১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, টানা নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, ৩০লক্ষ শহীদের জীবন উৎসর্গ এবং ২লক্ষ মা-বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের স্বাধীনতার মাহেন্দ্রক্ষণ, বিজয়ের স্বাদ। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যারা জন্ম নিয়েছি তারা হয়তো কখনোই অনুভব করতে পারবো না কতো দুঃসহ বেদনাকে বরণ করে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা। আমরা কখনই অনুভব করতে পারবো না একজন সন্তানহারা মায়ের কষ্ট, ভাই হারা বোনের যন্ত্রণা, পিতৃমাতৃহীন সন্তানের দুঃখগাথা, ধর্ষিতার করুণ আর্তনাদ কিংবা সর্বস্বহারা একজন মুক্তিযোদ্ধার বেদনা।
আমাদের এই না দেখা মহান মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা এবং করুণ চিত্র আমরা দেখতে পেয়েছি মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত বিভিন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে, কথাচিত্রে ও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে।
প্রেক্ষাপটঃ
মুক্তিযুদ্ধের উপরে নির্মিত চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ ছিলেন জহির রায়হান। তবে তারও আগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৫শে মার্চ কালো রাতের দূর্বিষহ চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল্লাহ। কিন্তু দুঃখ এবং পরিতাপের বিষয় সেই সব আলোকচিত্রগুলো অবহেলায় কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। এরপরই নভেম্বর মাসের মধ্যেই গঠিত হয় একটি বেসরকারী উদ্যোক্তা কমিটি। এই কমিটির সমন্বায়ক হিসেবে কাজ করে “Bangladesh Libaration Council of the Intelligentsia” এবং “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কলাকুশলী সহায়ক সমিতি”। তাদের যৌথ উদ্যোগ ও আর্থিক সহায়তায়। নভেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মিত হয় চারটি চলচ্চিত্র। যদিও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে গঠিত মুজিব নগর সরকারের উদ্যোগে একটি কমিটি গঠন করা হয় “চলচ্চিত্র উন্নায়ণ কমিটি” নামে। প্রধান ছিলেন আব্দুর জব্বার খান। যদিও ঐ কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া যুদ্ধচলাকালীন সময়ে দশ মিনিটের একটি তথ্যচিত্রও প্রচারিত হয় বিভিন্ন বিদেশী মিডিয়ায়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রামাণ্যচিত্র/ চলচ্চিত্র সমূহঃ
> Stop Genocide (Zahir Rayhan)
> Liberation Fighters (Alomgir Kabir)
> A State You Born (Zahir Rayhan)
> Innocent Millions (Babul Chowdhury)
বহিঃর্বিশ্বকে বাংলাদেশে যুদ্ধকালীন বর্বরতার খবর জানাতে উক্ত প্রামাণ্যচিত্রগুলো ছাড়াও আরো কিছু ডকুমেন্টারী বা প্রামাণ্যচিত্র তৈরী হয় তখনকার সময়ে বিভিন্ন বিদেশী বন্ধুদের দ্বারা। সেগুল হলোঃ
> Joy Bangladesh (I S Zohor,India)
> Joy Bangla (Uma Prashad Moitra,India)
> Nine Months to Freedom (Shukdeb,India)
>”দুর্বার গতি পদ্মা”(ঋত্বিক কুমার ঘটক,ভারত)
>”দুরন্ত পদ্মা”(দূর্গা প্রসাদ,ভারত)
> রিফিউজি ‘৭১ (বিনয় রায়, ভারত)
> Loot and last(H S Advani, India)
