” পাখি আমার খুবই প্রিয়। সবারই আসলে পাখি প্রিয়। দিন শেষে নীড়ে ফেরে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি। যে কোনো পাখিই আমার অনেক প্রিয়। তাদের সম্পর্কে জানার আগ্রহও অনেক।
আমার নানার বাড়ি সুন্দরবনের কোলঘেসে মংলা পোর্টে। সন্ধের আগে পাখিদের নীড়ে ফেরার তাড়া থাকে। আমার এক খালামনির বাসা মংলা পশুর নদীর পাড়েই। খালামনির বাসার ছাদ থেকে ঝাঁক ঝাঁক পাখি দেখা যায়। দূরে হালকাভাবে সুন্দরবনের গাছগুলো দেখা যায়। পাখিগুলো সুন্দরবনের দিকে যাচ্ছে আসলে। খালামনি বলল এ পাখিগুলো সব সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছে থাকে।
গোলপাতা, কেওড়া, সুন্দরী ইত্যাদি গাছে।
মংলা জয়মনি গোল নামে একটি জায়গা আছে। মোংলা শহর থেকে পাকা রাস্তা হয়েছে ওখানে যাবার জন্য। এতো সুন্দর এক অনুভূতি হয় সে রাস্তা থেকে যেতে, তা আপনারা যখন যাবেন উপলব্ধি করতে পারবেন। আসলে এই জায়গাটাও সুন্দরবনের অংশ। এক সময় ছোটো ছোটো খাল পাড় হয়ে এসব জায়গায় নাকি বাঘ চলে আসতো।
নানাবাড়িটা আমার খুব ভালো লাগে। একদম অন্যরকম একটা পরিবেশ। বড় বড় নদী। সাথে ছোটো ছোটো শাখা নদী। পুকুর। পুকুর ভরা মাছ। একবার আমি বর্শিতে মাছ ধরতে গিয়ে বর্শির সাথে বিঁধে থাকা মাছের সাথেই পানিতে পড়ে গেছিলাম। আমি সাতার জানিনা। তাই বেশ একটু নাকানি–চুবানি খেয়েছিলাম সেবার। বড় খালামনি পানি থেকে আমাকে তুলেছিলেন।
নানার বাড়িতে বেশি থাকা হয়না যাওয়াও হয়না। কারণ আমরা এখন দাদুবাড়ি সৈয়দপুরে থাকি। সৈয়দপুর আর খুলনা মংলা বাংলাদেশের দুই প্রান্তে। যাতায়াতের অসুবিধা খুব। এজন্যে আমার খুব ইচ্ছে হয় এমন একটি যানবাহন তৈরি করবো যা মনের গতির সাথে দ্রুত চলতে পারবে।
আমার দাদুবাড়িটা সৈয়দপুর রেল কলোনিতে। আমরা যে ঘরটাতে থাকি সে ঘরের পিছনে একটা বেত ঝাড় আছে। জানালা খুললেই বেত গাছের চিকন কাঁটা যুক্ত লতা ঘরে ঢুকে যেতো। তাই মা জানালাটা প্রায়ই বন্ধ রেখে দিতো। আমরা দুই ভাই এ রুমে বসেই পড়তাম। মা আমাদের দুই ভাইকে লিখতে দিয়ে ফাঁকে ফাঁকে বাসার টুকটাক কাজ করে। আমার একটা অভ্যাস ছিলো, রাবারের মাঝ বরাবর পেন্সিল ঢুকিয়ে দিয়ে ঘুরানো। রাবারের চোখ বানাতাম, নাক বানাতাম। পেন্সিলের মাথা ভেঙে যেতো এটা করতে গিয়ে। তাই বারবার সাপনার করতাম। পেন্সিলও তাই তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেতো। মা একদিন এ কারণে মাইর দিয়েছে। তাই অনেক সময় ভয়ে জানালা খুলে ফেলে দিতাম।
একবার বেশ কয়েকদিন পর জানালাটা খুলে দেখি একজোড়া পাখি বসে আছে। একজোড়া ঘুঘু পাখি। আমি দেখে চিৎকার করে উঠলাম খুশিতে। দৌড়ে মাকে ডাকতে গেলাম। ভুলেই গেলাম আমার হাতে নষ্ট করা রাবার আর পেন্সিলের গুড়ো। মা কটমট করে আমার হাতের দিকে তাকালো লাগলো। কিন্তু আমার সেদিকে খেয়াল নেই। আমার উচ্ছ্বাস দেখে মাও ভুলে গেলো বকা দিতে। আমার ছোটো ভাইও চিল্লাতে লাগলো। আমাদের চিল্লাচিল্লিতে পাখিটা উড়ে গেলো না। মা বললো, ওরা মনে হয় ডিম দিয়েছে। মা তাই তাড়াতাড়ি জানালা বন্ধ করে দিলো। আর বললো, জানালাটা না খুলতে। আমরা দুইভাই মাঝে মাঝেই জানালা একটু ফাঁকা করে ওদের দেখতাম। আমি তখন লায়ন্স স্কুলে ক্লাস ফোরে পড়ি। স্কুলে গেলেও পাখির চিন্তায় মাথা ঘোরে। আমার বন্ধু মায়িশা, জিম, রোজা, সুবহা, ওদের বাসায় এনে দেখালাম। বাসায় তখন শুধু একটি পাখি বসেছিলো। তার পেটের নিচে দুটো পাখির ছানা। কি দারুন দৃশ্য!
