কবিতা ভেসে এলো দৈববানির বেশে ঘুর পথে, অজানার দেশ থেকে চুপিসারে হঠাৎ করেই, মেনিমুখো নির্বিষ নির্বাক নিঃশব্দ অন্তঃপুরবাসী কবিতামুখি সদ্য সন্ন্যাস নেয়া ভণ্ড তপস্বীর কাছে। কোন দেবদূত নই আমি, কবি তো নই ই এই আমি। ভয় পেলাম, পালাতে চাইলাম, স্বপ্নবান গর্তজীবি হব বলে। যেতে চাইলাম হিমের হিমালয়ে, জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরিতে, অতলান্ত সমুদ্রে সুগভীর তলদেশে, আকাশের নীলে বা ভোরের কুয়াশার কাছে।
হা পিত্যেশম, পথে পথে ঝুলছে সাইন বোর্ড “পালাবার পথ নেই” যেদিকে যাই যেদিকে তাকাই। নিচ্ছিদ্র চাদরে ঘিরে ফেলেছে। বেহাত জরুরী ফোন নম্বর, এ্যাপসদের বিদ্রোহ। এ্যাপসরা বাঁধা চোখ খুলে দেয়ায় নিজেকে আবিষ্কার করলাম কারখানার মেঝেতে, গান চলছে মুজিব পরদেশির ‘আমি বন্দী কারাগারে’।
এখানে মানুষ বানানো হচ্ছে কলে ফেলে। সে কী নির্দয় নির্যাতন, নিদ্রাহীন করে গলায় পা তুলে মুখে রক্ত উঠিয়ে পড়া লেখার ছলে। নিতে হবে ভাষা জ্ঞান, এড়িয়ে মুরাদ টাকলা। গলায় রশি বেঁধে চলছে দ্রুত টাইপ করার শিক্ষা, আরও আরও কী সব, পৃথিবীর তাবৎ প্রকাশিত অপ্রকাশিত সব গ্যান!!, ভাগ্যিস এখানে কবিতা লেখা শেখানো হয় না। আছে সেখানে তরতাজা বলদ, পালোয়ান গাধা, লাল মুখো বাদর, কুৎসিত বুড়ো উট , মদন টাক, ধনেশ পাখি, বিটকেলে আধমরা বুড়ো, ঘ্যানা আঁতেল, গ্যানী, গুণ্ডা,শয়তান, কাক ও লাল চোখে বিটকেলে কোকিল আরও আরও। কিন্তু যে কাষ্ঠ বকলম পণ করেছে কিছুই শিখবে না, তার শাস্তির কপাল বেশ চওড়া তা বুঝতে জ্যোতিষ জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না।
আমার সিরিয়াল শেষের দিকে। কাজেই অপেক্ষা, গাধার ঘাসে।
হায় বিধাতা এদের মানুষ বানালে তাজা বলদ বা গাধাদের কঠিন কিন্তু আনন্দের কাজ গুলো হবে কী করে? কে করে দেবে? বিধাতার লীলা বোঝা ভার। লীলে লীলে, সবই লীলে।
জয় জগৎ বন্ধু।
তবে মেনু মন্দ নয়, সকালে ভূত জালোকিয়া বা নাগা মরিচের বকুনি ভর্তা দিয়ে শুরু, আর দিন শেষে যে কত ও কী প্রকারে ধুনা দেয়া হয় তা অপ্রকাশিত ই থাকুক। তবে আশার কথা, কবিতা লিখতে, পড়তে ও খেতে দিচ্ছে, চুপি চুপি বলছি ঠাকুরের গান বোনাস হিসাবে দিচ্ছে মাঝে মধ্যে বেহদ্দ বিশ্ব কৃপণতায়, সেলফি-কুলফি সহ।
মানুষ আর হতে চাই না, তাই নিশ্বাসের শেষ মৃত্যুটুকু এখানেই চাই।
আমি হেলেনকেই বলছি…… এ যাত্রায় আম্রে কি মেলে ফ্যালব্বে!!!
৫২টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
কিছুই বুঝলাম না। নাহ আপনার ভালোই পাগলামী বেড়েছে। পাবনা খুব দ্রুত যাওয়া উচিৎ। :p
আরোও পড়ি, তারপর বুঝলে মন্তব্য, নয়তো নয়।
ছাইরাছ হেলাল
পাবনা সে না হয় গেলাম আপনার ফেলে আসা পথ ধরে।
কিন্তু কিছুই বুঝলেন না এইটা কোন কথা হলো!!
অপেক্ষা করি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি যে সব শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তা হয়তো আধুনিক অভিধানে আছে, আমি আবার পুরোনো অভিধানেই কিনা! তাই বুঝতে পারছি না।
আমি এখন পাবনাতেই আছি, চাইলেই আসতে পারেন। আমার সামনে একজন পাগল বসে আছে। একটু পর পর প্যাঁক প্যাঁক করে ডাকছে হাঁসের মতো।
ছাইরাছ হেলাল
সব অভিধান নিয়ে বসেছেন!! আপনার সাথে কথা নেই।
পাবনাতে বসে এ সব করছেন তা দাকতাররা আপনাকে কিছু বলছে না!!
আমি ভীতু মানুষ, এতদূর যাচ্ছি না।
নীলাঞ্জনা নীলা
সব অভিধান কোথায়? একখানাই পুরোনো অভিধান। কথা বলবেন কি করে?
এখানে তো কথা লেখা হচ্ছে।
ডাক্তার কিছু বলবে কি করে? ডাক্তারের মুখ আটকে দিয়েছি। \|/
ছাইরাছ হেলাল
এখানে কথালেখা হয়? যে দেশে এ কাজ হয়, সেখানে
থাকাও ঠিক না, আমি রিমান্ড শেষেও রিমান্ডে থাকতেই চাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
পৃথিবীর কোথাও রিমান্ড শেষে রিমান্ডে রাখা হয়না।
এতো কথা বলছেন কেন?
কবিতার মানে বুঝিয়ে দিন।
ছাইরাছ হেলাল
বলছি, মন না দিয়ে আকাশ মুখো হয়ে শুনুন।
দৈববানি এসেছে অজানা পথে, কবিতা হয়ে। লেখক খুব বলদ টাইপের সাধারণ মানুষ, ভয় পেয়ে পালাতে চাইছে। পালাতে গিয়ে সে ধরা পড়ে যায়। তার ফোন নম্বর ও স্মার্ট ফোনের সব অ্যাপ হ্যাকড, সব অ্যাপেরা মিলে চোখ বেঁধে একটি
যন্ত্রর মন্ত্রর টাইপের স্কুলে নিয়ে যায়, সেখানকার শিক্ষানবিস, শিক্ষার পদ্ধতি ও গ্যানের নানা বিভাগের কথা বলা হয়েছে, দেয়া হয়েছে খাদ্য তালিকা। কিন্তু কাঠ বলদটি পণ করেছে কিছুই শিখবে না, তবে এখানেই থেকে যাবে মৃত্যু পর্যন্ত।
হেলেনের কী ভয়ংকর রূপ!!!!!!!!!!
কাঠ বলদেরা একটু বলদ টাইপের ই হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাপরে আপনার স্মার্ট ফোন বুঝি? কি আইফোন নাকি স্যামসাং নাকি মটোরোলা?
তা কি কি অ্যাপ আছে? আমি আবার ফোনের ব্যাপারটা ভালো বুঝিনা।
ভালোই বোঝেন, কবিতাও লিখে ফেললেন! সাধে কি আর বলি কবি ভাই? 😀 -{@
ছাইরাছ হেলাল
এভাবে হেনস্থা কড়া ঠিক না, আমাকে চ্যাংদোলা করেছে আর আপনি
মজা নিচ্ছেন বড় ভাই এটি ঠিক না।
অ্যাপদের নাম আর বলছি না। আর ফোন ? প্রশ্নই আসে না। সবাই আমার সাথে
বিলিক ঝিলিক করেছে।
ভাই, আমি কবি-কুবি কিচ্ছু না। আম জনতা মাত্র।
নীলাঞ্জনা নীলা
চ্যাংদোলা শব্দটা শুনেই মনে পড়লো কুম্ভকর্ণর কথা। কতোভাবে যে তার ঘুম ভাঙ্গাবার চেষ্টা চলেছিলো। চ্যাংদোলাও ছাড় পায়নি। কিন্তু ঘুম ভাঙ্গলো খাবারে।
তো বিলিক-ঝিলিক হলেও কি? আপনি তো আর কুম্ভকর্ণ নন, কবিতা ছাড়া আপনাকে আর তো কেউ জ্বালাবার নেই।
লিখে ফেলুন। কবিতার মানেটা এখন মনে হয় বুঝতে পেরেছি। ;?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বস মানুষ, কবিতা আপনার অবোধ্য হতেই পারে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
বিদ্রূপ কেন করছেন? অবোধ্য শব্দের মানে কি? :p
বোধগম্য নয় শব্দটির মানে। :p
ছাইরাছ হেলাল
আমার ঘাড়ে একটি ই মাথা।
মায়া ছাড়তে পারব না।
আমি ফেলটুস ছাত্র,আমারে পড়া জিগায় পড়ানোর ছলে
আমি তো পড়বো না করেছি পণ।
নীলাঞ্জনা নীলা
সে তো আপনি হেলেনের কাছে পণ করেছেন। আমার কাছে নয়। বলুন শুনি।
ছাইরাছ হেলাল
পণ এক জায়গায় করলেই হয়। সবই এক।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি বলেন এসব? হেলেন আর আমি এক? :@
ছাইরাছ হেলাল
আপনি হেলেন!! এত্ত সোজা না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি-ই তো বললেন সব এক।
ছাইরাছ হেলাল
এই সবের মধ্যে আপনি শুধু বাদ।
গুরুদের সাথে চলি না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার হেলেন হতেও চাইনা। বাপরে দুদিন পর পর এক এক নাম।
ছাইরাছ হেলাল
আবার ও একটি সম্ভবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হলো।
এ জন্যই নূতন খুঁজি খোঁজায়।
অরুনি মায়া
মাথার উপর দিয়ে চলে গেল। কিছুই বুঝলাম না আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান এ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভাই রিমান্ডে আছি, আর কিছুই না।
জিসান শা ইকরাম
সঠিক ভাবে লিখলে লিখেন
শেখার কোন শেষ নাই – মুগুরের বারিতে মাফ নাই 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা কিছু বুঝেছো?
ছাইরাছ হেলাল
নাত্নীর মাথার ঊপ্রে দিয়া যায়, সেখানে নানায়!!।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি বলতে চান আপনি? আমার নানা বোঝে না?
সাবধানে কথা বলবেন এখানে। বুঝেছেন?
এটা আমার নানা। :@
ছাইরাছ হেলাল
উলি বাবা, জোট বেঁধেছেন ভালো কথা, আবার ধমক-ধামক
ও চালাচ্ছেন। হেলেনের আত্মীয় নাকি।
নীলাঞ্জনা নীলা
হেলেনটা কে? আপনার চরিত্র সুবিধের না। এখন আবার হেলেন।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বলেছেন, চরিত্র যদি সুবিধার হয় তাহলে সবাই মিলে
আমাকে নাকে দড়ি দিচ্ছে কিভাবে, একেই বলে কপাল।
আরও আছে ভাই এ লাইনে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার তো মনে হয় আপনি-ই আপনার লেখা দিয়ে সবার মাথা ঘোরাচ্ছেন
এবং টাকলু করার প্ল্যান কষছেন।
ছাইরাছ হেলাল
মাথা ঘোরালে কিন্তু নূতন চুল গজায়,
উপকার ই হচ্ছে বলুন।
ছাইরাছ হেলাল
রিমান্ডে কতো কিছু চলে সেখানে মুগুর তুচ্ছ।
মাথা আউলাইয়া গেলে এমনই হয়।
শুন্য শুন্যালয়
শিক্ষিকার চাইতে ছাত্রের মস্তিকাযন্ত্র আমার কাছে বেশি জটিল কুটিলই ঠাহর হচ্ছে। হেলেন দেবী বুঝুক বা না বুঝুক তার অগোচরেই গাঁধা, বাঁদর, উট সব ভাষাবিদ হয়ে যাচ্ছে এও তো মন্দ না। তা এর মধ্যে কাক আর কোকিল বাদ দিয়ে দিলেন যে। মরিচ ভর্তা দিয়ে দিন শুরু না করলে এমন লেখা বেরুবে কোথা থেকে।
এ যাত্রা আপনি বেঁচে থাকুন, তবে ত্যাঁদরামো করলে রিমান্ড বেড়ে যেতে পারে, সাবধান ।
ছাইরাছ হেলাল
ভাইরে, কাষ্ঠ বকলমের আবার মস্তিস্ক-টস্তিস্ক আছে নাকি!
তা আপনাদের কালো হাত তো অনেক দূর পর্যন্ত যায়, সুপারিশ করে সুযোগ-সুবিধা
একটু যদি বাড়িয়ে দিতেন গো। ঠাকুর আপনাদের রংধনু করে অনেক কাল বাঁচিয়ে রাখবে।
আপনার নির্দেশ মতো কাকের কোকিলদের যোগ করে দিলাম ভাই, এদিকে যৎসামান্য কৃপার
ছোয়া!! যদি দিতেন, আপনারা অনেক ধনবান যদিও সে সব দিকে তাকানোর সাহস থকেও শক্তি নেই মোটেই।
হেলেন কি জয়।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
তর্ক বিতর্কের পর না হয় বুঝে মন্তব্য করব -{@
ছাইরাছ হেলাল
কোন ব্যাপার না।
চলবে।
লীলাবতী
হু হু “পালাবে কোথায়?”পালাবার সব পথ রুদ্ধ।শকুন্তলা,মেহেজাবিন এর পরে এখন আবার হেলেন!!জীবনটা দেখছি আপনার তামা তামা হয়ে যাবে।কষ্ট হয় আপনার কথা ভাবলে 😀 ভালো রম্য হয় এটি (y)
ছাইরাছ হেলাল
একমাত্র ভত্তাবতী ছাড়া এ জবর যন্ত্রণা আর কেউ বুঝলো না।
মজা করার জন্যই লিখি।
খেয়ালী মেয়ে
আমি এতো অল্প বুঝি ক্যান ;? 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনার অল্প বোঝার দিন কিন্তু শেষ।
মন্তব্যের উত্তর পড়ে আবার আসুন প্লিজ।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া আমার জন্য কি সহজ বঙ্গানুবাদ তা দেওয়া যায়??? :=
ছাইরাছ হেলাল
ভাইয়াআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআ,
মন্তব্যের উত্তর পড়তে হবে।
অনেক আনন্দের কথা লেখা থাকে।
তামিম রুহুল
ভাই পাবনা ওইদিকে := কিছুই বুজি নাই কা,একটু ট্রেনিং নেওয়া লাগবে ;?
ছাইরাছ হেলাল
বিপদে পড়লে পাবনা-ফাবনার রাস্তা খুঁজে পাওয়া সহজ কাজ নয়।
তবে মন্তব্য সহ উত্তর পড়ে আসতে হবে কষ্ট করে।
ধন্যবাদ।
ইমন
এভাবে বুঝি বাশ দেয় :p ভালো স্যাটায়ার ছিলো কিন্তু এটা। :c
ছাইরাছ হেলাল
স্যাটায়ার কিনা জানিনা, তবে খুব বিপদে আছি।
ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
আপনাকে মেশিনের মধ্যে নিয়ে আপনার শিক্ষক আপনাকে তৈরী করছে।আমার তো শিক্ষকই নেই 🙁 ফিলিং ইর্ষা ইর্ষা
ছাইরাছ হেলাল
কিন্তু আমি তো শিখতে চাই না। তাই বলে জোরাজুরি করা ঠিক না।
এ ভারী অন্যায় অন্যায্য।
নীতেশ বড়ুয়া
‘আমি বন্দী কারাগারে’ নয় বরং আপনি বলতে চেয়েছিলেন ‘আমি বন্দী পাগলাগারদে’ :D)
ছাইরাছ হেলাল
ওটা মনে মনে, রিমান্ডের টাইমে সব বলা ঠিক না।