আপনার সমাজে কিংবা আশেপাশে উদার মনের মানুষ চেনা একদম সহজ- চাইলেই চেনা যায়। তাঁদের গুণাবলি প্রত্যক্ষ করলেই আপনি চিনতে পারবেন। তারা দৃষ্টি সীমানার অভ্যন্তরে ডজন খানেক গুণ নিয়ে বাস করে বলে তা শেষ করা সম্ভব না। সে-ই সব মানুষদের গুণ সম্বলিত লক্ষণ উদাহরণস্বরূপ চিত্রায়ন করাই যেতেই পারে। লক্ষ্য করলেই দেখবেন–
ক. তারা জীবনে কখনও অর্থ সংকটে ভোগে না।
খ. তারা ব্যক্তিকে অনুসরণ এবং চার্জবিহীন উপদেশ দিতে ও উপকার করতেও কার্পণ্য দেখায় না।
গ. তারা চিরযৌবনের অধিকারী।
.
ক এর উদাহরণস্বরূপ চিত্র:
তারা আর্থিক লেনদেন করতে পারদর্শী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। কখন কাকে? কার ঘাড়ে? কিভাবে পরোপকারী হয়ে হাজির হবে টের পাওয়া মুশকিল। আপনি শুধু বুঝতে পারবেন কাকের বাসায় ডিম রেখে কোকিলের গান শুনা যাচ্ছে। বলুন- আহ্.. কি শান্তি!
.
খ এর উদাহরণস্বরূপ চিত্র:
আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে চাচ্ছেন সেই উদার মনের মানুষগুলো নাযিল হয়ে আপনাকে বলবে- “এতো অযথা জিনিস কিনে কী লাভ?” আপনি তবুও সেই জিনিস কিনে নিয়ে আসলেন। তারপর সদ্য প্রেমিকার হাত স্পর্শ করলে যে শিহরণ অনুভূতি জাগে তিনিও সেই তখন সেই ভঙ্গিতে ক্রয়কৃত জিনিসের গা স্পর্শ করে জানতে চায়বে- দাম কত? আপনি দাম বলতেই চালতা টক খাওয়া কোনো খাদকের মতোই তাঁর দাঁতে শিরশিরানি লেগেছে এমন মুখের ভঙ্গিতে তড়িঘড়ি উত্তর দেবে- “এতো দাম দিয়ে কেনা লাগে? বড়লোকি দেখানো আরকি। আরো কম দামেরও তো ছিলো।” আপনি তখন ভাবনার দোলনায় দোল দোল খেতে নিজেই নিজেকে অভদ্রের মতো প্রশ্ন করে বসবেন- আসলেই কি ঠকে গেলাম, নাকি না?
.
গ এর উদাহরণস্বরূপ সচিত্র:
জীবনে, যৌবনে এবং চলার পথে মানুষের জীবনে কিছু অপরিহার্য প্রোডাক্ট ও যন্ত্রপাতি লাগে। তখন যদি চেকপোস্টের পুলিশের মতো তন্নতন্ন খুঁজেন তাঁদের কাছে কিছুই পাবেন না। এমনকি কমলাপুর থেকে মোহনগঞ্জগামী কোনো রেলগাড়িতে (জীবনগাড়িতে) হঠাৎ করে যদি ছিনতাইকারী সন্দেহে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন। তারা বলবে- “আমার তো এতো কিছু লাগে না। নখ তাড়াতাড়ি লম্বা হয় না, কাটার লাগে না। শরীর ঘামে না। গন্ধ হয় না। পারফিউম কেমন কেমন একটা গন্ধ করে।” আরো যে কত কি হয়না, লাগেনা— আপনি সেই ভাবনায় অজ্ঞান হয়ে যাবেন। তারপর সজ্ঞান ফিরে পেলে আপনিই উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন- আপনার যা কিছু লাগে সেই উদার মানুষগুলোর বেশি বেশি ব্যবহারে লাগছে। সেই ভাবনা বেশি বেশি ভাবতে গেলেই নিজের মালিকানাও শেষে ভুলবশত ভুলে বসতে পারেন।
.