রাতে একদিন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো। তখন শীতকাল ছিলো। মাকে বললাম, ওদের কষ্ট হচ্ছে না মা? মা বললো না। কারণ ওদের পালক এমন সব প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে। ছানা দুটিও এখন ওর মায়ের পেটের নিচে পালকের মধ্যে আছে। সমস্যা হবে না। প্রকৃতিই তাদের এমন বৈশিষ্ট্য দিয়ে তৈরি করেছে। আমার ছোটো ভাইটা এ কাজ করে। শীতের সময় ও মাকে বলে ওর পা দুটো আম্মুর পেটের ভেতর নিয়ে রাখতে, তাহলে নাকি ওর শীত লাগে না। ও মায়ের হাতেই ঘুমিয়ে পড়ে। আম্মুও ওকে এভাবেই নয়ে ঘুমিয়ে থাকে।
আমার তবু্ও ঘুম হয় না। আমি ভাবি, আমাদের টিন্র বাতাসের জোরে এতো শব্দ হচ্ছে তাহলে ওদের কতো কষ্ট হচ্ছে।
সকালে চকচক করে রোদ উঠেছে। আমার খুব খুশি লাগতে লাগলো। জানালাটা খুলে আগেই ওদের দেখলাম।
স্কুল কখন ছুটি হবে এই চিন্তা করতে করতেই ছুটি হলে বাসায় এসেই ওদের দেখতে জানালাটা খুললাম। বুকটা আমার ধকধক করে উঠলাম। মাকে দৌড়ে ডেকে আনলাম। আমার কান্না দেখে আম্মু অস্থির। আম্মু গেট খুলে পিছনে গেলো। গিয়ে দেখি বাসাটা ভেঙে নিয়ে গেছে পাশের বাসার দুষ্ট ছেলে গুলো। আম্মু ওদের বকা দিয়ে বাসায় আসলো।
আমার প্রচন্ড মন খারাপ হলো। এক মুহূর্তে কিছু দুষ্ট ছেলে পাখির বাসাটা ভেঙে দিলো। আমার মন খারাপ দেখে রাতে আম্মু আমাকে পড়ালেন না। আমরা গল্প করলাম। আম্মু বললো, পাখিগুলো দুর্বল ছিলো বলে তারা তাদের বাসস্থানকে রক্ষা করতে পারলো না। নিষ্ঠুর মনের কিছু মানুষের খাম–খেয়ালির জন্যে তাদের বাসাটা ভেঙে গেলো।
আম্মু বললো, পৃথিবীতে দুর্বলের কোনো জায়গা নেই। প্রকৃতিও তা মেনে নেয় না।
সেরকম আমরা বাঙ্গালীরা যদি এ পাখির মতো দুর্বল হতাম তবে এরকম এক খাম–খেয়ালি শাসক পাকিস্তানি গোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতো। বাংগালী হিসেবে আমাদের কোনো অস্তিত্ব থাকতো না। কিন্তু এই বাঙ্গালীরাই শক্ত হাতে আমাদের মাতৃভাষা রক্ষা করেছে। প্রাণ দিয়ে দিয়ে রক্ষা করতে হয়েছে এ মাতৃভাষা। তাইতো কথায় আছে ‘” দাম দিয়ে কিনেছি স্বাধীনতা “।
আমি এসব কিছু তখন বুঝতাম না। তাই কখন যেনো ঘুমিয়ে গেছিলাম। ”
আশ্রয় নামের এই গল্পের লেখক জুহায়ের আফতাব মেমন। নবম শ্রেনীতে পড়া এক কিশোর। বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী আর গৃহিণী মা সুলতানা জাহান রিতু বড় ছেলে। সম্প্রতি মহান একুশে বই মেলায় প্রকাশিত তার প্রথম গল্পের বই ” মেমনের গল্প গুচ্ছ ” তারই লেখা। বইটিতে মোট নয়টি গল্প আছে। প্রতিটি গল্পই ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে সুন্দর করে লিখেছে। গল্পগুলোতে সে নিজের ভাবনা, তার প্রিয় মানুষ,তার ভালো লাগা–মন্দ লাগা সব কিছুই খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছে। একজন কিশোর যদিও তার পৃথিবীতে বিচরণ শুরু করেছে অল্প কিছুদিন, তারপরেও সে তার ঐটুকু সময়ের কথা গুলো কতো চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে তা রীতিমতো ভাবনার বিষয়। যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক অনেক মানুষ চাইলেও ঠিক মতো লেখার ল টাই লিখতে পারে না।
মেমনের বইয়ের প্রতিটি গল্পই ভালো। আমি এই গল্পটা ব্লগে দিয়েছি কিছু কারণে। প্রথমত গল্পটা ছোটো। এই গল্পে সে তার মা, ভাই, খালামনি, নানাবাড়ি, দাদুবাড়ি, মংলা ভ্রমণের ছোট টিপস, নিজের এক যানবাহন তৈরির পরিকল্পনা, পাখি প্রেম, এবং পেন্সিল–রাবার নিয়ে দুষ্টুমির কথা অকপটে বলে দিয়েছে যা একটি কিশোরের সহজাত বৈশিষ্ট্য।
পরেরবার, স্বাধীনতা ও মাতৃভাষা নিয়ে তার অগাধ উপলব্ধি, যেটা কোনো সাধারণ ব্যাপার নয়। এই বয়সে এমন উপলব্ধি করাটাই বলে দেয় কিশোর মেমনের ভাবনা জগৎ কতটা ধীর ও পরিপূর্ণ।
অথচ, এই বই মেলাতেই প্রকাশিত হয়েছে সাবা খান নামের আরেক উঠতি লেখকের একটা বই। যে কিনা ভাষার মাসেই মাতৃভাষা বাংলাভাষার বারোটা বাজিয়ে দিতে একটুও কার্পণ্য করেনি। এরা দেশকে ভালোবাসবে কি করে যারা ভাষার প্রতিই যত্নশীল নয়। মেমনের লেখাতে তার দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি শুধু ভালোবাসাই নয় মমতাও প্রকাশ পেয়েছে। আমরা আশাবাদী, সাবা খানের মতো লেখকদের বিলুপ্ত করবে মেমনের মতো লেখকেরা। সবশেষে মেমনের প্রতি রইলো অনেক আদর, ভালোবাসা আর অঢেল শুভকামনা। ও যেনো শিক্ষা–দীক্ষা, মানে–মনে অনেক বড়ো হয়ে উঠে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।
* বই সম্পর্কিত তথ্য *
★ মেমনের গল্পগুচ্ছ
লেখক– জুহায়ের আফতাব মেমন
প্রচ্ছদ – এম.আসলাম লিটন
প্রকাশক– এবং মানুষ
পরিবেশক– জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী, মুক্তিভবন
মূল্য– ১৪০/=
★ অনলাইনে যোগাযোগ করে বই পেতে হলে–
www.rokomari.com
৩৫টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
মামাজির বইটা এখনো পড়া হল না।রিভিউ পেয়ে পড়তে আগ্রহ চলে এলো।ধন্যবাদ কাজের কাজী আফা সাবিনা আফা।সুন্দর করে বুকটির পোষ্ট করায়।আসলে তাই খুব রাগ হয়ে ছল সাবা খানের উপর এরা ভাবে কি রক্তে বিনিময়ে অর্জিত এ বাংলা ভাষাকে।এরা অর্থলিপ্সু খ্যাতিলিপ্সু মনে করে উল্লা পাল্টা একটা কিছু লিখলেই হল।বইটি বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত ছিল।
রিতু জাহান
মনির ভাই, ঠিকানা দিন বইটা পাঠিয়ে দিবনে।
আসলে, জুলির শরীরটা ভালো না। সময় করে উঠতে পারছি না।
মেমনের জন্য সকলের এমন ভালবাসায় আমি আসলে কেঁদে ফেলেছি।
মাঝে মাঝে ইদানিং হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছা করে। কাঁদা চলেও আসে।
পারবে তো মেমন আমার!!
ও খুব নরম মনের একটা ছেলে। কস্ট পুষে রাখে। যখন খুব মন খারাপ হয়। মায়ের কোলে চুপ করে শুয়ে থাকে।
সে ছেলেটাকে দূরে সরিয়ে দিলাম আমি!!
ভালো থাকবেন মনির ভাই। এমন করে আগলে রাখবেন জানি।
মনির হোসেন মমি
বইতো আছেই আমার কাছে শুধু ব্যাস্ততায় পড়া হয়নি।শুভ কামনা রইল বাবাটার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
মমি ভাই কাজি বানিয়ে দিলেন ?
মায়াবতী
ও লে কাজী আফা 🙂 কাজী আফার অফিস কই? 😉
সাবিনা ইয়াসমিন
কর্মহীন কাজি, অফিস নেই। 😁😁
জিসান শা ইকরাম
এই বয়সের একটি ছেলের এমন চিন্তা ভাবনা, দেশপ্রেম দেখে খুবই ভালো লাগে। আশাহীনতার মাঝে বসবাস করতে করতেও আশার আলো দেখতে পাই।
এই কিশোর লেখকের সাফল্য কামনা করি।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন রিভিউ দেয়ার জন্য।
শুভ কামনা।
রিতু জাহান
ভাইয়া, পারবে তো ও?
আমার খুব ভয় করে। কেনো যে করে জানি না।
ইদানিং খুব ভয় করে আমার।
যে আমার চোখে চট করে পানি আসে না। ইদানিং কেঁদে ফেলি। বিশেষ করে সবার এমন ভালবাসায় কেঁদে উঠি।
জিসান শা ইকরাম
অবশ্যই পারবে মেমন, রিতু।
প্রহেলিকা
গল্পের শুরু পাখী দিয়ে। পাখী থেকেই নানার বাড়ির বর্ণনা। নানা বাড়ি তেমন একটা যাওয়া হয় কারণ লেখক থাকে দাদার বাড়িতে। তারপর দাদার বাড়ির বর্ণনা। বর্ণনা শেষে আবার পাখীতে ফিরে আসা এবং তারপর সুন্দর, ভাবগম্ভীর্য বার্তার সাথে পরিসমাপ্তি টানা! চমৎকার!
পাখি দিয়ে শুরু করে নানা আর দাদার বাড়ির নিখুঁত বর্ণনার পর যখন সে আবার মূল বিষয়বস্তুতে ফিরে আসতে পেরেছে সেখানেই তার লেখক সত্বার পরিচয় দিয়েছে। লেখক চাইলেই যে কেউ হতে পারে যদি তার মাঝে লেখকসত্বা না থাকে! প্রতিটি প্যারার যোগসূত্র, সমন্বয়, পারিপার্শ্বিক নিখুঁত বর্ণনা, লেখক নেপথ্যে চরিত্রের বর্ণনা, ভাষার প্রাঞ্জলতা সবমিলিয়ে লেখক দক্ষতার ছাপ রেখে গিয়েছে গল্পের মাঝে! কিশোর এই লেখক অভিনন্দন পাবার দাবী রাখে। গল্প লেখা খুব কঠিন, ছোট গল্প লেখা আরও বেশি কঠিন। তবে সে পারবে বলেই মনে করি। অনেক অনেক দোয়া আর ভালবাসা রেখে গেলাম মেমনের জন্য! সমৃদ্ধশালী হোক তার লেখনী!
পাঠ প্রতিক্রিয়াও বেশ হয়েছে। স্বল্প পরিসরে পাঠোদ্ধার করতে পেরেছেন আপনি। কবিতা, গল্প, বুক রিভিউ সব দিকেই দেখি আপনি হাত মকসো করে বসে আছেন। অভিনন্দন, অভিনন্দন!
শুভকামনা নিরন্তর!
রিতু জাহান
ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা রইলো ভাই।
আগলে রাখবেন এমন করে জানি।
ওরা যেনো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকে এই দোয়া চাই। সে লিখছে। তার প্রচুর লেখা আছে। ওর লেখা ছোটো ছোটো অনুভূতিগুলো শেয়ার করব ভাবছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ প্রহেলিকা। মেমনের ভবিষ্যৎ উজ্বল হয়ে উঠুক, এটাই কামনা করি।
প্রহেলিকা
লেখক চাইলেই যে কেউ হতে পারে না যদি তার মাঝে লেখকসত্বা না থাকে!
এভাবে পড়তে হবে!
রিতু জাহান
তা বুঝেছি ভাই।
শুন্য শুন্যালয়
মেমনের লেখা যতই পড়ছি অবাক হচ্ছি। এতটুকু বাচ্চার গভীরতা কতটা! মেমোনকে জুনিয়ার রাইটারদের আইডল মানা যায়। ও আরো অনেকদূর যাবে। ওর পড়াশোনার সীমা আরো ছড়াক, বড় হোক, এর চাইতে গর্বের আর আমাদের কী হবে!
সাবিনা আপু তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, আসলে সোনেলার সবাইকেই ধন্যবাদ দিতে চাই। মেমনকে পেছনে থেকে সবাই যেভাবে উৎসাহ উদ্দিপনা দিচ্ছে তার গুরুত্ব কম নয়।
ভালোবাসা জেনো সাবিনা আপু।
রিতু জাহান
ভালবাসা নিও
শুন্য শুন্যালয়
রিতু ভাবীকে বলছি, ছোটবেলায় তুমি বুঝি রাবারে পেন্সিল ঢুকিয়ে ভাংগোনি? কতো বড় সাহস আমাদের ভাতিজা কে মারো!!
বাই দ্যা ওয়ে আমার পোলাকেও একদিন দিছিলাম এক ঘা :p
রিতু জাহান
তোমার পিঠে দুইটা দিলাম। তুমি ওকে মেরেছো!!
সত্যিইরে, খুব কষ্ট হয় এখন। ওকে মেরেছি আমি এটা সত্যি। প্রতিটা মা তার সন্তানকে ভালবাসে। তুমিই জানো তুমি প্রথমকে কতোটা ভালবাস। মেমন আমার সবকিছু। আমার বড় বন্ধু ও। আমার সাহস, আমার আশ্রয় ও।
তোমার ভালবাসা পৌছে দিব ওকে। 22 তারিখ আসবে। ওর উপন্যাস নিয়ে। আমি তো একসাইটেড ওর উপন্যাস পড়ার জন্য। এ বয়সে ও উপন্যাস লিখেছে!!
কি যে লিখেছে!!
মাহমুদ আল মেহেদী
লেখাটা আমাকে মুগ্ধ করেছে কারন প্রতিটা প্যারার সাথে প্রতিটা প্যারার খুব সুন্দর করে সেতু তৈরি করেছে। তাই পড়তে পড়তে মনে হয়েছে আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলেছি খুব চমৎকার করে। মুগ্ধ আমি ।
রিতু জাহান
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো ভাই। ওদের দোয়ায় রাখবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পারেন/পারবেন-ও।
রিভিউ লিখতে গিয়ে একটি পুরো লেখা কপি করলেন!!
আর কী কী দেখাবেন কে জানে!
আসলে জোরাজুরি করে লেখা যায় না, লেখক অনেক পরের কথা। ভাবতে অবাক লাগে এত্ত ছোট্ট একটি মানুষ কী করে নানান দিকের
সমন্বয় করে এই লেখাটিকে সঠিক স্থানে পৌছে দিয়েছে। প্রশংসার ভাগ তার মাকে দিলেও সে একটি ইউনিক অবস্থানে নিজেকে দাঁড় করিয়েছে।
ভাবতে ভাল লাগে সে আমাদের-ই পরিবারে একজন।
আপনার রিভিউকে হিংসে করা ছাড়া আর কিছু করার নেই, যেহেতু এটি আমার সীমার বাইরে।
শেখা লাগপে!!
রিতু জাহান
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো ভাই।
দোয়ায় রাখবেন আমাদের সকলকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
@ ছাইরাছ হেলাল , মেমনের এই গল্পটা পুরো লেখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা ছিলো না। এতো সুন্দর লিখেছে, আর গল্পের মুলভাব প্রকাশ করা গেছে শুধুমাত্র গল্পটা আপনাদের সম্পূর্ন পড়তে দেয়ার কারনেই। কিছু কিছু কষ্ট আসলেই মধুর হয়। মেমনের বুক রিভিউ লিখে যেটুকু কষ্ট হয়েছে তার পুরোটাই চলে গেছে মনের আনন্দে।
হিংসে করা ভালো না মহারাজ, নয়তো কারো কারো অগুনীত গুন দেখে আমরাও এতো দিনে পুড়ে যেতাম ।
রিতু জাহান
কি বলি বলো তো আপু? এ মুহূর্তে একজন মায়ের অনুভূতি অবশ্যই তুমি বুঝতেছো।
একবুক ভালবাসা নিও। মেমন আসলে দেখাব তোমার এ লেখা তোমাদের এ ভালবাসা।
সাবিনা ইয়াসমিন
যা খুশি বলো ওকে। ছোট্ট মেমনকে জানিয়ে দিয়ো ওর অনেকগুলো বড় ভক্ত আছে সোনেলায়। যারা সব সময় ওর জন্য শুভ কামনা করে/ করছে।
খুব ভালো থেকো, ভালোবাসা ❤❤❤❤
মেহেরী তাজ
মেমনের বইটা আমার কাছে আছে কিন্তু পড়া হয়নি সময়ের অভাবে। পড়ে ফেলবো। আগ্রহ তো আরো বাড়লো…
ধন্যবাদ আপনার রিভিউ এর জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ তাজ,
তৌহিদ
সাবিনা আপুর ধন্যবাদ প্রাপ্য এমন সুন্দর করে আমাদের মেমনের বইয়ের রিভিউ লেখার জন্য। আর গল্পটিও দারুন। প্রতিটি লাইন যেন একে অন্যের পরিপুরক। একজন পরিপূর্ণ লেখকের গুনাবলী ফুটে উঠছে মেমনের মাঝে।
একজন ভবিষ্যৎ ব্লগার সোনেলায় আসছে তা দেখতেই পাচ্ছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই। শুভকামনা জানবেন 🌹
মায়াবতী
বেশ কিছু দিন ধরে ব্লগে আসা ই হয়নি আমার তাই অনেক কিছু থেকে ই পিছিয়ে পড়েছি। মেমন বাবার বই এসেছে সেটা জেনেছি কিন্ত পড়া হইনি এমন কি সংগ্রহ করা ও হইনি, এই রিভিউ পড়ে আমার আক্কেল গুরুম হয়ে গেছে একদম। আশ্চর্য এই টুকু ছেলের এতো গভীর ভাবনা! মাশাল্লাহ কি বলে শুকরিয়া করবো! রিতু জানো আমার ছেলে টা এখন ভালো করে একটা বাংলা সেন্টেন্স ও আমাকে লিখতে পারে না, মাঝে মাঝে কি যে ব্যর্থ লাগে নিজেকে বলে বোঝাতে পারবো না 🙁 আল্লাহ পাক আমাদের মেমন কে সকল বালা মসিবত থেকে সব সময় রক্ষা করুন, ইনশাআল্লাহ্ সোনার দেশের সোনার মানুষ হয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচবে বাবায়… অনেক অনেক অনেক দোয়া বাবার জন্য ♥♥♥♥♥
মায়াবতী
ওহ হ্যা, সাবিনা কে ও অনেক অনেক আদর ♥♥♥
সাবিনা ইয়াসমিন
আচ্ছা আদর নিলাম, অনেক গুলোই। কিন্তু আমি আদর ফেরত দিতে পারবো না। আমার লজ্জা করে 😜😜
ভালোবাসা যাদুমনি, খুব ভালো থাকবেন ❤❤
মায়াবতী
ওলে লাজুক লতা…. দেখা টা শুধু হোক এক বার লজ্জা সব উবে যাবে… হুম
রিতু জাহান
ভালবাসা নিও মায়া আপু। তোমার আদর পৌছে দিলাম এখন মেমনকে।
আকবর হোসেন রবিন
ছোট্ট একটা গল্প, তার ভেতরে এতোকিছু! দারুণ। খুলনা আমার নানাবাড়ি, গল্পটা পড়ার সময় নানাবাড়ির অনেরক স্মৃতি মনে পড়লো। ছোটবেলায় বর্শি দিয়ে অনেক মাছ ধরেছি। সময় করে একদিন মাছ ধরার গল্প লিখবো। রাবার নিয়ে দুষ্টমি আমিও করেছি অনেক।
কম কথায় বইটা পড়ার আগ্রহ তৈরি করলেন।
ধন্যবাদ আপু।