উত্তর এবং প্রত্যুত্তর : তিরি এবং অহম : সপ্তদশ ভাগ
কথোপকথন–
অহম – কার ফোন?
রিনী – পিউকে ফোন দিয়েছে, কথা বলিস প্লিজ।
অহম – তোরা সব এক। কি বলবো কথা? ধুর!
রিনী – দেখ অহম তোর জন্যে আজ তিরি হাসপাতালে। ভেবে-চিন্তে কথা
বলিস। ওর মানসিক অবস্থা এখনও কিন্তু ঠিক না।
তিরি – প্রিয় ফোনটা একটু দিয়ে এসো না অহমকে, বলো যেনো আমায় ছোট না করে।
প্রিয় – অহম তোমার বন্ধু দিয়েছে, নাও।
অহম(বিড়বিড় করে স্বগতোক্তি)- জীবনে কখনো কাউকে ভালোবাসতে নেই, তাহলে শালার গাধা হতে হয়।
—‘হ্যালো, আমি অহম।’
ওপাশ থেকে – ‘পিউ বলছি।’
অহম – হুম। ভালো?
পিউ – হুম, ভালো। আপনি?
অহম – এইতো।
নীরবতার সাথেই শেষ হলো কথোপকথন। ‘ঠিক আছে, ভালো থাকুন।’
পিউ – আপনিও।
রিনী এগিয়ে এলো, সাথে প্রিয়ও।
প্রিয় – কেমন লাগলো কথা বলে ?
অহম – বলির পাঁঠা দেখেছো কখনো? নাও এই দেখো।
প্রিয় – আরে, আরে চুপ! শুনতে যেনো না পায়। বুদ্ধি দিচ্ছি, পছন্দ যদি না হয় তাহলে তো আর কোনো ঝামেলাই রইলো না।
অহম – পছন্দ বলতে? প্রিয় আমি আর বিয়ে!!অসম্ভব!!! পছন্দের কথা আসছে কেন?
প্রিয় – তাহলে তো হলোই। ওই মেয়েকে দিয়েই তোমাকে বাতিল করতে হবে। তাতেই চলবে।
রিনী – এসব হচ্ছেটা কি? তিরিকে বলে দেবো কিন্তু। পিউ মেয়েটা সত্যি সুন্দর রে অহম। বিশ্বাস কর। শুধু সুন্দর না, অনেক আবেগী। জীবনে কম মেয়ে তো দেখিনি, ওকে একেবারে আলাদা দেখতে।
অহম – তাহলে এক কাজ কর, তোর বর প্রাঞ্জলকে বল ওকে বিয়ে করে নিতে। বেশ সাহায্য পাবি।
প্রিয় – আগে তো দেখা হোক। তারপর নয় সব ব্যবস্থা হবে।
অহম – ব্যবস্থা বলতে কি? আমি খুব দৌঁড়ের মধ্যে এসেছি। ছুটি না নিয়েই। চাকরীটা গেলে আবার ওই ছাগলী-ই আমাকে পেটাবে। তাই এই সপ্তাহেই ফিরে যেতে হবে।
রিনী – শোন আমার বাসায় চল। গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।
অহম – না, না। হাসপাতালেই থাকবো।
রিনী – তুই না ভীষণ জেদী। ফ্রেশ হয়ে নয় চলে আসিস।
প্রিয় – অহম আসলেই যাও। রিনী ঠিক বলেছে। আর তিরিকে তো কালই ছেড়ে দেবে। আজ ইচ্ছে করে নেইনি। তুমি আসবে আর বাসায় ফিরলেই রেষ্ট নেবেনা।
অহম – ঠিক আছে ফ্রেশ হয়েই আসছি। ছাগলীটাকে বলে আসি।
হ্যামিল্টন,কানাডা
২৪ এপ্রিল,২০১৫ ইং।
১৮টি মন্তব্য
স্বপ্ন নীলা
ছবিটির সাথে চরিত্রগুলোর কত মিল —- কত সুন্দর নাম —দারুন রূপায়ন —শেষের লাইন পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার সবচেয়ে প্রিয় পরীক্ষা নিরীক্ষার লেখা এই পর্ব গুলো। ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
অহম ছাগলটার এবার একটা গতি হোক, আমরা সবাই চাচ্ছি। দেখি তিরি কি করতে পারে। এটাকে লেখা ভাবতে নারাজ আমি। লেখা এভাবে লেখা যায়না, এ ভেতর।
নীলাঞ্জনা নীলা
এবার একটা গতি হোক ছাগলটার।শুন্য এক্সরে মেশিন নাকি ? 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ক্যাটস্ক্যানার আপু :p
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂
ব্লগার সজীব
এবারের পর্ব অনেক বিলম্বে আসলো।দারুন কথোপকথন।শুন্য আপুর সাথে একমত,এটি ভেতরের কথা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখার মুড তো সব সময় আসেনা সজীব।শুন্য এক্সরে মেশিন হয়েছে 🙂
খেয়ালী মেয়ে
কেমন কেমন জানি লাগছে অহম তিরির মাঝে পিউ 🙁
অপেক্ষায় আছি পরবর্তী পর্বগুলোর দেখি কি হয় ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
কি আর করা,পিউ আসলে অহম তিরিকে কিভাবে রাখবো তাই ভাবছি 🙁
জিসান শা ইকরাম
এই পোষ্ট পড়ে হাসলাম খুব 🙂
অহম তিরি প্রিয়র মাঝে এসে পিউ তাল মেলাতে পারবে?
নীলাঞ্জনা নীলা
তাল মেলানো আসলে কঠিন।
ছাইরাছ হেলাল
অহম তিরি আবার ফিরছে দেখে ভালই লাগে।
নীলাঞ্জনা নীলা
যাবে কোথায় এরা?সময় পেলেই ফিরে আসে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অহম তিরির গল্পটা যেনো জীবনের বাস্তব রূপ বেশী দেরী হলে অনেক কিছুই ভূলে যাই কন্টিনিউ রাখার অনুরোধ করছি।চলুক।
নীলাঞ্জনা নীলা
চলছে তো 🙂
লীলাবতী
ছাগলী !! হা হা হা হা কিভাবে এমন মজা করে লেখেন দিদি?
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখা চলে আসে এমন 🙂