আমার যদিরা (২)

অরণ্য ১৫ জানুয়ারি ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ০৪:০৩:৫১অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি, বিবিধ, সঙ্গীত ২৪ মন্তব্য

আমার যদিরা এর প্রথম লেখাটিতে [আমার যদিরা (১)] যদি নিয়ে দৌড়-ঝাপের কিছু বর্ননা দিয়েছিলাম। আজ ভাবছি একটু বলব কোন যদিটি আমাকে প্রথম খেয়েছিল বা আমাদের দুই বন্ধুকে ভাবিয়েছিল সব যদিকে একসাথে আদৌ করা যায় কি না; কিংবা কতটা যদিকে আমরা একসাথে করতে পারি।

আমরা তখন ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট ইয়ারে। ক্লাস শেষ হলে বসি টি এস সি-র ভিতরে কিংবা কার্জন হলের বারান্দায়। সন্ধ্যা হলে শামসুন্নাহার হলের পাশের সড়ক দ্বীপের ওপাশে বিএনসিসির পাশ ঘেষা ফুটপাতে। কাজ নেই শুধু গান, গান আর গান। আমরা দুজনেই মেইন ভোকাল। আমাদের ইন্সট্রুমেন্ট ছিল এক জোড়া করে পা, এক জোড়া করে হাত, আমাদের জিহ্বা, দিয়াশলাই বাক্স আর আমার বন্ধুটির হেলমেট। সেদিনে গাচ্ছিলাম সাইফের একটি গান – যেওনা তুমি বলোনা বিদায়। চলুন শুনে নেই গানটা আগে।

যেওনা তুমি বলোনা বিদায়
যেন আলো নিভে যায় তুমি চলে গেলে

সান্ত্বনা বলো কে দেবে আমায়
যদি তারা ঢেকে যায় মেঘের আড়ালে
যেওনা তুমি বলোনা বিদায়
যেন আলো নিভে যায় তুমি চলে গেলে।
এই যদি জেনেছিলে এতটুকু জীবনে
দূরে চলে গেলে কি গো ভালবাসা ভোলা যায়।
এই যদি জেনেছিলে এতটুকু জীবনে
দূরে চলে গেলে কি গো ভালবাসা ভোলা যায়
ও হৃদয়ের কান্নাগুলো ধিকিধিকি জ্বলে
যন্ত্রনা কি যে যন্ত্রনা আমার আঁধার প্রেমের বদলে।
এই তুমি  রয়ে গেলে কত যেন অচেনা
ভালবাসা ফুল কি গো অভিমানে ঝরে যায়
এই তুমি  রয়ে গেলে কত যেন অচেনা
ভালবাসা ফুল কি গো অভিমানে ঝরে যায়
ও হৃদয়ের কান্নাগুলো ধিকিধিকি জ্বলে
কল্পনা যদি সত্যি হয়ে যায়
কোন মায়াবীর ছোঁয়ায়
তুমি ফিরে এলে।

প্রথম যদিটা আমার কাছে অন্ধকারই মনে হলো, দ্বিতীয় যদিতে যেন অবিশ্বাস। তৃতীয় যদিতে এসে মনে হচ্ছিল এ যদি আমার চাই – চাই। গানটা একটু বেশি দরদ দিয়েই গাচ্ছিলাম। কিছু গান গাওয়ার সময় আমি একটু পালটে যাই। তাকালাম আমার বন্ধুটির দিকে। ও মাথা নাড়ছে দিগন্ত বরাবর। মুখে একটু হাসিও ছিল সহমর্মিতার – “No, man! She wouldn’t come again.”। এক যদিতে কতো কি! দুই বন্ধু নেমে পড়লাম যদির সন্ধানে – যদিকে উলটে পালটে দেখার প্রবল ইচ্ছায়।

সরি, একটু ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম বোধহয়। ইট’স ওকে। টাইম হিলস। লেটস কাম ব্যাক টু যদি এগেইন। আজ যদিরা মুক্ত। যদি দিয়ে যা মনে পড়বে সব হালাল – যদি মাথায়, পেটে, বুকে বা লেজে যেখানেই থাকুক না কেন সব পাস। যদিদের উল্লাস শুনতে পাচ্ছি। বেশ! কাকে নেই আগে চিন্তা করছি। আবার মান্নাদের জায়গায় আগে দেই।

যদি এখনও আমাকে শুধু ভালো লাগে
ভালো না বাসো মন্দ কি!
যদি এখনও আমাকে শুধু ভালো লাগে
ভালো না বাসো মন্দ কি!
চোরা চাহনিতে যদি দূর থেকে দেখো কাছে না আসো
বেশ বেশ তাই বা মন্দ কি!
যদি এখনও আমাকে শুধু ভালো লাগে
ভালো না বাসো মন্দ কি!

