বেশ কিছু অসাধারণ সৌন্দর্য এই দুটি চোখ দেখে নিলো । আর প্রাণ খুলে যে নিঃশ্বাস নিচ্ছি প্রতিদিন , কতো যে নাম-না-জানা ফুলের গন্ধ পেয়ে যাচ্ছে এই শ্বাস অক্সিজেনের পাশাপাশি । মনটা তখন ফুরফুরে হয়ে যায় । এতো সুন্দর কেন এই পৃথিবী ? কেন এতো ইচ্ছে করে বাঁচতে ? অনেক কষ্ট তৈরী হয়ে যায় বিভিন্ন ভাবে , ভিন্ন ভিন্নতায় । তাও ওসবকে মাড়িয়ে কি করে যে এতো স্বপ্ন দেখে এই চোখ , মন কতো কতো ইচ্ছেকে রোজ জন্ম দিয়ে যায় । না-পাওয়া আটকে রাখতে পারেনা কিছুতেই আরেকটি নতূন ইচ্ছের জন্মকে ।
যাক সৌন্দর্যের কথায় আসি । কাজের জন্যে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় । অজানা-অচেনা হ্যামিল্টন শহরটা এখন অনেক আপন হয়ে গেছে । যেনো এখানেই আমার পরিপূর্ণ সত্ত্বা । এতো সবুজ , পথে-ঘাটে ফুলের বাহার । ইচ্ছে করে দাঁড়িয়ে দেখি । এক শনিবার বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি । রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা বললেই চলে । এতো নিশ্চুপ ছিলো চারদিক যে আমি ডুবে গেলাম দূরের সবুজে । আর এমন সবুজ-নীল আমায় বড্ড টানে । কারণ সেই একই শমশেরনগর চা’ বাগান । আমি ছবি তুলতে গিয়ে আর তুলিনি । মনে হলো চোখের ভেতরেই থাকুক আঁকা ঠিক এমনি ভাবেই । তবে অনেক বছর আগে ফটোগ্রাফি সম্পর্কে একটা লেখা পড়েছিলাম , সেখানে লেখক বলেছিলো , “সৌন্দর্য আঁকা থাকে মনের গহীনে আর চোখের চাহনিতে , পলক পড়লে এক রকম আবার চোখ বন্ধ করলে অন্যরকম । তাই প্রকৃতিকে এক ক্লিকে নেগেটিভে পরিণত করা যায়না ।” এতো ভালো লেগেছিলো কথাটা । আর কথাটি চরম সত্যি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম দৃশ্য ক্যামেরায় আটকে রাখা যায়না ।
হয়তো চলবে
নয়তো না
কি যে হবে
সে জানিনা…
হ্যামিল্টন , কানাডা
২০ সেপ্টেম্বর , ২০১৪ ইং ।
৩০টি মন্তব্য
আম্মানসুরা
সৌন্দর্য আঁকা থাকে মনের গহীনে আর চোখের চাহনিতে , পলক পড়লে এক রকম আবার চোখ বন্ধ করলে অন্যরকম । তাই প্রকৃতিকে এক ক্লিকে নেগেটিভে পরিণত করা যায়না ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলেই, মনের অনুভুতিকে কি ক্যামেরা বন্ধী করা যায় ? ধন্যবাদ……… আম্মানসুরা
সীমান্ত উন্মাদ
কিছু বেপার না জানাই ভালো। এলোমেলো লিখায় ভালোলাগা। শুভকামনা নিরন্তর।
নীলাঞ্জনা নীলা
দারুণ লাগলো কথাটা…আসলেই কিছু কিছু ব্যাপার না জানাই ভালো…
শুন্য শুন্যালয়
অনেকদিন আগে অর্জুন এর একটা গল্প শুনেছিলাম, রাক্ষস অর্জুন কে এমন একটা প্রশ্ন করতে বলল যার উত্তর তার অজানা, নইলে সে অর্জুন কে মেরে ফেলবে। অর্জুন তখন প্রশ্ন করলো, মানুষের এতো কস্ট, হতাশা, স্বপ্নভাঙ্গা; তবুও সে বেঁচে থাকতে চায় কেনো? উত্তরটা অজানা।
খুব সুন্দর বলেছেন আপু। ছবিটা আপনার তোলা মনে হয়। সতেজ, প্রানবন্ত।
নীলাঞ্জনা নীলা
রাক্ষসটা খুব বোকা…মানুষ তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার আশা পূরণের কথা ভাবে…এমনও ভাবে সে চলে গেলেও তার এই আসাটা পূর্ণ হবেই…আর তাই মানুষ বেঁচে থাকতে চায়…
ছবিটা আমি তুলেছিলাম , বৃষ্টি থামার একটু পরে…
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর চক্ষুতে নিহিত হই, চক্ষুই দেয় উপভোগ করার অনন্ত সময় ব্যাপিয়া
প্রিথিবী অনেক সুন্দর দেখা হইনি চোখ মেলিয়া।
