এক বালক এক বালিকাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিলো … ১ দিন পরে রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট হলো … দ্বিধাদ্বন্দে ভুগতে ভুগতে বালক নক দিলো, “ হাই, আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি? ”

বালিকা ফেসবুকে এসেছে তিন মাস হয়েছে। এহেন মেসেজ তার অপরিচিত নয়। জানে অপরিচিত বালকদের রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করা মাত্রই তাদের ৮০ শতাংশ এই ধরণের মেসেজ দিবে। মনে মনে তীব্র বিরক্তি নিয়ে বালিকা লিখলো …

“ কেন নয়? অবশ্যই হতে পারি। ”
– কি করো?
– চ্যাটিং
– সব কি ছেলে?
– আরে নাহ। আমি সব ছেলেদের সাথে চ্যাট করি না। খালি তোমার মেসেজের রিপ্লাই দিলাম।

কয়েকদিন পরেই বালিকা বালককে তার ‘ বেষ্ট ফ্রেন্ড ‘ বলিয়া আখ্যায়িত করিল!

অতঃপর এই মেসেজ দেখিয়া বালকের হৃদয়ে লাগিলো ভালোলাগার দোলা …
আবিষ্কার করলো একদিন যে ওই বালিকা তার জীবনের সব কল্পনায় জড়িয়ে আছে!
অথচ এই বালিকা যে এইরূপে কত ছেলের বেস্ট ফ্রেন্ড হইয়াছে তা যদি বালক জানিত তবে …. ( আর বাড়াতে চাই না )

গম্ভীর হয়ে চিন্তা করিয়া বালক সিদ্ধান্তে উপনীত হইলো যে “ আই অ্যাম ইন লাভ ”

অনেক চিন্তাভাবনা করিয়া এক শুভ দিনে বালিকাকে বলিল, “ আই লাভ ইউ। প্লিজ না করো না। তুমি না করলে আমি বাঁঁচবো না! ;( ”

বালিকা দেখিয়া এক কুটিল হাসি দিয়া জবাব দিলো, “ উই আর জাস্ট ফ্রেন্ডস, নাথিং মোর দ্যান দ্যাট! ”

টানা কয়েকদিন চেষ্টার পরে যেদিন বালক বুঝিলো বালিকা এভাবে মানিবে না তখন সে বলিল, “ আমায় ব্লক মারো, আমার জন্য তুমি বিরক্ত হও আমি চাই না! ”

বালক ভেবেছিল তাহার এই আবেগপূর্ণ মেসেজ দেখিয়া বালিকা কাদিয়া বলিবে, “ আই লাভইউ টু! ”

কিন্তু ব্লক খাইতে চাওয়ার মেসেজ দেখিয়া বালিকা তাহার ৩২ দন্ত বিকশিত করিয়া মুহূর্তের মধ্যে বালককে ব্লক মারিয়া দিলো।

আর বালক ছ্যাঁক খাওয়া স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়া আর আবেগের গল্পের পেজে লাইক, কমেন্ট করিয়া ‍আমার মত পাবলকিদরে কাটতি বাড়ায়া দিন কাটাইতে লাগিলো!

….. “ সমাপ্ত “…..

[ বিদ্রঃ গুরুচণ্ডালী দোষ অগ্রাহ্য ]

৭৮৯জন ৭৮৯জন
0 Shares

৩৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