আয়শার সংসার (১ম পর্ব) ———————— গত এক সপ্তাহ ধরে মিসেস আয়শা ইসলাম তার দু’চোখের পাতা এক মুহুর্তের জন্যেও এক করতে পারেন নি । বাজার -হাট করা , ঘর গুছানো , গহনার দোকানে কিছু গহনা বানাতে দেয়া , অন্তরার জন্য তার গায়ের মাপ নিয়ে টেইলার্সে ব্লাউজ বানাতে দেয়া এসবই একলা নিজের হাতে সামাল দিতে হচ্ছে তাকে । আয়শার স্বামী নওশাদ ইসলাম তার চাকুরী জীবন থেকে ইস্তফা নেয়ার আরো বহু আগে থেকেই তিনি তার সংসার জীবন থেকে ইস্তফা নিয়ে কবিতার বইয়ে মুখ গুজেছিলেন । আয়শা যেদিন থেকে নওশাদ সাহেবের জীবনে এলেন সেদিন থেকেই একরকম নিশ্চিন্তে নওশাদ সাহেব তার এবং তার পরিবারের এবং সেই সাথে তার- আয়শার নতুন সংসারের সমস্ত দায়- দায়ীত্ব একা আয়শার উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজে বেছে নিয়েছিলেন তার কর্ম-জীবন আর তার সাহিত্যের স্বপ্নীল জগৎকে । আয়শা শিক্ষিতা বুদ্ধিমতি মেয়ে । তাই তার স্বামীর দেয়া দায়ীত্ব মাথা পেতে বরণ করে নিয়েছিলেন বিয়ের রাতেই । তারপর থেকে অনেক কষ্টই করতে হয়েছে আয়শাকে তার সংসার জীবনে । আয়শার এখনো স্পষ্ট মনে আছে , তার আর নওশাদের বিয়ের কাহিনী । আয়শা- নওশাদ পরষ্পর পরষ্পরকে অসম্ভব ভালবাসতো । প্রেম- ভালবাসায় যেমন মধুরতা থাকে তেমনি মাঝে মাঝে সেই প্রেমে এক পেয়ালা বিষাদও আপনা আপনিই চলে আসে । তবে মজার ব্যাপার হলো আয়শা- নওশাদের প্রেমের সম্পর্কটা ছিল একেবারে ভিন্ন । নওশাদ ছিল শান্ত- শিষ্ট অমায়িক স্বভাবের আর সেই সাথে প্রচন্ড ধৈর্যশীল একটা ছেলে । এদিকে আয়শা ছিল প্রচন্ড আবেগী আর অস্থির স্বভাবের মেয়ে । তার চরিত্রে ধৈর্যের ‘ধ’ টুকু পর্যন্ত ছিল না । তবুও আয়শা-নওশাদের দীর্ঘ ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্কে কখনো তিলকের ফোটাটি পর্যন্ত পরতে দেন নি আয়শা- নওশাদ দুজনে । আয়শা সবসময় নওশাদকে একটা কথাই বলতো , ” নওশাদ! আমি যেমনই হইনা কেন? তুমি এ কথাটি জেনো , আমি শুধু তোমারই , শুধু তোমার ।” নওশাদ এক গাল হাসি দিয়ে আয়শাকে বলতো , ” আমি সব জানি আয়শা! আমার প্রতি তোমার ভালোবাসায় কোন খাদ নেই । নিখাদ ভালোবাসা আমার প্রতি তোমার । ” চলবে ….. ছবিঃ- ফটোগ্রাফার হাসান কামরুল চৌধুরী
২১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
দেখি কে কাকে কোথায় নিয়ে যায়, আয়শা-নওশাদ।
মুক্তা মৃণালিনী
অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া।
মোহাম্মদ দিদার
বিশ্বাস হলো সম্পর্কের মুল ঢোর।
যেখানে দুজনার প্রতি দুজনার বিশ্বাস নেই সে সম্পর্ক টিকেনা।
আয়শা নওশাদের বিশ্বাস অটুট, পরের পর্বে কি হবে অনিশ্চিত।
নেক্স….