হুঁম। ফের মান্নাদেতেই থাকছি।

যদি প্রশ্ন করি সবচেয়ে মিষ্টি কি
যদি প্রশ্ন করি সবচেয়ে মিষ্টি কি
হয়তো বলবে মধু
না গো না আমি বলব তুমি
আমার বাসর ঘরের বধু
আমার বাসর ঘরের বধু…

আগের দিনেই যখন বলেছিলাম ‘আমার যদিরা (২)’ আমাকে লিখতেই হবে, তখন থেকেই অরিন্দম আমার সাথেই আছে। মেঘপরীর যদি।

যদি কোনোদিন এই গান শোনো
শুনে আঁখিজল আসে কখনো
যদি কোনো দিন আসে অনুতাপ
মুছে ফেলতে চাও হৃদয়ের পাপ
অশ্রু যত ঝরাও তুমি
এই পাপ মোছা যাবে না জেনো।

আরতি মুখোপাধ্যায়ের সুর শুনতে পাচ্ছি। বিজ্ঞান পড়ুয়ারা অনেকেই এসব গান শুনতে শুনতে অনায়াসে চালিয়ে যেত ম্যাথেমেটিক্স অনুশীলন। দুপুরে কিংবা রাতের ঘুমের আগে এই গানগুলো কি যে কাজের ছিল, তা যারা পাননি তাদের বোঝা একটু মুশকিল হতে পারে।

যদি আকাশ হতো আঁখি
তুমি হতে রাতের পাখি
উড়ে যেতে যেতে
আবার কোথাও দেখা হতো নাকি…

হুম! চন্দ্রবিন্দুর মিউজিসিয়ানদের দেখছি। ‘যদি বলো হ্যাঁ’ গাইবে বুঝি? তোমাদের এই গানটির সাথে বব মার্লির ডন্ট ওরি বি হ্যাপি -এর কোথায় যেন মিল পাই।

যদি বলো হ্যাঁ, বিসিএস-এ বসে যাব আমি
যদি বলো না, আওড়াবো জয়গোস্বামী
যদি করো দুনা মুনা কোল্ড কফি নিয়ে নেব দুটো
যদি কেঁদে ফেল তাড়াতাড়ি সামলিয়ে উঠো
কেজো বাড়ির পাশে মেজো বাড়ি
আমরা তবু রোদ্দুর কাড়ি
ধুলোবালির পর বালি-ধুলো
হঠাৎ হাওয়া তোর ঠোঁট ছুঁলো
সে তো চাইবেই অস্ফুটে তুমি বলে উঠো।

সাগর সেনের গলা শুনছি মনে হয়? হুঁ! তাইতো।

যদি ঝড়ের মেঘের মত আমি ধাই
চঞ্চল অন্তর
তবে দয়া করো হে
দয়া করো হে
দয়া করো হে ঈশ্বর।

আজ আসরটা বেশ জমজমাট লাগছে। লতাজীও এসেছেন দেখছি। আমার যদিরা ধন্য হবে না কেন?

যদি বারণ কর
তবে যাব না যাব না।
যদি বারণ কর
তবে যাব না যাব না।
তোমারি সন্ধানে এখানে ওখানে
তোমারি সন্ধানে এখানে ওখানে
খুঁজব না, ডাকব না,
কাঁদব না, সাজব না, না।
যদি বারণ কর
তবে যাব না যাব না।

সাদী মোহাম্মদ ভাই। অনেকদিন পরে আপনাকে দেখছি। যদিতে আপনাকে পেয়ে আমার সত্যি খুব ভাল লাগছে। রবীন্দ্রচর্চায় আমরা কেন জানি একটু পিছিয়ে বলেই আমার মনে হয়। আমার যদিগুলোতে রবীন্দ্র সঙ্গীতে আপনি এসেছেন, আমি খুবই খুশি।

যদি বারণ কর তবে গাহিব না।
যদি শরম লাগে মুখে চাহিব না ।।
যদি বিরলে মালা গাঁথা সহসা পায় বাধা
তোমার ফুলবনে যাইব না ।।
যদি থমকি থেমে যাও পথমাঝে
আমি চমকি চলে যাব আন কাজে ।
যদি তোমার নদীকূলে ভুলিয়া ঢেউ তুলে,
আমার তরীখানি বাহিব না ।।

