পিছু নেয় সারাক্ষণ,
সামনা-ও নেয়, ছোঁয়া-ছোঁয়া না-ছোঁয়া-ছোঁয়া ভাবে,
টুপ-টাপ খুট-খাট গুট-গাট ফিক-ফিক খিল-খিল
তিড়িং-বিড়িং হি-হি হা-হা ও হয়, টের পাই।
আমাকে কেন্দ্রে ফেলে চক্রাকারে ঘোরে অশরীরিণী/অশরীরীরা,
লম্বা-লম্বি আড়া-আড়ি উলম্ব-আয়তাকার-বর্গাকার
জ্যামিতিক-অজ্যামিতিক নক্সায়;
ভয়-ও দেখায় কৌণিক-তির্যক-তিরিক্ষি-অতীক্ষ্ণতায়,
শিরশিরানি হয়;
অষ্ট প্রহর নয় ষোল/চব্বিশ প্রহর জুড়ে পিছু নেয়,
শয়নে-স্বপনে তন্দ্রা-জাগরণে, প্রার্থনায়-ও,
ঘাড় মটকানো বা চুমা চাট্টি দেয়নি
দেবে-না তাও জানা যায়-নি।
অনন্যোপায় রাত-দিনের মাঝে ফাঁদ পাতলাম, সুগভীর কঠিন ফাঁদ,
রাতের শেষ-প্রহরে দেখি পেট-পুড়ে চেটেপুটে ফাঁদ খেয়ে ফেলে
আমাকেই চোখ পাকাচ্ছে!! চোখ মারছে! মনের গোপন নিয়েছে চিনে;
মিষ্টি একটা ডাইনী-গন্ধ দেখছে আমাকে ঘিরে!!
ভয়ে-ভয়ে ভয় পাওয়ার কথা ভাবলাম,
কিছু বিচিত্র উপায়ে বীর-বীর ভাব দেখানোর চেষ্টা করে
বিফলের তেতো স্বাধ খেলাম;
কালি-বিহীন সবুজ কলম ও পৃষ্ঠা-বিহীন মনোহর
খাতা ছুঁড়ে দিয়ে বলে ‘ন্যাখো’ এবং ‘ন্যাখো’,
‘নিখে নিখে’ তাবৎ ব্রহ্মাণ্ড ঢেকে ফ্যালো;
সোনেলা-ফোনেলা কিচ্ছু না,
না ‘নিখলে’ চাঁদ-সূর্য কাজ-কাম গুটিয়ে কাঁদতে বসে যাবে!!
কাঁদা-কাঁটার-কাঁপন শেষে মটকা মেরে পড়ে থাকবে!
এমন কথা শুনে-টুনে চোখের-হৃদয় চড়কে না উঠে
বেহেড-হদ্দ-বুড়ো তালগাছের মাথায় চড়ে বসে!!
ভাবছি এবারে ছায়া-অশরীরী বেশে, সবার ঘাড় মটকে
হৃদ-সুধায় মাতাল হবো রক্ত-পানে।
২২টি মন্তব্য
মায়াবতী
ও মা গো, ঘাড় মটকাতে হলে তো কবি কে ও আশরির হতে হবে যে ! (-3
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছু হতে রাজি আছি যদি তাদের দেখা পাই।
মৌনতা রিতু
মানে কি!
দুই দিন হলো দৌড়াদৌড়ির মধ্যে আমার মাথা ঠিক নাই এমনিতেই। রংপুর কুড়িগ্রাম করতে করতে গরমে জীবন প্রায় ওষ্টগত। তার উপর বিদ্যুৎ মামু কোনো কথা না বলে চার পাঁচ ঘন্টা নাই হয়ে যায়।
এখানেও কেউ বলে ঘাড় মটকানোর জন্য রেডি! যামু তো যামু কৈ?
তা ভূত প্রেত এদিকে কিছু পাঠালেই হয়। নিজেরও কিছু প্রতিশোধ আছে দিমু ভূতটারে ওদিকে পাঠায়া। আফনের হাত পা ধরি দেন না পাঠায়া, প্লিজ লাগে।
ছাইরাছ হেলাল
আগে একটু রেস্ট নিন, তারপর কিছু একটা পাঠানো যাবে,
তবে হ্যাপা সামলাতে পারবেন তো!!
মৌনতা রিতু
পারব বৈ কি! দিন না পাঠায়ে। এখন কিন্তু শান্ত। তা কিছু লেখমেখা ধার দেন না, প্লিজ লাগে।
ছাইরাছ হেলাল
মুখে মুখে শান্ত বলছেন বটে, কাজে কর্মে তো ভরসা পাচ্ছি না!
কী বলছেন ধার! সে আবার হয় নাকি!
স্বজনকে কেউ ধারে রাখে নাকি!
