আমি তোমার জন্য এসেছি -(পর্ব-৫৩)
আসসালামু আলাইকুম ভাইজান একসাথে আজাদ, মিরা সালাম দিল।
শেখর সাহেব যেন আনন্দে দিশে হারা প্রিয় বোনকে কাছে পেয়ে।
ওরে তোরা কে কোথায় আছিস রে এদিকে আয় আমার বোন এসেছে।
কেমন আছো ভাইজান বলেই মিরা শেখর সাহেবকে সালাম করলো।
ভালো আছি বোন, কতদিন পর তোকে দেখলাম।
কেমন আছেন ভাইজান বলেই আজাদ এগিয়ে গেল, শেখর সাহেব আজাদকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।
এতদিন পর ভাইজান এর কথা মনে পড়লো, আজাদ তোমার শরীর এখন কেমন আছে?
জ্বী ভাইজান, আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। মিরা বোন আমার তোমাদের আসতে কোন কষ্ট হয়নি? না ভাইজান ভালো ভাবেই আসছি আমরা।
আজাদ মিরার আগমনে মিতুর শুন্যস্থান পুরন করে বাড়িতে আবার কিছুটা আনন্দ ফিরে এলো।
জিসানের বিয়েতে মিরা আসছিলো তারপর ৪ বছর পর আজ ভাইয়ের বাসায় আসলো।
প্রিয়া ভিতর থেকে জেমিতে নিয়ে এসে মিরার কোলে দিল দেখ তো মম একে চিনতে পার কিনা।বড় ভাবী এটা কে?
তোমার সতীন জিসানের মেয়ে জেমি আমার নাতনী বলে হাসলেন।
ওরে বাবা ভাবী! জেমি দেখি দেখতে বাবার মতোই হয়েছে জিসানের নাক, চোখ সব পেয়েছে।
খুব সুন্দর হয়েছে বলেই জেমিকে আদর করল মিরা, ফুপি কেমন আছেন বলেই সালাম করলো জিসানের স্ত্রী।
ভালো আছি মা, জিসান বাসায় নেই? না ফুপি একটু বাইরে গেছে।
মেজ ভাবী কেমন আছো? ভালো তোমরা তো এদিকে আসা ছেড়েই দিস বলেই মিরার পাশে সোফায় বসলেন।
এভাবে বলো না ভাবী তোমাদের কথা সব সময় মনে পড়ে, সংসারের ব্যস্ততা আমাকে অবসর দেয় না।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নামল মিতু ছাড়া দুদিন এই বাড়িটা মিরা আজাদ আসার কারনে সবাই কিছুটা আনন্দে আছে।
এদিকে রোহানের কষ্ট কেউ বুঝে না আগে তো ফোনে টুকটাক কথা হতো মিতু এবাড়িতে আসার পর তাও বন্ধ। সারাবাড়িতে লোকজন মিতুর কাছে ভাবী,বোন,খালামনি, বন্ধুরা এমন ভাবে ভিড় করে রাখছে।
যেন মিতু আমার কেউ না ওরাই সব আগে জানলে প্রেমেই করতাম বিয়ের কি দরকার ছিলো..
রোহানের আক্ষেপ যেন আর থামছিলো না।
আবিদ দোস্ত বলেই রোহান জড়িয়ে ধরল! ছাড় আমাকে শোন আজ ভাবীর কাছে যাওয়া যাবে না।
আজকে দেখা করার আশা ছেড়ে দে ভাই বলেই রিদম আবিদকে নিয়ে চলে গেল। রিমঝিম, মিতু,ভাবী, তনিমা সবাই এক রুমে লুডু খেলবে বলে অপেক্ষা করছে।
আরাফ ভাই কেন যে আবার লুডু কিনে দিল! আমার রুমটা আর আমার নেই পোঁকা মাকড়ের দখলে চলে গেছে।
কি আমরা পোঁকা মাকড় বলেই তনিমা রোহানের দিকে ক্ষেপে তাকাল।
না মানে দোস্ত! আমার কষ্টটা একটু বুঝার চেষ্টা কর। আমার বউটার সাথে একটু কথা বলার সুযোগ করে দিস না।
ওরে তোরা আমার বন্ধু না শত্রু…?
