এই ঈদকে আমরা বলি সেমাই ঈদ। সোনেলার পাঠকদের জন্য আজ এগারো পদের বাহারী সেমাই রান্নার রেসিপি নিয়ে এলাম। প্রিয়জনদের পোলাও কোর্মার পাশাপাশি মজাদার সেমাই রান্না করে খাওয়াতে পারেন।
গাজর-চাল-সেমাইয়ের মিক্সড পায়েস
যা প্রয়োজনঃ
লিকুইড দুধ– ৪ লিটার
ঘিয়ে ভাজা সেমাই– ১ কাপ
গ্রেটেড গাজর– ১ কাপ
পোলাউয়ের চাল– ১/৪ কাপ
কোড়ানো নারকেল– ১ কাপ( অপশনাল)
চিনি– ৩ কাপ( স্বাদমতো)
আস্ত গরমমসলা– পরিমানমতো
এলাচ গুড়া– ১ চা চামচ(ইচ্ছা)
ঘি– ১ টে চামচ
ড্রাই ফ্রুটস– সাজানোর জন্যে
যেভাবে করবেনঃ
চাল ধুয়ে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। আস্ত গরমমসলা দিয়ে দুধ জ্বাল করে ৩ লিটারের মতো করে নিন। দুধ থেকে গরমমসলা উঠিয়ে চাল দিয়ে জ্বাল করুন। চাল যখন আধা সেদ্ধ হবে তখন সেমাই, গাজর দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। সেমাই সেদ্ধ হয়ে গেলে চিনি ও এলাচ গুড়া মিশিয়ে দিন। চিনির পানি শুকিয়ে আসলে ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন।
** পরিবেশনের পাত্রে ঢেলে ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
সেমাই জর্দা
উপকরণঃ
কুলসন সেমাই – ১ প্যাকেট
(কুলসন সেমাই না পেলে, যেকোন দেশি সেমাই, যাকে অনেকে বাংলা সেমাই বলে থাকেন, একটু লালচে রং-এর খোলা সেমাইটাই আসলে বাংলা সেমাই নামে পরিচিত)
চিনি – ২ কাপ
নারকেল কুরানো – ১ কাপ
কিশমিশ – ২ টেবিল চামচ
চীনা বাদাম (ভাজা) – ৩ টেবিল চামচ
দারুচিনি – ৩ টুকরা
তেজপাতা – ২ টা
ঘি – ৪ টেবিল চামচ
পানি – ২ কাপ
লবন – পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালীঃ
চুলাতে কড়াইয়ে চাপিয়ে আগুনের আঁচে কড়াইয়ের ভেতরটা শুকাতে দিন। এবার গরম কড়াইতে ঘি দিয়ে দিন। ঘি সামান্য গরম হলে চিনি দিন । এবার ১ প্যাকেট সেমাইয়ের অর্ধেকটা এই গরম ঘিয়ে ঢেলে দিয়ে ১০/১৫ মিনিট নাড়ুন, সেমাইটা ঘিয়ে ভাজা হবে।
এবার এতে কুরানো নারকেল দিয়ে নাড়তে থাকুন, কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে দিন আর চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন। পানি শুকিয়ে আসলে বাদাম, কিশমিশ, তেজপাতা, দারুচিনি দিয়ে আরো মিনিট দশেক মৃদু জ্বালে দমে রাখুন । সেমাই ঝরঝরে হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
টিপসঃ
সেমাইটা সরাসরি ঘিয়ে না দিয়ে একটু প্রসেস করে নিতে পারেন, এতে সেমাইটা নরম হবে। কি করতে হবে বলছি – আলাদা পাত্রে পানি গরম করে তাতে সেমাইটা মিনিট পাচেক সিদ্ধ হতে দিন, এবার একটা ঝাঁঝরিতে গরম পানি সহ সিদ্ধ সেমাইটা ঢেলে দিন, পানি ঝরে যাবে। এবার সাথে সাথেই সিদ্ধে গরম সেমাইটার উপর ঠান্ডা পানির ধারা দিন, তাতে সেমাইটা ঝর-ঝরে হয়ে যাবে আর ঠান্ডা হবে। এ অবস্থায় সেমাইটা পাতিলে গরম ঘিয়ে ঢেলে দিন। এখান থেকে রেসিপি’র বাকী অংশ অনুসরণ করুন।
