কথায় আছে – আপনি যা করবেন আপনার সন্তানদের সামনে, সেগুলোই তারা শিখবে। এবং ভবিষ্যতে সেগুলোই তারা করবে। তা যতই ভাল কিংবা খারাপ কিছু হোক না কেন, সেটা তারা করবেই। প্রশ্ন আসতে পারে কেন করবে? আমার আপনি এমন প্রশ্ন করতে পারেন নিজেকে – আমি তো কারো ক্ষতি করি নি। তাহলে কেন আমার ছেলে বা মেয়ে এমন হল?
আপনার জন্যই বলছি – আপনার সন্তানের প্রাথমিক শিক্ষাটা আসে পরিবার থেকেই। যখন পরিবার থেকে আপনার সন্তান ভাল কিছু শিখতে পারে না তেমন, তখন আপনি ভাল কিছু হয়তো আশাই করতে পারেন না। মনে রাখবেন – গোবরে পদ্দফুল সবসময় কিন্তু ফোটে না!
একটি পরিবারে যখন বাবা কিংবা মা দুজনেই নিজেদের মত ব্যস্থ থাকেন, অথচ নিজের সন্তানকে সময় দেন না, কোথায় যাচ্ছে সে কি করছে কার সাথে মিশছে; কোন খবরই রাখছেন না, তাহলে আপনাকেই বলছি। সময় থাকতেই আপনার সন্তানকে ফেরান। কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ সেটা বোঝান। দুঃক্ষজনক হলেও সত্য যে, আজকাল এমনটাই ঘটছে।
খুবই অস্থির এক সময় পার করছি আমরা। বাহিরে বের হলে বাসায় ফিরিবো কি না তার কোন নিশচয়তা কেউ দিতে পারে না। সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে নিহত পরিবারদের সান্তনা দেয়ার ভাষা আমাদের জানা নেই। তাদেরকে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারবো না কখনই। শুধু সমবেদনাই জানাতে পারি আমরা।
***মনে রাখবেন একটা কথা, ব্রেনওয়াশড কোন মানুষকে আপনি চেষ্টা করেও সঠিক পথে আনতে পারবেন না। আর তাকে সঠিক পথ চেনাতে গেলেই আপনার উপরেই নেমে আসতে পারে বিপদ। কিন্তু তাই বলে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। আপনার আপনজনকে সঠিক পথে নিয়ে আসার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। আপনার সন্তান যদি ৪/৫ দিনের জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে উধাও হয়ে যায় তাহলে সময়ক্ষেপণ না করে পুলিশকে জানান। যতটুকু সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
কোন রকম অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আসুন সুন্দর একটি দেশ গড়ি।
২৫টি মন্তব্য
ইঞ্জা
সহমত
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
ধন্যবাদ
সঞ্জয় কুমার
সচেতনমূলক লেখা
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
ধন্যবাদ মন্তব্যে্র জন্য
মিষ্টি জিন
সময় উপযুগি লেখা.. বাচ্চাদের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় পরিবার থেকে .. ঠীক বলেছেন ..১৩ থেকে ১৯ বছর বয়স যাকে আমরা বয়োসনধি কাল বলি.. এই বয়স টা খুব মারাত্মক .. যত ভুল /অপরাধ বাচ্চারা এই বয়সেই করে থাকে ..ঠীক এই বয়সে সন্তানদের যদি আমরা সঠিক শিক্ষা দিতে পারি তাহলে তাদের বিপদগামী হওয়ার ভয় আর খুব একটা থাকে না..
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
আমরা কতটুকুই বা পারছি এখন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে যেয়ে আমরা একুল ওকুল দুকুলই হারাচ্ছি
ছাইরাছ হেলাল
খুবই সময়োচিত ভাবনা,
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
ধন্যবাদ
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সময়ের প্রয়োজন বলে একটা কথা আছে। আগেকার সময়ে আমরা অতোটা রিস্কে ছিলাম না, যতোটা এখনকার বাচ্চারা। আর তাছাড়া আরোও একটা ব্যাপার আছে, আগেকার তুলনায় এখনকার মায়েরা সন্তানদের একটু প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন বেশি, যা সন্তানকে জেদী করে তুলে।
আসল কথায় আসি। বলছিলাম সময়ের প্রয়োজন। হ্যাঁ, এখনকার এই সময়ে সন্তানরা বাল্যকাল পার করে কিশোর বেলায় আসলেই তাদের গতিবিধি নজরদারি করা বিশেষ প্রয়োজন। খুব জরুরী হয়ে উঠেছে, অতি সুক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাদের মনোজগতে কি খেলা করছে তা অনুধাবন করা। সন্তান যাতে বিপথে না যায়, সেজন্য তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন, যেনো আপনাকেই সে পরম নির্ভরতা মনে করে। তাদের সাথে হাসি-ঠাট্টা, খোলামেলা কথা বলুন। নিশ্চয় সে সন্তান বাইরের হাতছানিতে পথভ্রষ্ট হবে না।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
আজকাল বাবা মারা সন্তানকে সময় দেন না তেমন। কাজের বুয়া কিংবা পরিবারের অন্য সদস্য লালন পালন করে থাকে। বাচ্চারা আর কতটুকুই শিখবে। বাবা মা ছাড়া বাচ্চারা সাধারণত কারো কথা শুনতে চায় না। আর এটা বাস্তব সত্য।
জিসান শা ইকরাম
সময়োপযোগি লেখার জন্য ধন্যবাদ।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়বার জন্য
লীলাবতী
পরিবারের সম্পর্কগুলো শিথিল হয়ে যাচ্ছে, সন্তান কি করছে তা অনেক বাবা মা ই জানেন না।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
সেটাই। সবাই এখন নিজেকে নিয়েই ব্যস্থ
মেহেরী তাজ
অনেক ভালো বলেছেন!