আহারে দোস্ত আমাদের দোষ কি! ভাবী নিষেধ করছে যা হবার কাল হবে বলেই তনিমা নাচতে নাচতে অন্য রুমে চলে গেল।
রাতের খাবার খেয়ে তনিমা,রিমঝিম, মিতুকে নিয়ে রোহানের রুমে ঘুমিয়ে পড়লো।
রোহান দুঃখ ভরাক্লান্ত মন নিয়ে আবিদ,রিদম, রিটন, ছোট মামার সাথে ঘুমিয়ে পড়ল।
রাতের নিরবতা, ঝিঁঝি পোঁকার ডাকে চারপাশ নিরব, মাঝে মাঝে দূরে শিয়ালের হাঁক শোনা যাচ্ছে।
পাশ থেকে একটা কুকুর ঘেউ ঘেউ করে উঠল, আরাফ দাঁড়িয়ে পড়ল। এসব বেওয়ারিশ কুকুর হাঁটতে গেলে পায়ে কাঁমড় বসাবে।
তোমরা আস কসাই সহ দুজন লোক আরাফকে ফলো করলো রাত ভোর ৪ টা বাজে।
আরাফ এসে রোহানদের বাসার সামনে হাজির আঙ্কেল! আঙ্কেল এত রাতে কে ডাকে।
ফরিদ সাহেব রোহানের বাবা চমকে ওঠলেন, আওয়াজাটা শোনে মনে হয় আরাফ ডাকছে।
ওহ্ মনে পড়ছে আরাফকে আসতে বলছিলাম গরু জবাহ্ করার জন্য কসাই নিয়ে আসছে।
ফরিদ সাহেব দরজা খুলে বাইরে আসলেন, আঙ্গেল গরু জবাই এখনি দিতে হবে।
আন্টি রোহানকে জাগিয়ে দেন, ছোটমামা ও বন্ধুদেরও আসতে বলুন গরু জবাহ্ করার সময় সবাইকে লাগবে।
আচ্ছা বাবা বলেই রোহানের মা ছেলেকে ডাকতে চলে গেল।
আঙ্কেল ভোরের আলো ফোটার আগেই গোস্ত বানাতে হবে, তারপর রান্না। আমি বাবুচ্ছিদের বলে রেখেছি, সাথে মসল্লা ভাটার জন্য জন্য দুজন মহিলা আসবে।
বাড়ির মহিলাদের কোন কাজ করতে হবে না, আমি সব ব্যবস্থা করে রেখছি।
বাবা তোমাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দিব জানি না।
কয়েকদিন ধরে তুমি যা করছো তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য! আরাফ মাথা নিচু করে বললো আঙ্কেল আমাকে লজ্জা দিচ্ছেন কেন! রোহান আমার ছোট ভাই ওর বিয়েটা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করা আমার দায়ীত্ব।
এটা নিয়ে আপনি কোন টেনশন করবেন না বাইরে চেয়ারে বসে ফরিদ সাহেব ও আরাফ গল্প করছিলো।
কসাই এসে হাজির আরাফ ভাই ১টা গরু, ৩ টা খাসি জবাহ্ করা শেষ গোস্ত রেডি।
তোমরা যাও আমি আসছি বলেই আরাফ চেয়ার ছেড়ে দাঁড়াল, আঙ্কেল আমি একটু ওদিকে যাচ্ছি।
ফরিদ সাহেবের চোখে মুখে আনন্দের অশ্রু ছেলেটাকে যতই দেখছি অবাক হচ্ছি। রোহনের মা বললেন
তুমি সত্যিই বলছো রোহাদের হলুদ নিয়ে যাওয়া, বিয়ের সমস্ত বাজার সব ছেলেটা একা হাতে করছে।
প্রতিটা পরিবারে আরাফের মতো ছেলে থাকা দরকার, আরাফের মা ধন্য এমন হিরার টুকরো ছেলেকে গর্ভে ধারন করেছে।
আকরাম সাহেবর সাথে আমার ব্যবসায়ী সম্পর্ক প্রায় ২০ বছর একসাথে চলেছি। খুব ভালো মানুষ ছিলেন আরাফ ঠিক তার বাবার মতো হয়েছে।