আমি বলি
কী লেখা চান, এবারে সাফ সাফ বলে ফেলুন দেখি,
এক্ষুণি কি লিখে দিতে হবে! তাতেও আছি রাজি,
অথবা পরে বা একটু পরে বা আরও পরে
তাতেও অ-রাজির কিছু দেখছি নাতো আজি;
লেখারা গেছে লটকন বনে,
বমাল গ্রেফতার করুন
কান ধরে ধরে,
খাওয়া না-খাওয়া লটকনের হিসাব
মিষ্টি কিংবা টক
বুঝিয়ে দিন এক্ষুণি, এখানে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
এই মন্তব্য আসলটা না।
এটা হলো শাঁকচুন্নী জানান দিতে এসেছে যে, তার কাছে সবগুলো ভুত-পেত্নী-ডাইনীর আশ্রয়। তাদেরকে পেতে চাইলে সঠিক দাম তো দিতেই হবে৷
হাহাহাহাহোহোহোহোহিহিহিহিহুহুহুহু 😀 :D)
ছাইরাছ হেলাল
ওরে বাবা, এতো সাক্ষাৎ শাঁকচুন্নি!!
ভাই, এগুলো ফিরিয়ে নিন, প্লিজ!
ধুর কৈ কৈ থাহেন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
তাকে টেনে নিয়ে যায় শ্যাওড়াতলার বুনো পুকুরের দৈত্য
রাজকন্যার হিম হয়ে যাওয়া শরীর মৃত্যুর ঘ্রাণে মাখামাখি হয়ে পড়ে থাকে সোনার পালঙ্কে
শেষ হয় একটি অধ্যায়ের।
ঝিমিয়ে থাকা ভুত-প্রেত, ডাইনি-শাঁকচুন্নীদের উৎসব শুরু হয় নতুনভাবে।
ছাইরাছ হেলাল
এই এমন উৎসবে অধমের দিকে খিয়াল রাইখেন!!
মড়ার ভাল করে পড়ে থেকে রাজকন্যা রেহাই পাবে না।
নিতাই বাবু
সবার ঘাড় মটকাতে পারবেন দাদা। তবে আপনাকে মরে ভূত হতে হবে। আপনি কি মরে ভূত হতে চান? নাকি চিরস্থায়ীভাবে স্বর্গবাসী হতে চান?
লেখাটা কিন্তু খুব ভালো লেগেছে দাদা। আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো স্বর্গেই আছি/থাকিও।
ঢু দেই মাঝে-মধ্যে এখানে।
পড়ার জন্য অনেক ভালোবাসা।
মোঃ মজিবর রহমান
ঘাড় মটকানো, ভয়ডর করে, আবার চুম্মা চুমির আশাও করেন সাহস বেড়েই গেছে দেখছি। যদিও চুম্মার ব্যাপারে আশ্বাস মেলেনি।
পা লা ন………। শাকচুন্নি আসছে।
ছাইরাছ হেলাল
সোনেলার সোনারা থাকতে ভয়ের কিচ্ছু নেই;
প্রহেলিকা
ডর দেখাইলেন মনে হচ্ছে, ডরকে ডরায় না কেউ কেউ!
আসল কথা হলো অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম, অনকদিন বলতে অনেকদিন। গ্রামের ভাঙ্গা সাঁকো এতদিনে কালভার্ট হয়ে গ্যাছে!
ছাইরাছ হেলাল
যা দিনকাল তাতে আর কে কাকে ডরে রেখে ডর দেখায়!!
সে সব দিন কী আর আছে!
নকল নয় আসলই বলে ফেলি আপনাকে তো সব সময়ই দেখি!!
(কে যে কাকে অনেক দিন দেখায় কে জানে)
ভাঙ্গা সাঁকো থেকে আস্ত সাঁকো, তা থেকে কালভার্ট,
সেই কালভার্ট মিশেছে হাই-ওয়েতে,
হাই-ওয়ে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম অব্দি!!
প্রহেলিকা
কিভাবে দেখেন কে জানে!! আমিতো দেখি না, দেখিনি। কই ঘাপটি মেরে ছিলেন কে জানে!
শান ফান ভালোই দিয়েছেন লেখায় তা বুঝা যাচ্ছে। ধ্যান ধ্যুনের কারনেই অশরীরীর সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ট থেকে ঘনিষ্টতর হয়েছে। একদম যেন দুধ থেকে মাখন!
ছাইরাছ হেলাল
জংধরা যন্ত্রে শান-ফান দেয়া না দেয়া একই ব্যাপার।
এতদিন পরে খালি হাতে এলেন ভাবাই যায় না!!
অবশ্য ঘি আমাদের সহ্য হবে এমন আশ্বাস দিচ্ছি।
জিসান শা ইকরাম
আপনার অবস্থা তো সুবিধার মনে হইতাছেনা, আপনারে ভুত প্রেতে ধরছে মনে হয়, আপনার এখানে আমাদের পেয়ে আমাদের আবার না ধরে।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক ধরেছেন অবস্থা বেসুবিধার না,
তবে এ পয়মন্ত ভুত সবাই পায় না
সবাইকে ধরেও না।
নায়িমা জাহান
ব্যতিক্রমী লেখা, ভালো লাগলো
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কত কিছুইনা লিখি!!