লোপামুদ্রা মিত্র, তোমাকেও পেলাম আমার যদিতে, বেশ তো! তোমাকে শুধু লোপাতে ডাকতে ইচ্ছে করছে। মাঝে মাঝে জানো আমি খুব অবাক হয়ে ভাবি এতো আবেগ কোথা থেকে আসে তোমার গলায়! সত্যি বলছি।

যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
কেন ভোরের আকাশ ভরে দিলে
এমন গানে গানে
যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
কেন তারার মালা গাঁথা
কেন ফুলের শয়ন পাতা
কেন তারার মালা গাঁথা
কেন ফুলের শয়ন পাতা
কেন দখিন হাওয়া গোপন কথা
জানায় কানে কানে
যদি প্রেম দিলে না প্রাণে…

জয়তীদি তুমি জান তোমার প্রেমে পড়েছি কবে থেকে। জি বাংলার সারেগামাপা র কোন এক প্রোগ্রামে তুমি গাইলে “তুমি কোন কাননের ফুল কোন গগনের তারা…” । ব্যস! আমি প্রেমে পড়ে গেলাম। মজা না? এবার গাও।

যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা
তোমায় জানাতাম
যদি জানতেম
কে যে আমায় কাঁদায়
কে যে আমায় কাঁদায়
আমি কি জানি তার নাম
যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা
তোমায় জানাতাম
যদি জানতেম…

অর্থহীনকেও এখন দেখতে পাচ্ছি আমার যদিতে। গানটা কিন্তু অর্থহীন না।

যদি কোনদিন হঠাৎ করে পড়ে মনে
আমার লেখা গানগুলো যা ছিল তোমার জন্যে
যদি ভুলের বশে শুনতে ইচ্ছে করে
আমার গাওয়া গানগুলো যা ছিল তোমায় নিয়ে
নিঝুম রাতে যখন পৃথিবী ঘুমিয়ে
তুমি মনের ভেতর শোন গান চুপটি করে
কেউ জানবে না যে ঘুমন্ত শহরে
তুমি ভাবছো বসে আমার কথা প্রতিটি মুহূর্তে
আকাশের তারা হয়ে দেবো তোমায় আলো
যখন চারিদিক অমাবশ্যায় কালো
যদি মনের দুচোখ বেয়ে আসে চোখের জল
মুছে দেব সুখস্মৃতি হয়ে মনের কষ্ট সব …

আজ যদির গল্প বলতে গিয়ে শুরুতেই বলেছিলাম আজ যদিরা মুক্ত। লেজে-পিঠের অনেক যদিদের উল্লাসও শুনেছিলাম। এদিক ওদিক থেকে ফের শব্দ শুনতে পাচ্ছি এখন। সুবীর নন্দী দা, তোমার “পাখি রে তুই” এর যদিটাকে আমি আলাদা জায়গা দেই সবসময়। তুমি হয়তো জানইনা এ কত বড় যদি আমার! আমি যতবারই তোমার এই গানটা গাই, আমি কিন্তু শুরু করি এই ‘যদি’ থেকে।

যদি কোনদিন আমার পাখি
আমায় ফেলে উড়ে চলে যায়
একা একা রব নিরালায়
যদি কোনদিন আমার পাখি
আমায় ফেলে উড়ে চলে যায়
একা একা রব নিরালায়
পাখিরে তুই কবে আমার আপন হবি কিছুই জানিনা
পাখিরে তুই দূরে থাকলে কিছুই আমার ভাল লাগেনা
পাখিরে তুই …

দ্য ট্র্যাপ গাইজ তোমাদের ছাড়া আমার যদিরা হয় কি করে বল? কিচ্ছু বলব না, শুধু বলব ফাটিয়ে দাও – কাঁপিয়ে দাও।

চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর
আমাকে কেন জোছনা দেখালি?
হবি যদি নাও ভাসিয়ে দেশান্তর
পাথরের বুকে ফুল কেন ফোটালি?
চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর
আমাকে কেন জোছনা দেখালি?
হবি যদি নাও ভাসিয়ে দেশান্তর
পাথরের বুকে ফুল কেন ফোটালি?
ও হু ও আমারি সীমানা সেতো তোর ছায়া
ও হু ও সেখানে করে বিচরণ দুখের নিবাস
ও হু ও রাখিস কি খবর
তোর আঘাতে জমে গেছে নীল আকাশে
জমিনে নীল বেদনা…

জুয়েল, আজ তোমাকে মনে পড়ছে। কি অদ্ভুত তোমাকে আর কখনও পাওয়া যাবে না! সরি! ভুল বলেছি। এই তো তুমি আছ। তুমি শুধু আমার যদিতে নও, তুমি আছ মিশে অনেকের মাঝে অনেক ভালবাসায়।

