একবার
শুধু একবার,
তেমনি করে যদি তুমি বলতে !
অপূর্ব-
তোমার থেমে থেমে আসা প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের পর~
দুনিয়ার বাস্তবতায় যতো ঘৃণা
আর নিষ্ঠুরতার দহনের সাথে,
কিনে আনা একরাশী পলিউশান
যে প্রকোষ্ঠে টেনে নাও-
সেখানে পুরুটা হৃদয় জুড়ে আমি (সখি) থাকি –!
সে হৃদয়ের প্রতি ইঞ্চি দেয়ালে –
আমার তৈলচিত্র সযত্নে মুছে রাখি,
সে হৃদয়ের সমস্ত প্রকৃতির সবটুকু সবুজে-
আমার নিত্য বিচরণ,
প্রতিটি দুর্বাঘাসের ডগায় –
সকালের শিশির বিন্দু গুলি আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই,
এক একটা ঝড়া পাতা কুঁড়িয়ে তুলে যত্নে রাখি-
সন্ধ্যটার জন্য ।
প্রতিটি পুকুর, নালা, ডোবায় আমি শিকার করি
মাছ রাঙ্গা পাখির মতো,
নদী আর সমুদ্রে সাঁতার কাটি সারাদিন-
নৌকা সাজাই অহর্নিশী,
মরুকাবেলার কূল ঘেসে-
বয়ে বয়ে যাই নৃত্যে- ছন্দে,
ভেজা বালুতে উঁকি দেয়া প্রতিটি পাথর কনায়-
এক এক করে তোমার নাম লিখি অপূর্ব ।
এ দেহের লবনাক্ত ঘাম,
আর অদেখার যন্ত্রনায় ধেয়া আসা অশ্রু দিয়ে
এক একটি পাথর গাঁথি মহলের,
দেয়াল উঁচু হয় প্রাসাদের।
আর সন্ধ্যটায় কুঁড়িয়ে রাখা
সব ঝড়া পাতার শ্মশান-কুন্ডলীর বিচ্ছুরিত আলোয়,
একটু দুর থেকে স্বপ্ন মহল দেখি,
খিড়কি গুলির রংচাটা পর্দায় তোমার স্পষ্ট ছায়া দেখি ,
কখনো সখি সখি বলে তোমার চিৎকারের শব্দ পাই-
মহলের বেলকনিতে তোমার পদধ্বনী শুনি-
হন্য হয়ে ছুটে আসো,
ডান হাতে ধূতির কোনা ধরে, মহলের চত্বরে-
এদিকে খোঁজ, সেদিকে খোঁজ-
আবারও চিৎকার করো-
আমি ভয় আর বাস্তবতার অস্পষ্ট দেয়ালের এপাশ থেকে
সব শুনি- সব ।
আর নিঃশব্দে আমি ঐ দুরত্বে-
তোমার জীর্ণ মহল চত্বরে কুঁড়ানো পাতাগুলি জ্বালীয়ে
কিছুটা উষ্ণতা ঠেলে দিই-
আলোকিত করে রাখি তোমার অঙ্গন-
বলেই দেখতে একবার !!
তবে-
আমি ছেড়ে দিতাম
ঠোটের কোনায় জ্বালানো বিষের কাঠি-
আমিতো হৃদয়ের দেয়ালে তোমার তৈলচিত্র
ধোঁয়ার আড়ালে রাখি-
অস্পষ্ট করার ব্যার্থ চেস্টা করি তোমার অবয়ব-
একের পর এক ধূপকাঠি জ্বেলে তার ঘোলাটে তীব্রতায়,
ঘনঘোর কুয়াশা তৈরী করি অন্তরের সবটুকু শূণ্যতায়-।
আর ব্যার্থ হই প্রতিনিয়ত-
হৃদয়ের উপশিরাগুলিতে যে স্পন্দন,
ঢিপ ঢিপ শব্দে তর তর করে
সবগুলি রক্ত কনা ঠেলে দেয় শীতল মস্তিস্কে-
সেখানে প্রতিটি রক্তকনার আলোড়নে
আবারও ভেসে উঠে তোমার জলছবি-
ফেল ফেল করে চেয়ে থাকে আমার চোখে-
সেই পরিচিত পুরুনো ফ্যাকাশে দৃষ্টি-
বার বার তিরস্কার করে আমায়-
ছিঃ এমনি করে সরে গেলে ?????
দুই কান বন্ধ করেও-
সে তিরস্কারের শব্দ, আমি চাপা দিতে পারিনা ।
মুক্তার ঝলকানীতে আঁকা তোমার চোখের মণি
যেন বাঁকা দৃস্টিতে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়-
এই এইটুকুই ছিলো তোমার সহ্যের সীমানা ?
আমি দু’চোখ বন্ধ করেও
বানের আলোয় সে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখি-
প্রশ্নের ঝড়ে শীতল হয়ে আসে দেহ,
কাঁপুনি ধরে মনে,
হাতটা খুব কাছে আসে
ঠোঁটে গুজে দেয় সামান্য উষ্ণতার কাঠি ।
অমনি তীব্র একটা টানে
জ্বলজ্বল করে উঠে অন্ধকার,
চোখে পড়ে তোমার নামে কিনে আনা
টুকটুকে লাল জলে ভাসা, চকচকে আইস কিউব,
– পরিপূর্ণ করে আর একবার ঢেলে দিই
আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে-
বেশ তো-
চোখ কুচকেই, খুব কস্টে সহ্য করি
কিছু কয়লার নিভে যাওয়ার সাথে,
হৃদয়ের চর্বি পোড়া ভ্যাপসা গন্ধ।
জানো !
একবার নদীতীরে
বৃষ্টি শেষের সন্ধ্যাকাশে রংধনু দেখছিলাম-
জলের বুকে মৃদু ঢেউয়ের আলোড়নে যে রং আমি দেখেছি-
তার সবটুকু চুরি করেছি তোমার জন্য-
আকাশটাকে কালো করে দিয়ে সবটুকো সোনা রং
আমি ভরে দিয়েছি ক্যানভাসে তোমার দেহে-
পাহাড়ের ছাঁয়ার রংয়ে
তোমার প্রতিটি ভাঁজ এঁকেছি স্নিগ্ধ সবুজাভ অন্ধকারে-
টিউলিপের রংয়ে আঁকা ললাটে আর গালে,
সন্ধ্যা মালতির স্পষ্ট ছোঁয়া দিয়েছি-
চোখের পাতায় কাজলের শেষে,
রজনীগন্ধ্যার রংয়ে
নীল প্রজাপতির ডানা ঝাপটে দিয়েছি-
বেশ লাগছে তোমায় নন্দিনী-
লাবন্যে উপছে যাচ্ছে সোনা রং –
খুব ভয়ে ভয়ে আলতো করে,
গোলাপের রংয়ে তোমার ঠোট রাঙ্গাচ্ছিলাম-
কাঁপছিলো বেশ-
অস্পষ্ট ধমক দিয়েছিলাম,
কিছু সময় পর নয়নের রং গলে,
গালের সবটা বেয়ে
নিচে নেমে গড়িয়েছিলো উত্তপ্ত তরল লাভা স্রোতের মতো-
কি করবো ?
কি করবো ??
কি করবো ???
শেষে দু ঠোঁট লাগিয়ে শুষে নিয়ে ছিলাম,
ক্যানভাসের নিচের কোনায় ঝুলে থাকা চোখের সবটুকু জল-
শুনেছিলাম লোনা হয় অশ্রু-
এ দেখি তেতো আর ঝাঁঝালো-
গালে ঠোঁটের স্পর্শে-
তুমি হাসছিলে ভেজা চোখে-
বুঝেছি ও ঠোঁটে তুলির ছোঁয়া তোমার পছন্দ নয়,
শেষে মধ্যাঙ্গুলিতে –
লালচে ঠোঁটে ছুঁইয়ে দিয়েছি
শিশিরের নূন্যতম ঝলকানী-
বাহঃ কি দারুন দেখতে-
একটা পরিপূর্ণ নিদ্রার জন্য
এ মুখের ছবি নিয়মিত সংঙ্গ দিচ্ছে আমায় ।।
বেশ রেগে আছে প্রকৃতি আমার উপর-
ভোরের শিশির, সকালের উষ্ণতা,
দিনের সবটুকু নীল, সন্ধ্যার সোনা রং ।
জোঁনাকির আলো আর
রাত্রীর সব তারা চুরির অপরাধে-
কাঠগড়ায় আমি ।
গেলো কদিন ধরে প্রচন্ড ঝড় আশেপাশে-
ভয়, সন্দেহ, ভবিষ্যত আর বাস্তবতার ঝড়__॥
একলাই সইবো সখি-
পুরুষ যে !
তুমি থাকো ভয়ের দেয়াল আর সন্দেহের পর্দার আড়ালে-
খেয়াল রেখো নিজের-
শহীদের মর্যাদায় আমাকে দাফন করতে
অথবা নিন্দার জোয়াড়ে সাগরে ভাসাতে
তোমায় আরও শক্ত হতে হবে ।
আমি যে শেষকৃত্ত্বে ও তোমার স্পর্শ চাইবো-
তোমায় যে ভালবাসি সখি__________
ততটা,
যতটা ভালবেসে মেঘেরা ঝড়ে পড়ে হিমালয়ের গায়-
যতটা ভালবেসে হীমবাহে নামে ধ্বস-
গড়িয়ে আছড়ে পড়ে ঝর্ণা নামের যুদ্ধের পথে-
তেরো নদী পেড়িয়ে সাচ্ছন্দে বয়ে চলে
সাত সমুদ্রের মোহনায়-
ততটা ভালবাসি সখি-
যতটা ভালবেসে আকাশের সব মেঘ
ঝড়ের শেষে রংধনু হয়ে সাজে-
ততটা ভালবাসি-
যে ভালবাসার টানে
নীল নদ ছুটে গিয়েছিলো সাহারার প্রান্ত ছুঁয়ে-
ততটা ভালবাসি যে,
হৃদয়ের সমস্ত রক্তের সব উর্বরতা দিয়ে
আজও যত্ন নিই তোমার লাগানো বৃক্ষের-
যতটা ভালবেসে
নিহারিকারা চুপটি করে উঁকি মারে রাতের আকাশে-
স্পর্শের সীমানার বাইরে-
দৃস্টি রেখার শেষ প্রান্তে…….. ততটা-॥
জানো সখি !!
ভয় আমার নেই-
আমিতো শুরুই করেছি মাঝ সমুদ্রে-
দাড়হীন ভাঙ্গা তরীতে,
তলা ভরা শতশত ছিদ্র নিয়ে-
যেখানে মূহুর্তের ভূলে ফিনকি দিয়ে উঠে জল-
ঢেউয়ের তাড়নায় উপচে পড়ে শীতল অনুভব-
বাদামটা ছেড়া-
আর ওদিকে ভাটির টান-
পথও অজানা-
তুমি রেখেছিলে পা-
বসেছিলে গলুইয়ে – নিরাপদ দুরত্বে- !
আশা ছিলো তুমি থাকবে পাশে-
গুনগুন করে গাইবে, ভাটিয়ালী-
আশাজাগানীয়া- সব সুরে-
দুচারটা ছিদ্র থেকে যদি
বিশ্বাসের ঢাকনাটা উপচে যায়
ঢেউয়ের তোড়ে- আমার অলক্ষে-
তবে আঁচল দিয়ে বন্ধ করবে
ফিনকি দিয়ে উঠা বাস্তবতার ঢেউ।
গুন টানতে টানতে যদি হাপিয়ে যেতাম-
কপালে জমতো বিন্দু বিন্দু ঘাম-
তুমি দুর থেকে ছুঁড়ে দেয়া নিঃশ্বাসে
ছড়িয়ে দিতে সামান্য শীতলতা,
বৃষ্টির ছিটায়,
আঁচল পেতে ভিজিয়ে রাখতে সুপেয় জল ॥
আর আমি,
চলতি পথে যদি শুনতে পেতাম-
কয়েক নটিকেল মাইল দুরত্বে চলন্ত জাহাজের গম্ভীর ঘন্টা-
দেখতে পেতাম হলদে আলোর তীব্র সার্চলাইট-
সুদুরের কোন বণিকের সৌখিন আমোদ তরী-
তোমায় তুলে দিতাম সেখানে-
সরে যেতে যেতে, দুচার কিলো দুর থেকে
মৃদূ ফ্লাশ লাইটের আলোয় তুলে নিতে একটা ছবি-
“”মাঝ সমুদ্রে দাড়হীন মাঝির””
তোমার সাথে, ক্ষণিকের পথচলা সঙ্গির।
____বেশ মানাতো তোমার দেয়ালে-
আমি তো ডুবন্ত-
আজ- কাল- পরশু-
অতলে হারাবে এই শেষ তক্তাপৃষ্ঠ-
কোন এক সন্ধ্যায়, আবারও সাজবে রংধনু –
যখন, আমি সাগরে ভাসমান খড়কুটোহীন,
আর তুমি মহলে বন্দিনী।
তোমার বিনিময়ে জাহাজের খালাসীদের দেয়া কিছু পাটকাঠি আর কেরোসিন-
তাতেই জ্বলছে সন্ধ্যাটা আমার-
শুধু ধূপকাঠির ধোয়ায় সামান্য অবস এ দেহ-
কিছুটা মাতাল-॥
যদি পরিত্রান চাও- এক্কেবারে !!
তবে আশির্বাদ করো —
যেন মহাসমুদ্র বক্ষে এলিয়ে পড়ে এই নিথর দেহ-
রাত্রীর আঁধারে, ছলাৎ করে একটা মৃদূ শব্দে।
যেন তীরের কোন পথিকের কানে না পৌঁছায়-
নিঃশব্দ সলীল সমাধী যেন প্রাপ্য হয় তোমার অপূর্বের।
তুমিতো থাকবে সিংহাসনে-
পদ্ম কমলে ভাসা আলোকিতো মূয়ূরাসনে,
পাক পেয়াদায় ঘেরা প্রাসাদসমো উঁচু ভবনে।
তোমার রাজত্বের কোন মাছ শিকারী
যদি খুঁজে পায় সাগরতলে
কোন ভাঙ্গা তরীর অবশেষ,
কোন কালে- !!
তবে কিনে নিও তা-
হয়ত, চিনতে পারবে হস্তাক্ষর !
যে নৌকার প্রতিটি তক্তাপোষের উভয় পৃষ্ঠের প্রতি ইঞ্চিতে লিখা–
ভালোবাসি সখি; বড্ড ভালোবাসি ॥
আর যদি বেঁচে থাকে এই শেষ বেলার নাবিক,
টিকে থাকে এই ভাঙ্গা তরী,
লালচে লোনা জলে-
আর ধূপ কাঠির গন্ধ্যে যদি মানিয়ে যায় দেহ,
আর কখনো যদি কোন জাহাজে সন্ধ্যাবেলায় বেঁজে উঠে, একেলা মাদুলির অস্পষ্ট করুন সুর,
ভীনদেশী বণিকের সোনায় মোড়ানো গুপ্ত কুঠুরীতে
যদি থেমে আসে তোমার নিঃশ্বাস !
যদি ক্লান্ত এ নাবিকের কানে আসে
রং হীনা মেঘলা একজোড়া চোখের
অশ্রু গড়িয়ে পড়ার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ,
তবে ছুটবো আমি-
দুনিয়ার সমস্ত বন্দরে-
একের পর এক,
ধন্যাট্য বণিকদের একটা একটা জাহাজে- ।
জ্বালানী তেলে একফোটা অশ্রু ঢেলে দিও-
যে তেলে গভীর নিশীথে মশাল জ্বালায় জাহাজের নিশাচর প্রহরী-
তবে অমাবষ্যা আঁধারে-
মশাল জ্বলা ধোঁয়ার সাথে-
তোমার অশ্রুর মেঘ দেখতে পাবো আকাশে ।
এমনিতেও সব চোখের জল সাগরে মিশবেনা-
নীলচে মুক্তুদানা হয়ে ভাসবে,
অদৃশ্য সূদুর লক্ষ পাণে- কি যেনো কি ভরসায় ॥
আমি চিনে নিবো
সাগরের বুকে ভাসা তোমার অশ্রুর নীলচে রং।
খুঁজে নিবো তোমায়-
যত দুরেই থাকো, যে কোন সীমানায়।
খিড়কিটার পাশে থেকো, মেঘলা সন্ধ্যায়,
যেমনি করে আমার কাটে আজকাল-
আরও কটা দিন- তেমনি থেকো অপেক্ষায় ॥
-০-
–
৩৩টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ বড় পড়তে পড়তে গা হাফছিল কবি দা
অনেক শুভ কামনা রইল————
এস.জেড বাবু
অনেক কষ্ট করেছেন, ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনার।
প্রথম মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন ভাইজান
ছাইরাছ হেলাল
যতটুকু/যেটুকু মনে করতে পারছি তাতে আপনার এই কবিতাটিকে সোনেলার দীর্ঘতম
কবিতা বলে মেন নিতে দ্বিধা নেই মোটেই।
একজন নারীর অপেক্ষানুভুতিকে এতখানি/এতরূপে বর্ণনা করা সত্যি-ই কঠিন, আর বলার/উপস্থাপনের স্টাইল
একবারে সহজ তাও মনে হয়নি। তারপর এতখানি টেনে নিয়ে যাওয়া সত্যি সত্যি কঠিন বৈকি।
মন্তব্য করলে প্রতিটি পঙতিতেই করা উচিত, কিন্তু সেতো গন্ধমাদন পর্বত!
তবে শোকতাপ ছাপিয়ে লেখায় ফিরছেন দেখে ভাল লাগল।
এস.জেড বাবু
আপন উঠানে ফিরতে মন চায় বারবার।
লিখা কেমন হয়েছে জানিনা, তবে লিখেছি। বাকিটুকু বাকি রাখি নি।
বিচার আপনাদের হাতে / মন্তব্যে ।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইজান।
ইঞ্জা
কখনো সখি সখি বলে তোমার চিৎকারের শব্দ পাই-
মহলের বেলকনিতে তোমার পদধ্বনী শুনি-
হন্য হয়ে ছুটে আসো,
ডান হাতে ধূতির কোনা ধরে, মহলের চত্বরে-
এদিকে খোঁজ, সেদিকে খোঁজ-
আবারও চিৎকার করো-
আমি ভয় আর বাস্তবতার অস্পস্ট দেয়ালের এপাশ থেকে
সব শুনি- সব।
হেরিলাম মন, চয়নে মুগ্ধতা।
এস.জেড বাবু
মিষ্টি ভাইয়ের মিষ্টি মন্তব্য।
মুগ্ধ।
মনে হলো সার্থক লিখাটা।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাইজান।
ইঞ্জা
😁😍
শুভেচ্ছা ভাই।
বন্যা লিপি
ইহা পড়িতে হইবে সময় নিয়া। বহুদিন পরে ফিরে এলেন ধামাকা সাথে নিয়া।মন্তব্যে পরে আসছি।
এস.জেড বাবু
আমিও আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
আপুর মন্তব্য না পেলে সব গুড়েবালি। নিজেকে যাচাই করা বাকি থাকবে।
শুভেচ্ছা আপু।
ফয়জুল মহী
সাবলীল সুন্দর উপস্থাপন ।
রাফি আরাফাত
ভালো ছিলো। বেশ বড় হলেও পড়াটা বিফলে গেলো না। ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা
এস.জেড বাবু
পড়েছেন জেনে কৃতার্থ হলাম ভাইজান।
অনুপ্রেরনা দেয়ার মতো মন্তব্য। আমি অনুপ্রানিত।
ধন্যবাদ অশেষ।
সুপায়ন বড়ুয়া
“ততটা ভালবাসি সখি-
যতটা ভালবেসে আকাশের সব মেঘ
ঝড়ের শেষে রংধনু হয়ে সাজে-“
যে কবিতার শুরু আছে শেষ নেই
যেমনি ভালবাসার শুরু আছে শেষ নেই
সে কবিতায় ভালবাসার রূপ খুঁজে বেড়াই।
ভালো লাগলো। শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
আপনার এতো চমৎকার সব মন্তব্যের জন্য সত্যি মনটা পড়ে থাকে।
ভিষণ আপ্লুত হই চমৎকার ছান্দিক বর্ষণে।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময়।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনি ও ভাল থাকবেন সবসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এতো এতো অপেক্ষা, অপেক্ষার প্রহর সাজিয়ে কাব্য রচনা, ভালোবাসার হৃদয় নিংড়ানো রস সব তো এক কবিতার নায়ে ভাসিয়ে দিলেন পাঠককে। দীর্ঘ তম কবিতা , দীর্ঘ তম অপেক্ষানুভূতি সুন্দর বর্ণনায় অভিভূত। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এস.জেড বাবু
“অপেক্ষা”
ভালোবাসার অলিখিত এককথার সংজ্ঞা।
অপেক্ষার প্রহরগুলো আরও বেশি করে ভালোবাসতে শেখায়।
ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
কবিতা যেন আর কবিতা নেই! শব্দের আকর্ষণ চুম্বকের মতো আটকে রেখেছে শেষ লাইন-অব্দি। কষ্ট শেয়ার করলে নাকি কমে যায়। এমন করে কষ্ট গুলো কবিতার ডানায় মেলে উড়িয়ে দিয়েছেন, কেমন লাগছে এখন?
আমার কাছে কবিতাটি এক কথায় দারুণ লেগেছে। ছোট ছোট কিছু জায়গায় টাইপ মিস হয়েছে বলে মনে হলো। আপনি আরেকবার চেক করে দেখুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
দীর্ঘশ্বাস
স্পষ্ট
নন্দিনী
অস্পষ্ট
শ্মশান
কেরোসিন
মুক্তোদানা
স্পন্দন
কাঠগড়া
জ্বালিয়ে
পুরোনো
রজনীগন্ধা
আগ্নেয়গিরি
খড়কুটো
করুণা
এস.জেড বাবু
মন্তব্যে আপ্লুত/ অভিভূত।
আর মিসটেক না আপু, সত্যি বলতে এগুলো আমার ভূল। বানান নিয়ে আমি দু’টানায় না আপু- তে’টানায় ভুগি।
> কোনটা শুদ্ধ !
> আগেরবার কি লিখেছিলাম !
> এখন কোনটা লিখব !
হাহাহা-
তবে এই উঠানে অনেকেই সহয়তা করছেন, কচ্ছপের গতিতে আমার মস্তিস্কে কিছু কিছু বানান শক্তভাবে অবস্থান নিচ্ছে।
নোটপ্যাডে ঠিক করে তার পর পোষ্ট সম্পাদনা করে দিবো।
অনেক ধন্যবাদ আবারও।
কৃতজ্ঞতা।
সুরাইয়া নার্গিস
দারুন লেখা
এস.জেড বাবু
ধন্যবাদ আপু।
আমার পোষ্টে আপনার প্রথম মন্তব্যে অভিভূত।
ভালো থাকবেন।
ত্রিস্তান
২৫৮ টি ছত্রের প্রতিটিই একেকটি ভিন্নমাত্রার ধারক ও পরিচায়ক। আমি এর বেশি আর কিছুই বলতে চাই না। আপনার পরিশ্রম কে যথাযোগ্য কুর্ণিশ।
এস.জেড বাবু
পরিশ্রম আপনাদের হচ্ছে, কিন্তু নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে যে এতো লম্বা সময় আপনাদের ধরে রাখতে পেরেছি লিখায়।
একরাশি কৃতজ্ঞতা রইলো ভাইজান।
২৫৮ লাইন গুনতে গিয়ে আমি তিনবার ভূল করেছিলাম, ছাপ্পান্ন গুনেছ দুইবার, একবার আটান্ন।
অশেষ শুভকামনা আপনার জন্য।
ভালো থাকবেন।
মনির হোসেন মমি
গ্রীনিজবুকে রেকর্ড হল
কবিতার কথা আর কী বলব।প্রতিটি প্যারায়ই আছে অর্থবহ বাক্য।
আমি চিনে নিবো
সাগরের বুকে ভাসা তোমার অশ্রুর নীলচে রং।
খুঁজে নিবো তোমায়-
যত দুরেই থাকো, যে কোন সীমানায়।
অনবদ্য।
এস.জেড বাবু
কি যে বলে ভাইজান, আপনাদের মনে জায়গা পেলেই হলো। এটাই সবচেয়ে বড় রেকর্ড।
ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা নিরবধি।
রেহানা বীথি
কবিতায় উপন্যাস যেন। দীর্ঘ এ কবিতায় ভালোলাগা জানালাম। কিন্তু বেশ কিছু বানান গড়বড় আছে। যা আপনার এতসুন্দর এবং কষ্টসাধ্য কবিতার জন্য সৌন্দর্যহানীকর। একটু দেখবেন ভাই বানানগুলো। সাবিনা আপু বলেছেন কিছু। সাথে একরাশ, পুরোটা, ঝরাপাতা, ধনাঢ্য মুক্তোদানা, সুদূর, অস্পষ্টসহ আরও কিছু আছে।
এস.জেড বাবু
অনেকটা লম্বা হয়ে গেছে বুঝতে পারছি। তবুও তুলে দিলাম আপনাদের উঠানে।
বানান আমার অনেক ভূল হয়। এডিট করে নিবো।
শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় আপু।
রেহানা বীথি
যেসব বানান নিয়ে দ্বিধা থাকবে, লেখার সময় বাংলা অভিধানটা দেখে নেবেন। এতে অনেক উপকার হয়। হয়তো আপনি একটা শব্দ দেখতে অভিধান খুলেছেন, আশেপাশে থাকা আরও শব্দগুলো চোখে পড়ে যায়। তখন ওই শব্দের বানানও জানা যায়। ভালো থাকবেন ভাই।
এস.জেড বাবু
ফলো করবো আপনার যুক্তি।
হালিম নজরুল
সে হৃদয়ের প্রতি ইঞ্চি দেয়ালে –
আমার তৈলচিত্র সযত্নে মুছে রাখি,
সে হৃদয়ের সমস্ত প্রকৃতির সবটুকু সবুজে-
আমার নিত্য বিচরণ,
প্রতিটি দুর্বাঘাসের ডগায় –
সকালের শিশির বিন্দু গুলি আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই,
এক একটা ঝড়া পাতা কুঁড়িয়ে তুলে যত্নে রাখি-
সন্ধ্যটার জন্য ।
এস.জেড বাবু
অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় গল্পকার ভাইজান।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
নিতাই বাবু
সহধর্মিণীর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। তিনি প্রতিটি দিনই তাঁর প্রস্থানের কথা শুনিয়ে যাচ্ছে। সাথে দিচ্ছেন আদেশ নির্দেশ। দেখিয়ে দিচ্ছেন দিকনির্দেশনা। বুঝিয়ে দিচ্ছেন কোথায় কী সঞ্চিত আছে, আর কার কার কাছে লেনাদেনা আছে। এসব শুনে আমি চিন্তিত! তাই আমি প্রতিটি মুহূর্তই তাঁর কথা ভাবি!
আপনার কবিতাটি আমাকে আরও ভাবিয়ে তুললো! ভাবি, যখন তিনি থাকবেন না; তখন হয়তো আমিও আপনার কবিতার মতো হয়ে যাবো।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
এস.জেড বাবু
আপনার মন্তব্যে “আপনার বাস্তব জীবনের ভালোলাগা, ভালোবাসার” বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ভাইজান।
আমি মুগ্ধ এমন ভাবনার সাথে পরিচিত হতে পেরে।
দীর্ঘজীবন কামনা করছি আপনি এবং আপনার পরিবারের।