এবং কিছু কথা

নীলাঞ্জনা নীলা ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ০২:১৮:৫৯পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১২ মন্তব্য
নারী, তুমি জাগো!

এসব কি হচ্ছে আজকাল? পথে-ঘাটে-মাঠে-ঘরের ভেতর সবজায়গাতেই যেনো ধর্ষণের মহোৎসব চলছে। একসময় ছিলো মেয়েদেরকে উঠিয়ে নেয়া, তারপর চললো এসিড সন্ত্রাস। কয়েকবছর থেকে একেবারে লাগাতার ভাবে শুরু হয়েছে ধর্ষণলীলা। আগেও ছিলো, কিন্তু এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কী শিশু, কী বৃদ্ধ, কী তরুণী সবাই যেনো গণিমতের মাল। পাকিস্তানীরা যেমন যুদ্ধের সময় যে নারীকে পেয়েছে, তার সব খেয়েছে। মেরেছে নৃশংসভাবে। অনেকেই প্রশাসনের দোষ দেখে। কিন্তু ঘর থেকে যদি না শিক্ষা পায় ছেলেরা, প্রশাসন করবেটা কি? অস্বীকার করছি না প্রশাসনও দায়ী। যদি ধর্ষণ মামলার আসামীদের পক্ষে কোনো উকিল না দাঁড়াতো, সোজা ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেয়া হতো ওইসব নপুংসকদের! তাহলে হয়তো এই লীলা কিছুটা কম হতো। আর আমাদের সমাজ, পরিবার নারীকে শালীনতা বজায় রাখার শিক্ষা দেয়। একটা ছেলেকে মা-বাবা কী কোনো শিক্ষা দেয়? তাদের জন্য কোনো বাধা-নিষেধ নেই, কোনো নিয়ম-কানুন নেই। সব শুধু নারীদের জন্য। কতোটা জঘণ্য আমাদের মন-মানসিকতা! সেদিন একটা ফিচার পড়লাম গুগল সার্চ নিয়ে। কয়েকটি অক্ষর আছে যা লিখলেই বাজে বাজে লেখা উঠে আসে। এমনকি “মা” শব্দ লিখে সার্চ দিলেও। তার মানে আমরা কোথায় নেমেছি, ভাবা যায়? প্রশাসন কী এসব দেখেনা? দেশ এতোটাই ডিজিটাল হয়েছে যে, তথ্যমন্ত্রণালয় বড়ো বড়ো ভাবের বুলি ঝরাচ্ছে। আমার মতে এসব ধর্ষকদের লিঙ্গটাই কেটে দেয়া দরকার। ওরা বুঝুক কতোটা যন্ত্রণা।

আমি এসব নিয়ে লিখিনা আজকাল। ধর্ষণের ঘটনা পড়িনা। হেডলাইন দেখলেই আমার যন্ত্রণা শুরু হয়। কিন্তু আজ পারিনি। এক রূপাকে কবরে শায়িত করা হয়েছে। ঠিক তার পাশেই আরেকটি খবর সাভারে আরেক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। আমি আর নিতে পারিনা এসব। প্লিজ ছেলে সন্তানের বাবা-মায়েরা জাগুন, শেখান ওদেরকে নারী শুধু একটি শরীর না। ছেলে বলেই তাদের যা মন চায় করার ইচ্ছেটা ঠিক না। আর কন্যা সন্তানের বাবা-মায়েরা নিজের মেয়েকে নাচ-গানের পাশাপাশি নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য মার্শাল আর্ট শেখান। আজকালকার যুগে মার্শাল আর্টটা জরুরী। মেয়েলী অনেক তো নিয়ম-নীতি শিখিয়েছেন, কীভাবে পোষাক পড়তে হবে, চলাফেরা কীভাবে করতে হবে, ধর্মপালন করতে হবে, এসব সবই শিখিয়েছেন। এবারে নিজেদের আত্মরক্ষা করাটা শেখান। মরার আগে অন্তত একটা উত্থিত লিঙ্গকে আঘাত করতে যেনো পারে। যে পৌরুষত্ব নিয়ে গর্ব করে পুরুষের দল, একবার তাদের গর্বকে খর্ব করুক। একদিন পত্রিকার পাতায় হেডলাইন দেখতে চাই “ধর্ষণ করতে গিয়ে ধর্ষকের মৃত্যু কিংবা লিঙ্গ কাটা গেছে।”

হ্যামিল্টন, কানাডা
৩১ আগষ্ট, ২০১৭ ইং।

১জন ১জন
0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