একদিন দেখা হয়ে যাবে ঠিক –
নিরাকপরা ভাদ্র দুপুরে,
চেনা শহরের গলিপথে ; অথবা
জৌলুসহীন কোন অনাত্মীয় নগরে।
একদিন ঠিক দেখা হবে।
ততদিনে, তোমার মসৃণ ত্বকে আকুঞ্চন
আমার চোখের আলো ক্রমশ ম্লান,
বয়সী খোলসে আটসাঁট দুইজন ; অচিন মানুষ।
কাছাকাছিই দাড়াবো হয়তো –
চিনে নিতে লাগবে খানিকটা সময়,
অতলে চাপা ব্যথার পাথর গড়ালেই উঠবে সুঘ্রান,
স্বপ্নের ফিরবার পথটাও অতো সোজা নয়।
একদিন দেখা হয়ে যাবে ঠিক –
কথা হবে, সামাজিক নিয়মের কাথাফোড়
কে, কি, কোথায় এইসব – তলায় ভুমিক্ষয়।
ফিরবার পর –
বয়সী মানুষের খোলসে হাসফাঁস
প্রাক্তন বালক বালিকা ; চারু ও অমল।
ঈশ্বর ; পৃথিবীর নিয়ম এতো অদ্ভুত এবং বন্ধ্যা
নিস্ফলা টান, আগুনময় জলের বুকে অনির্বান গরল।
তবু, একদিন দেখা হয়ে যাবে ঠিক – নিরাকপরা ভাদ্র দুপুরে।
১৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
দেখা হোক বা না-হোক
দুপুর কিংবা রাতের ঘোর বৃষ্টিতে
বা বসন্ত না-বসন্তের গভীর শীতে
তবুও দিনের-রাত্রি রাত্রির-দিন
গড়িয়ে গড়িয়ে গড়াবে।
সত্যি সত্যি ভালোলেগেছে,
আগুন রঙের শিমুল
দেখা হবেই।
আমি জানি …. সোহং ভবামী 🙂
ধন্যবাদ ভাই
শুন্য শুন্যালয়
গানটিতে আঁটকা পড়ে আছেন বহুবহুদিন।
যদি কোনদিন আর দেখা না হয়, বয়সের খোলসে বালকের হাঁসফাঁস চলবেই, ত্বকের কুঞ্চনের অপেক্ষা করতে হবে না 🙂
খুব সুন্দর।
আগুন রঙের শিমুল
হু, কিছু গান জীবনের মতো 🙂
একদিন …. একদিন
থ্যাঙ্কিউ বুঝার জন্য
ইঞ্জা
বাহ, একদিন দেখা হবে ঠিকই, দারুণ লিখলেন।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ ভাই
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা
ব্লগার সজীব
ভাইয়া আপনার লেখায় কিন্তু হুহু বুকের গহীনে বাতাস বয়। বারবার পড়ি আপনার লেখা, আবার পড়ি। মোহাবিষ্ট হই।
আগুন রঙের শিমুল
ভালোবাসা সজীব
প্রহেলিকা
আহা কবিতা ! নিমগ্ন ব্যাথাদল কিভাবে যেন ফুটিয়ে তুলে, বলে দেয় না বলা অনেক কথা। শুরু থেকে শেষ প্রতিটি চরণ প্রশংসার দাবীদার।
আগুন রঙের শিমুল
ব্যথার শতদলে সাজে জীবন আয়োজন 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক পুরোনো একটা লাইন মনে পড়ে গেলো, আসলে পেয়ে গেলাম হঠাৎ করে।
“ধোয়া ওঠা চায়ে চুমুক দেয়া কোনো এক বসন্তী বিকেলে
যদি আচমকা দেখা হয়ে যায় তোমার সাথে,
অবাক হবোনা।
ফিরিয়ে দেয়া সাদা-কালো আবেগ বে-রঙীনই থাকে
অন্তত আমার কাছে।
তুমি তো জানোই আমি কতোটা আলাদা!” ———১৯৯৩ সালের লেখা থেকে নেয়া। পুরোটা কোনো একদিন দেবো হয়তো।
খুব ভালো লেগেছে।
আগুন রঙের শিমুল
বাহ, অসাধারণ। পুরো কবিতার অপেক্ষায় থাকলাম
নীলাঞ্জনা নীলা
আগে লেখা কলমে চলে আসতো। এখন যন্ত্রে আনতে হয়। সেভাবে আর আসেনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মেহেরী তাজ
দেখা না হয়ে উপায় নাই!
মানুষের সাথে সাথে প্রকৃতি ও মানুষকে খেলতে ভালোবাসে। সেই নিজ দায়িত্বে দেখা করিয়ে দিবে। তারপর মজা দেখবে।
ভালো লেগেছে ভাইয়া! 🙂
আগুন রঙের শিমুল
হু জানি, দেখা হবেই। হতেই হবে