গাজর সেমাই
উপকরণ :
১. লম্বা সেমাই ১ প্যাকেট,
২. গাজর কুচি সেদ্ধ ১ কাপ,
৩. দারচিনি ৩/৪ টুকরা,
৪. এলাচের গুড়ো ৩/৪টা,
৫. ঘি ১ টেবিল চামচ,
৬. ঘন দুধ দেড় লিটার,
৭. চিনি পরিমান মত। কিসমিস,
৮. পেস্তা বাদাম পরিমাণ মত।
প্রণালি :
> হাড়িতে ঘি গরম করে সেমাই, গাজর ভেজে নিয়ে দুধ দিন, এলাচ, দারচিনি, কিসমিস দিন। সেমাই সেদ্ধ হলে চিনি ও এক চিমটি লবণ দিন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পেস্তা বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন।
লাচ্ছা সেমাইয়ের লাড্ডু
উপকরণ :
১. লাচ্ছা সেমাই ২০০ গ্রামের ১ প্যাকেট,
২. কেওড়ার জল ১ চা-চামচ,
৩. যে কোনো ধরনের বাদামকুচি আধা কাপ,
৪. কিশমিশ ৪ টেবিল-চামচ,
৫. শুকনা নারিকেলগুঁড়া ৩ টেবিল-চামচ,
৬. ঘি ২ টেবিল-চামচ,
৭. কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ,
৮. এলাচগুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি :
> প্রথমে একটা কড়াইয়ে সেমাই আর ঘি দিয়ে অল্প আঁচে সোনালি এবং মচমচে করে ভাজতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সেমাই পুড়ে না যায়।
> সেমাই সোনালি করে ভাজা হলে এর মধ্যে বাদামকুচি, কিশমিশ, এলাচগুঁড়া, শুকনা নারিকেলগুঁড়া দিয়ে এক, দুই মিনিট ভাজতে হবে।
> তারপর ভাজা সেমাইয়ের মধ্যে কনডেন্সড মিল্ক এবং কেওড়ার জল দিয়ে নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন এবং চুলার আঁচ কিছুটা বাড়িয়ে দুতিন মিনিট ভাজুন।
> যখন কনডেন্সড মিল্ক কিছুটা শুকিয়ে সেমাইয়ের মিশ্রণ আঠালো হয়ে আসবে তখন নামিয়ে ফেলুন।
> কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা করুন। একদম ঠাণ্ডা করা যাবে না। একটু গরম থাকতেই পছন্দ মতো আকারের লাড্ডু বানিয়ে ফেলতে হবে। লাড্ডু ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।
> মনে রাখবেন: সেমাইতে কনডেন্স মিল্ক দেওয়ার পর বেশিক্ষণ চুলায় রেখে রান্না করলে সেমাইটা নরম হয়ে যাবে। লাড্ডু বানানোর পর মচমচে ভাবটা আর থাকবে না।
সেমাই মুজাফের
উপকরণ:
সেমাই ১০০ গ্রাম
বাটার ১০০ গ্রাম
এলাচ ৬/৭ টি
চিনি ১ কাপ বা সাদমত
পানি ৩/৪ কাপ
গুড়া দুধ ২ কাপ (দেড় কাপ পানিতে গুলে নেয়া)
কেওরা জল ১ টেবিল চামচ
জাফরান রঙ সামান্য
কিসমিস,বাদাম ও মাওয়া পরিমান মত
প্রণালী:
