নতুন মানুষ, নতুন সংসার, নতুন দেশ__ সবমিলে অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাওয়া অসহায় একটা সময় তখন। রান্না জানিনা। স্বামী রান্না করেন, কাপড় কেচে দেন, বাড়িঘর পরিস্কার করেন। আবার আমি যখন জবে যাই, আমার টিফিন রেডি করে ব্যাগে ভরে দেন। কাজের জায়গায় সহকর্মী’রা কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেন, আজ কি লাঞ্চ এনেছি। আমি বলি, বলতে পারবো না। ওরা হাসে। ঠাট্টা, তামাশা করে। অনেকটা ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েকে বাবা-মা প্রতিদিন ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে আসলে অন্য সহপাঠীরা যেমন হাসি তামাশা করে তাঁকে নিয়ে__ ঠিক তেমন। 🙂
যত্ন-আত্তি আর ভালোবাসায় মাখামাখি সময়গুলো বেশ উপভোগ্য ছিল। দিনগুলোর স্থায়িত্ব ছিল দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। ভাবি__ এতো ভালোবাসা কই রাখি ! 😀
সেই সময় টিভি চ্যানেলে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই টাইটানিক মুভিটি দেখাতো। প্রতিবারই শেষ দৃশ্যে এসে মন ভারী হয়ে আসে। বিশেষ করে নায়িকা যখন বলে, “জ্যাক, কাম ব্যাক… কাম ব্যাক… কাম ব্যাক…।” কিন্তু জ্যাক ফিরে না। হাত ছেড়ে দেবার পর মৃত্যুর হিম শীতলতায় গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যায় জ্যাকের নিথর নিষ্প্রাণ দেহখানা। কি নিদারুন হৃদয়বিদারক বিচ্ছেদ ! 🙁
মনে হতে থাকে, সম্ভবত আমি যখন মারা যাবো, শেষ সময়টায় আমি আমার স্বামী কথা ভাববো। এবং তাঁর জন্যে সবচাইতে বেশি কষ্ট অনুভব করবো।
জীবনের ভালোবাসাময় মধুরতম সেই সময়টাতে একদিন আমরা আকাশযানে চেপে বসি দেশের উদ্দেশ্যে। পাঁচ বছর বাদে দেশে যাচ্ছি। আমরা আমাদের বাবা-মা’দের দেখবো ! বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ভেতরে। দীর্ঘ ভ্রমনে তাঁর কাঁধে মাথা রেখে পরম নিশ্চিন্তে, নির্ভরতায় ঘুমিয়ে থাকি। হঠাৎ খারাপ আবহাওয়ার কবলে আমাদের প্লেন। এয়ার গ্যাপ এর কারনে প্লেনটি ধুপ্ করে অনেকখানি নিচে পড়ে যাচ্ছিলো। দুলছিলো। আবার ঠিক হচ্ছিলো। এনাউন্স করা হচ্ছিলো বিরামহীন। সবাইকে সিটবেল্ট বেঁধে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছিলো। শিশুরা চিৎকার করছিলো। বৃদ্ধ যাত্রীরা জোরে জোরে বিপদ থেকে উদ্ধারের দোয়া, মৃত্যুর সময়কার দোয়া পড়ছিলো। অন্য সকল যাত্রীর মতন আমিও ধরেই নিয়েছি আমরা নিশ্চিত মারা যাচ্ছি। নিজেদের মৃত্যু পূর্ববর্তী হঠাৎ বেড়ে যাওয়া হৃদস্পন্দন নিজেরাই শুনতে পাচ্ছি যেন ! চোখ বুজে রইলাম। একে অপরের হাত শক্ত করে চেপে ধরে রাখলাম। সম্ভাব্য মৃত্যুকালীন সেই সময়টাতে বাবা-মা’য়ের বিষণ্ণ মুখ ভেসে উঠলো চোখের সামনে। দু’চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিলো। মনে হচ্ছিলো__ আহা! আমার বাবা-মা আমার পথচেয়ে আছে, শেষ দেখাটাও বুঝি আর হল না ! বাবা-মা’য়ের জন্যে কষ্টে শরীর হিম হয়ে এলো।
মৃত্যুর খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে শেষ নিঃশ্বাসের অপেক্ষায় যখন…
অতঃপর এনাউন্স শুনতে পেলাম আমরা প্রতিকুল আবহাওয়া কাটিয়ে বিপদসীমার বাইরে এসেছি।মারা যেতে যেতে বেঁচে যাওয়া আমি সেদিন উপলব্ধি করলাম___
শেষ সময়টায় আমরা আসলে সৃষ্টিকর্তার পরেই বাবা-মা’কে স্মরণ করবো।
বাবা-মা’র আদর ভালোবাসার বিকল্প কেউ হতে পারে না। কেউ না…
তোমাদের দুজনের এমন ভালবাসার কথায় মনটা খুশি হয়ে গেল আপু। এমন জীবন সঙ্গি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
আর বাবা মায়ের তুলনা কারো সাথেই হয়না। সন্তান আর বাবা মা পৃথিবী তে সবচেয়ে বেশি আপন।
রিমি আপু আচ্ছা দুলাভাই কি এখনও রান্না করেন? যদি করে থাকেন, খুবই খুশী হবো। আমাদের সমাজটা এমন স্বামী যদি রান্নাঘরে যায় মহাভারত অশুদ্ধ। আমি ভাত রান্না করতে পারিনা হাঁড়িতে। তরুণ ভাত রাঁধতো। ঐ ওটুকুই। তো সিলেটে যখন থাকা শুরু করলাম, তরুণ ফোন দিয়ে বলতো আসছে সে এই সময়ে চালটা যেনো উঠিয়ে দেই। একদিন বাড়ীওয়ালা ভাবী সেটা দেখে নিয়ে বললেন, “তরুণ ভাই ইস আপনি রান্নাঘরে? ভাবী এটা কি করেন? ভাইয়া সারাদিন পর এসে ভাত বসাচ্ছেন। পুরুষ মানুষকে রান্নাঘরে মানায় না।” বললাম ভাবী রেষ্টুরেন্টে পুরুষরাই কিন্তু শেফ। চুপ মেরে গেলেন।
যাক বেশী পটর পটর করে ফেলি। তবে আপু আমার এই পটর পটর বাপি এখনও নিতে পারে। মামনিও। বাবা-মা এমনই জন যে, সন্তানকে ফেলতে পারেন না। আর আমরা সন্তানরা বিপদে প্রথমেই মা কে ডাকি। বিপদে-কষ্টে-যন্ত্রণায় ওদের মুখই ভেসে ওঠে। আপু সেদিন কেন বেঁচেছিলেন জানেন? আমাদের এভাবে কথা হবে বলে।
শাশুড়ি যৌথ পরিবারের বড় বউ ছিলেন। সারাদিন রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নিজ সন্তানদের তেমন সময় দিতে পারেননি। সেই মনঃকষ্ট তাঁকে কুঁড়েকুঁড়ে খায় প্রতিনিয়ত। তাই এদেশে আসার পর রান্নার দায়িত্বটুকু নিয়েছেন খুশি মনেই, যেন আমি আমার সন্তানদের বেশি বেশি সময় দিতে পারি। এর মাঝেই নাকি তিনি সুখ খুঁজে পান। সেই থেকে সাহেব দিনে দিনে নবাব হয়েছেন। আর আমি হয়েছি অকর্মা 🙂 । আজো রান্নাটা শেখা হল না মা-ছেলে’র কারনে।
শাশুড়িকে ভালোবাসি অনেক।
বাবা-মা তো বাবা-মা-ই। কষ্ট পেলেই তাইতো মনের অজান্তেই “মাগো” বলে উঠি আমরা, তাই না ?
ভাল থাকবেন আপু সবাইকে নিয়ে। (3 -{@
কি সুন্দর বললেন আপু? কষ্ট পেলেই “মা”।
আপু ইস কি মজা তোমার! রান্না করে সবাইকে খাওয়াতে ভালো লাগে। কিন্তু যখন নিজের জন্যে রাঁধতে হয়, উফ একটুকুও ইচ্ছে করেনা।
বেঁচে গেছো। দেশে ছিলাম, শাশুড়ি মা এলে উনি রাঁধতেন। আর মামনিও। কি সুখের দিন ছিলো! আহা!!
এই উপলব্ধিগুলো সত্যিই পরিশুদ্ধ। এতো টানলো লেখাটা আপু।
সবসময়ই ভাবি আমার বোনটা বাবা-মায়ের চাইতে বেশি প্রিয় আমার। বোনের সাথে কথা হয় নিয়মিত, ছেলের অসুস্থতা, নিজের কত কথা বলি, মনটা খারাপ হয় সাময়িক। অনেকদিন পর মাকে বাচ্চার অসুস্থতার কথা বলতে গিয়ে দেখলাম, আমি কাঁদছি। যেন আমার মাই-ই বুঝবে একমাত্র।
সোনেলার কএকজন কে তাদের লেখার নিজস্ব আইডেনটিটিতে চিনি। সম্পর্কের আবেগ, কেউ আপনার মতো ফোঁটাতে পারেনি, আমার এমনই মনে হয়।
আমারও কখনো কখনো এমন মনে হতো যে, একমাত্র বোনটিকেই মনে হয় আমি সবচাইতে বেশি ভালোবাসি। কেননা তাঁর সাথেই আমার সকল সুখ দুঃখ শেয়ার করি। মা’র সাথে শেয়ার করলে তো তিনি টেনশন করবেন, সেই ভয়ে মা’কে অনেক কিছুই চেপে যেতাম। আবার কখনো এমন মনে হয় যে, স্বামীই বুঝি সবচেয়ে আপন, যে আমাকে বুঝে ভালো।
কিন্তু মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শুধুই বাবা-মা’র মুখ ভেসে উঠেছে। আমার মৃত্যুতে তাঁরা কতোই না কষ্ট পাবেন তা ভেবে শরীর হিম হয়ে আসছিলো …
২৩টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
মৃত্যুর দোয়ারে দাড়িয়ে বাবা-মায়ের কথাই সবার আগে মনে পড়ে………
অকৃত্রিম ভালোবাসা দেখলাম স্বামী-স্ত্রীর…………….
দেশ প্রেম দেখলাম…………………
ভালো লাগা রেখে গেলাম।
রিমি রুম্মান
ভাল থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর। -{@
ছাইরাছ হেলাল
কি করে যে কঠিনতম শব্দটি সহজ উপস্থাপনের গুনে ঘটনার পাশে
দার করিয়ে দেয় ভেবে অবাক হই।
রিমি রুম্মান
এমন করেই সহজ সরল উপস্থাপনের মাধ্যমে লিখে যেতে চাই। শুভকামনা রইলো।
নাসির সারওয়ার
অনেক প্রান দিয়ে দেখালেন যা সবার না দেখাই ভালো। শুধু দেখি প্রেম ভালোবাসার মায়াগুলো। অনেক ভালো একটা লেখা।
রিমি রুম্মান
ভাল লেখার কাতারে ফেললেন, জেনে ভাল লাগলো। এমন মন্তব্যে লিখতে উৎসাহিত হই আরও। ভাল থাকবেন সবাইকে নিয়ে। -{@
অরুনি মায়া
তোমাদের দুজনের এমন ভালবাসার কথায় মনটা খুশি হয়ে গেল আপু। এমন জীবন সঙ্গি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
আর বাবা মায়ের তুলনা কারো সাথেই হয়না। সন্তান আর বাবা মা পৃথিবী তে সবচেয়ে বেশি আপন।
রিমি রুম্মান
আসলেই তাই। পৃথিবীতে বাবা-মা’র চাইতে আপন কেউ হয় না। তারপরেই হয়তো প্রিয় মানুষটির অবস্থান থাকে। ভাল থেকো ।
জিসান শা ইকরাম
এমন লেখার জন্য অপেক্ষা করি
কখন নিয়ে আসবেন প্রিয়জনদের কথা নিয়ে
স্নেহ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর মায়ার কথা পড়বো ………
আপনার এই ধরনের সব লেখা গুলোতে ই একটি বার্তা থাকে
ভালো লাগে তা।
রিমি রুম্মান
ভাললাগে আপনার এমন মন্তব্য 🙂 ।
ভাল থাকুন সবসময়।
নীতেশ বড়ুয়া
-{@
রিমি রুম্মান
ফুলেল শুভেচ্ছা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু আচ্ছা দুলাভাই কি এখনও রান্না করেন? যদি করে থাকেন, খুবই খুশী হবো। আমাদের সমাজটা এমন স্বামী যদি রান্নাঘরে যায় মহাভারত অশুদ্ধ। আমি ভাত রান্না করতে পারিনা হাঁড়িতে। তরুণ ভাত রাঁধতো। ঐ ওটুকুই। তো সিলেটে যখন থাকা শুরু করলাম, তরুণ ফোন দিয়ে বলতো আসছে সে এই সময়ে চালটা যেনো উঠিয়ে দেই। একদিন বাড়ীওয়ালা ভাবী সেটা দেখে নিয়ে বললেন, “তরুণ ভাই ইস আপনি রান্নাঘরে? ভাবী এটা কি করেন? ভাইয়া সারাদিন পর এসে ভাত বসাচ্ছেন। পুরুষ মানুষকে রান্নাঘরে মানায় না।” বললাম ভাবী রেষ্টুরেন্টে পুরুষরাই কিন্তু শেফ। চুপ মেরে গেলেন।
যাক বেশী পটর পটর করে ফেলি। তবে আপু আমার এই পটর পটর বাপি এখনও নিতে পারে। মামনিও। বাবা-মা এমনই জন যে, সন্তানকে ফেলতে পারেন না। আর আমরা সন্তানরা বিপদে প্রথমেই মা কে ডাকি। বিপদে-কষ্টে-যন্ত্রণায় ওদের মুখই ভেসে ওঠে। আপু সেদিন কেন বেঁচেছিলেন জানেন? আমাদের এভাবে কথা হবে বলে।
ভালোবাসা রইলো আপু। -{@ (3
রিমি রুম্মান
শাশুড়ি যৌথ পরিবারের বড় বউ ছিলেন। সারাদিন রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নিজ সন্তানদের তেমন সময় দিতে পারেননি। সেই মনঃকষ্ট তাঁকে কুঁড়েকুঁড়ে খায় প্রতিনিয়ত। তাই এদেশে আসার পর রান্নার দায়িত্বটুকু নিয়েছেন খুশি মনেই, যেন আমি আমার সন্তানদের বেশি বেশি সময় দিতে পারি। এর মাঝেই নাকি তিনি সুখ খুঁজে পান। সেই থেকে সাহেব দিনে দিনে নবাব হয়েছেন। আর আমি হয়েছি অকর্মা 🙂 । আজো রান্নাটা শেখা হল না মা-ছেলে’র কারনে।
শাশুড়িকে ভালোবাসি অনেক।
বাবা-মা তো বাবা-মা-ই। কষ্ট পেলেই তাইতো মনের অজান্তেই “মাগো” বলে উঠি আমরা, তাই না ?
ভাল থাকবেন আপু সবাইকে নিয়ে। (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
কি সুন্দর বললেন আপু? কষ্ট পেলেই “মা”।
আপু ইস কি মজা তোমার! রান্না করে সবাইকে খাওয়াতে ভালো লাগে। কিন্তু যখন নিজের জন্যে রাঁধতে হয়, উফ একটুকুও ইচ্ছে করেনা।
বেঁচে গেছো। দেশে ছিলাম, শাশুড়ি মা এলে উনি রাঁধতেন। আর মামনিও। কি সুখের দিন ছিলো! আহা!!
ভালো থাকবেন আপনারাও। -{@ (3
মেহেরী তাজ
আপু কেমন আছেন?
মন ভালো করা লেখা এটা….
ভালো লিখছেন বলে ফির্মালিটি দেখালাম না। ভালো থাকবেন। 🙂
রিমি রুম্মান
ভাল লিখেছি জেনে ভাল লাগলো খুব। -{@
শুন্য শুন্যালয়
এই উপলব্ধিগুলো সত্যিই পরিশুদ্ধ। এতো টানলো লেখাটা আপু।
সবসময়ই ভাবি আমার বোনটা বাবা-মায়ের চাইতে বেশি প্রিয় আমার। বোনের সাথে কথা হয় নিয়মিত, ছেলের অসুস্থতা, নিজের কত কথা বলি, মনটা খারাপ হয় সাময়িক। অনেকদিন পর মাকে বাচ্চার অসুস্থতার কথা বলতে গিয়ে দেখলাম, আমি কাঁদছি। যেন আমার মাই-ই বুঝবে একমাত্র।
সোনেলার কএকজন কে তাদের লেখার নিজস্ব আইডেনটিটিতে চিনি। সম্পর্কের আবেগ, কেউ আপনার মতো ফোঁটাতে পারেনি, আমার এমনই মনে হয়।
রিমি রুম্মান
আমারও কখনো কখনো এমন মনে হতো যে, একমাত্র বোনটিকেই মনে হয় আমি সবচাইতে বেশি ভালোবাসি। কেননা তাঁর সাথেই আমার সকল সুখ দুঃখ শেয়ার করি। মা’র সাথে শেয়ার করলে তো তিনি টেনশন করবেন, সেই ভয়ে মা’কে অনেক কিছুই চেপে যেতাম। আবার কখনো এমন মনে হয় যে, স্বামীই বুঝি সবচেয়ে আপন, যে আমাকে বুঝে ভালো।
কিন্তু মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শুধুই বাবা-মা’র মুখ ভেসে উঠেছে। আমার মৃত্যুতে তাঁরা কতোই না কষ্ট পাবেন তা ভেবে শরীর হিম হয়ে আসছিলো …
সম্পর্কগুলো এমনই হয়। ভাল থাকবেন। (3 -{@
লীলাবতী
মৃত্যুর খুব কাছাকাছি গিয়ে উপলব্দিটিই সবচেয়ে সঠিক,সত্য উপলব্দি আপু।বাবা মা সবচেয়ে আপন।এত আপন আর কেহ নয়।
রিমি রুম্মান
ঠিক বলেছেন। ভাল থাকবেন সবাইকে নিয়ে।
ব্লগার সজীব
আপনার লেখা পড়ি আর সম্পর্ক গুলোকে নতুন করে ভাবি আপু।
রিমি রুম্মান
সম্পর্কগুলো যত্নে থাকুক। ভাল থাকুন সবসময়, সবাইকে নিয়ে। -{@