ইদানীং,
কবিতা কারণে অকারণেও ক্ষণে ক্ষণে নেচে ওঠে, গেয়েও। খোপায় ফুল মেখে। গাও গাও নাচো নাচো, ভালোতো! ভালোনা? কত্থক,ওড়িশি বাঁ মনিপুরী। গানের সুর-তাল লয়-ফয় জানি না বুঝিও না। তা সে গান-ফান নাচ-টাচ করলে কার কী? না কারও কিচ্ছুটি ক্ষতি-বৃদ্ধি না, তবে কথা হলো কুঞ্জ বনের ঘ্রাণ পাচ্ছি যেন!!
রাঁধে……রাঁধে।
ইদানীং,
নীল অঞ্জনে কবিতা বেশ উচ্ছল উজ্জ্বল বাড়বাড়ন্ত, লতিয়ে-ফতিয়ে ফেনিয়ে- ফাঁপিয়ে ফুলে-ফুলে উঠছে। উঠুক না, সমস্যা কী? সমস্যা নেই। তবে কথা হলো, একটু বেশি বেশিই হয়ে গেল না? হোক না।
এতটা আবার ঠিক না, ঠিক না। সময় জ্ঞান-ফ্যান বলে কথা আছে না! সময়ের ক্ষ্যাতা পুড়ি!
ইদানীং,
কবিতারা এখন যখন-তখন, মাঠ-ঘাটে বাস-ট্রেনে পথে-প্রান্তরে শীতের গ্রষ্মে ঘুমের জাগরণে, ঘোর বরিষণেও।
একটু বেশি বেশি ই।
আহ,…..গোল করো না গোল করো না,কালঘণ্টা বেজে উঠলো বলে!
দু’দিনের জীবনে বিরহের ফেউ লাগিও নাতো। আছি এখন বেশ ব্যস্ত-সমস্ত কিশোরী-যুবতী ধাড়ী-বুড়ী কবিতাদের নিয়ে!!!!!! উন্মত্ত উন্মাদনায় সহচর বন্ধুত্বে। জল ঢেলোনা প্লিজ, দুর্নাম রটে যাবে, ভাব গোসাইয়ের বীণ বাজছে যখনে এ হৃদয়ে মরিবার তরে, কবিতার হাতেই সঁপেছি নিজেকে।
শঙ্খধ্বনির এই কবিতামন্দিরে সকালের সোনা আলোর ঝলকানিতে প্রিয়তমার ডাক শুনি। সুখসুখ দুঃখ কালের ক্ষীণ বার্তা ছুঁয়ে যায় উলুমুখে। ক্রান্তিকালের আজানুলম্বিত অবুঝ কবিতা প্রেমীদের পরজীবনে, প্রতীক্ষিত ব্যাকুলতায়।
কুড়িকুষ্ঠ হউক, হউক ওলাওঠা, সান্নিপাতি জ্বর হউক;
তবুও বেঁচে থাকুক কবিতারা কবিতার হৃদয় জুড়ে।
কবিতায় আশপাশ, কবিতায়ই বসবাস, কবিতায় শ্বাস–নিশ্বাস।
বিরহে বিবাগী হব না, কবিতা………… গোষ্ঠে এবার যাবই।
৮৪টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্য করার ধৃষ্টতা এখন করবো না। একটু তো বুঝে নেই, কয়েকবার পড়ি
তারপর বুঝে-শুনে গোবর মস্তিষ্কে কিছু এ দেশীয় সার ঢালি।
দেখি তারপর কি হয়! ;?
ছাইরাছ হেলাল
হায়,হায়, কয় কী?
নীলাঞ্জনা নীলা
কইলাম কই? এইটা তো লিখলাম। এইবার কমু। 😀
ছাইরাছ হেলাল
বাহবা, পেপ্সোডেন্ট হাসি।
নীলাঞ্জনা নীলা
পেপ্সোডেন্ট না, সেন্সোডাইন 😀 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
সময় জ্ঞান থাকবে কি করে?
