বিঘত আনন্দে নাচছে প্রজাপতি কথারা, এ ফুল থেকে ও ফুলে
ফুলেদের কপালে টিপ পড়াতে পড়াতে ত্রস্ত হাতে পরম মমতায়
শরীরের নকশীকাঁথা।
মাঝে মধ্যে আমিও লিপ্ত হই লিপ্ত থাকি বেশুমার আনন্দ চিত্তে;
হাওয়ায় দোলে সুরভিত বনফুল, অলীক সুরভি কিনা ভেবে দেখিনি
নৈমিত্তিক কাজ ফেলে মেঘেরাও সঙ্গ দিয়েছে দিনান্তের বার-বেলায়
স্বজন বন্ধু সাথে থাকে সাথে রাখে ব্যক্তিগত পোশাকে।
সময়ের গ্রীবায় ধুলো জমে, ধূসর অস্পষ্টতা খুঁটে খুঁটে খায়
সঞ্চয়ের মনি-মুক্তো, সোমত্ত সুন্দর এড়িয়ে।
সোনা বিকেলে একা হতে চাই, গাছেদের ছায়ার রগড়,
বিশ্বস্ত নটীর দীঘল দিগন্ত মাড়িয়ে একাই একা হতে চাই।
প্রাতরাশ সাজিয়েছে সকাল ধোঁয়া ওঠা কফির সুগন্ধ ছড়িয়ে,
স্ট্রবেরির তাজা সুবাতাস টানে না আর।
প্রাণপ্রতিশোধক নির্যাসে, প্রতি মুহূর্তের আয়নাবিদ্ধ চুপিচাপি আত্মহত্যায়,
প্রতি মুহূর্তের বিশ্বাস-অবিশ্বাস নির্বিশেষে রাত্রি তোমাকেই চাই
এই সোনা রং বিকেলেই।
হে নিশ্চুপ স্মৃতির মানমন্দির,
ওঁষ্ঠে তোমার ওষ্ঠ ছুঁইয়ে বলি ভ্রূণ হত্যা যদি পাপ হয়,
উষ্ণ সলজ্জ ইচ্ছে হত্যার দায় তো নিতেই হবে, হে দেবী।
সিদ্ধার্থ ঘর ছেড়েছিল এক দারুণ পূর্ণিমায়,
কত শত মহা-পূর্ণিমা এলো গেলো, ঘর তো ছাড়া হল না,
৩৩টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
সে ঘর আর ছাড়া হবেনা যে ঘর বেঁধেছে কবির মন
কবি একা হতে চায় খানিক সুখে সোনা ঝরা বিকেলের রোদ চোখে মুখে মেখে গাছের ছায়ায় শীতল হতে চায়
কিন্তু তবুও কবি বারে বারে ফিরে যায় যেখানে অপেক্ষায় রয় তার প্রাণের সজন
ছাইরাছ হেলাল
এই যে মন দিয়ে শুনুন,
এই লেখায় হাতের কড় গুনে গুনে দশ-দশটি মন্তব্য করবেন।
আজই।
আপনি আমাকে আজ সত্যি বিস্মিত করলেন।
আপনার মন্তব্য করা দেখে নূতন করে শিখতে হবে ভাবছি।
এত পেকে গেলেন কখন!!
অরুনি মায়া
আমায় এমন শাস্তি দিতে পারলেন!!! কবিদের মনে মায়া দয়াদয়া নেই নাকি ;(
অরুনি মায়া
মন্তব্য নম্বর তিন,
আটকে গেছি আমি কবির গড়া ফাঁদে
মন্তব্যের মায়াজালে অরুনি মায়া কাঁদে,,,,,
;(
ছাইরাছ হেলাল
এতো ভালো লেখেন কেন?
