ঢুকতেই আমরা মুগ্ধ হয়ে যাই!!! ফ্লোর দেখে চোখ যেনো ছানাবড়া !!!!!!!!!
জীবনের প্রথম ইন্টার্ভিউ দিতে যাওয়া।
উত্তেজনাপূর্ণ মূহূর্ত। কারণ জীবনের প্রতিটি “প্রথম” উত্তেজনা পূর্ণ হয়ে থাকে। যা আমরা এক্সাইটেড , নার্ভার্সনেস সব মিলেয়েই বলে থাকি…তেমনি কিছু।
ইন্টার্ভিউ শেষে আমি নিশ্চিত ছিলাম আমার বান্ধবি মুন্নাকেই ডাকা হবে। কারণ সে যথেষ্ঠ স্মার্ট। তাকে বলে বলেই হাঁটতে হাঁটতে জিইসি মোড় এর ফ্লেভার্স পর্যন্ত আসা।
বাসায় আসতে আসতে বিকেল গড়িয়ে যায়।
আমি ঘরে ঢুকে ফ্রেশ হই। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিই। মুন্না তখনো মুরাদপুর মোড়ে গাড়ির জন্যা দাঁড়িয়ে।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অপরিচিত নম্বর থেকে একটা কল আসে। রিসিভ করে অপর প্রান্ত থেকে কেউ বলে আমাকে সিলেক্ট করা হয়েছে। সম্ভবত ব্যক্তিটি আমাদের HR সানি দা ছিলেন। অসম্ভব শান্ত সভাবের মানুষ তিনি।
ফোন পেয়ে আমার খুশির ঠিকানা ছিলো না…কারণ জীবনের প্রথম ইন্টার্ভিউ এবং প্রথম জবের ডাক ছিলো এটি। খুশিতে আত্মহারা হয়ে হয়ে মুন্নাকে কল দিই। বেচারি তখনো পর্যন্ত মুরাদপুর মোড়েই ছিলো ৩ নম্বর বাসে নিউমার্কেট…তার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। জানতে পেলাম তার কোনো কল আসেনি। তার কথা শুনি আমার আনন্দ ও কিঞ্চিৎ কমে এলো। অন্তরঙ বান্ধবী কিনা…
তার আগে ইন্টার্ভিউতে কিছু কান্ড হয়…
ইন্টার্ভিউ নেয়ার আগে আমাদের সানি দা অই কোম্পানি নিয়ে অনেক লম্বা একটা বক্তব্য রাখেন…দুঃখের বিষয় সানি দা’র কথা এতো ছোট যে কান খাঁড়া করেও খুব একটা শুনতে পেলাম না। কিন্তু খুব যে সুন্দর…সে কি আর বলতে !
ইন্টার্ভিউ এর তিন ধাপ ছিল…
প্রথম ধাপ ছিলো কম্পিটার স্কিল।
সেখানে প্রথমে একটা ফোল্ডার খুলতে দেয়া হয় নিজ নিজ নামে।
তারপর একটা প্যাড়াগ্রাফ লিখতে দেয়া হয়। সেটা আবার নিজের ফোল্ডারে সেইভ করতে হয়। তারপর ইন্টারনেটের একটা লিংকে ঢুকতে হয়।
আর আমি আমার সাথে সাথে মুন্নার হেল্প করছিলাম কম্পিউটার স্কিলের ওই ধাপে। ও আর আমি প্রায় প্যাড়াগ্রাফ লিখা শেষ করতেই যাবো…অমনি সময় শেষ হয়ে যায়।
সময় ছিলো ১৫ মিনিটের।
তারপর আমাদের এইচআর…অর্থাৎ আমাদের সানি দা এর ইন্টার্ভিউ নেয়ার পালা।
অনেক মজা হয় সেই ইন্টার্ভিউ তে। মজার কারণ এই…সেখানে একেক জনের একেক কান্ড দেখে।
আমার পালা আসে তারপর…আমার সিভি দেখে দাদা আমাকে বলেন…নিজের সম্পর্কে কিছু বলেন?
আমি বলি…
আমি SAIMA. মহসিন কলেজে ডিগ্রী প্রথম বর্ষে পড়ি।
এর পর আর কি বলবো আমি বুঝতে পারছিলাম না। নির্বাক আমি! সানি দা এক সময় বলে উঠেন…এভাবে চুপ করে থাকলে আশা করি আপনি এই জবই পাবেন না। তখন ও আমি দাদার দিকে তাকিয়ে মুখে হাসি রাখি । অট্ট হাসি না আবার…ঠোঁট টেনে অল্প হাসি। কারণ প্রথম চাকুরির ইন্টার্ভিউ…বুঝতেই তো পারছেন…
তারপর ম্যানাজার স্যার অর্থাৎ আমাদের মান্নান ভাই এর কাছে ইন্টার্ভিউ এর পালা…
ম্যানেজারের রুমে নক করে ঢুকি…ভাইয়া জিগেস করেন…নাম কি? কোথায় থাকি? কি করি? কিসে পড়ি?