সময় কি জানে না যে সে একই সময়ে একেক বার্তা দেয়!
দিন-রাতের ঘন্টায় চপলা মেয়ে এই নাচে, এই আবার ছুট প্রজাপতির মতো,
হাঁপিয়ে গিয়ে ছায়া খোঁজে।
তখন কি হয় দেখে তো সময়।
বিন্দু বিন্দু ঘাম নাকের আগায় টিস্যু পেপার শুঁষে নেয় যত্নে।
রাগ হয়, ধ্যত্তেরি কেন বড়ো হয়ে গেলো জীবন?
ওদিকে অভিমানও যত্নে সাজিয়ে রাখে মনের ভাঁজে,
কবিতার চরণে ঢালে,
সময়ের চঞ্চুতে তুলে দেয়।
আচ্ছা এখন যদি উঁই পোকার কাছে অক্ষরগুলো দিয়ে আসে চপলা মেয়ে,
সময়ের তখন থাকবে কোনো অভিযোগ?
এ দেশের সার খাবার পর এসব কথা এলো, ফলন কি ঠিক? 😀
ছাইরাছ হেলাল
সময় জ্ঞান বাঁধা থাকুক সময়ের দ্বারে
মিছে এ অভিযোগ সময়ের তরে,
টিসু পেপারের চরণ দাসী
রং মাখে সময়ের ঠোঁটে
অলীক অভিমানে।
লুকোতে চায় ‘বড় হওয়া’
সময়ের ফাঁদে পড়েছে সে।
বৃথাই এ মিথ্যে আঁকুপাঁকু।
বনফুল, সে ফুল,
হোক সে পথপাশে বা গহীন মনভূমে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা বেশ, থাক সময়ের কথা।
জমছে জমুক আরোও গল্প-কবিতা;
অভিমান কিংবা যন্ত্রণা-ব্যথা,
থাকুক ঠোঁটে হাসির বারতা।
গল্পে তো চাই চা কিংবা কফি
সাথে থাকুক গান কিশোর এবং রফি
আবৃত্তিতে কথোপকথন শুভঙ্কর-নন্দিনী
কবিতার নূপুর নাচছে রিনিঝিনি।
ছাইরাছ হেলাল
একালে কবিতা আছে কী
সেকালের মত?
কবির কবিতা থাকুক
আচলে ঝুলে।
খবর পেলাম কবিতা
এখন ব্যস্ত অন্য কাজে
অকাজের সাজে
রংধনুর রঙ্গে,
সে দায় কে নেবে?
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতা এখন জানালার পাশে,
রোদ্দুরে পোড়ে
কবিতারই ঘরে
ব্যস্তহীন কাজে।
যখনই সে ভাবে
এখুনি পালাবে
তখুনি যে চলে আসে
কবির কবিতাখানি
বেশ কিন্তু লাগে
তবু যে ভাব ধরে
কারণ ছন্দ কোথায় পাবে?
সেই চিন্তায় মগ্ন
কবিতা সাজাবে স্বপ্ন।
জিসান শা ইকরাম
কবিরা কবিতাকে প্রান দিলো নাকি?
নইলে কবিতা নাচে কিভাবে? হেসে হেসে বাস ট্রেনে চলে আবার
কবিতারও প্রান আছে তাহলে 🙂
ভালো লেগেছে এমন নাচনে কবিতাকে দেখে।
ছাইরাছ হেলাল
বড়সড় কবিদের হাতে পড়লে কবিতার ডানা গজানো কোন ব্যাপার না।
তখন কবিতারা শীষ দেয়,গাছে চড়ে। মাথায় আস্ত কাঁচাপাকা তাল ছুড়ে মারে।
তবে আমার মত লেখকদের হাতে পড়লে অক্কা নিশ্চিত।
জিসান শা ইকরাম
তাল ছুড়লে সমস্যা নেই,
তবে আস্ত বেল ছুড়লে ভয়ানক সমস্যা। অক্কা নিশ্চিত………
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা ট্রেনে না, শুধু বাসে
কখনো দাঁড়িয়ে কখনোবা বসে। 😀
জিসান শা ইকরাম
বাহ বাহ কবিতারা বাসে দাঁড়িয়ে থাকে আবার বসেও চলাফেরা করে ? 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
শোনো গো নানা,
ভাগ্য তোমার কতো ভালো
পেয়েছো এমন নাত্নী
সোনেলা ব্লগ করছে যে আলো :p :p
ছাইরাছ হেলাল
আলোকে আলোকময়!
