অনেক দিন থেকে ভাবছি, আরে নাহ! এই তো একজনের গল্প-লেখা-ভাবনা শুনতে শুনতে ভাবলাম আমিও না হয় লিখে ফেলি একটি যেমন-তেমন মহা-গল্প। সহজ ভাবনা সহজেই ভাবা যায়, কিন্তু লিখতে বসে দেখি, ভাভারে ভাভা! গল্প আবার কেমনে লেখে! ঐ যে ভেতরে/বাহিরে (ইচ্ছে হলে গানটি শুনে বিমলানন্দ নিতে পারেন) ত্যাঁদড় ইচ্ছে তড়পে যাচ্ছে, গাল-গল্প এবার ফাঁদবো-ই ফাঁদবো! অবশ্য এমন আজগুবি ভাবনায় আমার কুন দুষ নেই! হরহামেশা সবাই সব্বাই কত্ত কত্ত সুন্দর ডাঙর ডাঙর চকচকে চকমকে গল্প লিখে ফেলে, এমুন গাল-গল্প/গপ্পো পড়লে কার না লেখা-ইচ্ছের চেকনাই বাড়ে।
মনের এহেন ছটছটানি/ছটফটানি/কটকটানি কাহাতক আর সহ্য করা যায়! এমনিতেই খোলা জানালায় রোদের ঝাজ ঢলে ঢলে ধেয়ে আসছে। এহেন অসহ্য গরমের শরীরী মেলামেশায় কী আর গল্প-ছানা বেরুবে! বুঝছি না তো! তার চেয়ে চটপট ঠাণ্ডা-স্নানে শরীর-মন জুড়িয়ে বসে যাব কোন এক মনোরম/মনোহর হিম ঘরে, যাবতীয় লেখায়োজন নিয়ে, সিলো জেল ০.5, সাথে বিদেশি A4 সাইজের গাদা গাদা না হোক বেশ কয়েকটি ক্লিপ বোর্ডে লটকে গ্যাঁট হয়ে বসে কলম চুষতে শুরু করে দিলে কেমুন হয়! বা ফট করে দৈব-চয়নে গুটি কয়েক বাক্স-যন্ত্র থেকে একটিকে নিয়ে ওয়ার্ড মেলে/পেতে কী-বোর্ড হাতাতে শুরু করে দিলে কেমন হয়!
মনের কু-ডাককে যুপ-কাষ্ঠে বলি দিয়ে হরবোলার ভাব নিয়ে তাইরে নাইরে বন্ধুরে সুরের লহরি খেলিয়ে কে যায়, যায় রে ভাটির গাঙ বাইয়া! নাহ এটি জুতসই মনে হচ্ছে না, সে যাই হোক গল্পে গল্পে গল্পো/গপ্পো সে আমি লিখবো-ই! আকছার সবাই যখন লিখছে।
তুকতাক ওঝা বৈদ্যের চেষ্টা যে করিনি তা নয়, নিদেন পক্ষে তাবিজ কবজ যদি না-ও হয়, তেল পড়া, পানি পড়া, কলম পড়া চেয়েও জুত করতে পারিনি। লেখালেখি সবাই পারে না, হয়-ও না,
দূর অস্ত!
সোনেলার ভদ্র ও ভদ্রে-গন, সহৃদয়তা নিয়ে কেউ কী আছেন চোরা পথে, মুফেতে, বেশি না, মাত্র একখানি শানানো গল্প যদি তাবিজ আকারে দান করতেন, হ্যাঁ, দু-কুলেই অশেষ নেকির নিশ্চয়তা, সুযোগ হেলায় হারানো ঠিক না।
দুশ্চিন্তার অবয়ব নিয়েও হাল্কা-পাতলা এ্যাডভেঞ্চার হতেই পারে, পারে না! লেখকদের প্রাণবন্ত প্রেতাত্মা ভর করলে চট করে আপত্তি করবো না, উল্লসিত উদার হৃদয়ে। ভাববেন যেন, লিখতে পারিনি/পারিনা বলে হাত/পা/নখ/চুলে আগুন জ্বেলে কাঁদতে বসে যাব! এমুন না কিন্তু, লেখক হওয়া, গল্প/গপ্প লেখা এ এমন কুন ব্যাপার না, লিখছি-না এই যা।
বিরক্তির আবরণে বাতিকগ্রস্ততার কুন মানেই হয় না। আচ্ছা গপ্পো কেমতে ল্যাহে!! কেই কি একটু বলবেন!!
সুখবর…… গল্প-বুড়ির সাথে শলা শেষে প্রায় রফা হয়েছে, শর্ত সাপেক্ষে গল্প-প্লট পাওয়া যাবে…………
অযথা খুঁচিয়ে ফুলিয়ে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে নামিয়ে ক্ষত বিক্ষত হতে হতে নীচে থেকে বলছে, “এখন কেমন লাগে” !
ব্যতিক্রমহীনতায় ঘুরে দাঁড়িয়ে, গল্প! সে আমি লিখব-ই, উদ্ভাসিত পূর্ণাঙ্গ অবয়বে।
২৬টি মন্তব্য
শাহরিন
আহারে!!! ভূতের মুখে রামনাম জপ করার মতো অবস্থা। যে মানুষ সাধারণ কথা বলেই ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষকে বিস্মিত করে দেয় তার এই আহাজারি? মনে হচ্ছে লেখকের কোন গল্পই পছন্দসই লাগে নাহ তাই খোঁচা দিচ্ছে গল্প লেখকদের 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এত সুন্দর সুন্দর গল্প পড়ে তব্দা খাওয়ার অবস্থা, আর আপনি কী না কেমুন কেমুন কথা বলেন!!
কোথায় উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে বলবেন মারো টান হেইও, জোরছে বল হেইও, তা না বলে…………
গল্প না লিখতে পারার মজা/কষ্ট সবাই সইতে পারে না বলে এমুন চিৎকার/চিল্লাপাল্লা করে।
ইঞ্জা
মাথা ঠুকার ইমো কই, ও ভাই মুডু আপনি মাথা ঠুকার ইমো দেন তাড়াতা, কুবিরাজের নতুন স্বাদ জেগেছে, কবতে দিয়ে গল্প লিখবেন, হায় হায় ভাত মরছে এইবার আমার, আমি কই যায়, ও মুডু ভাই, ও ডেভেলপার ভাই, কই গেলেন আপনারা, কুবিরাজের মাথায় পানি ঢালেন, ফায়ার ব্রিগেড ডাকেন। 😂
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন ভাই, সাধ আহ্লাদ সবার-ই আছে, আপনারা সব একা একা খাবেন তা কিন্তু ঠিক না!
আমি তো আপনাদের সাথে থাকতে চাই, এভাবে দূরে ঠেলে/ফেলে/ফিকে দেয়া ঠিক না ভাই!
প্লিজ লাগে ভয় পামু কিন্তু!
ইঞ্জা
ওরে আল্লাহরে কুবিরাজের একি শখ, ওরে কেউ আমাই ধর ধর। 😄
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আপনাকে তো আপন মানি! এমুন করেন ক্যা!
তৌহিদ
খোঁচা দিয়েননা ভাই, এমন গল্প লিখবো মাথে ঘুরান্টি দেবে হ। তবে কবে লিখবো সেটা বলতে পারছিনা।
ছাইরাছ হেলাল
আরে বলে কী!! আমার মাথা ইতমধ্যেই ঘুরান্টি দিয়েছে, তাই তো আউল-ফাউল
শুরু করে দিয়েছি। লেখেন লেখেন ভাই, মন-উঁচা (ধ্রুপদী) করে লেখেন, তবে মরার আগে নয়ন সার্থক করে যেতে চাই।
তৌহিদ
হ্যা হ্যা এইভাবেই উৎসাহ দেবেন কিন্তু সবসময় ভাই।☺
ছাইরাছ হেলাল
জরুর, উৎসাহ অবশ্যই দেয়া হচ্ছে।
রাফি আরাফাত
হাহাহা মজা পাইছি বললে ভুল হবে না।।লিখবো লিখবো আমরাও লিখবে।।হিহিহি
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই লিখবেন, আপনাদের লেখার অপেক্ষায় সোনেলার পাঠক।
জিসান শা ইকরাম
গল্প লেখা কোনো ব্যাপারই না,
তয় মাথা ঠান্ডা রাখা লাগে গল্প লিখতে গেলে।
কিছু পথ্যও নেয়া লাগে।
রাতে উলাটকম্বলের ছাল ভিজিয়ে রাখবেন একবাটি পানিতে,
খুব সকালে কেউ দেখার আগেই তা ঢক ঢক করে গিলে ফেলতে হবে। এখনই ভিজিয়ে রাখুন, আগামিকালই গল্প চলে আসবে।
তবে সাবধান, সকালে এই পথ্য খাবার আগে কেউ না দেখে।
সোনেলায় এক অ- গল্পকারের আবির্ভাবের অপেক্ষায় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এত দিনে এখানকার গল্পকারদের গুপ্ত রহস্য ভেদ করা গেল!