সব কিছু বলতে বলতে এক পর্যায়ে মান্নান ভাই জিজ্ঞেস করেন…খুলশি থেকে মুরাদপুর তো মোটামুটি দূর আছে…কিভাবে আসবেন??? আমি বললাম আসতে পারবো। ভাইয়া তারপর বললেন…অনেকসময় রাতের শিফট ও থাকে…তখন কি করবো??? মানে নার্ভাস করার মতো প্রশ্ন…যদিও মেয়েদের জন্য রাতের শিফট না। সকালের শিফট ছিলো। আমি বললাম বাসে যাবো। মানে যেটাই বলছিলেন তার পত্যুত্তর করছিলাম। কার রেফারেন্সে এসেছেন…বললাম সাদিয়া…পুরো নাম জানতে চাইলে বলতে পারিনা…কারণ আমি ভুলেই গিয়েছিলাম অই মূহূর্তে…ভাইয়া কোন সাদিয়া মনে করেছেন উনিই জানেন এ পর্যন্ত মান্নান ভাইয়ের সাথে চোখে চোখ রেখে ইন্টার্ভিউ হয়েছিলো। যেহেতু ইন্টার্ভিউ ।এরপর বলেন…ঠিক আছে…আপনি আসতে পারেন।
তারপর আসে আমাদের মুন্নার পালা…সে কোনো এক দোকানপ থেকে সিভি বানিয়েছিলো অন্যকে দিয়ে। সিভিতে কি ছিলো সে আর পড়েও দেখেনি…সানি দা বলেন আপনার সিভিতে তো সিগনেচারই নেই। আপনার কথার সাথে কিছু মিলছে না।
পরে মান্নান ভাই এর কাছে যাও্যার আগে সে সিভিতে একটা চোখ বুলিয়ে নেয়…যদি আবার সিভির সাথে না মিলে যায়!
মান্নান ভাই এর প্রশ্ন…
নিউমার্কেট থেকে খুলশী অনেক দূর । আপনি কিভাবে আসবেন???
জবাবে মুন্না বলেছিলো সিএনজি দিয়ে সবকিছু সে প্রায় এইরকমই জবাব দিয়েছিলো।
তারপর কিছু ছবি তুলে বাড়ির দিকে ফেরা…
সন্ধ্যাটি ছিলো ৬ ডিসেম্বর ২০১৬।
Genex Infosys Limited
১৬টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
আপনি আপনার লেখাটা আবার পড়ে দেখবেন। শুভ কামনা ।
সায়মা নুর নাতাশা
ভুল হয়েছে কিছু???
রোকসানা খন্দকার রুকু।
লেখালেখিটা মাথা ঠাণ্ডা রেখে করতে হয়॥
ঠান্ডা মাথার মানুষরা জীবনে সফল হয়।
হুমায়ূন আহমেদের কথা,,
এটা কার হয় জানিনা আমার হয় লিখা শেষ করে কেমন মাথা গরম হয় তারাহুরো লেগে যায় জমা দেবার জন্য॥ পরে খেয়াল করে দেখি চেক না দেবার কারনে অজান্তেই কিছু ভুল থেকে যায়। তখন কস্ট হয়।
শুভ কামনা। শুভ ব্লগিং।
সায়মা নুর নাতাশা
জ্বি…অবশ্যই।
ধন্যবাদ আ[পনাকে অনেক।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার লাগল প্রথম জীবনে ইন্টার্ভি্উতে চাকুরী পাওয়া ত খুবী ভাগ্যবান মানুষ আপনি অনেক শুভেচ্ছা রইল
সায়মা নুর নাতাশা
জ্বি…ধন্যবাদ ভাইয়া।
তবে সে চাকুরি ছেড়ে দিয়েছি তিন বছর আগে।
এখন ডাচ বাংলা ব্যাংক এ আছি
।
রেজওয়ানা কবির
আমারও এই ব্যপারে অভিজ্ঞতা একই। ভালো লাগল।
সায়মা নুর নাতাশা
ধন্যবাদ
সৌবর্ণ বাঁধন
আত্মকথা ধরনের স্মৃতিচারণ। লেখার ধরন সুন্দর।
সায়মা নুর নাতাশা
ধন্যবাদ ভাইয়া
সুপর্ণা ফাল্গুনী
লেখার আগামাথা পাইনি বলে দুঃখিত। ইন্টারভিউ বিষয়টির উপস্থাপন গুছিয়ে করতে পারেননি। মুন্না কি মেয়ে না ছেলে দ্বন্ধ লেগে গেছে। আরো একটু যত্ন করে লিখলে লেখাটা চমৎকার হতো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
সায়মা নুর নাতাশা
আপু…লিখাটা গত রাতে রাত দুটোর সময় লিখেছিলাম। তারপর ফেবুতে আমার আইডিতে আপলোড দিই।
তারপর সেখান থেকে কপি করে এখানে পেস্ট করি।
মুন্না আমার বান্ধবী। মেয়ে ও। ছবি আপলোড দিতে চেয়েছি। কিন্তু আপলোড করতে পারিনি
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন
আরজু মুক্তা
কিউরিসিটি লেখাতে থাকতে হয়। আর বানানের প্রতি যত্নবান হবেন। সবার লেখা পড়বেন। অনেকে খুব ছোট করে, সুন্দর করে গুছিয়ে লিখে।
লেখারও ধারাবাহিকতা রাখতে হয়।
ব্লগে স্বাগতম।
আপনাকে ধন্যবাদ
সায়মা নুর নাতাশা
সেভাবে লিখা হয় না আপু।
আসলে মনের কথা সব লিখি।
মনে যেভাবে যা আসে তা লিখে যাই একইভাবে।
আর এ লিখাটা বহু আগের।
জ্বি আপু…আপনাদের সবার কাছ থেকে শিখে নিবো আস্তেধীরে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে ❤️❤️❤️
হালিমা আক্তার
আপনি যখন আরজু আপার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন। তখন আরজু আপা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন অনেক দুরে।যেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসতে পারে না। শুভ কামনা রইলো।