সুন্দর আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
পৃথিবীর সবথেকে সুন্দরতম অনুভূতি তো আমাদের মানুষের আছে , সেটা দেখা যায়না…কেবলই অনুভব…আর সে হলো ভালোবাসা…
স্বপ্ন নীলা
যেমন ছবি — ঠিক তেমনই তার বর্ণনা —— অসাধারণ আপু
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবিটা তোলা স্বার্থক তাহলে…
মিথুন
লেখকের কথাটা খুব সুন্দর আসলে।সত্যিই তাই। ভালো লাগলো অনেক।
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখককে জানিয়ে দিলাম…সবাই যে এই কথাটা গ্রহণ করেছে…
আগুন রঙের শিমুল
সৌন্দর্য আঁকা থাকে মনের গহীনে আর চোখের চাহনিতে , পলক পড়লে এক রকম আবার চোখ বন্ধ করলে অন্যরকম ।পছন্দ হইছে কথাটা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কথাটা মনে করিয়ে দিলো এই মন…
প্রজন্ম ৭১
“সৌন্দর্য আঁকা থাকে মনের গহীনে আর চোখের চাহনিতে , পলক পড়লে এক রকম আবার চোখ বন্ধ করলে অন্যরকম । তাই প্রকৃতিকে এক ক্লিকে নেগেটিভে পরিণত করা যায়না ।”
সৌন্দর্যকে আসলেই ক্যামেরার ফ্রেমে আটকানো যায় না। এটি মনের মাঝেই থাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মনের মাঝেই থাকে সাজানো সকল সৌন্দর্য…আসলেই…
বনলতা সেন
আপনার এ্মন লেখা এই প্রথ্ম পড়লাম। ‘প্রকৃতিকে এক ক্লিকে নেগেটিভে পরিণত করা যায়না’ দারুণ বলেছেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
১৯৯২ সালে আমি আমার লেখা নিয়ে অনেক রকমের পরীক্ষা করেছিলাম…লেখার কোনো ভাগই ছাড়িনি লিখতে…তখন ফটোগ্রাফি নিয়ে একটা কলাম লিখেছিলাম…কোথাও দেইনি লেখাটা…কিন্তু সেই খাতাটা হারিয়ে ফেলেছি…এই লাইনটা আসলে আমারই ছিলো…
অলিভার
এলোমেলো কথায় নিজের কথা গুলি সাবলীল ভাবেই বলে দিলেন। সবুজের ভেতরে সবাই হারাতে পারে না, তবে কেউ কেউ খুব সহজেই হারায়। হয়তো আপনিও তাদের একজন। আর সাথে যে কথাটি বলেছেন যা সবাই নোটিস করেছে আমিও সেটা একবার বলার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। তাই বলেই দিচ্ছি “প্রকৃতিকে এক ক্লিকে নেগেটিভে পরিণত করা যায়না” সত্যিই অসাধারণ একটা কথা বলেছেন উনি।
শুভ কামনা জানবেন 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে…লেখক খুব খুশী হয়েছে…
শরিফুল ইসলাম শরীফ
আপু,ছবিটা কীসের?
জানতে পারি কি!জানার আগ্রহ নিয়ে উৎসুক হয়ে ভুতোম পেঁচার মতো বসে আছি কিন্তু!
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহা…মজা পেলাম কথাটা শুনে…ছবিটা আসলে ঘাসের…পথের পাশে পাথরের ফাঁকে গজিয়ে ওঠা আগাছা যাকে বলি আমরা…
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক কিছুকেই হাজারো ক্লিকেই নেগেটিভে পরিণত করা যায় না ।
নীলাঞ্জনা নীলা
একেবারে শতভাগ সত্যি…
ব্লগার সজীব
ফটোগ্রাফির ধারনা আছে মনে হয় আপনার ।
নীলাঞ্জনা নীলা
তেমন না…তবে এ নিয়ে লিখেছিলাম অনেক বছর আগে…
জিসান শা ইকরাম
ভালো লেগেছে লেখা ।
সৌন্দর্য শুধুই উপলব্ধির, একে ক্যামেরা বন্ধী করা যায়না আসলেই ।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাই নানাকে বন্দী করা যায় ক্যামেরায়…
কৃষ্ণমানব
দেখার মত চোখ থাকলে আসলে ক্যামেরার প্রয়োজন হয়না ।
মনের রং দিয়ে ইচ্ছে করলে মনের ক্যানবাসে হাজারো ছবি আকা যায় ।
ভালো লাগলো ।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি…