এরপর ক্রমশ দেশের বিক্ষুব্ধতা এবং অসন্তোষ চট্টগ্রামে বসেই অনুভব করতে পারছিলাম । বিশেষ করে ছাত্রদের মধ্যে অবশ্য সাধারণ মানুষের মধ্যেও অসন্তোষ দানা বাঁধছিল এবং নির্বাচনেই প্রমাণ হয়েছিলো জনগণ পাকিস্তানকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং পশ্চিম পাকিস্তান এটা বুঝতে পেরেছিল । তাই তারা টালবাহানা করছিলো এবং আমি এবং আমার বন্ধু মহল কেন জানি উপলব্ধি করছিলাম ভূট্টো ও ইহাইয়া চক্রান্তের জ্বাল বুনছে এবং আইয়ুব খান কে তারাই প্রত্যাখ্যান করবে ।
কয়েক দিন পিছনে ফিরে যাই ৭ ই মার্চ থেকে ২১ এ ফেব্রুয়ারি । ১৯৭১ –এর ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপিত বিক্ষোভে । চট্টগ্রাম MUSLIM INISTITUTE এ আওয়ামী লীগ একটি আলোচনার সভার আয়োজন করে । সেখানে আমি ও ছিলাম । প্রধান অতিথি ছিলেন কবি সৈয়দ আলি আহসান এবং সভাপতি ছিলেন জনাব এম আর সিদ্দিক সাহেব । আমি যেহেতু রাজনৈতিক সচেতন ছিলাম আমার বাবাকে না বলেই আমার বন্ধু মহলকে সঙ্গে করে গিয়েছিলাম এবং খুব শান্ত একটু দূরে দূরে থেকে কিন্তু এটা একটি মিছিল ছিল যা আমরা বুঝতে দিইনি পশ্চিম পাকিস্তান সরকার কে । যাই হোক ফিরে আসি মার্চ মাসে । বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঢাকার আবহাওয়া উত্তপ্ত হল এবং চট্টগ্রামেও । সবাই রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে ভাবছিল । আমার মনে হয়েছিলো সকলেই সমাধান খুঁজছিল , সঙ্কল্প গ্রহণ করছিলো । আবার সংঘর্ষের সম্ভাবনা ও দেখছিলাম । কিন্তু সংঘর্ষের রূপ কি রকম হবে তা অনুমান করতে পারছিলাম না । শুরু হল অসহযোগ আন্দোলন আর হরতাল এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জনতা সাড়া দিলো ।৭ ই মার্চ ভাষণে বঙ্গবন্ধু অবশ্য আগাম ইঙ্গিত দিয়ে ছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো ।
৯টি মন্তব্য
আগুন রঙের শিমুল
পড়ছি আংকেল, লিখুন। আমাদের অনেক জানার আছে আপনার জেনারেশন থেকে (3
ইঞ্জা
ভালো একটি পোষ্ট লিখছেন ভাই, লিখে যান পাশে আছি, আরেকটি কথা ভাইজান, ব্লগে অন্যরাও লিখছেন, দয়া করে সবার লেখা পড়ে কমেন্ট করার চেষ্টা করবেন।
জিসান শা ইকরাম
প্রথম পর্ব পড়েছিলাম আগেই,
১৯৭১ কে বড় বেলায় দেখেছেন, জানতে চাই আপনার অংশ নেয়া ১৯৭১ কে।
আমি ছিলাম তখন ক্লাস ফোর এর ছাত্র, আপনার লেখা পড়ে ভাবছি- ওই সময়ের স্মৃতি থেকে যা পারি লিখব।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
জাঞ্ছি আরো লিখুন জানি।
নীলাঞ্জনা নীলা
জন্মই হয়নি। শুধু গল্পে শুনেছি আর পড়েছি।
লিখুন। এসবে আমার আগ্রহ খুব বেশি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মুক্তি যুদ্ধের লেখা এমনিতেই কম দেখি তার উপর স্ব শরিরে মুক্তি যুদ্ধার বাস্তবে লেখা পাওয়াটা আমাদের ভাগ্য।সোনেলা সব সময় মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে।লিখুন আরো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
একাত্তরে সরাসরি অংশগ্রহন কারো পোস্ট পড়াটা আমাদের সৌভাগ্য মনে করি। পড়ছি আর নিয়মিত পড়বো। আপনি চাইলে লেখাটা আরেকটু বড় করে লিখতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন লেখার জন্য।
মৌনতা রিতু
আমাদের প্রজন্ম আপনাদের কাছ থেকেই শুনতে চাই। আমরা জানতেই চাই। জানতে হবে, জানতে হবে এই দায়িত্ববোধ থেকে লিখছেন বলে অনেক কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি। এই বিষয়গলো জানলেই তবে আমাদের প্রজন্ম দেশকে ভালবাসতে পারবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নীহারিকা
আরো জানতে চাই। ভালো লাগে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনাগুলোকে জানতে।
ধন্যবাদ আপনাকে।