মুক্তা মৃণালিনী
অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া। আশা করি গল্পের পরের পর্বেও ভাল কিছু ঘটবে।
এস.জেড বাবু
নওশাদ ছিল শান্ত- শিষ্ট অমায়িক স্বভাবের আর সেই সাথে প্রচন্ড ধৈর্যশীল একটা ছেলে ।
এমন ছেলেদের ও প্রেম হয় ?
জানতে ইচ্ছে করছে-
অপেক্ষায় আছি
হালিম নজরুল
এমন ধৈর্য্যশীল নায়ক আর লক্ষ্মী নায়িকার প্রেমেরে মধুময় সমাপ্তিই প্রত্যাশিত।তবে লেখিকা গল্পের মোড় কখন কোনদিকে ঘুরায়ে সেটিই দেখার বিষয়।
মুক্তা মৃণালিনী
আপনি ঠিকই বলেছেন এমন ধৈর্য্যশীল নায়ক আর লক্ষ্মী নায়িকার প্রেমেরে মধুময় সমাপ্তিই প্রত্যাশিত। তবে দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ঘটে। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া।
হালিম নজরুল
লেখক গল্পের মোড় ঘুরিয়েও দিতে পারেন
জিসান শা ইকরাম
প্রেমে বিশ্বাসটাই আসল,
বিশ্বাস না থাকলে সেই প্রেম টিকবে না।
আয়শার পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
ছবিটা সাদাকালো এবং অর্ধেক দেয়া, একারনে দারুন লাগছে ছবিটা।
শুভ কামনা।
মুক্তা মৃণালিনী
ধন্যবাদ দাদা তোমার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ইঞ্জা
আমার খুব ভালো লাগে, যখন দেখি আমার বোন লেখা দিচ্ছে, খুব প্রাউড ফিল করি লেখার মান দেখে, এমন লেখা আমিও তো পারিনা কিন্তু আমার প্রিয় বোনটি পারে, কাসফিতা আপু কেন লিখছেনা, ও খুব ভালো লেখে, ওকে বলবেন দুদিনের মধ্যেই লেখা দিতে, খুশি হবো।
চমৎকার প্লট নিয়ে লিখছেন আপু, যাকে বলে সুনির্মিত, লিখে যান আপু, সাথে আছি। 😊
মুক্তা মৃণালিনী
অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া। আমিও ভিষণ প্রাউড ফিল করি যখন দেখি আমার এই প্রিয় ভাইয়াটা আমার কোন গল্প পড়েছে। ভিষণ আনন্দ অনুভব করি ভাইয়ার থেকে অনুপ্রেরণা পেলে…
ইঞ্জা
২য় টা সময়ের অভাবে পড়তে পারিনি আপু, দ্রুতই পড়বো।
আরজু মুক্তা
দেখি বিশ্বাস কোথায় গিয়ে বাসা বাঁধে।
মুক্তা মৃণালিনী
অশেষ ধন্যবাদ আপুমনি❤…
শামীম চৌধুরী
পরের পর্ব পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি। জলদি পড়ার সুযোগ করে দিন আপু।
মুক্তা মৃণালিনী
অশেষ ধন্যবাদ ও শুকরিয়া ভাইয়া। এর পরের পর্ব খুব শিঘ্রই পাবেন আশা করছি…
রাফি আরাফাত
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলো। দেখি সামনে কি হয়। আগ্রহী অনেক জানার জন্য।
ভালো থাকবেন
মুক্তা মৃণালিনী
অশেষ ধন্যবাদ ভাই। শীঘ্রই পাবেন এর পরের পর্ব আশা করছি…
শিরিন হক
ছবি গল্প শিরোনাম চমৎকার পরের পর্বের জন্য রইলাম
বিশ্বাসের জানালা খুলে রাখুন পাশে আছি
মুক্তা মৃণালিনী
অশেষ ধন্যবাদ ও শুকরিয়া আপুমনি❤