“হে মহামান্য জিউস
আমিই আমাকে খুন করে এসেছি
আমাকে শাস্তি দিন, আমিই
বুকের কুসুমে ঢেলেছি এক-শিশি বিষ।“
চির-ঘুমের মানুষ ঘুমায় দু’চোখে বন্ধ রেখে,
শখের বিষখোর ঘুমায় উঁকি-মারা-চোখে,
বিষ খেয়ে বেশি বেশি ঘুমায়, ঘুমের ভান করে;
জিউস সব-ই দেখেন, বোঝেন, বলেন একটু একটু করে।
বিষ অমৃতটুকু ভাগ নিয়ে ভেগে যাবে বলে বসে আছে
সুনসানের দুপুর-ঘুমে জিউস ঘুমুবে নিশ্চয়ই।
বিষ-বুদবুদ সহানুভূতিরবশে ছুঁড়ে দেয় এক ঝলক উড়ন্ত ভেল্কিবাজি,
দূর যবনিকার আড়ালে থাকা হিমেল মতিগতি, জিউস জানেন।
মরে যাওয়ার ভাব ধরে এসব হিজিবিজি ধুয়ে
কেবলা মুখো হয়ে মরা-কান্নার ঢং ফং জিউস জানেন/বোঝেন।
তবুও উচ্চকিত কবিতা ছড়িয়ে যাক দিগন্ত থেকে দূর দিগন্তে
অকস্মাৎ ফেটে পড়া রোদ্দুরের মত,
মাথা মুড়ে বসে থাকা মতি-গতিহীন বিরাম চিহ্নের মত
শীতার্ত বিষমকামী আত্মরতি এড়িয়ে।
————————————————————–
জিউস বলেন
শিশি/ফিশি নয়, ড্রাম ড্রাম বিষ এস্তেমাল করে এর আগেও
পাতকী হতে চেয়েছে আরও অনেকে ভাব ধরা কবিতা-নাবিক, হয়নি তা।
পুকুর/ফুকুর বা নদ/নদী নয়, বিষের সাগরে হাবুডুবু খেতে খেতে যদি মরার সাধ অটুট থাকে,
তখন না হয় কবিতার ঠিকানা দেয়ার কথা ভাবতে বসা যাবে!!
‘এ এ,, মনে করেন, ল্যাকতে ভাল্লাগে। খুশিতে, ঠ্যালায়,ঘোরতে’
১৮টি মন্তব্য
রিতু জাহান
হা হা হা খুশিতে ল্যাকতে ঠ্যালায় ভাল্লাগে বইলা আমারও ম্যালা কিছু করতে মনচায়।
যাইহোক, বিষের শিশি কে নিবে! কার এতো বড় সাহস। বিষের শিশি যে আমার চাই। খুশিতে ঠ্যালায় ভাল্লাগে বলে এক বিন্দু বিষ ঢেলে দিতে চাই বুকের পিঞ্জরে। যেখানে ভালবাসা নামক এক নামহীন বস্তু অথচ সে প্রাণ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তার মুখে ঢেলে দিব এক বিন্দু বিষ।
তা কবি কিছু শব্দ টব্দ ধার দেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এমুন আনচান মন নিয়ে কালক্ষেপণ করা ঠিক না,
তুমুল-প্রবল বেগে ঝাঁপিয়ে পড়ুন কী-বোর্ডের উপর!!
আপনি বাঁচুন, আমাদের ও বাঁচান।
বিষটিকে মারবেন না যেন!! আপনারাই তো জলজ্যান্ত বিষ-খনি।
সব শব্দ-ই আপনার, এবার শুরু করে দিন জমিয়ে রাখা কথকতা!!
মোঃ মজিবর রহমান
রবি বাবুর ,
“আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান, প্রানের আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রান।”
বিষ-বুদবুদ সহানুভূতিরবশে ছুঁড়ে দেয় এক ঝলক উড়ন্ত ভেল্কিবাজি,
দূর যবনিকার আড়ালে থাকা হিমেল মতিগতি, জিউস জানেন।
তাঁরে ভালে বেসেই , তাঁরে মনে পুষেই তাঁরে হৃদয়ে গেথেই রেখেছি তারপর করেছি পান বিষ। তাই তো উৎফুল্ল বদনে নীল্মুখে তাঁরে চেয়ে থেকে দেখেছি, মনের মাঝে রেখেই।
ছাড় পত্র আপনাআপনিই পেয়ে যাবে কারো কাছ থেকে পেতে নি বস।
ছাইরাছ হেলাল
খাছ ভাবে দুয়া জারি রাখবেন,
মনে থাকে যেন।
প্রহেলিকা
শেষ পর্যন্ত জিউসকে ঘুম থেকে উঠালেনই আপনি, পেরেছেন বটে যেমনটা পারেন। পারাপারি পরে হবে।
আসল কথা হলো, এই ল্যাহা তো ল্যাহা না আস্ত নাটিকা! নাটিকা ফাটিকা কবে থেকে ল্যাহা শুরু করলেন তা তো জানালেন না! কবিতার মত করে নাট্য চালিয়ে দিলেন এত সহজে?