চলেই যদি যাবে তুমি
তবে এসেছিলে কেন আমারি অন্তরে
চলেই যদি যাবে তুমি
তবে এসেছিলে কেন আমারি অন্তরে
কেন যে করি শুধু আশা
সবই যে মিছে ভালবাসা
এতো জাগে তবু মন
গাঁথে তারই মালা
কি যে চায় পৃথিবী
সুখ নিয়ে দুখ দেয়
চলেই যদি যাবে তুমি
তবে এসেছিলে কেন আমারি অন্তরে…

শ্রীকান্তদা, তোমাকে একটা গল্প বলি। ক্যাসেট আর সিডির মাঝমাঝি একটা সময়। আমি ফিরছিলাম টিউশনি শেষ করে সাইকেলে চেপে। নিউমার্কেটকে ডানে ফেলে নীলক্ষেতের দিকে যাচ্ছি। সাইকেল একটু স্লো, আমি কিছু একটা গুন গুন করছি। বলাকা সিনেমা হল পার হতেই আর প্যাডেল চলছে না যেন। শুক্রবার দুপুরের আগে বাজছে একটি গান বাম পাশের এক ক্যাসেটের দোকানে। এত ভাল আর কখনও লাগেনি ঐ গানটি! তোমার গাওয়া এই গানটিই বাজছিল আসলে সিডিতে, আর ওদের সাউন্ড সিস্টেমও একটু বেশি ভাল থাকে, তা তো তুমি জানই । তোমার সাথে সেদিনে আমার আলাদাভাবে পরিচয়। অনেক কুড়িয়ে কাড়িয়ে আমার পকেটে ২৯ টাকা ছিল সেদিন। একটু অনুরোধ করে এক টাকা কমে কিনেছিলাম গানটি (ক্যাসটটি)। হলে ফিরে যখন আমার ক্যাসেট প্লেয়ারে ছাড়লাম গানটি, তখন তুমি ঠিক একটু যেন বদলে গেলে। সেদিনে খুব চেয়েছিলাম আমার সিডি প্লেয়ার কবে হবে! কথা শুনে কাজ নেই, চলো গানই শুনি।

তুমি সুন্দর যদি নাহি হও
তুমি সুন্দর যদি নাহি হও
তাই বলো কি বা যায় আসে
প্রিয়ার কি রূপ সেই জানে
সেই জানে ওগো যে কখনও ভালবাসে
যে কখনও ভালবাসে
তুমি সুন্দর যদি নাহি হও…

আমার মুক্ত যদিতে বেশ যদি তো! চলুন যাই এবার লাকী আকন্দ-এর কাছে। আমি জানি এ যদিকে আমরা ঠিকই খুঁজে পাব হাজার হাজার বছরের পরেও।

আগে যদি জানতাম
তবে মন ফিরে চাইতাম
এই জ্বালা আর প্রাণে সহেনা।
হো… মন রে কিসের তরে রয়ে গেলে তুই
হো… মন রে কিসের তরে রয়ে গেলে তুই
আগে যদি জানতাম
তবে মন ফিরে চাইতাম
এই জ্বালা আর প্রাণে সহেনা।

কুমার বিশ্বজিৎ দা, তোমার মত আমারও এমন হাত ঠিক উপরে উঠে যায় যখন আমিও গেয়ে উঠি কিছুটা তোমারই মত। তোমাকে ফলো করতে গিয়ে শিখেছি, নাকি অনুভূতির গাঢ়তাই আমাদেরকে অমন করে তোলে, সে আমি জানি না। তোমার এই ছোট্ট যদির ভয় আর আস্ফালন মাঝে মাঝে মনে হয় যেন আমারই।

বড় কষ্ট হলো
পোড়াতে তোমাকে লেখা কাগজগুলো
কি লাভ বলো ওগুলো রেখে
হয়ে যাই যদি আবার এলোমেলো!
বড় কষ্ট হলো
অনেক দিনের অনেক ক্ষণের ছোট ছোট স্মৃতি
নিমিষে ছাই হলো লাগেনি অনুমতি
অনেক দিনের অনেক ক্ষণের ছোট ছোট স্মৃতি
নিমিষে ছাই হলো লাগেনি অনুমতি
কাগজ নয়তো পুড়লো বুকের সাজানো কথাগুলো!
বড় কষ্ট হলো…