দোয়া করি আল্লাহ্ আকরাম সাহেবকে বেহেস্তের নসীব করুন।রোহানের মা বললেন আরাফকেও ভালো রাখুন,সুস্থ রাখুন এমন মানুষের জন্য মন থেকেই দোয়া আসে।
ভোরের আলো ফোটে পূর্ব দিকে সূর্যিমামা উঁকি দিল, চারদিক আলোকিত হয়ে উঠল। সকাল ৮ টা বাজে আরাফ তুমি বাসায় যাও ফ্রেশ হয়ে পরে এসো আমরা এদিনটা দেখছি।
নাহ্ মামা সমস্যা নেই এখন সব কাজ শেষ রান্না শুরু হয়েছে, বাকিটা বাবুচ্চিরা করবে। আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন বলেই রোহানের মামাকে আরাফ সব কাজ বুঝিয়ে দিলেন।
মিতু এখনো ঘুমাচ্ছে কেউ ডাকছে না, দুদিন ধরে মেয়েটার উপর অনেক ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
বাবা মাকে ছেড়ে নতুন বাড়ি,নতুন পরিবেশ,অপরিচিত মানুষ জন নিজেকে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে।
বেগম ফরিদ চায় মিতু আগে সব বুঝোক পরে সংসারের দায়ীত্ব নিজের হাতে নিবে।
আম্মু মিতুর ঘুম ভেঙ্গেছে, কি করবো বলেই কাজের মেয়েটা আসলো।
তুমি ওর কাছে যাও আমি আসছি বলেই মিতুর জন্য চা বানাতে কিচেনে ঢুকলেন।
মিতু আমার পরিবারে বউ না ওকে আমার মেয়ের মতো হয়ে উঠতে হবে।
তাই আজকের চা আমি ওর জন্য তৈরি করে নিয়ে যাব যাতে ভবিষ্যৎ এই কাজটা মিতু করতে শিখে যাবে।
রোহানের মা কিচেনে বসে ভাবছেন, বউকে রাগ, শাসন নয় ভালোবাসা দিয়ে ওর ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিতে হবে। ওগো শোনছো সকাল ৯.৩০ বাজে আমাদের রেডি হওয়া দরকার বলেই আজাদ মিরাকে তাড়া দিল।
এই তো আমি রেডি খাওয়া দাওয়া শেষ করে মিরা রুমে আসলো।দুটো শাড়ী বের করে বললো কোনটা পড়বো পছন্দ করে দিও।
আজাদ হালকা সবুজ শাড়ীটার দিকে ইশারা করলো, মিরা হেসে দিল
গত ২৫ বছর ধরেই আজাদের পছন্দই মিরার পছন্দ।
মিরা শাড়ী নিয়ে মেজ মামীর রুমের দিকে গেলেন, মনে হয় দুজনেই একসাথে সাজগোজ করবেন।
প্রিয়া আড়াল থেকে বাবা, মায়ের ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হলো সে বড় মামা শেখর সাহেবের রুমের দিকে গেলেন।
দেখতো আমার শাড়াী পড়াটা ঠিক আছে তো!
আরে রাখ তোমার শাড়ী, মা দেখ তো আমি কোন পাঞ্জাবীটা পড়বো? এখান ৬ টা রেখেছি কিন্ত পছন্দ করতে পারছি না বলেই শেখর সাহেব প্রিয়ার দিকে তাকাল।
প্রিয়া তোর ভাবী ডাকছে একটু আমাদের রুমে যা বলেই জিসান জেমিকে কোলে নিয়ে বাইরে বের হয়ে গেল।
জিসানকে দেখে মনে হচ্ছে বৌভাতে যে বাস যাবে, সেটা আসছে কিনা খোঁজ নিতে যাচ্ছে। মোবাইলে কারো সাথে এটা নিয়েই কথা বলছিলো।
আচ্ছা ভাইয়া আমি যাব বলেই পিচনে ফিরে,,হি হি হি হি করে প্রিয়া হাসলো।
কি রে হাসছিস কেন?
