আকাশ থেকে নেমে এলো এক রাত্রে গোল গোল চোখ!!
এমন আকাশি গোল-গোল বা লম্বা-ব্যাঁকা চোখ নেমে আসতেই পারে, আসেও। যেখানে আসে, যাদের জন্য আসে তাদের কান্না আপনারা লক্ষ্য করলেই শুনতে পাবেন, মিহি রেশম রেশম কান্না, চিৎকার-কান্না বারণ, আহা সে কী এক মনোহর ফাপর!! দূরে দাঁড়িয়ে মজা নিতে পারলে মন্দ লাগে না, তবে সাবধান এ বড় খতরনাক বিষয়াশয়, সেবার গিয়েছিলাম সে রাজ্যে ভাল্লাগে ঠ্যালায় ঘোরতে!! আসছি পরে!!
যা বলছিলাম, আকাশ থেকে নেমে এসেছে এক রাঙ্গা পিরান!! বাহ বাহ্, কিন্তু ধরা দিচ্ছে না, ইঁদুর বিড়াল না, তব লুকোচুরি ভাব। মন্দ কী, চলুক না। একটু পাতলা দিলাম, কাজ হলো। রাঙ্গা ধরা দিল। যাক, বেশ ফুরফুরা ভাব নিয়ে লিখে ফাটিয়ে দেব ভাব নিয়ে ইতিউতি করছি, করছি। পিরানের টানে ফিরে এলাম, একী!! টান টান হয়ে বিড়াল ঘুমুচ্ছে। ঠিক আছে চলুক ঘুম।
আকাশ রাজ্যে গিয়েছিলাম একবার বিশেষের নিমন্ত্রণে, ফাইন ছিল সব কিছু, শুধু ঐ ওদের অত্যাচার ছাড়া, দেখলাম এক রাজপুরুষ দিব্বি গায়ে ফু দিয়ে হনহনিয়ে যাচ্ছে। দুই তিনটে অপ্সরী পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে কনুই চালিয়ে দিল, দিব্বি চলে যাওয়ার ভান করে যেন কিছুই হয়নি, দূরে দাঁড়িয়ে হেসে গড়িয়ে পড়ছে, বেচারা পাঁজর চেপে মাটিতে বসে কাতরাচ্ছে, কোকাচ্ছে!! এটিই এখানে অসুবিধার দিক, অবশ্য অন্য ব্যবস্থাও আছে জেনেছি!!
বিড়াল ঘুম শেষে, আবার রাঙ্গা পিরান, আহা সে কী রকম-সকম। বেশ জেল্লাদার, কে আর কাকে পায়, এই যে আকাশি ট্রাফিক এ কিন্তু ওয়ান ওয়ে, উপ্র থেকে শুধুই আসে, আসে কিছুটি যায় না। তাই বেশ মজাই মজা!!
পিরানের সাথে ভাব হয়ে গেছে, এবার শ্রী অঙ্গে ধারণ! ধারণ শেষে এ এক ঝিনুক সৌন্দর্য। শামুকের মত এঁটে বসেছে, মন্দ লাগছে না। জীবন বড়ই সৌন্দর্য। কেটে যাচ্ছে সময় আনন্দ আনন্দে, আনন্দ-পিরানে;
হঠাৎ মনে হলো কে যেন বুকে চেপে বসছে, ক্রমান্বয়ে। গলায় ও চাপ বাড়াচ্ছে!! দ্রুত পিরান খুলে ফেললাম, সে হাসছে। মিট মিট করে। কী আর করা, বালিশ হীন আমি এবার পিরানটিকে বালিশ বানিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম, দ হয়ে। ঘুম ভেঙ্গে গেল, বালিশ পিরান বুকে শুয়ে আছে। আর কাহাতক সহ্য করা যায়।
একবার এসেছিল সবুজ পিরান, বেশ ছিল, বেশ কী করে থাকে, দস্যি বন-বানরের নজরে জীবন ফালা ফালা।
রাঙ্গা পিরানের একটি রফা হওয়া দরকার। দ্রুত গুটিয়ে হাতে নিলাম, আর নিলাম এক বোতল পানীয়।
প্রথমে ঢক ঢক শব্দ, তারপর কোৎ করে একটি শব্দ। অল কোয়ায়েট।
শান্তি শান্তি, রাঙ্গা পিরান এবার ঘুমে ঘুমায়।
ছবি, সংগৃহীত!!
৩৮টি মন্তব্য
সেডরিক
বাহ! সুন্দর লিখেছেন তো!
কিন্তু আমি কিছুই বুঝি নাই, মাথার উপর দিয়ে গেলো😐
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
ছাইরাছ হেলাল
আমার অবস্থা আপনার থেকেও করুন!!
আমার এখানে এই প্রথম মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
আমারও এমন একটা রাঙ্গা পিরান লাগপে।
ছাইরাছ হেলাল
এই অমূল্য স্বর্গপ্রাপ্তি চাইলেই পাওয়া যায় না, কেউ পায়-নি।
বড় জোর স্বর্গীয় এজেন্টদের সাথে জুগাজুগ করে চেষ্টা নিতে পারেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
তা দিলোটা কে? একেবারে টুকটুকে লাল সেজে বসে আছেন। তা মুখখানা কি দোষ করলো? অতো ছেলিব্রেটি সাজোন ভালা না।
ছাইরাছ হেলাল
আরে!! সংগৃহীত ছবি তা তো বলেছি। আচ্ছা পঁচা-নব্বইয়ে ও কী সম্ভব!!
কে আর কাকে দেয়, কেউ কিছু দিতে চায়-ই না। আপনি সাজুগুজু করলে মন্দ হতো না
নীলাঞ্জনা নীলা
সাজুগুজু করমু ক্যাম্নে? একখান সাজুগুজু শিখার বইও দিলেন না উপহার। কঞ্জুস যে কারে কয়, আপনি তার প্রমাণ।
ছাইরাছ হেলাল
কে যে কারে কঞ্জুস কয়, ঠাকুর-ই জানে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠাকুর তো সব ই জানেন।
ছাইরাছ হেলাল
ঠাকুর যে সব জানে্ন দেখেন, তা আপনিও জানেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
পিরান বালিশ !! সেটা কি কোল বালিশ ছিলো না মাথার বালিশ তা জিজ্ঞেস করছিনা। দ ঘুম কিন্তু খারাপ না, ঘুমের আসক্তি আর প্রশান্তি নিশ্চয়তা প্রদানে দ-ঘুমের বিকল্প নেই।
বিড়াল কিন্তু দ ঘুম দেয় না। তার ঘুম কিছুটা ঞ এর মতো,, ঞাও টাইপ 😂😂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা আপনি ঘুম বিশেষজ্ঞ!! আর তো কিছুই বাকী থাকলো না। সব কিছু জিজ্ঞেস করতে নেই।
এটি খুব ঠিক বিড়ালের ঘুম দ না, তবে এখানে বিড়াল ঘুম বলতে গানের ঐ যে কথা ‘গোল গোল চোখ’ এর কথা মনে রেখে
বিড়ালের সাধারণ ঘুম গোল হয়ে থাকা বোঝানোর অপটু চেষ্টা মাত্র।
ঘুমের ঞ ও টাইপ আছে/হয় জেনে রাখলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
লাল পিরানের একটা বোতাম দেখা যাচ্ছে না,
পিরানের কল্লাটাও অদৃশ্য, ওটা কি আকাশ-ঘুম দিয়েছে ?
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন নেটের থেকে নেয়া ছবি কত আর ভাল হবে, বহুত খুঁজে খুঁজে এটি নিতে হয়েছে।
তবে ভাল করে লক্ষ্য করুন, অন্য বোতামটি-ও আছে, একটু ঝাপসা!! ওই যে নেটের ছবি!!
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহাহা, ধরা পরে গেছেন মহারাজ!! কল্লা ছাড়া ছবি দিয়ে বাঁচতে পারলেন না। টি শার্টের বোতাম আছে কি নেই তা দিয়ে আপনি মোটেই চিন্তিত হতেন না, যদি ছবি টা অন্যের হতো। 😁😁
ছাইরাছ হেলাল
কইছে, আপনেরে!! আমি তো সোনেলায় এমনিতেই ধরা!!
আমার তো কুটি কুটি ছবি ছড়িয়ে আছে, কল্লা ছাড়া দিতে হবে কেন!!
ছবিতে বোতাম দেখা যাচ্ছে, আপনি বলবেন বোতাম কৈ!! এটি মেনে নিতে হবে!!
কত্ত নেট ঘেঁটেঘুঁটে এই একটি মাত্র ছবি পেলাম, তাও আপনার কিরাম জানি করেন!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আরে তাইতো!! নেট ছাড়া ছবি সোনেলায় কিভাবে দেয়। নেট কিন্তু সব সময় ইন্টারনেট কে বোঝায় না, নেট মানে জাল হয়, পাখির বাসাও হয়। আবার নেট মানে মশারীকেও বোঝায়। ছবি কোন নেট থেকে পেয়েছেন তা আর জিজ্ঞাসা করে আপনার গুতো খাওয়া বক্ষের যন্ত্রণা বাড়াতে চাই না 😀😀
কুটি কুটি ছবি!! হাহাহাহা, কুটি কুটি বলতে ছিন্নভিন্ন কল্লা ছাড়া ছবিও বোঝায় 😜
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে বিপুল জ্ঞানী জ্ঞানী মনে হচ্ছে,
ঘটনা বুঝলাম না।
সাবিনা ইয়াসমিন
* হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটো খাটো লোক * !!
এই গান এতো বছর পর কই পেলেন ?
ছাইরাছ হেলাল
আদ্দি কালের সাধারণ মানুষ নিজের মতই খোঁজে, পায় ও।
প্রাণের টানে/তাগিদে কত কিছুই খুঁজতে হয়, পাওয়া না-পাওয়ার তোয়াক্কা না করেই।
লেখা কৈ!!
প্রহেলিকা
অপসরীদের কনুইয়ের গুঁতা খাইয়া কেউ বাঁচছে বইলা শুনি নাই। তবে এ মরনও ভালো, কনুইয়ের গুতা তারপরও লাগপেই।
একটা থেকে আরেকটাতে লম্ফঝম্প বেশ ভালোই চলছে দেখা যাচ্ছে। ভয় নেই, আমি চোখ খোলা রেখেই দিচ্ছেন। চোখ বুজিয়া লম্ফ দিলে পা ভাঙিয়া যায়। সো নু পবলেম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অপ্সরীদের বিষয় জানলেন কেমনে!! ডাল মে কুছ সাদা সাদা হ্যায়!!
ল্যাকেতে না পারলে এই আউল-ফাউল ই সম্বল।
তবে আপনাকে আশ্বাস দেওয়া যাচ্ছে যে, লাফ লাফ-ই, চোখ খুলে/বুজে!!
অতএব নো চিন্তা, নীচে অপেক্ষমানেরা আস্ত ঠ্যাঙয়ের শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
ওয়ান-টু…………………………
তৌহিদ
বাহ! পদ্যেও যেমন, গদ্যেও তেমন। আপনার মহারাজ নামখানির স্বার্থকতা আজ দেখতে পেলাম ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
গুজবে কান রাখবেন না।
এখানে আমার অনেক অনেক প্রিয় লেখক/কবি আছেন।
তৌহিদ
আপনি আমারও প্রিয় লেখক ভাই
ছাইরাছ হেলাল
ফাইনাল কী-না, বুঝে বলুন, পরে কিন্তু ট্যা-ফ্যো করা যাবে না।
তৌহিদ
ফাইনাল ফাইনাল, একদম!
ছাইরাছ হেলাল
দেখি কতক্ষণ টিকতে পারেন!!
শুন্য শুন্যালয়
কপাল কপাল! রাঙা মানুষ এতো সহজেই ধরা দিলো! না ধরা দিলেই তো কতোশত ভাবে ফাঁটিয়ে দিতো তার ঠিক নেই। পিরানের গুনে স্বপ্নেও অপ্সরী গুতোগাতা দিয়ে যায়, ওইখান থেকে একটারে ধরে আনলেই পারতেন।
এ জিনিস বুকপাঁজরে এবং হৃদ্যকোঠায় চাপ বাড়াবেই, পিরানের সাথে বুকব্যাথার ঔষধ লাগপে।
ওম শান্তি, সবুজও ছিলো! সেখানা কই? নজর এখানাতে পড়লেও ফানা ফানা হইতারে, সাবধান করিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
কৈ কারে আবার যাইত্যা ধরলেন কে জানে, পাওয়া ছবি, ছবি-ই।
আম্রে গুতা/ফুতা কিচ্ছু দেয় না, পাত্তাই পাই না, আফসোস!! যারা গুতা লয় তাদের দেখি।
হেরা খালি গড়াগড়ি দিয়ে কান্দে আর কান্দে। আমিও কান্ততে চাই, কেউ কান্দায় না!!