এখন শেখানোর দায় তো নিতেই হবে।
অরুনি মায়া
কবি লেখেন অতি কঠিন, ভাবেন আরও জটিল
আমি মায়া সাদাসিদে বুঝিনা তাহার তামিল (ভাষা) :p
অরুনি মায়া
এক দুই তিন চার পাঁচ, একে একে পাঁচ টা হল
আরও পাঁচ টা বাকি রয়ে গেল
মাথা আমার এলোমেলো
কবি ভাই আমার মাথায় পানি ঢালো ;(
অরুনি মায়া
ছয় টা তো হয়ে গেল আর বেশি বাকি নাই।
কি শান্তি রে বাবা,,,,, \|/
ছাইরাছ হেলাল
রেস্ট নিন, তবে পাওনা কিন্তু থাকলই।
শুধু পানিতে তো হবে বলে মনে হয় না ভাই।
মহা ভৃঙ্গরাজ বা জবা কুসুম বা কদুর তৈল লাগবে মনে হয়।
চিন্তাইয়েন না।
পৌছে যাবে যথা সময়ে।
অরুনি মায়া
হা হা হা আমি ইতিমধ্যে ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে মাথায় ধরেছি। আপনার লেখা পড়ার আগে আমি ঠান্ডা পানি খেয়ে নেই। আর মন্তব্য ঠিক মত করতে পারলে আটকে রাখা নিশ্বাস মুক্ত করে দেই,, 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কই আর করবেন, শেখানোর এ হ্যাপা তো নিতেই হবে।
শ্বাস এখন আর আটকে নেই দেখতে পাচ্ছি।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাই এত কাব্যিক প্রান জোড়ান
শব্দ যে কিভাবে বোনেন এক সৃষ্টিকর্তায় জানেন।
আপনার মাঝে ডুবতে ইচ্ছে জাগে কিন্তু ভার্চুয়াল এই জগত ছেড়ে
পালাতে পারিনা
হাভাগা জীবন সংসার টারায়ে বেড়ায় আমায়।
অনেক কষ্ট করে আছি হেথায় আপনাদের টানে।।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আপনার লগে একবার চা খামুই, যদি অনুমতি দেন।
অনিকেত নন্দিনী
বটে! পূর্ণিমার প্রবল ছায়া দেখতে পাচ্ছি। রাতের মায়াবী সীমানা ছাড়িয়ে পূর্ণিমা এখন হন্তারক হবার প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে নাকি? আত্মহত্যা, ভ্রুণহত্যা আর সলজ্জ ইচ্ছে হত্যাও আছে তালিকায়। 😮
ছাইরাছ হেলাল
আপনার চোখ এড়ানোর চেষ্টা নেয়ার উপায় নেই।
কিছু হাতছানি তো থাকেই, পূর্নিমা বলে কথা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
ঘর কি আসলে বেঁধেছি কেউ যে ছাড়া হবে?
ছাইরাছ হেলাল
বেশ দার্শনিক প্রশ্ন।
আমাদের প্রথম ভাবতে হবে ‘ঘর’ কী? এরপর ভাবতে হবে ‘ঘর বাঁধা’ কী?
তাহলেই আমাদের ধারনা হবে ‘ছাড়া’ কী?
অরুনি মায়া
আসলেই তো। ঘর বলে কিছু নেই শুধু আছে কিছু
মায়া,,,, ঘর কেউ বাঁধেনা শুধু মায়ার ফাঁদে বন্দী হয়ে যায়,,,,
গৃহ ত্যাগের ইচ্ছে জীবনে সবার ই কোননা কোন সময়ে একবার হলেও জাগে।
কিন্তু নিষ্ঠুর মায়া সে ইচ্ছের মুখে ছাই ঢেলে দেয়,,,,
ছাইরাছ হেলাল
ইস, ছাই যদি কোন খাওয়ার কিছু হতো ছাই মুখেই বনবাস করা যেত।
জিসান শা ইকরাম
গৃহ ত্যাগের ইচ্ছে আমার জীবনভর।
ছাইরাছ হেলাল
এ বিবাগী ভাবনা আমরা অন্তরে লালন করি ই।
জিসান শা ইকরাম
আপনি কি ভুলে গিয়েছেন আমার সাবজেক্ট ছিলো দর্শন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এ ভুলে যাওয়ার বিষয় নয়।
মেহেরী তাজ
আরো মন্তব্য জমা হোক তারপর নাহয় আমার আসল মন্তব্য দেবো।!!!
দৌড়ে পালাই,পরে আসবো আবার……
ছাইরাছ হেলাল
এলেই হবে। এখন পালালে সমস্যা নেই।
ব্লগার সজীব
হে নিশ্চুপ স্মৃতির মানমন্দির,
ওঁষ্ঠে তোমার ওষ্ঠ ছুঁইয়ে বলি ভ্রূণ হত্যা যদি পাপ হয়,
উষ্ণ সলজ্জ ইচ্ছে হত্যার দায় তো নিতেই হবে, হে দেবী।——— গেঁথে গেলো মনে কবি ভাইয়া 🙂
প্রকাশ করতে পারবো না,কতটা ভালো লেগেছে লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
বেশি গেঁথে গেলে আবার সমস্যা হতে পারে।
এ লাইনকটি কিন্তু সুবিধার নয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো প্রেম ভালো নয়,
ফুলের গন্ধে ভরে যাবে চারপাশ।
পায়রা হয়ে যাবার ইচ্ছেটা মোটেই সুবিধের নয়
মানবীয় স্পন্দন পাখীর থেকে ডানা ধার নিয়ে ওড়ার যে পাঁয়তারা করছে
ঠিক নয়, মোটেই ঠিক নয়।
ভোরের পথে সোনা রঙ বিকেল দিয়ে সাজানো,
প্রকৃতির খেলাকে উল্টে দিয়ে পাশায় জিতে যাওয়া,
উহু ঠিক নয়।
ইচ্ছেমতো উড়তে চাওয়া,
অক্ষর সাজিয়ে ভাবতে যাওয়া
মন্দ হলেও যদিও মন্দ নয়।
এও ভাবে হয়তো ভাবনা,
একটু মন্দ হলেও কি এসে যায়!
একটি কবিতা তো হয়, নাকি! ——————-“ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগলো যে দোল! স্থলে, জলে, বনতলে লাগলো যে দোল।” আপনার লেখা পড়ে প্রথমেই এই গানটি মনে এলো। আর ওই যে লেখাটা সেও আজকেরই। বেশ লিখেছেন, কেন জানি বিরাগী বেশ নিতে ইচ্ছে করছে। মন ছোঁয়া লেখা নয় শুধু, আত্মার গভীর থেকে উঠে আসা লাগছে। তাই অনুভব করলাম গভীর মগ্নতায়। (y) -{@
ছাইরাছ হেলাল
বড় মানুষের বড় ভাবনা, তেমন করেই প্রকাশ পায়।
আপনার এ মন্তব্যের উত্তর দিতে অপরাগ, তাও বলছি প্রকৃতির নিয়ম মেনেই মানুষ মানুষের চিরন্তন সম্পর্কটি
তৈরি হয়, সেই অকৃত্রিম নিয়মের নিয়মটি আমাদের জানা থাকে না, ইচ্ছে হলে জানতেও পারি না।
তাই কী কখন কোথায় কীভাবে ভাল না মন্দের দ্বন্দ্বে আমরা জড়াই নিজের অজান্তেই।
ভালোবাসা নিজ নিয়মেই বেঁচে থাকে, আমরাই তা বাঁচিয়ে রাখি।
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
শুন্য শুন্যালয়
এই প্রথমবার নিজেকে মেলে ধরলেন। লেখাটিতে আপনাকে দেখা যায়। রাত্রি তো আপনার ছিলো বলেই জানি, তবে এমন হাহাকার করে ডাকাডাকি কেন? না বাপু আমরা কেউ রাত্রি নিয়ে লিখতে যাবোনা। রাত্রি ভয় পাই।
আমরা ইচ্ছেগুলো সবসময় একটু উপর তলায় রাখতে পছন্দ করি, কেন জানেন? কারণ আমরা চাইনা তা পূরন হোক। পূরন হয়ে গেলেই তো শেষ, ওপাড়ে আর কিচ্ছু নেই। তা আপনাদের দেব দেবীদের ব্যাপার স্যাপার বুঝিনা, এক্কেবারে দেবী বরাবর খুনের অভিযোগ, বাপরে!
মন কি খ্রাপ নাকি ভাউ? এতো কেন্দে কেঁটে লিখেছেন কেনো? দেখলাম যে।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ, এটিতে মন খারাপের সুর তেমন বেজে ওঠেনি, তবে বৈরাগ্যের সুবাতাস বয়ে গেছে।
ইচ্ছাপূরণস্বপ্ন স্বপ্নেই থেকে যায় অলীক হাতছানিতে। নিজেকে দেখাতে পেরেছি কিন তা জানিনা,
আপনার দেখার চোখ কত কিছুই না দেখে, দেখুক। দেবীর রক্ত খেকো হয়ই।
ভাউ, লেখা দেননি কিন্তু ম্যালা দিন!
লীলাবতী
ঘর ছাড়ার জন্য পূর্নিমা কেন লাগে? অমাবশ্যা না কেন? ;?
ছাইরাছ হেলাল
ফকফকা পূর্নিমা না হলে হয় নাকি? শেষে ঘাট-পথ ভুলে কেলেংকারী হোক আরকি।
ঘোর অন্ধকারে বেমক্কা ধাক্কাধাক্কি লেগে ইজ্জত খুইয়ে ফেলার চান্স কুড়ি আনাই বিদ্যমান।
ঝুঁকি নেয়ার অযথা দরকারটা কিসের!
অতএব পূর্ণিমাই বহাল রইলো।