“মরে যাওয়ার ভাব ধরে এসব হিজিবিজি ধুয়ে
কেবলা মুখো হয়ে মরা-কান্নার ঢং ফং জিউস জানেন/বোঝেন।”
উনি মহামান্য, সব জানেন বলেই মহামান্য। তবে একটু পটানোর চেষ্টাতো করাই যায় অণু অনুনয়ে। ভয় থাকে অবশ্য কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যেন সাপ না বের হয় আবার! শেষে আপনি বা আমি কেউই রক্ষা পাবো বলে মনে হয় না। তা এবার বিষ ফিষ বাদ দিয়ে মধু মণ্ডা মিঠাই এর কথা কই আসেন।
যদি প্রশ্ন করি একটা কবিতা লেখতে কয়টা শব্দের দরকার হয়? কে কি উত্তর দিবে জানি না তবে আপনি বলবেন “একটাই” যথেষ্ট!
শিখে ফেলব একদিন সব গোপন গোমড় ফোমড়। লেখক এবার হতেই হইব।
ছাইরাছ হেলাল
শিশি-বিষ নিয়ে কাঁদাকাটা করবেন, দোষ তখন অন্যের!!
আচ্ছা পরে-টরে হবে!
‘এ এ,, মনে করেন, ল্যাকতে ভাল্লাগে। খুশিতে, ঠ্যালায়,ঘোরতে’
সেই ভাল আপনি তলে তলে পটানোর চেষ্টা জারি রাখুন, এদিকে আমরা অন্য গপ-সপ চালু রাখি।
এখানেও কেউ কেউ ঘোষনা দিয়েছে লেখক তিনি হবেন-ই,
দেখুন দেখাদেখি করে লেখক হওয়া ঠিক না!! আপনি বরং কোবতে লেখার ট্রাই করতে শুরু করে দিন,
জিউসের মর্জি হলে মাকাল ফলের ভাগ আপনি অবশ্যই পাবেন।
অস্থির হয়ে মন্তব্য করা ঠিক না, লেখা পড়ায় মন দিন!!
প্রহেলিকা
ডিজিটাল বাংলাদেশে মন্তব্য ডিজিটালতো একটু হবেই!
কোবতের দিকে আপনি ধীরে ধীরে এগুন, আমরা পেছনে আছি। শিখে শিখে লেখার মজা আছে দেখে দেখেও। তবে আশাবাদী খুব শীঘ্রই সোনালে কোবতে পাবে। ঝেড়ে কেশে ফেলুনতো সাহসের সাথেই। আমরা শিখব টিনের চশমা পরেই।
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁকিও ডিজিটাল হবে তা তো দেখতেই পাচ্ছি!
কোবতে লিখতে শিখতে ও পড়তে টিনের চশমাই লাগবে,
যা আজ পর্যন্ত যোগার করতে পারিনি, তাই সে সব কন্টক-পথে পা না বাড়ানোই উত্তম।
ভেবেছিলাম আপনার ধ্বজা ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে এগুবো, সে গুড়ে গুড় মোটেই নেই!!
প্রহেলিকা
তোমরা কত কিছু দ্যাখো, কত কিছু বুঝো
পলকেই ছুঁয়ে দাও পাহাড়ের চূঁড়া
কখনো ডুবুরি সাজো, জলের অতলে পৌঁছে
অনুনয়ে ছুঁয়ে দাও ঈশ্বরের হাতজোড়া!
বুঝো না কেবল, কোন রোদের খোঁজে-
নির্মল সকাল হয়ে উঠে তাসের দুপুর,
দ্যাখো না কেবল, সন্ধ্যার বয়াতি সুরে-
কোন মায়ায় গলে যায় মোমের নূপুর!
“ভান”
ছাইরাছ হেলাল
পড়ুক গলে গলে মোমের নূপুর
ক্লান্তির শ্রান্তি এড়িয়ে আয়না প্রদীপে,
সলাজ চোখ-সীমান্তের উপকূলে;………………………………
‘টান’
প্রহেলিকা
লেখার পেটে চাবুকাঘাত!!!
ছাইরাছ হেলাল
বলেন কী!!
পেটের উপ্রে দিয়ে গেছে, মানির মান রক্ষা পায়-ই!!
সাবিনা ইয়াসমিন
চলছে / চলুক ভান আর টান !! আমরা বসে বসে শব্দের শান দেয়া দেখছি,, এইইইবা কম কি ? ঘটে কিছু ঢুকুক বা না ঢুকুক চোখে যে শর্ষে ফুল ফুটছে তা আর নাই-বলি,,,,
শিশির বিষ কমে গেলে পানি মিশিয়ে নিয়েন মহারাজ ।
একটু ফান করলাম,,, এই মনে করেন ভাল্লাগে,, ঠ্যালায় ঘোরতে \|/
ছাইরাছ হেলাল
আরে আপনি শুধু দেখলে হবে!!
ফুলের শর্ষদের কাজে লাগিয়ে লিখে ফেলুন কিছু স্বপ্ন-জল-ছল!!
ভীতুরা বিষের লাইনে যাওয়ার সাহস রাখে না, তাই কবিতার নাগাল পাওয়া হয় না।
আপনার ভাল্লাগার ঘোরতে থাকা চালু থাকুক!
সাবিনা ইয়াসমিন
জাঁহাপনা,, আমি অতিশয় ভীতু শব্দ দাসী,,শর্ষে পুষ্পদ্বারা কিরুপে শব্দমাল্য গাঁথিব 😕
ছাইরাছ হেলাল
যারা মালাকার তারা সূতো ও ফুল ছাড়াই মালা গাঁথতে পারে,
কোন ব্যাপার না, চালু রেখে চালিয়ে যান, কামিয়াব আপনি হবেন-ই।
শুধু স্বপনের কথা ইয়াদ রাখলেই হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
আমরা বসে বসে শব্দের শান দেয়া দেখছি,, এইইইবা কম কি
সহমত আপু
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো শান-ফান কিছুই দিতে পারলাম না!!