কথোপকথন :
রিনী – তোর প্রিয় পালং-পনির, ছোলার ডাল করেছি।
অহম – ছাগলীটা বলেছে, তাই না? আজকাল এতো বেশী ইমোশনাল হয়ে গেছে কেন বলতো?
রিনী – এ সময় অনেক কিছু বদলে যায়রে পাগল। বাবা হয়ে দেখ, বুঝবি কেমন লাগে। অন্যরকম এক অনুভূতি। তাইতো বলি পিউকে বিয়ে কর।
প্রাঞ্জল – আসলেই। রিনী ঠিক বলেছে। এ যে কি অদ্ভূত অনুভূতি বলে বোঝাতে পারবোনা। বিয়েটা করে নাও।
অহম – বাবা আরেকবার হয়ে যাও। অদ্ভূত অনুভূতি আবারও নিতে। যত্তোসব!! তোমরা সব এক। বাবা হবার জন্যে পিউকে বিয়ে করবো? কি সব কথা!
রিনী – আচ্ছা তোর তো রাগ ছিলোনা! ব্যাপার কি? এখন খেয়ে নে।
অহম – স্যরি।
—-রান্না শিখিয়ে দিলো কে? তিরিকেও দেখেছি যে মেয়ে এক কাপ চা করেও খাওয়ায়নি কোনোদিন। নাহ অবাক হচ্ছি।
প্রাঞ্জল – বলো কি! এখন তো বন্ধুদের যে কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠানে এই দুজনেরই ডাক পড়ে!!
অহম – তাই বুঝি? তাহলে প্রিয় আর তোমার ভাগ্য ভালো।
রিনী – খুব বেশী হচ্ছে কিন্তু। খেয়ে নে, তা নইলে খাবার সব নিয়ে যাবো।
*****************************
অহম – বেশ খাওয়া হলো। আচ্ছা শোন আমি হাসপাতালে যাবো। নোয়াখালী হবো।
রিনী – আজ থাক, রেষ্ট নে বরং। প্রিয় তো আছে।
অহম – না রে। আমি জানি ছাগলীটা ঘুমাবে না। মনে মনে চাইছে আমি যেনো যাই। মুড বেশী তো তাই বলবে না।
প্রাঞ্জল – তবুও থেকে যাও। শুধু তো রাতটা।
অহম – বরং প্রিয়কে পাঠিয়ে দেই, ওর রেষ্ট নেয়া উচিত।
রিনী – পল, থাক; ঠিকই বলেছে অহম। প্রিয় আজ রেষ্ট নিক। শোন ওকে এখানে পাঠিয়ে দিস। বাসায় ফিরে শান্তি পাবে না।
প্রাঞ্জল – চলো তোমায় নামিয়ে দিয়ে আসি। আমি গেলে প্রিয় আসতে বাধ্য। নইলে আসবেই না।
অহম – আজকাল দেখছি দেশে ভালোই হসপিটাল হয়েছে। ভালো লেগেছে দেখে। পথ-ঘাটও দারুণ।
প্রাঞ্জল – অনেক রাস্তায় রিক্সা চলাও বন্ধ। কিছু শিক্ষা তো হচ্ছে। তাও নিরাপত্তাটুকু ঠিক থাকলে দেশেই শান্তি।
অহম – একটা ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি, তোমার কোথায় ভালো লাগবে? নিজের বাড়ীর বিছানায় শুয়ে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে ঘুমোনো? নাকি অন্যের বাড়ীতে ইয়া বড়ো বিছানায় শুয়ে মনের মতো না ঘুমোতে পারা? ওটুকু ভাবলেই হয়ে যায়।
প্রাঞ্জল – বাহ খুব সুন্দর বলেছো তো? তাহলে তুমি পড়ে আছো কেন?
অহম – যেদিন সুযোগ পাই বাইরে যাবার, সেদিন এখানে একটা চাকরী ছিলোনা যেভাবে সারভাইভ করছিলাম তাতে আজ আমায় খুঁজে পাওয়া যেতোনা।
প্রাঞ্জল – এখন ফিরে এসো।
অহম – তাইতো চেয়েছিলাম, তিরিটাই তো বাগড়া দিচ্ছে। আর জানোই তো ওই পাগলীটার কথা ফেলতে পারিনা। ওর হাসির জন্যে সব করতে পারবো। হয়তো পিউকে বিয়েও করবো। বন্ধুত্ত্ব হলো এমন একটা সম্পর্ক যার জন্যে কি করা উচিত এসব ভাবতে হয়না, এটা আমার মত।
ক্রমশ প্রকাশ্য
হ্যামিল্টন, কানাডা
১-লা মে, ২০১৫ ইং।
উত্তর এবং প্রত্যুত্তর : তিরি এবং অহম : অষ্টদশ ভাগ
২০টি মন্তব্য
ইমন
এটা কি চলবে! য।ই হোক, কেমন কঠিন লাগলো পড়তে।সত্যি বলতে কি আমি এখনো বুঝতে পারতে ছিনা। :p
নীলাঞ্জনা নীলা
পুর্বের পর্ব সমুহ না পড়লে বুঝতে পারবেন না।ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
দারুন আগাচ্ছে কথোপকথন 🙂
‘ তোমার কোথায় ভালো লাগবে? নিজের বাড়ীর বিছানায় শুয়ে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে ঘুমোনো? নাকি অন্যের বাড়ীতে ইয়া বড়ো বিছানায় শুয়ে মনের মতো না ঘুমোতে পারা? ‘ – কতা কথা যে মাথায় আসে আপনার।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি নীলা না? আসবেই তো 🙂
স্বপ্ন
উপভোগ্য কথোপকথন।
নীলাঞ্জনা নীলা
উপভোগ করছেন,আনন্দিত আমি।
লীলাবতী
অপেক্ষা করছি অহম পিউর বিয়ের পরে,অহম তিরির বন্ধুত্বকে পিউ কিভাবে গ্রহন করে তা দেখার জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে বিয়ের পরে এই লেখাগুলো কষ্টকর হবে।অবাস্তব মনে না হলে হয়।
শুন্য শুন্যালয়
অহম পাগলাটা বিয়ে না করার পণ করেছে কেনো? বিয়েটা কি হবে? তর তো সহ্য হচ্ছেনা। ক্লাইমেক্স অপেক্ষা করছে মনে হচ্ছে যদি বিয়েটা হয়। সুন্দর একটা কথা বলেছে অহম। কতদিন হা-পা ছড়িয়ে নিজের বিছানায় ঘুমাই না 🙁
আমি কিন্তু ভুলেই গেছি এগুলো আপনার কথা, চরিত্রগুলো কথা বলে এখন।
নীলাঞ্জনা নীলা
অহম পাগলাটা বিয়ে করে ফেলবে সহসাই।তবে বিয়ে পরবর্তী পর্ব নিয়ে চিন্তায় আছি।দারুন প্রশংসা ‘ চরিত্রগুলো কথা বলে এখন।’ 🙂 ধন্যবাদ আপনাকে।
আশা জাগানিয়া
পুর্বের পোষ্ট না পড়ে কিছুই বুঝতে পারছি না।
নীলাঞ্জনা নীলা
সময় পেলে পড়ুন।
খেয়ালী মেয়ে
অহম তিরির বন্ধুত্ব দারুন (3
কিন্তু তাদের মাঝে পিউকে কেনো আমি মানতে পারছি না ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও তো পারছিনা।কিন্তু কি আর করা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
একটু খেই হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের।
নীলাঞ্জনা নীলা
পর্ব গুলো দ্রুত দিলে আর খেই হারাতো না।কিন্তু সময় যে পাইনা।
সীমান্ত উন্মাদ
আপু আমি যতটুকু জানি অহম মানে অহংকার,এটা যে কারো নাম হতে পারে ভাবিনি, তাই বেশ ভালোলেগেছে।
তবে হাঁ অহমের মত আমিও সবসময় বলিঃ নিজের ভাঙ্গা খাট আর ছেঁড়া কাথার তৈরী বিছনায় ঘুমিয়ে যে আরাম, অন্যের রুপার পালঙ্কে শুয়েও সে আরাম নাই।
আপনার গল্পে অনেক অনেক ভালোলাগা এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
অহংকার করার মতই সে,তাই এই নাম।
মেহেরী তাজ
অনেক গুলা পর্ব মিস করে গেছি। আগে সেগুলো পড়তে হবে। তার পরে আবার মন্তব্য করবো……..
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা।আপনার জেলায় ভ্রমণের আমন্ত্রন গ্রহন করেছি 🙂