খালি তো কন চাপ/চুপ বাড়বে!! কৈ কিচ্ছু তো টের পাই না।
বনানী আমার লাগেই, আ-বনান্ত বিথীপথে হেঁটে যাই হেঁটে যাই।
তবে আপনার তাবিজ তো এই শ্রী-অঙ্গে ধারণ করেই আছি, ডর নাই!!
রিতু জাহান
ঠ্যালায় ঘোরতে কারই বা ভালো লাগে!!
বিড়াল ঘুম দিয়ে জেগে ওঠি আড়মোড়া ভেঙ্গে। পানির ভয়ে না মোটেই। আমি উঠি আমার মতো করেই।
লাল পিরান বুকে নিয়ে দ’এর মতো করে ঘুম দৃশ্যটা মন্দ লাগছে না দেখতে।
আমি অবশ্য এল সিস্টেম। লাল সবুজ পিরান না পেলে বাম হাতটা বুকে নিয়ে শুয়ে পড়ি।’
এমন লাল টকটকে পিরান নিয়ে শুলে বোবা ভূতে ছেড়ে দিবে নাকি শুনি!! বোবা ভূতের বুঝি চোখে সমস্যা! সে চোক্ষে ভালোই দেখতে পায়।
ছাইরাছ হেলাল
তা ও ধরুক ভুতে, সে বোবা বা কালা/কানা যাই হোক না কেন!!
এল সিস্টেম একদম নূতন নূতন লাগল।
নাসির সারওয়ার
হরিপদ নামালো গোল গোল চোখ আর আপনি নামালেন রাঙ্গা কোর্তা! মেলে নাই মেলে নাই। এবং তাহার জন্যই আপনি ফাপরে পরেছেন বলে আমার মনে হয়।
তা জনাবের পাঁজর ঠিক আছেতো! কালে কালে ওগুলোর বয়সতো আর কম হয়নি। দ ঘুম ওগুলোর জন্য উত্তম। তবে নামায ঘুমও আরো উত্তম বলে শুনেছি এককালে!
আমার মনে হয় কি জানেন, সেই সবুজ কাল থেকে লালে আসতে আসতে আপনি এটকু আদটু বড় হয়ে গেছেন। কারন কোম্পানি গুলো কেন শুধু শুধু ছোট কোর্তা বানাবেন বলেন।
কোর্তাটা গিলে না ফেলে থাকলে আমি চাইতাম। রাঙ্গা আমার বড়ই পছন্দের!
ছাইরাছ হেলাল
মেলবে ক্যামনে? কবি হলে মিলিয়ে মিলিয়ে চিবিয়ে-চুবিয়ে খেতাম,
আমি কী আর নামাতে পারি!, নেমে এসে চেপে ধরে, ফাপর হয়ে লটকে থাকে।
মহাশয় হলে সবই সয়, তা নামাজ বা ভাত ঘুম। দ আপনার ও আছে নাকি!! শুনে শুনে বানিয়ে বললে হবে!!
চেপে বসলে কালে কালে কত্ত কী শুনতে হয় কে জানে!!
আগে বলবেন না, ভালুবেসে হজম হয়ে যাওয়ার পর-ও অন্যের দিকে চোখ রাখা ঠিক না।
মেহেরী তাজ
রাঙ্গা পিরান পড়ে ঘুম দিলে বুঝি অপ্সরা স্বপ্ন দেখা যায়? ভালোই তো। কিন্তু বেশি ঘুমাবেন না । গুতা যদি জোরে তাহলে গেলো…
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কি আছে এমন পিরান!!
আন্তাজি বললে হবে না।
মেহেরী তাজ
না না যে পিরানে অপ্সরা দেখা যায় সে পিরান কি করবো?
ছাইরাছ হেলাল
দ্রুত পড়ে ফেলুন, কিছুতেই খুলবেন না,
তা অপ্সরারা ক’জন, সেটি জানিয়েন।