একটি ছড়ানো প্যানে বাটার গলিয়ে এলাচ দিয়ে সামান্য ভেজে সেমাই দিয়ে দিতে হবে। সেমাই হালকা বাদামি করে ভাজতে হবে। এবার অন্য একটি চুলায় ৩/৪ পানিতে এক কাপ চিনি গলিয়ে নিয়ে জাফরান রং দিন।
এই চিনির মিশ্রণটি সেমাই এর মধ্যে দিয়ে নারাচারা করে পানি শুকিয়ে আসলে দুধ দিয়ে একটু নেড়ে লেবুর রস দিতে হবে। লেবুর রস দুধ ফেটে ছানার মত হবে এবং এইটাই এই সেমাই এর বিশেষত্ব। সেমাই কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর মাখা মাখা হয়ে আসলে ২০-২৫ মিনিট দমে রাখতে হবে। একটি তাওয়ার ওপর দম দিলে খুব ভালো হবে। দম শেষে সেমাইটা ঝর ঝরে হবে। এবার একটি সার্ভিং ডিসে ঢেলে বাদাম, কিসমিস ও মাওয়া দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
স্পেশাল দুধ সেমাই
যা যা লাগবে:
তরল দুধ ২ লিটার,
সেমাই ২৫০ গ্রাম,
গুঁড়ো দুধ ৫ টেবিল চামচ,
চিনি স্বাদমতো,
এলাচ দারুচিনি কয়েকটি,
লবণ স্বাদমতো,
কিসমিস+বাদাম কুচি ইচ্ছামতো,
ঘি দুই টেবিল চামচ,
দুধের সর বা মালাই আধা কাপ।
যেভাবে করবেন:
দুই লিটার দুধকে জ্বাল দিয়ে সোয়া এক লিটার করে নিতে হবে। এবার এলাচ দারুচিনি দিয়ে জ্বাল দিন। উপরে ঘন সর জমবে, সেটাকে তুলে রাখুন আলাদা করে। এবার দুধে চিনি মেশান। আলাদা পাত্রে খানিকটা দুধ তুলে নিয়ে সেই দুধের সঙ্গে পাউডার মিল্ক গুলিয়ে নিন। গোলানো গুঁড়ো দুধ আবার বাকি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। দুধ ফুটে উঠলে বাদামী করে ভেজে রাখা সেমাই দিয়ে একটু নেড়ে নিন। দুই মিনিট চুলায় রেখে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর সেমাইয়ের ওপর দুধের সর আর কিসমিস, বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল ঈদের সকালের স্পেশাল স্বাদের দুধ সেমাই।
জর্দা সেমাই
উপকরণ:
-চিকন সেমাই ২৫০ গ্রাম
-ঘি আধা কাপ
-বাদাম,
-কিশমিশ,
-সাদা এলাচি,
-কালো এলাচি
-দারুচিনি পরিমাণমতো
-চিনি তিন কাপ এবং পানি দুই কাপ।
প্রণালি:
হালকা গরম কড়াইয়ে আধা কাপ ঘি ঢালুন। ঘিয়ের ওপর এলাচি ও দারুচিনি ছড়িয়ে দিন। এবার কড়াইয়ে চিকন সেমাই ঢেলে ভালো করে ভেজে দিন। মচমচে ভাজা হলে পানি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। সেমাই সেদ্ধ হলে এতে প্রয়োজনমতো চিনি দিন। এবার বাদাম, কিশমিশ ছিটিয়ে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।
সেমাইয়ের মালাই ক্ষীর
উপকরণ:
দুধ-দেড় লিটার,
চিনি-পরিমান মতো,
মালাই-আধা কাপ,
কাজু, কিসমিস, পেস্তা, কাঠবাদাম-আধা কাপ
সেমাই-এক কাপ,
এলাচ, দারুচিনি-৬/৭,
ঘি-২ টেবিল চামচ,
জাফরান- সামান্য
প্রণালি :
