা নীলা
“শরীর! মন কেন নয়?” এর উত্তর পুরুষরাই জানে।
ওরা ছোটে সেখানেই, যেখানে সহজে শরীর ছুঁতে পারে।
আপনার লেখার প্রথম ভাগটা একেবারে আমার মনের মতো। দুঃখ নিয়ে বসে থাকা আমায় দিয়ে হয়না। কতো বিশাল বিশাল ঘটনা ঘটে গেলো জীবনে, তাও পারিনি ওসব নিয়ে মন খারাপ করে সময় কাটাতে। যন্ত্রণা-দুঃখ-কষ্ট সবাইকে দেইনা, খুব কাছের যে আমার শ্বাসের শব্দেই বোঝে আমার মন, তাকেই দিই।
একটা গান দিচ্ছি, শুনুন। ভালো লাগবে আশা করি।
https://www.youtube.com/watch?v=diy8z4S-FpE
মৌনতা রিতু
গান শুনানোর জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো।
অনিকেত নন্দিনী
“শরীর! মন কেন নয়?”
শরীর জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো পুরুষদের মধ্য থেকে মনের খোঁজ কজন রাখতে চায় আপু? 🙁
মৌনতা রিতু
যেদিন খোঁজ নিতে আসে সেদিন আর সময় থাকে না।
অনিকেত নন্দিনী
অসময়ের অতিথি হয়ে এলে কি আর সমাদর মেলে?
লালনের গান মনে পড়ছে, “সময় গেলে সাধন হবেনা।”
অরুনি মায়া
মনের কথা বলব খুলে তেমন স্বজন কোথায় পাব সেই ভাবনায় আর কাউকে পাওয়া হলনা | তবে কাগজের বুকে কলমের আঁচড়ে কিছুটা শান্তি পাওয়া যেতে পারে | বলা যায়না হয়ত আজ থেকে বহু বছর পর কেউ পড়বে এই আর্তনাদে ঘেরা লেখা গুলো, তখন হয়ত নিজের অজান্তেই বন্ধু হয়ে যাবে | সেদিন হয়ত আপনি আমি আমরা কেউ রব না |
মৌনতা রিতু
থাকি না থাকি কাগজের বুকে লিখেই ফেলি।হয়ত পোড়বে হয়ত পোড়বে না।
খসড়া
নীচে ধ্রুব সত্য সব সময় মনে রাখবে, এটা কোন অভিযোগ নয়, প্রকৃতিই এই ভাবে সৃষ্টি। একটি মেয়ে খোঁজে এমন একজন পুরুষ যে তার সব চাহিদা পুরন করবে আর একজন পুরুষ ভাবে পৃথিবীর সব নারীই তার একটি চাহিদা পুরন করবে। এরই মাঝে পুরুষেরা অনেক সভ্য হয়েছে দমন করতে পারছে তাদের প্রবৃত্তি। তাই আশায় বুক বাঁধ।
একজীবনে সবাই ভালবাসা পায় না।
তাই মনে কোন কষ্ট রাখবে না। কারন ও শুধু তোমার ক্ষতি করবে আর কারও কিচ্ছু হবে না।
মৌনতা রিতু
ডি এস ভাবি বলেছিলো,,জীবন হলো নদীর মতো।সাগর হলো নারী।সাগরের সাথে তাই নারীর তুলনা করে যদি বলি,সাগরের বুকে যদি নদী স্থলের সব ময়লা নিয়ে ফেলতে পারে আর সাগর যদি সব সইতে পারে নারি কেন নয়?সাগর খুব নির্জনে কোনো দ্বিপে সেই ময়লা তুলে রাখে।যা সে আর পরিষোধন করতে পারে না।তবুও নদীকে ফেরত দেয় না।
দেখেছো,আমার মনে আছে।শুধু গুছিয়ে লিখেছি।
-{@
খসড়া
যে মনে রখেছে সেই ধন্য করেছে আমাকে।
মৌনতা রিতু
আপনাকে তো চিনলামনা!কে আপনি!॥ :D) :v
শুন্য শুন্যালয়
পুরুষ; ক্লান্তিতে নিঃসঙ্গতায় স্বস্তির জন্য একজন সুবোধ সঙ্গী চায়। সুবোধ কি মন ছাড়া হবে আপু? আমরা কেউই হয়তো অন্যকে ঠিক পুরোটা বুঝতে পারবোনা। ভাল লেগেছে লেখাটা আপু। একটু কম কম আসছেন আপু ?
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।সাহস দেবার জন্য।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
শরীর কেন চায় তা ঠিক বলতে পারি না।
মন ,শরীর তো সবারই থাকে। কিন্তু শরীর শব্দটা বিস্তৃত। শরীর একেক জনের কাছে একেক রকম। যে শরীর চায় সে আগে মনওও চায়। মন উপেক্ষা করে কেউ শরীর খোঁজে না।।
মৌনতা রিতু
কেউই কি খোঁজে না?পুরুষের ভালোবাসার শুরুও ওখানে,শেষও ওখানে।
এটাই প্রকৃতির নিয়ম।