বর্তমানে ভূমিকম্পের আতংকে কাঁপছে সবাই । পর পর দুইটি ভূকম্পন এবং নেপালে ভূমিকম্পের ভয়াবহতায় সবাই আতংকিত ।
বসবাসের জন্য আমরা যে বাড়িতে মাথা গোজার একমাত্র আবাসস্থল বানিয়েছি । সতর্ক না থাকলে সেটাই হতে পারে আমাদের জন্য মৃত্যু ফাঁদ ।তাই বাড়ি তৈরি করার আগেই সচেতন হোন ।
বাড়ি তৈরির আগে
* অবশ্যই অভিজ্ঞ স্ট্রাকচার এবং আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে বিল্ডিং এর ড্রয়িং ডিজাইন করাতে হবে ।
* ভবনের মূল অংশ হল তাঁর বেস বা মাটির নিচের অংশ সাব স্ট্রাকচার । তাই ভবন তৈরির আগে ভালভাবে সয়েল টেস্ট বা মাটির লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি জানতে হবে । প্রয়োজনে পাইলিং করতে হবে ।
* বিল্ডিং এ 60 গ্রেডের রড ব্যবহার করা উচিত ।
* প্রতিটি কাস্টিং বিশেষকরে বেস , কলাম বীম এবং ছাদে ব্যাবহৃত ঢালাই এর psi পরিক্ষা করে নিতে হবে । ।
* গুরুত্বপূর্ণ ঢালাই করার আগে চেক করার জন্য কনসালটেন্ট বা অভিজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কে দেখিয়ে নেয়া ভাল ।
* ভূমিকম্পরোধী বিল্ডিং এর নির্মানব্যায় বেশী হলেও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটাই সর্বোত্তম ।
* সাধারণ ভূমিকম্পরোধী ভবনের সর্বনিম্ন কলামের সাইজ ১৬”*১৬” হতে হবে ।
* বিম কলাম এর সংযোগস্থলে রডে কোন প্রকার জোড়া পরিহার করা উচিত ।
* কলামে স্টোন চিপস ব্যবহার করা ভাল , ইটের খোয়ার চেয়ে এর স্ট্রেন্থ অনেক বেশী ।
* অনেকসময় দেখা যায় বিল্ডিং করার পর অনেকে পরবর্তীতে বিল্ডিং সম্প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে রড ঢালাইয়ের বাইরে বের করে রাখেন । এটা বিল্ডিং এর জন্য ক্ষতিকর । ঢালাইয়ের বাইরে রড না রাখাই ভাল । তারপরও যদি রাখতেই হয় তবে রড কে যথেষ্ট সুরক্ষিত অবস্থায় অবশ্যই রাখতে হবে ।
* ঢালাই গাথুনি প্লাস্টার করার পর নিয়ম অনুযায়ী কিউরিং (পানি দিয়ে ভেজানো) করতে হবে ।
সঠিক ভাবে কিউরিং স্থাপনার শক্তি বৃদ্ধিতে অপরিহার্য ।
* আপডেট BNBC কোড অনুসরণ করুন
এতো গেল বাড়ি তৈরি করার আগের পরামর্শ । এখন যদি আপনার বাড়ি আগে থেকেই তৈরি করা থাকে সে ক্ষেত্রে কি করবেন ?
* একজন অভিজ্ঞ প্রকৌশলি দিয়ে আপনার বাড়িটি পরিক্ষা করান ।
* নিজেই নিজের বাড়ি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন । ভবনের ঢালাইকৃত স্থান অর্থাৎ স্ট্রাকচারে কোন ফাঁটল আছে কিনা সেটা খেয়াল করুন । আর্কিটেকচার মানে গাঁথুনি প্লাস্টার ফাঁটল তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও এটা নোট করে রাখুন ।
* বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ভবনের রিকনস্ট্রাকশনের কাজ করেন । তাঁদের সাথে আপনার নোট করা বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন । এরা আপনার বিল্ডিং এর এজ বিল্ড ড্রয়িং করবেন এবং আপনার ভবনের লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি পরিক্ষা করে প্রয়োজন হলে ভবনের কিছু অংশে রিকনস্ট্রাশন করা লাগতে পারে । যদিও এটা অনেক ব্যায় বহুল । তাই বিল্ডিং করার আগেই এই বিষয় গুলো বিবেচনা করা উচিত ।
সম্পূর্ণ নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছি ভুল ক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল ।
১৪টি মন্তব্য
স্বপ্ন নীলা
আন্তরিক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
আত্মীয়গণ যারা বাড়ী বানাবে তাদেরকে বলতে হবে, তাছাড়া নিজের বাড়ী তৈরি করার সময় কাজে দিবে
সঞ্জয় কুমার
অবশ্যই । ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকে ধন্যবাদ
এই সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার জন্য।
সঞ্জয় কুমার
আপনাকে ও ধন্যবাদ
খেয়ালী মেয়ে
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ এবিষয়টা সবার সাথে শেয়ার করার জন্য..
সঞ্জয় কুমার
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন
জিসান শা ইকরাম
উপকারী পোষ্ট
+++++++
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ মামা
ব্লগার সজীব
জানলাম অনেক কিছু।জানাবো মানুষকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
সঞ্জয় কুমার
আপনাকে ও ধন্যবাদ
ব্লগার সজীব
আপনার লেখাটির লিংক আমার পোষ্টে দিয়ে দিলাম।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বড় উপকারি পোষ্টটি।যেহেতু আপনি বাস্তবে অভিজ্ঞ তাই আপনার চেয়ে ভালো এ বিষয়ে কেউ বলতে পারবে না।আমার প্রয়োজন মনে হয় পড়বে না।
সঞ্জয় কুমার
আপনার প্রয়োজন পড়বে না !!!!!!!!!!!!!!!!
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন
লীলাবতী
খুবই প্রয়োজনীয় পোষ্ট।