প্রথমে বাদামগুলো খোসা ছাড়িয়ে মোটা কুচি করে নিন। এরপর দের লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেকের কম পরিমাণ করে রাখুন। এবার প্যানে ঘি দিয়ে গরম করুন। এরপর এলাচ দারুচিনি দিয়ে একটু ভাজুন। বাদাম কুচি, কিসমিস ও সেমাই দিয়ে দিন। মৃদু আঁচে হালকা ভাজুন। ঘ্রাণ ছাড়লেই ঘন দুধ দিয়ে দিন। নেড়ে নেড়ে রান্না করুন। সেমাই সিদ্ধ হয়ে আসার সাথে সাথে দুধও ঘন হয়ে আসবে। সেমাই সিদ্ধ হয়ে গেলে মালাই দিয়ে দিন। জাফরান দিন। এরপর ভালো করে মিশিয়ে চুলা বন্ধ করে ফেলুন। এবার ছোট ছোট বাটিতে এই ক্ষীর সাজান। এরপর ফ্রিজে রেখে সেট হতে দিন। সেট হলে বাদাম ও কিসমিস ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
ঝুরা সেমাই এর নাড়ু
উপকরণ:
ঝুরা সেমাই ২ কাপ
লবণ১ চিমটি পরিমাণ
খেজুর গুড় ১/২ কাপ
চিনি ১ /২ কাপ
নারকেল মিহি কোরা ১ কাপ
এলাচ গুঁড়া ১ চিমটি
দারচিনি গুঁড়া১ চিমটি
ঘি ২ চা চামচ
গুড়া দুধ ১/২ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে সেমাই হাত দিয়ে ভেঙে ছোট করে শুকনা কড়াইতে হালকা আঁচে বাদামী করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে গুড়, চিনি, এলাচ গুঁড়া, দারচিনি গুঁড়া, লবণ মিশিয়ে কম আঁচে নাড়তে থাকুন।
গুড়, চিনির রসালো ভাব কমে একটু শুকনা ভাব ধরলে নারকেল। গুড়া দুধ দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার ঘি মিশিয়ে নিন। চটচটে একটা ভাব ধরলে চুলা বন্ধ করুন এবং নাড়ু তৈরি করুন। নাড়ু তৈরির সময় হাতে সামান্য ঘি লাগিয়ে নিতে হবে।
টিপসঃ
* এই নাড়ু বানানোর সময় হাতে ভালো ভাবে চেপে নিতে হবে। হাতে সেমাই কিছুটা লেগে থাকলে ও নাড়ু কিন্তু ঠিকই তৈরি হবে। ধৈর্য্য ধরে কাজটা করতে হবে।
* এই নাড়ুটা তৈরি করতে মোটেই পানি দেওয়া যাবে না।
* লবণটা কেউ দিতে পারেন নাও দিতে পারেন। তবে মিষ্টি খাবারে সামান্য লবণ তার স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।
সেমাই ক্ষীর
উপকরণ:
দুধ ২ লিটার
চিনি ৩/৪ কাপ (এক কাপের চার ভাগের তিন কাপ বা যে যেমন মিষ্টি পছন্দ করে)
এলাচ গুঁড়া সামান্য
ঘি ২ টে চামচ
সেমাই এক/দেড় কাপ
মাওয়া হাফ কাপ
দারচিনি ২ টুকরো
ডানো ক্রিম ১ ক্যান/১ ডিব্বা
কিসমিস, পেস্তা বাদাম, কাঠ/কাজু বাদাম, খেজুর কুচি এক কাপের চার ভাগের তিন কাপ/ভাগ/ কাপ
লবণ ১ চিমটি (ঐচ্ছিক)
কেওড়া/গোলাপ জল হাফ চা চামচ
প্রণালী:
প্রথমে দুধ মিডিয়াম আঁচে জ্বাল করে অর্ধেক করে নিন। তারপর ড্রাই ফ্রুটসগুলো একটু ঘিয়ে ভেজে নিন। এবার ঐ প্যানে সেমাইটা হাতে ভেঙে ঘিতে ভেজে মচমচে করে নিন।