অতএব, আপনি তো কেবল তাঁদের সেই না লাগা কর্ম সম্পাদনের উছিলা হয়ে আসছেন। তারা আসছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না লাগার ছাড়পত্র নিয়ে চিরযৌবনের অধিকারী হয়ে বসে থাকতে আর দফায় দফায় মানুষের প্রয়োজনের দোরগোড়ায় “এতো কিছু লাগেনা– বাক্যে উদারতা বিলাতে। আর কি লাগে! আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার লেখাটি পড়লাম। প্রথমত আমি বলতে চাই যে আপনি যেভাবে শুরু করেছিলেন আরো একটু সময় নিয়ে তাৎপর্যসহকারে আরো লিখে শেষ করা আরো ভাল হতো। তাহলে সাধারণত আমার মত পাবলিকদের জন্যে বোঝা আরো সহজ হত। যাইহোক আপনার ভেতর যে এই ধরণের ইতিবাচক মূল্যবোধগুলো কাজ করছে এবং লিখতে চেষ্টা করেছেন এ জন্য আন্তরিক সাধুবাদ জানাই—- উদার মনের ভাল মানুষ বড়ই প্রয়োজন সমাজে— শুভকামনা নিরন্তর
আপনাকে প্রথমেই সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমার দৃষ্টিতে এর চেয়ে সহজ করলে গভীরতা হারিয়ে যেত। এবং একটা আড়াল চলে যেত।
আমি যা আড়াল করে বলতে চেয়েছি, তা একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই বুঝা সম্ভব।
আমাদের সমাজে উদার মানুষের বড্ড অভাব। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের সবকিছুতেই অবমূল্যায়ন করতে পারদর্শী। খুঁত ধরাটাই যাদের সুখ তারা অন্যের জন্য কিছু করতে পারুক আর না পারুক আপনার আনন্দ টাকে মাটি করে দিতে ওস্তাদ। নিরন্তর শুভকামনা রইলো
জানতে চাই এটা কোন বাঁশ। আছিলা হলে বেশি শান্তি। এই মানুষরা আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে। শান্তি নাই তাদের জন্য।
তবে অন্যকে খোঁচা মেরে তারা চমৎকার জীবন যাপন করে।
সামনে আরও বাঁশ চাই। শুভ কামনা🥰🥰
হা হা হা , চমৎকার ভাবে উদার মনের মানুষদের চিত্র আঁকা হয়েছে।
এমন উদার মনের মানুষ যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক হয় তা ভুক্তভোগী ব্যতীত অন্য কেউ অনুধাবন করতে পারবে না। এদের কিছু বলাও যায় না, অথচ ইচ্ছে করে জুতাপেটা করি।
১৭টি মন্তব্য
স্বপ্ন নীলা
আপনার লেখাটি পড়লাম। প্রথমত আমি বলতে চাই যে আপনি যেভাবে শুরু করেছিলেন আরো একটু সময় নিয়ে তাৎপর্যসহকারে আরো লিখে শেষ করা আরো ভাল হতো। তাহলে সাধারণত আমার মত পাবলিকদের জন্যে বোঝা আরো সহজ হত। যাইহোক আপনার ভেতর যে এই ধরণের ইতিবাচক মূল্যবোধগুলো কাজ করছে এবং লিখতে চেষ্টা করেছেন এ জন্য আন্তরিক সাধুবাদ জানাই—- উদার মনের ভাল মানুষ বড়ই প্রয়োজন সমাজে— শুভকামনা নিরন্তর
নাজমুল হুদা
আপনাকে প্রথমেই সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমার দৃষ্টিতে এর চেয়ে সহজ করলে গভীরতা হারিয়ে যেত। এবং একটা আড়াল চলে যেত।
আমি যা আড়াল করে বলতে চেয়েছি, তা একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই বুঝা সম্ভব।
ভালো থাকবেন সবসময় 😍
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
ভালো লাগল পড়ে।
লেখার মান আরও উন্নত করতে হবে
যাতে সকল মানুষ পড়ে বোঝে।
শুভকামনা রইল
নাজমুল হুদা
ভাই, লেখাটি আমি মনে করি কেউ বুঝতে অসুবিধা হবে না। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই বুঝা সহজ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।❤
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমাদের সমাজে উদার মানুষের বড্ড অভাব। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের সবকিছুতেই অবমূল্যায়ন করতে পারদর্শী। খুঁত ধরাটাই যাদের সুখ তারা অন্যের জন্য কিছু করতে পারুক আর না পারুক আপনার আনন্দ টাকে মাটি করে দিতে ওস্তাদ। নিরন্তর শুভকামনা রইলো
নাজমুল হুদা
আপু, অনেক সুন্দর সেরা মন্তব্য যা পুরো লেখার সারমর্ম।
ভালো থাকবেন সবসময় 😍
আরজু মুক্তা
পুরাই প্যারোডি। আর এমন লেখা তোমার দ্বারা সম্ভব। চালিয়ে যাও ছোট। আমরা আছি তোমার সাথে।
নাজমুল হুদা
আপু, এটাই আশেপাশের চিত্র। উনারা আবার নাকি মিতব্যয়ী।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আরজু মুক্তা
হা হা। ঠিক বলছো
তৌহিদ
উদার মানুষগেরে এমনে বাঁশ দিতে পারে কেউ! আপনে বড্ড খ্রাপ তো!
আজ থেকে সকলেই ভালোর রাস্তায় হাটবে ইনশাআল্লাহ। ভালো থাকুন আপনিও! ☺
শুভকামনা।
নাজমুল হুদা
হা হা হা, ভাইয়া আমি মাঝারি ভালো। খালি দেখি কিছু বলি না। আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ নতুনত্ব পেলাম
নাজমুল হুদা
ধন্যবাদ ভাই ❤
রোকসানা খন্দকার রুকু
জানতে চাই এটা কোন বাঁশ। আছিলা হলে বেশি শান্তি। এই মানুষরা আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে। শান্তি নাই তাদের জন্য।
তবে অন্যকে খোঁচা মেরে তারা চমৎকার জীবন যাপন করে।
সামনে আরও বাঁশ চাই। শুভ কামনা🥰🥰
নাজমুল হুদা
হা হা হা, এটা খালি একটা উদার মানুষ চেনার বাঁশ।
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা , চমৎকার ভাবে উদার মনের মানুষদের চিত্র আঁকা হয়েছে।
এমন উদার মনের মানুষ যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক হয় তা ভুক্তভোগী ব্যতীত অন্য কেউ অনুধাবন করতে পারবে না। এদের কিছু বলাও যায় না, অথচ ইচ্ছে করে জুতাপেটা করি।
খুবই ভালো হয়েছে লেখা।
শুভ কামনা।
নাজমুল হুদা
এরা খুব যন্ত্রণাদায়ক ভাইয়া 😢