ধাঁধানো চোখে বাঙময়
ঘোলাটে এ চোখ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘোলাটে চাঁদ
মরাল রাত
চোখে হাজারো স্বপ্ন
ঘুমাচ্ছে শহর
এবং নগর
কবিতায় মন মগ্ন। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ঘোলাটে চাঁদ
নিষ্প্রদীপ রাত
স্বপ্নবাজ চোখ
নিঝুম শহর
কবিতায় নিশ্বাস।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবি নতূন কিছু লিখুন, এতো চুপচাপ কেন? কি ভাবছেন শোক নিয়ে বসে আছি? আমি শোক নিয়ে বসে থাকলে একসময় আমাকে নিয়েই শোকদিবস পালন করতে হবে। সেটা কি চাই? আশু জানে আমায়, ও চলে গেলো তাই শাস্তি দিচ্ছি ওটাকে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি স্বভাব কবি বলে কত কিছুই সুন্দর করে গোছাতে পারেন।
সবাই কবি নয়, কেউ কেউ কবি আপনার মত, ওই যে আজানুলম্বিত!
আমি কবি না, কোন কালেও না, এখনো না।
নীলাঞ্জনা নীলা
সে তো আমরা যারা পাঠক তারা জানি কে কবি আর কে নয়!
কবিতার ভক্ত হয়ে আছি, এখন বলছেন কবি কোনোকালেই ছিলেন না?
ছাইরাছ হেলাল
দেখবেন রজ্জু ভ্রমে সর্প উঠে না আসে। দায় নিতে পারব না।
নীলাঞ্জনা নীলা
কিসের দায় নিতে পারবেন শুনি! ;?
ছাইরাছ হেলাল
কোন দায় নেয়ার শক্তি-সামর্থ অবশিষ্ট নেই।
বুড়োদের যা হয় আরকি!
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ তাই বুঝি? তাহলে তো এমন আবেগীয় লেখা ঠিক না। দাদুদের মতো বুড়ো হলে প্রেমের কবিতা লিখলে রিস্ক বেশী কিন্তু। 😀
ছাইরাছ হেলাল
মাইরি বলছি, আপনার দাঁতগুলো সত্যি সত্যি সুন্দর,
দেখবেন ভুলে-ভালে যেন খুলে পড়ে না যায় বা বাসায় পানিতে ভিজিয়ে না রেখে আসেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ও মা কি করে জানলেন আমি দাঁত খুলে একদিন বাইরে চলে গিয়েছিলাম? ;?
😮
ছাইরাছ হেলাল
ছি ছি, এমন সুন্দর দাঁত নকল হতে যাবে কেন!
নীলাঞ্জনা নীলা
তবে জাপানে থাকার সময় আক্কেল দাঁত তুলতে গিয়ে যে দাঁতে ব্যথা সেটা না তুলে ডাক্তার অন্য আক্কেল দাঁতটা তুলে ফেলেছিলো। :D)
ব্যথা তো আর কমেনা ;( । ডাক্তার পরে স্যরি বলে কয়ে অন্যটা ফ্রীতে তুলে দিয়েছিলো। পরে যারা বন্ধু ছিলো বললো কেস করলে নাকি ভালো টাকা পেতাম। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
জাপান ও দেখছি নিরাপদ নয় দাঁতের জন্য।
আপনি বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার সিরিজ চালু করুণ।
নীলাঞ্জনা নীলা
সে আর বলতে!