এভাবেই সবাই সাফল্যের অন্দরে পৌছে গেছে/যাচ্ছে।
জিসান শা ইকরাম
হ ইহাই গুপন রহস্য,
শুরু করে দিন গল্প লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই শুরু হবে,
শুরু তো হয়েই আছে সেই কবে!
প্রদীপ চক্রবর্তী
ভাবতাছি ভাই!
এমন গল্প লেখার সাধ্য আমার নাই।
কিন্তু পথ্যের প্রয়োজন।
ছাইরাছ হেলাল
পাবেন পাবেন, সাধ আর সাধ্যের পার্থক্য সামান্যই।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহা, ব্যাপক বিনোদন এইখানে রেখে আমি গল্প খুঁজে মরি! তা মহারাজ, গল্প লিখা হয়ে গেলে গল্পের বাক্স অল্প অল্প খুলে রাখুন। গল্পগুলো অক্সিজেন পেয়ে বেঁচে বর্তে থাকুক।
ইয়ে…. মানে গল্প কই? গালভরা গপ্পো ছেড়ে কই ভাগলেন?
ছাইরাছ হেলাল
আপানার হাহাহাহা দেখে যুগপৎ দুঃখিত ও বিস্মিত বোধ করছি।
অভাজনের অপারগতা দেখে এমুন করা ঠিক না। অবশ্য গল্প লিখিয়েরা এমুন-ই হয়।
অন্যের দুঃখে ব্যথিত হওয়ার সময় কৈ!
থান ইটের মত পড়ে থাকা গল্প আপনার চোখ এড়িয়ে গেল! কলি কাল এভাবেই নেচে নেচে আসে।
সাবিনা ইয়াসমিন
থান ইট পড়ে ছিলো দেখেই উষ্টা খাইনি। দেয়াল হলে ধাক্কা-ধুক্কা খেয়ে বুঝতাম এইখানে এক গল্প ছিলো। 😀😀
গল্প লিখতে এত্ত প্রব্লেম! দরকার কি এসব লেখার? এরচেয়ে গুনগুন করে গান ধরেন,, গল্পরা দৌড়ের উপর থাকবে। 😂😂
ছাইরাছ হেলাল
গল্প-লেখায় কেউ ভাগ বসাক তা চাচ্ছেন না!!
ভাল লিখয়েরা এমুন হয় শুনেছি, এখন দেখতেও পাচ্ছি।
শুরুই তো করতে দিচ্ছেন না, দেয়াল আর তুলতে পাড়লাম কৈ!!
একদিন ঠিক-ই তুখোর-তুমুল গল্প লিখে ফেলব।
এখন আবার গানের লাইনে ফেলতে চান! তবুও যেন গপ্পে না আসে কেউ।
রেহানা বীথি
এমুন না কিন্তু, লেখক হওয়া, গল্প/গপ্পো লেখা, এ এমন কুন ব্যাপারই না…. লিখি না তাই!
লিখে ফেলুন ঝটপট, আমরা অপেক্ষায়।
ও হ্যাঁ, লেখাটা বড়ই উপাদেয়!
ছাইরাছ হেলাল
লিখব মানে!! অবশ্যই লিখব!!
আমিও অপেক্ষায়।
অনেক ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
আপনার গল্প পড়ে আমারও ইচ্ছে জাগছে।
পরের গল্প কখন পাচ্ছি?
ছাইরাছ হেলাল
দ্রুত ইচ্ছে গলিয়ে দিন।
গল্প তো চালুই আছে। একটু তাকান প্লিজ।