একমত আপনার সাথে…….
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
ধন্যবাদ আপনাকে
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার প্রতিটি কথার প্রতি পূর্ণ সমর্থন। একটা কথা আমি সবসময় বলি, সন্তান যদি কখনো শেয়ার না করে, তার মানে অবশ্যই কিছু সমস্যা আছে। আমরা মা-বাবারা একটা ভুল করি কখনো সন্তান যদি অন্যায় কিছু করে আসে, শাসন করি। আমার মতে শাসনটা হওয়া চাই অবশ্যই, তবে সেটা বকঝকা দিয়ে নয়।
মনে আছে আমারই এক পরিচিত উনি উনার সন্তান কিছু একটা মিথ্যে বলেছিলো মায়ের ভয়ে। কারণ উনি কথায় কথায় মারতেন। আমি উনাকে বললাম দেখুন আমিও শাসন করি, রাগ উঠলে বেশী মেরেও দেই। তাতে কাজ হয়নি। আপনি শাসন করুন অন্যভাবে, যাতে সন্তান ভয় না পায়। যখন ভয় কাজ করবে তখন ওরা কথা লুকোবে, মিথ্যে বলবে। উনি সেটা করলেন, আজকাল দেখি মা-ছেলের বন্ধনটা বন্ধুর মতো।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
আমরা যারা প্রবাসে থাকি তাদের কষ্ট আর লজ্জার কথা আপনার অজানা থাকার কথা নয়।
আজকে সকালে অফিসে গিয়েছি। কি একটা কথা প্রসঙ্গে হুট করে আমার কলিগ বলে উঠলো,
হেই, মাহা, আমি একটা খবর শুনলাম তোমাদের দেশের। কি অবস্থা তোমার আর তোমাদের পরিবারের? তারা ঠিক আছেন তো?
আমি উত্তরে ধন্যবাদ দিয়ে বললাম, হ্যা ঠিক আছে। যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে আমার বাসা অনেক দূরে। সবাই সুস্থ আছে।
ত্রাপর আরো অনেক কথা হল। কেন এমন হল, কিভাবে হল। কারা জড়িত। এইসব। সন্ত্রাসীরা বেচে আছে কি না। বন্দীদের কি অবস্থা।
অথচ আপা, ১ সপ্তাহ আগেও আমার কলিগদের বুঝিয়ে বলতে হয়েছিল বাংলাদেশ নামে একটা দেশ আছে। কিন্তু তারা এখন সবাই জেনে গিয়েছে আমাদের দেশ সম্পর্ক এ। তবে খারাপ দিকটাই হয়তো বেশি। মুখে যদিও তারা বলছিল নাহ এটা একদম ঠিক হয় নি। ব্রেনওয়াশড পিপল সব।
বুঝেন তাহলে কি অবস্থা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি জানি। কথায় আছেনা খারাপ খবর বাতাসের আগে যায়? এমনিতে আমাদের দেশকে চেনেনা। ইন্ডিয়ার পাশের দেশ বললে বলে ওহ পাকিস্তান? এই হলো অবস্থা।
আবু খায়ের আনিছ
আগের হাল যেভাবে যায় পিছনের হাল সেই দিকেই যাবে, সম্পূর্ণ সত্য না হলেও সত্য বটে। সময় উপযোগী পোষ্ট।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
ধন্যবাদ আপনাকে
অনিকেত নন্দিনী
সময়োপযোগী লেখা। (y)
পারিবারিক বন্ধনগুলি আর আগের মতো নেই। অতি আধুনিক আর অতি স্বাধীনচেতা হতে গিয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করছি। 🙁
সন্তানকে ধর্ম, মানবতা আর উচিত-অনুচিত নিয়ে সমুচিত শিক্ষা না দিলে কী হয় তা আমরা নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি। এখনো সময় আছে নিজেদের ভুল শোধরে নেবার। 🙁
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
জানি না সামনে কি অপেক্ষা করছে
কোন কিছু আশা করতেও এখন ভয় লাগে। 🙁
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক তাই, পরিবার থেকেই আসে বেশিরভাগ শিক্ষাটা। আর বাবা-মা ই পারে ছেলে-মেয়ের পরিবর্তন গুলো কাছ থেকে বুঝতে। এগুলো না বুঝতে পারা তাদের অক্ষমতা। ভালো লিখেছেন।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
ধন্যবাদ