এবার সেই অর্ধেক দুধে চিনি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দারচিনি, এলাচ গুঁড়া আর সেমাই দিয়ে নাড়ুন। সেমাই হয়ে গেলে মাওয়া ও লবণ দিন। এবার দুধ ঘন হয়ে আসলে ক্রিম আর অর্ধেক ড্রাই ফ্রুটস আর গোলাপ জল দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা হলে উপরে ড্রাই ফ্রুটস আর মাওয়া দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
মনে রাখবেন:
সামান্য জাফরান দুধের সাথে ভিজিয়ে সেমাই এ দিলে স্বাদ বেড়ে যায় আরো দ্বিগুন ও গুড় দিয়ে ও করা যাবে।
সেমাই সন্দেস
উপকরণঃ
লাচ্ছা সেমাই ২ কাপ
কনডেন্স মিল্ক ১ কাপ
ঘি ২ টেবিল চামুচ
এলাচ গুঁড়া সামান্য
মাওয়া পরিমানমত
বাদাম/ কিসমিস (সাজানোর জন্য)
তৈরি করার নিয়মঃ
প্যানে ঘি হালকা গরম করে লাচ্ছা সেমাইগুলো অল্প আচে ভেজে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সেমাই পুড়ে না যায়। এবার কনডেন্স মিল্ক আর এলাচ গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে সন্দেসের ঘনত্ব আসলে চুলে থেকে নামিয়ে ঘি মাখানো একটা ফ্লাট প্লেটে বিছিয়ে মাওয়া গুঁড়া ওপর দিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। সন্দেসটা একটু ঠান্ডা হলে চাকু দিয়ে পছন্দমত শেপে কেটে বাদাম বা কিসমিস দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
মাওয়ার উপকরণ ও বানানোর নিয়মঃ
গুড়া চিনি ১ চা চামুচ, ঘি ১ চা চামুচ, গুঁড়া দুধ ৩/৪ টেবিল চামুচ, সামান্য গোলাপ জল আর পরিমাণ মতো তরল দুধ মিশিয়ে নিয়ে মাওয়া বানানো যায়।
ঈদ উৎসব সবার ভালো কাটুক। নিরাপদে থাকুন,সুস্থ্য থাকুন। আর হ্যা সোনেলার পাশেই থাকুন।
সবাইকে ঈদের অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
(সেমাই রেসিপিগুলো নেট থেকে সংগৃহীত)
লিংকঃ মজার রান্না ডট কম
২৫টি মন্তব্য
রেহানা বীথি
বাহ্, বেশ বেশ
তৌহিদ
যে কোন একটা পদ রান্না করে খাওয়াবেন কিন্তু লেখককে আপু। ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
মাছুম হাবিবী
ভাই বাসায় মা ছাড়া কেউ নাই। এত পদের সেমাই খাওয়ার কথা বললে মা দৌঁড়ানি দিবো। বরং আপনি ভাবিকে নিয়ে মজা করে সেমাই খান। আর ঈদের দাওয়াত কই? দাওয়াত দেন আমরা না হয় ফ্রিতে ভাবির হাতের ১২ পদের সেমাই খেয়ে নিব হাহাহা
তৌহিদ
প্রিয়জনদের ঈদের দাওয়াত দিতে হয় নাকি? সোজা চলে আসবে বাসায়। যে কোনো একপদ নিশ্চই খাওয়াবো। আন্টিকে সালাম জানাবে।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
শামীম চৌধুরী
দারুন।
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই, ভাবীকে বলবেন কিন্তু সেমাই খাওয়াতে আমাদের। আপনার সুগারে সমস্যা নেইতো!!
একটু আধটু খেলে কিছু হবেনা ☺☺
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
এত এত পদ লিখে পড়ে আপনি একটা রেসিপি দিলেই পারতেন!!
ফাঁকি দিয়ে কী লাভ!!
তৌহিদ
আমি রেসিপি জানলেতো এসবের ধার ধারতামনা। আমার রেসিপিতে দুধে শুধু সেমাই ভাসতো নুডুলসের মত। আর আপনারা সবাই মিচকি মিচকি হাসতেন। ইজ্জতের ফালুদা করাইতে চান!! ☺☺
ঈদ মোবারক ভাই।
শাহরিন
সুস্বাদু রেসিপি।
তৌহিদ
বাসায় রান্না করবেন কেমন? ঈদ মোবারক আপু।
আরজু মুক্তা
দেখি,কোন রেসিপিটা ঈদে রান্না করা যায়!!
তৌহিদ
যেটাই করেন, দাওয়াত কিন্তু ভাইরে দিতে ভুলবেন না আপু।
ইঞ্জা
আপনার সেমাই গুলো দেখেই তো আজ ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে ভাই। 😆
তৌহিদ
হ্যা হ্যা আজকেই ঈদ। কোনটা খাওবেন রান্না করে সেটা বলুন দাদা।
ইঞ্জা
ভাই আপনার ভাবী দুধ সেমাই রান্না করে, যা অন্য কেউই রান্না করতে পারেননা, খেতেও সেইরকম স্বাদ।
তৌহিদ
হ্যা হ্যা আজকেই ঈদ। কোন পদ রান্না করবেন ভাবী সেটা বলেন। বাসায় হামলা দিমু আপ্নের।☺☺
ইঞ্জা
আইসা পড়েন 😆
তৌহিদ
আইতাছি খাড়ান☺☺
মোঃ মজিবর রহমান
ইস! রেসিপির সাথে খায়াওয়া হলে ভালই হত। দেখি আপনার ভাবি কোনটা খাওয়ায়।
সাবিনা ইয়াসমিন
সবগুলো রেসিপি বেশ সহজ আর মজাদার মনে হচ্ছে। যদিও ঈদের দিনে প্রতিটি ঘরে ঘরে গৃহিণীরা নিজস্ব ঐতিহ্য আর পছন্দ-স্বাদ মতো সেমাই তৈরি করেন। তবে এই রেসিপি গুলো অনেকেরই কাজে আসবে।
লাচ্ছা সেমাইয়ের লাড্ডু কি চিনি ছাড়া হবে? নাকি কনডেন্স মিল্কের মিষ্টতাই যথেষ্ট ?
কস্ট করে সেমাই রেসিপি দেয়ার জন্যে এত্তগুলো ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন, ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা রইলো। ঈদ মোবারক 🌹🌹
তৌহিদ
সোনেলার পাঠকদের উপকার হলেই আমি খুশি। আপনি কোনটা করবেন আপু?
কনডেন্স মিল্কের সাথে সামান্য চিনি দিতে পারেন। এতে লাড্ডুর ময়েশ্চার সুন্দর হবে।
ঈদ মোবারক।
জিসান শা ইকরাম
এত্তগুলো রেসিপি!
কোনটা যে বাসায় করবো, তাই তো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।
আপনার যে কোন একটা রেসিপিই করবো 🙂
তৌহিদ
আপনি কোনটা করবেন করেন, তার আগে বলেন ভাবীসাহেবা কখন রান্না করবেন। বলা যায়না হামলা দিতেও পারি।
মনির হোসেন মমি
আমার কোন কাজে আসবে না এ পোষ্ট কেবল খরচ বাড়াবে তবুও প্রিয়তে রাখলাম।
তৌহিদ
কাজে আসবেনা কি বলেন? ভাবীকে রেসিপি দিন। আমাদের রান্না করে খাওয়াবে।☺☺
আর কাজে না আসলে প্রিয়তে রাখার দরকার কি? অযথা খরচ বাড়ানো!!