এত যদি আমার সাথে চলে আমার জানাই ছিল না! আবার বসতে হবে বন্ধুরা। এখনও অনেক যদিদের ভিড়। তোমাদের সাথে আবার বসব ‘আমার যদিরা (৩)‘ – এ।

সাবিনা ইয়াসমিন আপাকে বসিয়ে রেখেছি সেই কখন থেকে, দেশের গান শুনে একটা উদ্দীপনা কিংবা দেশের জন্য কিছু করার তাড়না নিয়ে ঘরে ফিরব বলে।

যদি মরনের পরে কেউ প্রশ্ন করে কি দেখেছি
আমি বলব চোখের কাছে নাও না জেনে
ওখানেই বাংলাদেশের রূপ এঁকে রেখেছি
যদি মরনের পরে কেউ প্রশ্ন করে কি দেখেছি
আমি বলব চোখের কাছে নাও না জেনে
ওখানেই বাংলাদেশের রূপ এঁকে রেখেছি
যদি মরনের পরে কেউ প্রশ্ন করে।
প্রশ্ন করে যদি কি পেয়েছি আমি সারাটি জীবন
বলব নাও না কুড়ে আমার এ মন
প্রশ্ন করে যদি কি পেয়েছি আমি সারাটি জীবন
বলব নাও না কুড়ে আমার এ মন
এ দেশের মানুষের ভালবাসা পেয়ে
এ দেশের মানুষের ভালবাসা পেয়ে
বুকের ভাষায় কাব্য লিখেছি
যদি মরনের পরে কেউ প্রশ্ন করে

আজ ঘরে ফিরব আরেকটি যদি শুনে। এ যদি স্বাধীন – এ যদি কোন কিছুর উপর নির্ভর করে না। এ বিশ্বাস, এ ভালবাসা, এ তোমার, এ আমার –  এ আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের সকলের প্রিয় শাহনাজ রহমতুল্লাহর গানটি দিয়ে শেষ করব আজকের আমার যদিরা

আমায় যদি প্রশ্ন করে আলো নদীর এক দেশ বলব আমি বাংলাদেশ।
আমায় যদি প্রশ্ন করে কলকাকলির দেশ বলব আমি বাংলাদেশ।
এক সূর্যের হাজার আলোর কণা
ছড়িয়ে এই মাটি করল অরূপ সোনা
ও… ও… এক সূর্যের হাজার আলোর কণা
ছড়িয়ে এই মাটি করল অরূপ সোনা
আমায় যদি প্রশ্ন করে মায়াবতীর কোন দেশ বলব আমি বাংলাদশ।
আমায় যদি প্রশ্ন করে আলো নদীর এক দেশ বলব আমি বাংলাদেশ।
নব দিগন্তে নতুন চলার চিঠি
মেলেছে এই জীবন সম্ভাবনার দিঠি
ও… ও…  নব দিগন্তে নতুন চলার চিঠি
মেলেছে এই জীবন সম্ভাবনার দিঠি
আমায় যদি প্রশ্ন করে কাব্য-গীতির কোন দেশ বলব আমি বাংলাদশ।
আমায় যদি প্রশ্ন করে আলো নদীর এক দেশ বলব আমি বাংলাদেশ।
আমায় যদি প্রশ্ন করে কলকাকলির দেশ বলব আমি বাংলাদেশ।
বলব আমি বাংলাদেশ
বলব আমি বাংলাদেশ
বলব আমি বাংলাদেশ…

শুভ কামনা সকলের জন্য। আজকের মত এখানেই বিদায় নেব। ফের দেখা হবে আমার যদিরা (৩) এ।  (y)
___________________________________________________
উৎসর্গঃ লেখাটিকে আমি উৎসর্গ করলাম সোনেলাকে, আমার সেই গান পাগল বন্ধুটিকে, আমার ফেলে আসা সকল বন্ধুকে যাদের আমি পেয়েছিলাম আমার ভার্সিটি জীবনের মাঠে-ঘাটে-বাটে আর আমার কোন এক পাগলিকে, যাকে আমি পাই নানা গানে নানা ভাবে। এবারে আমি আমার আরেক বন্ধুকেও যোগ করতে চাই এই লিস্টে – আমার সেই বন্ধু যার সাথে আমি রোজ সকালে হাঁটি বা দৌড়াই ধানমন্ডি লেকে, সকালের প্রথম চা খাই রবীন্দ্র সরোবরে।
কৃতজ্ঞতাঃ YouTube homewww.youtube.com, www.google.com, www.music.com.bd, সাথে আমার ঢাকার লোড শেডিং কে, যা না হলে হয়তো লেখাটা শুরু করাই যেত না।

১জন ১জন
0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