অনেক কিছু ভুলে গেছি যে! মেঘে মেঘে বেলা কি কম হলো? তখন যদি জানতাম ২০১৪ সালে এসে সোনেলা ব্লগের সাথে দেখা হবে, তাহলে তো… 😀
ছাইরাছ হেলাল
সেই ভুলে যাওয়াই লিখে দিন।
আর সোনেলায় না এলে আপনার লেখাও আমরা পেতাম না।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক আছে লিখবো, কিন্তু তার বদলে আবৃত্তি। রাজি?
ছাইরাছ হেলাল
এবারের মত মাফ চাই দোয়াও চাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাহলে আমিও মাফ চাই। আমারও অহঙ্কার আছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বড় কবিদের অহংকার ভূষণ থাকতেই হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
এভাবে বললে এখন কিন্তু কান্না শুরু করবো ;(
আর আবৃত্তি দিতেই হবে, নইলে মন ভার করে রাখবো একবেলা। জিসান নানা জানে মনভার করলে আমার কি কি সমস্যা হয়। সেটা যদি চান, তাহলে কি আর!
বড়ো কবিদের এমনই বুঝি ফিরিয়ে দেয়া সাজে, তাহলে সেটাই বুঝে নেবো।
ছাইরাছ হেলাল
আমার নূতন লেখা পড়ে মন্তব্য দিন।
মন ভার ভালো হয়ে যাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো অহঙ্কার! 🙁
ছাইরাছ হেলাল
কার!! আপনার অহংকার তো চাই ই।
চালু থাকুক।
শুন্য শুন্যালয়
নাঁচ গান, টান, কত্থক,ওড়িশি বাঁ মনিপুরী যেমন পারুক নাঁচুক না। তা ঢোক মাদল খঞ্জনী হাতে তাল দেয়াও মন্দ হচ্ছেনা। কিংবা অই যে সেই বুড়োটা কেদারায় দোল খেতে খেতে পায়ের উপর হাত দিয়ে দিব্যি তাল ঠুকছে, মন্দ না, মন্দ না। বিরহের কথা কানের কাছে ভনভনিয়ে লাভ নেই, খুব জানি বিরহের গানও কেউ কেউ গায় আনন্দ দেবার জন্য কিংবা আনন্দ পেতে। ইদানিং কবিতারা, কবিকেও হার মানিয়ে যাচ্ছে। বুঝি বা না বুঝি দর্শকসারিতে বসে সিটি আমি মারবোই। নীল অঞ্জনের কবিতা বলে কথা, তার যাদুতে কবিতা গোষ্ঠে রওনা দিচ্ছে সবাই…
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা মন্দিরে এ কী কথা শুনি? বিরহের বেদনায়ই মন্দির মুখি হওয়া।
কবিতার দেখছি সংহার মূর্তি! রক্ত জিভ কেটে থমকে দাঁড়াও মা কালী কবিতা।
আশেপাশে শিব নাই বা থাকল।
সিট্টি আপনি বাজাতেই পারেন ইচ্ছে হলেই। তবে সাথে করে গোষ্ঠে না নিয়ে গেলেও রোড ম্যাপটি
দিলে দূরে দাঁড়িয়ে বুড়োর ঘোলা চৌক্ষে আপনাদের গোষ্ঠ মেলাটি দেখে জনম সার্থক করতাম।
ইমন
“কুড়িকুষ্ঠ হউক, হউক ওলাওঠা, সান্নিপাতি জ্বর হউক;
তবুও বেঁচে থাকুক কবিতারা কবিতার হৃদয় জুড়ে।
কবিতায় আশপাশ, কবিতায়ই বসবাস, কবিতায় শ্বাস–নিশ্বাস। ”
এইটা খুব ভালো হইছে। 🙂 -{@
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ছেন দেখে আনন্দিত আবারো।
মরুভূমির জলদস্যু
অসাধারণ আর খুবই কঠিন একটা লেখা। -{@ -{@ -{@
ছাইরাছ হেলাল
না, কোনভাবেই অসাধারণ নয়, তবে কঠিন মনে হতেই পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আজিম
বরাবরের মতোই শব্দের খেলা, মন দিয়ে পড়লে সুপাঠ্যও বটে।।
ছাইরাছ হেলাল
কী যে বলেন! কিছু শব্দ লিখেছি ঠিকই তবে সুপাঠ্য তা আমার মনে হয় না।
এটি যে ‘প্রতি’ লেখা।
গুনী মানুষ অনুগ্রহ করেছেন, পড়ছেন নিয়মিত, মুল্যবান সময় দিচ্ছেন, আর তো কিছুই চাওয়ার নেই।
মোঃ মজিবর রহমান
কবিরা করুক ভ্রমন এমন
ভাবের সাগরে দুবুক
কবিতা হোক কবির
এচ্ছে মত
ডানা মেলুক কবির ইচ্ছে মত
দারুন ।
ছাইরাছ হেলাল
কবিতারা এখন সেয়ানা, তাদের ইচ্ছেয় কবিরা লেখে।
ভাল থাকবেন।
স্বপ্ন
কবিতা হাসছে তাহলে 🙂 হাসুক আনন্দ নৃত্য করুক \|/
ছাইরাছ হেলাল
খালি হাসছে আর নৃত্য করছে না, রাধিকা সেজেছে।
খেয়ালী মেয়ে
ভিন্নধর্মী চমৎকার লেখা (y) –সেইসাথে চমৎকার সব কমেন্টস….. (y)
আধাঘন্টা পার হয়ে গেছে এই একটা পোস্টই পড়ছি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এটি আসলে নীলার লেখার ‘প্রতি’ লেখা বলতে পারেন।
এতক্ষণ ধরে পড়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
লীলাবতী
কবিতারা ঢোল বাদ্য বাজায় না?বাদ্যের তালে তালে কিছুক্ষন নাচা নাচি করতাম এভাবে \|/ কুড়িকুষ্ঠ ওলাওঠা ভালোই তো অভিশাপ দিতে পারেন আজকাল 🙂 আমিও কবিতা হবো (y)
ছাইরাছ হেলাল
এদের পাল্লায় পড়লে অভিশাপ তো ভাল আপনি হলে ওদের মাথার চুল একটি একটি করে তুলে
ফেলতেন। আপনি কবিতা হলে সব ভত্তা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার অহঙ্কার না, আপনার। তাইতো এভাবে আবৃত্তি করার আবদার ফিরিয়ে দিচ্ছেন 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনার অহংকার ভালই লাগে। কবিদের তা থাকতেই হয়।
আমি শিমুল মুস্তফা নই। তাই কিছুই ফেরাচ্ছি না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও ক্যামেলিয়া নই, তাও আবৃত্তি করি। এতো বেশী অহঙ্কার কেন করছেন গো হেলাল ভাই? 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনার আবৃত্তি চাই ই।
আমি শুধু নিরব কথাবলায় কথা বলতে পারি সামনাসামনি হলেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
কত্তো শখ!
বসে থাকুন। ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি!
এবার দেখবেন।
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁদের ফাঁদটুকুই শুধু দেখতে চাই।
ভয় পাচ্ছি, খুপ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার ভয় কিসের? অর্জুন তো সাহসী বীর।
মেহজাবিন-চিত্রাঙ্গদা আছে দু’পাশে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
সেন্সোডাইন পাল্টে কয়লা ব্রান্ড ধরুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
সাপ্লাই দিন এদিকে।
এও শুনেছি পেয়ারা খেলেও নাকি দাঁত পরিষ্কার থাকে?
পেয়ারার হাটে যাওয়া হলে আপনিও খেয়ে দেখেন। :D)
দাঁত না দেখিয়ে এবার হাসবো প্রাণ খুলে। :D)
ছাইরাছ হেলাল
না, মানে আপনার লাগান দাঁত আবার খুলে পড়ে ফোকলা দাঁতি হয়ে না জান।
নীলাঞ্জনা নীলা
দাঁত আর খুলে পড়বে না। এমন গাম লাগানো হয়েছে, হাড়-গোড় ভেঙ্গে যাবে, তবু দাঁতের কিচ্ছু হবেনা। পেয়ারা বাগানে তবুও যাবো, আপনার জন্যে পেয়ারা কিনতে। যাতে আপনার দাঁতও সুন্দর হয়। ঠিক এমন 😀
মেহেরী তাজ
আমি তো কিচ্চু বুঝলাম না। ঠিক আছে বেপার নয় পরে আবার একবার পড়ে নেবো। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, পরে পড়ে নিলেই সব বুঝতে পারবেন।
মিথুন
এ বয়সেও এমন কবিতে লিখে নাঁচিয়ে দিলেন। আপনাকে না হয় বিরিহের ফেউ লাগাবো না, কিন্তু আমাদের অর্থোপেডিকের খরচ কে দেবে শুনি? জানিনা কবে এমনি করে কবিতা লিখবো, এলকোহলিকের মতো ঝিমুনি ছেড়ে শোরগোল পাকাবো
ছাইরাছ হেলাল
বয়স কোন বাঁধা না, নাচতে অ নাচাতে জানলে, অবশ্য আমি পারিনি। বিরহের কথা বললে সেই গান মনে মনে
গেয়ে উঠব……বিরহ বড় ভালো লাগে। আপনি এর থেকে অনেক ভালো লেখেন,আরও বেশি ভাল লিখবেন
বেশি বেশি রাগ উঠলে। এ্যালকোহলে আপনার ঝুমুনি হবে না, তবে সেটি শোরগোলে কাজে লাগবে।
আমার আনন্দ হচ্ছে কবিতার নূতন দিগন্ত খুলে গেল বলে।
রাগ=কবিতা, বেশি রাগ=ভালো কবিতা, বেশি বেশি রাগ= দারুণ সব কবিতা।
রাগের পারদ চড়ুক, দারুণ কিছু আসুক
মিথুন
রাগ বাড়িয়ে দেবার প্রজেক্ট হাতে নিয়ে নিন তবে, নাকি নিয়ে নিয়েছেন অলরেডি?
ছাইরাছ হেলাল
ছি,ছি ভাইয়া,
আপনাকে রাগানোর সাহস কই পাই, অবশ্য ধার(অফেরৎ যোগ্য) দিলে মন্দ হয় না।
মিথুন
রাগ করতে জানিনা আমি, চুপচাপ বলে নাকি একটা শব্দ আছে, মলমের কাজ করে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি টোট্কা ও জানেন দেখছি।
মিথুন
নিজেকে বাঁচানো সবাইকেই জানতে হয়।
ছাইরাছ হেলাল
রাগ কমেছে বুজলাম।
কিন্তু লেখাদের কী হবে কে জানে?
নীতেশ বড়ুয়া
কবিতা তুমি কার! কবির নাকি প্রেয়সীর ঠোঁটে প্রেমিকের মুগ্ধ চাহনি!
বাদ্য যন্ত্রে, ছন্দে নৃত্যে কবিতা সাজে মনোহরী লাজে,
আদি হতে অনাদিতে, মরু হতে পলিতে,
কবিতা শুধু মনের শব্দের…হেলাল ভাইয়ার বর্ণনার!
:p 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমার লেখায় নীতেশের করা এটি শ্রেষ্ঠ মন্তব্য ।
ভালোই লাগল।
অরুনি মায়া
ইদানিং এর কবিতারা কেমন যেন খাপছাড়া
ইচ্ছে খুশির মন গড়া,,,
ছাইরাছ হেলাল
ভালো ভালো
এ খুশির আনন্দ,
পুরনো লেখারা
পাচ্ছে ছন্দ।
অরুনি মায়া
যা দেখি নতুন লাগে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
সব সয়ে সয়ে পুরানোর গন্ধ বিলাবে।