বিকেল করে প্রতিদিন জানালার পাশে একটা চেয়ার পেতে বসে থাকি। দুচোখ মেলে জানালার গ্রিলের ফাঁকে চেয়ে দেখি লালচে আকাশের দিকে। আমার সূর্যাস্ত দেখতে ভালো লাগে না। তাও কেন দেখি জানি না। নিজেকে কষ্ট দেওয়ার এক অসম ইচ্ছা। অথবা হতে পারে সেটা জেদ। কিন্তু আমি ঠিক জানি না সেটা আসলে কি!
আমার বসে থাকা চেয়ারটা থেকে যখন ঐ বিশাল নীলচে সাদা বা লালচে আকাশটার বুকে কোন ছোট্ট পাখি দেখি মনটা খুব খুশি হয়ে ওঠে। তখন ইচ্ছা করে তুলে ফেলি ঐ স্বাধীন পাখিটার ছবি। কিন্তু আমার কোন ভালো ক্যামেরা নাই। থাক ক্যামেরার চেয়ে ছবি জমিয়ে রাখার ভালো জায়গা হলো আমার মন। মনের কোন এক কোণে ছবি হয়ে থাকবে ঐ নীল বা সোনালী আকাশ আর ঐ ছোট্ট পাখিটা। দেখতে দেখতে পাখিটা মিলিয়ে যায় দূর আকাশে।
আচ্ছা আমি তো প্রতিদিন অনেক অনেক পাখি দেখি এত পাখির বাড়ি কই? ওরা প্রতিদিন যে এতো এতো ওড়ে ওদের কি ক্লান্তি আসে না? উড়তে উড়তে কি ওদের কখন ও মনে হয় না *আর পারছি না*এবার ঠিক ওড়া ছেড়ে দেবো! আচ্ছা ওরা কি কষ্ট পায়? কষ্ট পেলে ওরা কি করে? কোন নির্জন গাছ বা উচুঁ কোন টাওয়ারে বসে কান্না করে? না কি ওরাও ও আমার মত কান্না চেপে রাখতে পছন্দ করে?
২৮টি মন্তব্য
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
বালিকা বালিক অভিমানী টাইপ লেখা। পড়তে ভালোই লাগছিলো। 🙂
মেহেরী তাজ
কিভাবে বুঝেন এটি অভিমানী লেখা :p
জিসান শা ইকরাম
অনেক দিন পরে আসলেন একান্ত অনুভুতি নিয়ে।
উড়ে যাওয়া পাখি নিয়ে এমন প্রশ্ন কোনদিন আসেনি আমার মনে
প্রশ্ন গুলো ব্যতিক্রমী।
ছোট পোষ্টে বড় ভালো লাগা জানালাম।
মেহেরী তাজ
কেন জানি এমন লেখা লিখতে ইচ্ছে করলো দাদা।
প্রহেলিকা
পাখির ভাষা বুঝা বড্ড কঠিন, মানুষের মত না। আপনার কথা শুনে আমারো জানতে ইচ্ছে করছে তাদের সুখ অ দুখের প্রকাশ কেমন হয়।
মেহেরী তাজ
কেহ হয়ত বুঝতেও পারে পাখির ভাষা,অথবা আমার কথা।
প্রহেলিকা
আরেকটা কথা আপনার লেখাগুলোর মাঝে এই লেখাটা অন্যিতম।বেশ ভালো লিখেছেন।অভিনন্দন জানুন।
মেহেরী তাজ
তাই নাকি?তাহলে তো এমন লেখা লিখতে হবে আরো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মনের ক্যামেরার মতো দামী ক্যামেরা কি আছে? নেই। মন খারাপ থাকলে আরো বেশি সুন্দর ছবি ধারন করা যায় মনে। আমাদের তাজ আপুটার মন কেনো খারাপ? অবশ্য মন খারাপ না হলে এমন লেখা আসবে কোথা থেকে? পাখিরাও ঠিক তোমার মতো করেই কান্না চাপে নিশ্চয়ই। পাখিদের কস্ট বোধ হয় আরেকটু বেশি, তারা তো আমাদের মতো লিখতে পারেনা, কিংবা কে জানে!!! কতোটাই বা জানি?
লেখাটি বেশ হয়েছে।
এই অভিমানি মেয়েটির মন ভালো হয়ে যাক, ছুঃ মন্তর ছুঃ।
মেহেরী তাজ
কিভাবে বুঝলেন আপু?কিছুই তো দেখছি লুকাতে পারলাম না :p ধন্যবাদ আপু।
লীলাবতী
তাজ কি হয়েছে তোমার?এমন লেখা তো তুমি লেখো না।তোমার লেখা দিয়ে আনন্দে মাতিয়ে রাখো সবাইকে।কেমন উদাস হওয়া লেখা লিখলে।লেখাটি অবশ্য ভালো হয়েছে।যে প্রশ্ন গুলো করলে তার উত্তর জানা নেই আমার।মন ভালো হয়ে যাক তাজের।
মেহেরী তাজ
আপু কিছু হয়নি তো 🙂 এত টেনশন নিয়েন না আমার জন্য। -{@
নওশিন মিশু
উদাস করে দেওয়া প্রশ্নগুলো……
মেহেরী তাজ
আসুন আমরা সবাই উদাস হই :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কোন চিন্তা করবেন না। এখানে পাখি বিশারদদের চোখে পড়লেই
আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন।
একটু ভিন্ন রকম লিখলেন এবারে।
মেহেরী তাজ
এখানে পাখি বিশারদ আছেন নাকি?তাহলে তো উত্তর পেয়েই যাবো ভাইয়া 🙂 লিখতে ইচ্ছে করলো -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মনের জ্বালাটা মিটালেন। -{@
মেহেরী তাজ
মনের জ্বালা মানে?বুঝলাম না আপনার কথা।
খেয়ালী মেয়ে
ছোট্ট একটা পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর বড় ইচ্ছে আমার 🙂 অনেক ভালো লিখেছেন (y)
মেহেরী তাজ
চলুন আমরা দুজনে উড়ে বেড়াই 🙂 ধন্যবাদ আপু।
খসড়া
মনে হচ্ছে বেণী দুলিয়ে এক কিশোরী আপন মনে কল্পছবি আকছে।
মেহেরী তাজ
বড়রা বুঝে যায় সব কিছু :p
অরণ্য
অনেকদিন পরে আজ সোনেলায়।
তোর বুঝি মন খারাপ এই অবেলায়?
কেঁদে ফেল তুই এখনই
মন খারাপ হলে খুবই!
আর যদি একটু চেঞ্জ চাস
দেখতে পারিস এই মুভি।
http://engsub.org/xem-phim-the-fault-in-our-stars-2583
মেহেরী তাজ
অনেক দিন পরেই আসলাম সোনেলায়।কবিতা ভালো লেগেছে ভাইয়া।মোবাইলে যে এটি দেখতে পারবো না।দেখি কারো পিসিতে দেখতে পারি কিনা।ধন্যবাদ ভাইয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
কেমন এক বিষাদ।মন ভালো হয়ে যাক।ভাল লিখেছেন।
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ নীলাদি।
আগুন রঙের শিমুল
মন খারাপ
মেহেরী তাজ
এখন ভালো 🙂