মানুষ বাস্তবে পুরোপুরি ভালো কিংবা একদম খারাপ হয় না।
এটা শুধু টিভি সিরিয়ালে অথবা বাংলা চলচিত্রতেই সম্ভব।
আপনি যাকে খারাপ ভাবছেন হয়তো আপনি তার ভালো দিকটা লক্ষ্য করেননি আবার যাকে খুব ভালো ভাবছেন তার খারাপ দিক টা দেখেনি বলেই ভাবছেন।
তাহলে কি আমি সব মানুষের ভালো খারাপ পার্সেন্টেন্স ৫০-৫০ বলছি??
না।পারসেন্টেন্সটা ৫০-৫০ হবে না।আমার মতে খারাপ ভালোর পার্সেন্টেন্সটা ৪০-৬০ এর মধ্যেই থাকবে(ডিফারেন্স বেশী হবে না)।এটাই বাস্তবতা।তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতীক্রম হতেই পারে।
যাদেরকে আমরা সমাজে খারাপ বলে চিহ্নিত করি তারা কি নিজেদের খারাপ বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর বলে স্বীকার করে কি?
না।কারণ সে তার ভালো গুণ গুলোকে উপলব্ধি করতে পেরেছে।কিন্তু তার প্রতিফলন এমনভাবে ঘটেছে যে মানুষ তা উপলব্ধি করতে পারেনি।অথচ একটু গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে ঠিকই পারতো।
তার পরো যদি আপনার চিন্তা ধারা ভিন্ন হয়,আমি বলবো আপনি জীবনটাকে বাংলা সিনেমার মতো ভাবছেন বা হিন্দি সিরিয়ালের মতো ভাবছেন যেখানে এক পক্ষ থাকে ১০০% ভালো আরেক পক্ষ পুরোপুরি খারাপ। বাস্তবে যা পুরোপুরি অসম্ভব।
#মানুষকে ভালো করে চেনার চেস্টা করুন।
তার খারাপ বাদ দিয়ে ভালো গুণ গুলো খুঁজুন।।
১১টি মন্তব্য
বৃষ্টিহত ফাহিম
আপনার সাথে আমার ধারণা দারুণভাবে মিলে গেছে। সিনেমাতে একেবারে খারাপ আর ভালো চরিত্রের উৎপত্তি কোথায়? আমার মনে হয় “আলালের ঘরের দুলাল” উপন্যাস থেকে।
হৃদয়ের স্পন্দন
বেশ বলেছেন
শান্তনু শান্ত
ধন্যবাদ স্পন্দন ভাইয়া।। 🙂
খসড়া
ভাল লাগল।
নুসরাত মৌরিন
খুব সুন্দর উপলব্ধির কথা লিখেছেন।
আসলেই কোন মানুষ পুরোপুরি ভাল কিংবা খারাপ হয় না।সব মানুষই ভাল-মন্দের মিশেল!!পরিস্থিতি অনেক সময় মানুষকে খারাপ করে।
স্বপ্ন নীলা
#মানুষকে ভালো করে চেনার চেস্টা করুন।
তার খারাপ বাদ দিয়ে ভালো গুণ গুলো খুঁজুন।।’’————দারুন দারুন
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটি দেখে খুব অবাক হয়েছি, আমার কথা আপনি কি করে বুঝলেন? 🙂
সত্যিই তাই আমি কারো কাছে ভালো, কারো কাছে খারাপ। তাহলে ভালো বা খারাপ সেভাবে কাউকেই বলা যায়না। 40-60 র হিসাব টা বেশ পছন্দ হয়েছে। ডিফারেন্স টা বেশি হয়ে যেতে পারে কারো কারো জন্যে। বেশ ভালো লেখা।
শান্তনু শান্ত
ধন্যবাদ আপু 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মানুষ চেনা বড় কষ্টকর তাই হুট করেই বলা যাবে না সে খারাপ -{@
অরণ্য
ভাল মন্দ মিলে মিশেই মানুষ। কিন্তু আমি আপনার ৪০-৬০ স্কেলটাকে আরেকটু ফ্লেক্সিব্ল রাখতে চাই। সেটি ২০-৮০-ও হতে পারে কোন কোন ক্ষেত্রে। কিংবা আরও অন্য রকম।
আমরা অনেক সময়ই বলি ছেলেটি বা মেয়েটি ভাল বা খুব ভাল, কিংবা খারাপ। এভাবে না বলে যদি বলি ছেলেটি বা মেয়েটি কিংবা মানুষটি দেখতে ভাল, কিংবা বলে ভাল, কিংবা লেখে ভাল কিংবা অন্য কিছু যা তার সাথে যায়। তাহলে আর এই ঢালাও ভাল মন্দ ব্যাপারটা থাকে না। হয়তো আমরা তখন কারও গুণ প্রকাশ করব এই ভাবে “লোকটি দারুন চুরি করতে পারে”।
ছারপোকা
আসলেই আমরা মানুষের একটা গুন দেখে তার ভাল খারাপ দিক নির্বাচন করি ।আমার মতে একটা মানুষকে আরেকজন মানুষ পুরোপুরি ঠিকভাবে কখনই চিনতে পারে না ।
খোলস বন্দী মানুষ অহরহ ।
ঠিক শামুকের মত ।