প্রায় একমাসের বেশি হয়ে গেল কলেজ … weekend বলতে এখন রবিবারটাই আছে … শনিবার কলেজ করে বাড়ি আস্তে আস্তে রাত ৯-১০ টা বেজে যায় … আবার সোমবার ভোরেই বেরতে হয় … বাড়ি থেকে ট্রেনে ৫ ঘণ্টার দুরত্বে কলেজ হওয়ায় তবুও সপ্তাহ শেষে একবার বাড়ি আসার সুজোগ পাই …
রবিবার দিনটা বেশ মজায় কাটে … সকালে দেরি করে ওঠা ঘুম থেকে, তারপর ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের চুমুকে ঘুমের আমেজটা কাটানোর চেষ্টা ,আর সংবাদপত্রের sports section এ উঁকি …
Engineering Mechanics এর বইটা নিয়ে কিছুটা লড়াই , সাথে ফেসবুক এ আড্ডা …
দুপুরে স্নান সেরে ছাদে রোদের একটু মিঠে-কড়া অনুভূতি , শরীরে কেমন যেন শিহরন জাগায় … আস্তে আস্তে নেমে আসা নীচের তলায় … মায়ের কাছে বাটি করে গরম তরকারির আবদার …
তারপর ভুরিভোজ … নামেই ভুরিভোজ , খাই না তো কিছুই … অতঃপর মায়ের বকুনি …
খাওয়া সেরে খাটের এককোণে গুছিয়ে রাখা বালিশের হেলান দিয়ে একটু আড়মোড়া ভাঙ্গা , হাতে একটা গল্পের বই…
তারপর না জানি কখন মাথার বালিশ টা একটু টেনে নিয়ে পাড়ি দেওয়া রুপকথার দেশে …
বিকালের আমেজ কাটে পশ্চিমাকাশে রঙের খেলা দেখে … ছাদে পায়েচারি … দিনের আলো নিভে যেতে যেতে বলে যায় , ” কুহকীনি আসছে , হুঁশিয়ার ” … দূরে কোথায় যেন সেদিনের প্রথম শাঁখটা বেজে ওঠে … কোনও মন্দির আলোকিত হয়ে ওঠে সেঁজুতির আলোয় …
একটু জলযোগ , মায়ের হাতে মাখানো মুড়ি , একটু ফেসবুক আর দিন শেষে একটু পড়তে বসার চেষ্টা …
এরই মাঝে লোডশেডিং , ভ্যপ্সা গরমের উস্কানিতে মাদুর নিয়ে ছাদে যাওয়া, ঝিলিমিলি আকাশ, মৃদু মন্দ বাতাস, যেন এক স্বর্গীয় বাতাবরণ , বাতাসের স্নিগ্ধতায় শরীরে অনুভব করি শিহরন … অতঃপর ধীর পায়ে স্বপ্নদেশের পরীর জাদুতে দুচোখে নেমে আসে ঘুম …
৬টি মন্তব্য
নুসরাত মৌরিন
খুব সুন্দর, আড়মোড়া ভাঙ্গা অলস দিনাতিপাতের বিবরন। বালিশে মাথা রেখে বইয়ের ভাঁজে রুপকথার দেশে পাড়ি জমানো, নির্জন বিকেলে রঙ্গিন আকাশের সাথে মিতালি, রাতে তারাদের ঝিলিমিলি…।
সব মিলিয়ে খুব ভাল লাগলো…।
স্বপ্নচারী
ধন্যবাদ দিভাই … 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
জীবন কথনে অনেক অনেক ভাললাগা রেখে গেলা
স্বপ্নচারী
ধন্যবাদ … 🙂
কৃন্তনিকা
বর্ণনা বেশ দারুণ লাগলো… (y)
স্বপ্নচারী
ধন্যবাদ … 🙂