> The Country Made for Disaster (Robart Rozers,USA)
> Dateline Bangladesh(Brane Tag,UK)
> War Crime Files(Geeta Saygal & David Bargman)
> Major Khaled’s War (Tania Kaul)
> Joy Bangla (Nagisa Osimar,Japan)
> Rahman: The Father of Nation (Nagisa Osimar,Japan)
> Legacy of Blood (Nagisa Osimar,Japan)
> How it was One(BBC)
> The World in Action (Granada TV)
> The Concert for Bangladesh (USA)
> Genocide Factor (Media Entertainment)
> War Babies (Makumba International)
প্রবাসী বাংলাদেশীদের নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র সমুহঃ
> Tears of Fires (Sentu Ray,Bangladesh)
> “পলাশী থেকে বাংলাদেশ”(আব্দুল গাফফার চৌধুরী)
১৯৭০-এর দশকে নির্মিত চলচিত্র সমূহঃ
> জীবন থেকে নেওয়া (১৯৭২) —আলমগীর কবীর ও জহির রায়হান
> ওরা ১১ জন (১৯৭২) — চাষী নজরুল ইসলাম
> বাঘা বাঙ্গালী (১৯৭২) — আনন্দ
> জয় বাংলা (১৯৭২) — ফকরুল আলম
> অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী (১৯৭২) — সুভাষ দত্ত
> রক্তাক্ত বাঙালী (১৯৭২)- মমতাজ আলী
> ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩) — আলমগীর কবির
> আমার জন্মভূমি (১৯৭৩) — আলমগীর কুমকুম
> আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩) — খান আতাউর রহমান
> সংগ্রাম (১৯৭৪) — চাষী নজরুল ইসলাম
> আলোর মিছিল (১৯৭৪) — নারয়ণ ঘোষ মিতা
> বাংলার ২৪ বছর (১৯৭৪) — মোহাম্মদ আলী
> কার হাসি কে হাসে (১৯৭৪) — আনন্দ
> মেঘের অনেক রঙ (১৯৭৬) — হারুন-উর-রশিদ
১৯৮০-এর দশকে নির্মিত চলচ্চিত্র সমূহঃ
> বাঁধন হারা (১৯৮১) — এ. জে. মিন্টু
> কলমীলতা (১৯৮১) — শহীদুল হক খান
> চিৎকার (১৯৮১) — মতিন রহমান
> আগামী*(১৯৮৪)- মোরশেদুল ইসলাম
> হুলিয়া* (১৯৮৫)- তানভীর মোকাম্মেল
> চাক্কি* (১৯৮৫)- এনায়েত করিম বাবুল
> প্রত্যাবর্তন* (১৯৮৬)- মোস্তফা কামাল
> সূচনা* (১৯৮৮)- মোরশেদুল ইসলাম
> ছাড়পত্র*(১৯৮৮)- জামিউল রহমান লেমন
> বখাটে* (১৯৮৯)-হাবিবুল ইসলাম হাবিব
> দুরন্ত*(১৯৮৯)- খান আখতার হোসেন
> পতাকা*(১৯৮৯)-এনায়েত করিম বাবুল
১৯৯০-এর দশকে নির্মিত চলচ্চিত্র সমূহঃ
> একজন মুক্তিযোদ্ধা* (১৯৯০)-দিলদার হোসেন
> কালোচিল’৭১*(১৯৯০)-সাদুল্লা আল মাসুদ
> ধূসরযাত্রা* (১৯৯২)-আবু সায়ীদ
> আমরা তোমাদের ভুলবোনা (১৯৯৩) — হারুন-উর-রশিদ
> একাত্তরের যীশু (১৯৯৩) — নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু
> আগুনের পরশমণি (১৯৯৫) — হুমায়ুন আহমেদ
> সিপাহী (১৯৯৫)- কাজী হায়াৎ
> নদীর নাম মধুমতি (১৯৯৬) — তানভীর মোকাম্মেল
> হাঙ্গর নদীর গ্রেনেড (১৯৯৭) — চাষী নজরুল ইসলাম
> এখনও অনেক রাত (১৯৯৭)- খান আতাউর রহমান
> গৌরব* (১৯৯৮)- হারুনর রশীদ
> ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ (১৯৯৮)- বাদল রহমান
> ‘৭১ এর(১৯৯৮)- নাজির উদ্দীন রিজভী
২০০০-এর দশকে নির্মিত চলচ্চিত্র সমূহঃ
> শোভনের একাত্তর*(২০০০)-দেবাশীস সরকার
> শরৎ’৭১*(২০০০)- মোরশেদুল ইসলাম
> মুক্তিযুদ্ধ ও জীবন*(২০০০)-ছটকু আহমদ
> ইতিহাসের কন্যা (২০০০)-শামীম আকতার
> একাত্তরের মিছিল* (২০০১)- কবরী সরওয়ার
> একাত্তরের রং-পেন্সিল* (২০০১)- মান্নান হীরা
> একজন মুক্তিযোদ্ধা (২০০১)-বি এম সালাউদ্দীন
> শিলালিপি (২০০২)-শামিম আকতার
> মাটির ময়না (২০০২) — তারেক মাসুদ
> হৃদয় গাঁথা* (২০০২)- রহমান মুস্তাফিজ
> জয়যাত্রা (২০০৪) — তৌকির আহমেদ
> শ্যামল ছায়া (২০০৪) — হুমায়ুন আহমেদ
> মেঘের পরে মেঘ (২০০৪)- চাষী নজরুল ইসলাম
> যন্ত্রণার জঠরে সূর্যদয়* (২০০৪)- সৈয়দ রেজাউর রহমান
> খেলাঘর (২০০৬) — মোরশেদুল ইসলাম
> ধ্রুবতারা (২০০৬)- চাষী নজরুল ইসলাম
> অস্তিত্বে আমার বাংলাদেশ (২০০৭)- খিজির হায়াত খান
> স্পার্টাকাস ‘৭১ (২০০৭)- মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী
২০১০-এর দশকে নির্মিত চলচ্চিত্র সমূহঃ
> নরসুন্দর* (২০১০)- তারেক মাসুদ
> গহীনে শব্দ (২০১০)- খালিদ মাহমুদ মিঠু
> নিঝুম অরণ্যে (২০১০)- মুশফিকুর রহমান গুলজার
> রাবেয়া (২০১০)- তানভীর মোকাম্মেল
> মেহের জান (২০১১)- রুবাইয়াৎ হোসেন
> আমার বন্ধু রাশেদ(২০১১) – মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত
> গেরিলা (২০১১) – নাসিরুদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত
> পিতা(২০১২)-মাসুদ আখন্দ পরিচালিত
> আত্মদান (২০১২)-শাহজাহান চৌধুরী
> কারিগর (২০১২)-আনোয়ার শাহাদত
> খন্ডখন্ড একাত্তর(২০১২)- বদরুল আনাম সৌদ
(নোটঃ * স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র)
একাত্তরের পরে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রঃ
> ডায়েরিজ অব বাংলাদেশ(১৯৭২)-আলমগীর কবীর
> দেশে আগমণ(১৯৭২)-চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর
> পোগ্রাম ইন বাংলাদেশ(১৯৭৩)-আলমগীর কবীর
> লংমার্চ টুওয়ার্ডস গোল্ডেন বাংলা(১৯৭৪)-আলমগীর কবীর
> মুক্তিযোদ্ধা(১৯৭৬)-চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর
> বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ(১৯৮৩)-সৈয়দ শামসুল হক
> বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর(১৯৮৩)-সৈয়দ শামসুল হক
> বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান(১৯৮৪)-সৈয়দ শামসুল হক
> জেনারেল এম এ জি ওসমানী(১৯৮৪)-চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর
> বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান(১৯৮৪)-সৈয়দ শামসুল হক
> বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন(১৯৮৪)-সৈয়দ শামসুল হক
> বীরশ্রেষ্ঠ মুনশী আবদুর রউফ(১৯৮৫)-সৈয়দ শামসুল হক
> বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল(১৯৮৫)-সৈয়দ শামসুল হক
> এক সাগর রক্তের বিনিময়ে(১৯৮৫)- আলমগীর কবির
> মুক্তির গান(১৯৯৫)-তারেক মাসুদ ও ক্যাথেরিন মাসুদ
> চারুকলায় মুক্তিযুদ্ধ(১৯৯৭)-মানজারে হাসীন
> মুক্তির কথা(১৯৯৮)-তারেক মাসুদ
> কামালপুরের যুদ্ধ(২০০১)-চাষী নজরুল ইসলাম
> দেশ জাতি জিয়াউর রহমান(২০০১)-চাষী নজরুল ইসলাম
> মৃত্যূঞ্জয়ী(২০০১)-সাজ্জাদ জহির
> প্রতিকূলের যাত্রী(২০০১)-কাওসার চৌধুরী
> সেই রাতের কথা বলতে এসেছি(২০০২)-কাওসার চৌধুরী
> স্বাধীনতা(২০০২)-ইয়াসমিন কবির
> ফিনিক্স(২০০৩)-নিশাত জাহান রানা
> প্রিয়ভাষিণী(২০০৩)-মাহবুব আলম
> মুক্তিযোদ্ধা আমরাও(২০০৩)-সৈয়দ তারেক
> তখন(২০০৪)-এনামুল করিম নির্ঝর
> তাজউদ্দীন: নিসঙ্গ সারথি(২০০৭)-তানভীর মোকাম্মেল
> আমি স্বাধীনতা এনেছি(২০০৭)-সাগর লোহানী
> অনেক কথার একটি কথা(২০০৭)-আনন্দ