বড় মামী তুমি শাড়ি উল্টো পড়েছে! আহ্ দেখ না তোমার মামা সকাল থেকে তারা দিচ্ছে তাড়্তাড়ি রেডি হও।
তাই তাড়াহুড়া করতে গিয়ে এই অবস্থা বলেই বেগম শেখর রাগ দেখাল।
……চলবে।
১৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
জমজমাট আসর বসেছে দুবাড়িতে। একদিকে আরাফ অন্যদিকে প্রিয়া দুজনেই সবার চোখের মনি। শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ দিদিভাই।
সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম, সুন্দর ব্যবহারে সব জয় করা যায় আরাফ,প্রিয়া তার প্রমান।
দু-বড়িতে বিয়ের আমেজটা সত্যি আমার কাছেও ভালো লাগছে।
ভালো থাকবেন দিদি,
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ফয়জুল মহী
সুন্দর , অসাধারণ উপস্থাপন I
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সবটা আপনাদের দোয়ায়, এত সুন্দর ভাবে প্রশংসা করলে যে কেউ ভালো লিখবে।
আপনাদের সুন্দর সুন্দর আমার লেখার স্বার্থকতা খোঁজে পাই।
পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
মাছুম হাবিবী
আমি বাকী পর্ব গুলো পড়িনি তাই হয়তো গল্পের প্রকৃত রসটা পাইনি। তবে গল্পের এন্ডিং টা দারুন, কিন্তু একটা রিকুয়েস্ট ‘যেহেতু এটি গল্প সেক্ষেত্রে প্রতিটা লাইনে এভাবে ফাঁকা না রেখে একত্র করলে লেখাটি আরো সুন্দর দেখাবে। শুভ কামনা, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর মতেমতে খুশি হলাম, প্রতিটা লাইনে ফাঁকা রাখি না।
তবে কিছু বিষয় শেষ হলে একটু ফাঁকা রাখি, এই লেখাটায় টাইপিং এর সময় বেশি ফাঁক হয়ে গেছে।
অবশ্যই পরবর্তীতে খেয়াল রাখবো, লেখাটা পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ভালো থাকবে,
শুভ কামনা রইল।
সুপায়ন বড়ুয়া
“প্রতিটা পরিবারে আরাফের মতো ছেলে থাকা দরকার, আরাফের মা ধন্য এমন হিরার টুকরো ছেলেকে গর্ভে ধারন করেছে।”
সত্যিই আপু প্রত্যেক মা বাবাই চায় তাদের সন্তানরা যাতে মানুষের মতো মানুষ হয়
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
মানুষের ব্যবহারটা আসল আমি চাইলেও কাউকে টাকা দিয়ে,বা খাইয়ে সুন্দর রাখতে পারবো না।
কিন্তু ভালো ব্যবহার ধারা অতি তাড়াতাড়ি তার হৃদয়ে জায়গা পাওয়া সম্ভব সেই উপকারটা চিরস্থায়ী থাকবে।
আরাফের মতো সন্তান যেকোন বাবা মায়ের জন্য গর্বের।
আমি আরাফ নামের মানুষটাকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, আমার লেখার চেয়েও সে সুন্দর অমায়িক তার ব্যবহার।
কৃতজ্ঞতা রইল দাদা আমার লেখা প্রতিটা পর্ব পড়ার জন্য।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
খুব ভালো লেগেছে। সুন্দর এবং সাবলীলগতিতে এগিয়ে চলুক।
শুভেচ্ছা রইল।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
আপনাদের মতো গুনীজনদের মন্তব্যে উৎসাহ্ পাই, অনুপ্রেরনা পাই।
দোয়া রাখবেন আমার জন্য, যেন ভালো কিছু লিখে সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারি।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
ইন শা আল্লাহ্ , অবশ্যই এগিয়ে যাবেন। শুভ কামনা রইলো বোন।
সুরাইয়া নার্গিস
কৃতজ্ঞতা রইল শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
সঞ্জয় মালাকার
দিদি খুব ভালো লেগে গল্পের এপর্বটা পড়ে।
তবে আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি কাজের চাপে।
ধন্যবাদ দিদি ভালোথাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ দাদা।
সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম দাদা, সময় করে আগেররপর্ব গুলো পড়ে নিবেন।
কৃতজ্ঞতা রইল দাদা পাশে থাকার জন্য, পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল।
আলমগীর সরকার লিটন
সুন্দর পর পড়লাম আপু
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ রইল দাদা।
সুচিন্তিত মতামতে
আবেগ আপ্লুত হলাম দোয়া রাখবেন।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল।