তাপিত রোদেলা দুপুর, হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত পথিক
মনটা আনচান করে উঠে এতটুকু ছায়ার আশায়
দূরে ছায়াতরু দেখে এগিয়ে যায়, যেখানে ঝিরোচ্ছে রোদে জ্বলসানো রিক্সাওয়ালা
ছায়ার এক কোণে কলাওয়ালা জলগামছা নাড়িয়ে যায় হয়ত নিজে বাতাস নেয় বা মাছি উড়ায়
বড় এক নিশ্বাস ফেলে পথিক বসে পড়ে ছায়াতরুর শিখড়ে
গাছের পাতার নিচে আশ্রয় নেওয়া কবুতর গুলো ঘাড় নেড়ে নেড়ে উঁকিঝুঁকি মারে
হয়ত বুঝতে চাই, তাদের অবস্থানস্থল সুরক্ষিত কিনা
টিট টিট শব্দ দিয়ে এক জোড়া পাখিও এসে আশ্রয় নেয় গাছের শাখায়
মনে হয় সবাই শ্রান্ত আজ, ক্লান্ত আজ
আকাশের সূর্য যে আজ আগুনমুখা
সবারই তো আশ্রয় চাই, ঝিরোতে চাই, এই ছায়াতরুর নিচে
গাছের অন্য পাশে ছেলেরা নিজ মনে মার্বেল খেলে যায়, গরমে তাদের কি বা এসে যায়
হয়ত বয়সের দোষ, তাদের ছুঁয়ে যায়না সূর্যের তপ্ত রোষ
ছায়াতরু আগলে রেখেছে সবাইকে, তার আশ্রয়ে, তার ছায়ায়
যতদিন না পড়ছে সে এলাকার চেয়ারম্যানের কুনজরে
সে বিলিয়ে যাবে তার সব কিছু, সকল মানুষের তরে।।
২৩টি মন্তব্য
নীহারিকা
এত এত গাছে কেটে আমরা যে নিজেদের পায়েই কুড়োল মারছি। সামনে কি ভয়াবহ দিন আসছে তা সহজেই অনুমেয়। খুবই সুন্দর, ছোট্ট, সময়োপযোগী লেখা।
ইঞ্জা
দাদী ক্ষতিটা আমরা নিজেরাই নিজেদের করছি, কিন্তু সবাই চোখ বুঝে আছে, দেখার বা বুঝার কেউ নেই, বড় বড় গাছ কেটে সাফ করে ফেলা হচ্ছে, এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, যা আর কখনোই ফিরে পাওয়া যাবেনা, যদিনা বেশি বেশি গাছ লাগানো না হচ্ছে।
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর প্রকাশ।
যত গাছ কাটা হয়, ততটা লাগান হয়না,
এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে একদিন এই জগৎ বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে।
ইঞ্জা
সহমত ভাইজান আর এর জন্য দায়ী একমাত্র মানুষ, সব কেটে খেয়ে সাফ করে ফেলছে, ভবিষ্যৎ জাহান্নামে যাক, ওদের কি বা আসে যায়, মেরুর বরফ দ্রুত গলছে, মহা প্লাবন আসতে বেশি দেরি নেই।
জিসান শা ইকরাম
আমি কিন্তু প্রচুর গাছ লাগাই প্রতিবছর 🙂
ইঞ্জা
ভাইজান, আপনার এফবির এক পোষ্টে দেখেছিলাম গাছের বহর, বিষয়টি খুব ভালো, আসুননা আমরা (সোনেলা) এইবার গাছ লাগানোর প্রোগ্রাম করি।
মোঃ মজিবর রহমান
সকলের উচিত গাছ লাগানো। ফলস গাছই ভাল তাতে আয় বাড়ে।
আর আমরা মানুষ সবভুক।
ইঞ্জা
ঠিক বলেছেন ভাই, আমরা সব কেটে সাফ করে ফেলছি।
মৌনতা রিতু
ঢাকায় দেখলাম বনসাই এনে লাগাইছে রাস্তার দুই ধারে। দেখে মনটা বিষিয়ে উঠেছিল।
দেশীয় গাছের সৌন্দর্য কম কিসে কি জানি! আগে যতো পুরাতন গাছ ছিল তা কেটে ফেলা হয়েছে অনেক কায়দা করে।
ওকদিন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব আমরা? ভাবতেই ভয় লাগে।
অনুগল্পটি দারুন লিখেছেন। সত্যিই এটা একটা ম্যাসেজ। ভাল থাকবেন ভাইজু।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, মনে খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি বা শুনি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, এমন কি সরকার বিভিন্ন প্রজেক্টের নামে গাছ কাটছে, কিন্তু এর বিপরীতে গাছ লাগানোর কথা বললেও, লাগানোর কোন চিহ্নই নেই।
কোটি টাকা খরচা করে বনসাই লাগায় যা শুধু টাকা মারার উদ্দেশ্যেই, আমাদের দেশে গাছ নাই তারা বনসাই লাগায়, ফাজিলের ফাজিল।
ছাইরাছ হেলাল
প্রাকৃতিক ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্থ করলে প্রকৃতি এর প্রতিশোধ নেয়,
তা থেকে আমারা কেউ বাঁচতে পারব না।
ইঞ্জা
প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করে দিয়েছে, যেদিন মেরুর বরফ পুরাই গলে যাবে, সেইদিন হবে মহা প্লাবন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি গাছ থেকে ফুল ছিঁড়তে পারিনা। আমার মনে পড়েনা কখনও পূজোর জন্য ফুল ছিঁড়েছি। আর গাছ কাটা তো অনেক দূরের। বরং এই ছোট্ট লিভিং রুমেও গাছ রেখেছি। পাতাটাও শুকিয়ে গেলে খুব কষ্ট হয়।
ভাইয়া লিখেছেন ভালো। কিন্তু কেইবা শুনবে এমন কথা? আমরাই শুনবো যারা গাছ-ফুল ভালোবাসে।
ইঞ্জা
আপু গাছই হলো সকল জীবের প্রকৃত বন্ধু, আপনি গাছকে ভালোবাসেন বলেই আপনি ফুল ছিড়তে পারেননা, গাছের মলিনতায় কষ্ট পান, তদ্রূপ আমিও, গাছের জন্য আমার যা সম্ভব আমি করার চেষ্টা করি।
ভালো থাকবেন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া আপনিও ভালো থাকবেন। নতুন গল্প দেবেন কবে?
ইঞ্জা
প্রিয় আপু, ভ্রমন কাহিনী শেষ করে নিই, এরপর গল্পের প্লট নিয়ে ভাববো, দোয়া রাখবেন ভাইয়ের জন্য আএ আপনি সহ সবাই ভালো থাকবেন। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ছবিটার দিকে তাকিয়েই আছি। একটা গাছ কেঁটে ফেলা মানে কতো কিছু! সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন। চেয়ারম্যান এর কাজ চেয়ারম্যান করবে, আমাদের কাজ আমরা। বেশি বেশি গাছ লাগাই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবাইকে উৎসাহিত করি।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, আমাদের দেশে যা হচ্ছে তা স্রেফ খুন বলাই যায়, আপু, সরকার নিজেই হাজার হাজার গাছ কেটে সাফ করে ফেলছে কিন্তু নতুন গাছ লাগানোর কোনো চিন্তায় নাই, কষ্ট লাগে এইসব দেখে।
অপ্সরা
তরুছায়ার কাব্য! দারুন আপুনি!
অনেক ভালো লাগা!
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
ইঞ্জা
আপু, আমি ভাইয়া। 😀
নীরা সাদীয়া
ছায়াতরু চেয়ারম্যান এর কুনজরে না পড়ুক, তারা অক্ষত থাকুক, সেই কামনা রইল।
ইঞ্জা
আমীন।