> অন্য মুক্তিযোদ্ধা(২০০৭)-লুৎফুন্নাহার মৌসুমী
> কালরাত্রি (২০০৭)-অশোক কর্মকার ও মানজারে হাসীন
> ১৯৭১ (২০১১)-তানভীর মোকাম্মেল
বর্তমানে নির্মিতব্য কিংবা মুক্তি প্রতিক্ষিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্রগুলো হলঃ
> জীবনঢুলী – তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত
> এইতো প্রেম-সোহেল আরমান পরিচালিত
> সংগ্রাম- মনসুর আলী পরিচালিত
> ৭১এর গেরিলা-মিজানুর রহমান শামীম পরিচালিত
> The Bustard Child (কলকাতা)
একমাত্র যুদ্ধপরাধ এবং জামাতবিরোধী চলচ্চিত্রঃ
২০০৯ সালে তীর্থক আহসান রুবেল-এর কাহিনী,চিত্রনাট্য এবং পরিচালনায় নির্মিত ৩০ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘টর্চারসেল’ এ দেশের একমাত্র যুদ্ধাপরাধ এবং জামাতবিরোধী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি একটি ফেস্টিভলে ‘শ্রেষ্ঠ সমালোচক পুরস্কার-২০১০’ এবং আন্তর্জাতিক ফেস্টিভলে ‘কম্পিটিশন ক্যটাগরি-২০১০’ তে অফিসিয়াল নমিনেশন পায়।
আপনারা চাইলে ইউটিউব লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন: লিংক
শেষকথাঃ
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা এবং শোকগাঁথা নিয়ে নির্মিত এই সকল চলচ্চিত্র গুলো শুধুমাত্র আমাদের একাত্তরের কথাই মনে করিয়ে দেয় না, একই সাথে জাগ্রত করে আমাদের চেতনাকে, শাণিত করে আমাদের দেশপ্রেমকে। যেসকল কলাকুশলী এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং মেধার মাধ্যমে এইসকল অমূল্য চলচ্চিত্র,প্রামাণ্যচিত্র এবং তথ্যচিত্রগুলো তৈরী হয়েছে তাদের সকলের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা এবং অন্তরের গভীর থেকে জানাই কৃতজ্ঞতা।
তথ্যসূত্রঃ
– বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র by অনুপমহায়াৎ
– দারাশিকোর ব্লগ
– তানভির খালেদ (বাংলা চলচ্চিত্র গ্রুপ)
গুরুদেব আমার কোনো লেখা পড়েছেন নাকি?’
১৮টি মন্তব্য
মা মাটি দেশ
(y) বিজয়ের শুভেচ্ছা —–হউক অঙ্গীকার দেশ গড়ার -{@
নীলকন্ঠ জয়
বিজয়ের শুভেচ্ছা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বিজয়ের চেতনা হোক সুন্দর আগামীর প্রেরণা।
জিসান শা ইকরাম
এমন পোস্টের জন্য লেখককে অবশ্যই দিতে হয় ।
এটি দেশের সবচেয়ে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র/ চলচ্চিত্র নিয়ে
অত্যন্ত কস্টসাধ্য এবং তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ।
বিজয়ের শুভেচ্ছা —
নীলকন্ঠ জয়
বিজয়ের শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় ভাইয়ার প্রতি। কষ্ট হলেও এমন একটা কাজ দরকার ছিলো এই তাগিদেই করেছি। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের বিজয় গাথা নিয়ে এত এত সব কাজ হয়েছে আপনি এখানে
এভাবে আমাদের না জানালে সত্যিই জানা হত না ।
অবশ্যই ধন্যবাদ আপনাকে ।
সময় করে দেখতে শুরু করব ভাবছি ।
নীলকন্ঠ জয়
হুম কষ্টের চেয়ে বড় কথা অনেক আগ্রহ নিয়ে কাজটি করেছি। এই কাজটি করার খুব দরকার ছিলো তাই করে ফেললাম। কেমন হলো জানিনা। সামান্য ভূল ত্রুটি মার্জনার চোখে দেখবেন। জানাবেন, শুধরে দিবো।
বিজয়ের শুভেচ্ছা।
শুন্য শুন্যালয়
নীলকন্ঠের কাছে অনেক ঋনি হলাম পোস্টটির জন্য…
সব দেখে ফেলতে ইচ্ছে করছে, জানিনা লিন্ক পাবো কিনা.
অনেক অনেক ধন্যবাদ নীলকন্ঠ.
নীলকন্ঠ জয়
এভাবে বলবেন না। তাতে বন্ধুত্বের স্থানটায় দুরত্ব সৃষ্টি হয়। দ্বায়িত্ববোধ থেকে এই কাজটি করেছি। তানভির খালেদ ভাই এ কাজে সহায়তা করেছেন।
লিঙ্ক আমি দিয়ে দিবো আরেক পোষ্টে। তবে সময় দিতে হবে। কারণ লিঙ্কের জন্য আমাকে অনলাইন জগত, এমনকি সমগ্র বাংলাদেশের যাদুঘর গুলোতে তন্নতন্ন করে খুঁজতে হবে। অনেক গুলো হয়তো হারিয়েই গিয়েছে। 🙁 🙁
বিজয়ের শুভেচ্ছা।
বন্দনা কবীর
এটি তো একটি আর্কাইভ , এপিক পোস্ট । লিংক গুলো কি দিয়ে দেয়া যায় পোস্টে ?
নীলকন্ঠ জয়
ধন্যবাদ আপু।
লিঙ্ক আমি দিয়ে দিবো আরেক পোষ্টে। তবে সময় দিতে হবে। কারণ লিঙ্কের জন্য আমাকে অনলাইন জগত, এমনকি সমগ্র বাংলাদেশের যাদুঘর গুলোতে তন্নতন্ন করে খুঁজতে হবে। অনেক গুলো হয়তো হারিয়েই গিয়েছে। 🙁 🙁
বিজয়ের শুভেচ্ছা।
যাযাবর
কৃতজ্ঞতা ব্লগার ভাই । এসব ছবি/ ডকুমেন্ট খুজেছি আমি । ধন্যবাদ আপনাকে।
নীলকন্ঠ জয়
এখনতো পেয়ে গেলেন? আরো কয়েক পর্ব লিখবো সময় করে। বিজয়ের শুভেচ্ছা।
স্বপ্ন
প্রচুর খেটেছেন ভাই। বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।
নীলকন্ঠ জয়
তবুতো একটা সংগ্রহ হলো। বিজয়ের শুভেচ্ছা।
স্বপ্ন নীলা
আপনার কাছে কৃতজ্ঞ ,,,শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
নীলকন্ঠ জয়
আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই। বিজয়ের শুভেচ্ছা।
তির্থক আহসান রুবেল
২০০৯ সালে আমার কাহিনী,চিত্রনাট্য এবং পরিচালনায় নির্মিত ৩০ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘টর্চারসেল’ এ দেশের একমাত্র যুদ্ধাপরাধ এবং জামাতবিরোধী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি একটি ফেস্টিভলে ‘শ্রেষ্ঠ সমালোচক পুরস্কার-২০১০’ এবং আন্তর্জাতিক ফেস্টিভলে ‘কম্পিটিশন ক্যটাগরি-২০১০’ তে অফিসিয়াল নমিনেশন পায়।
দু:খজনক সত্য, আজকের মতো এতটা প্রচার সুবিধা আসলে তখনও ছিল না। আর আমার সাধ্যও ছিল না, সেভাবে প্রচার করার।
আপনারা চাইলে ইউটিউব লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন: http://www.youtube.com/watch?v=zno8-C7okro
নীলকন্ঠ জয়
রুবেল ভাই, কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি। কোথাও না থাকুক। এই পোষ্টে লিংকসহ থাকছে আপনার ছবিটির কথা।
শুভেচ্ছা।