জ্যোৎস্নার চাঁদ-রাতে ঘুমন্ত বন জেগে ওঠে
আজ সে হাসবে অট্টের হাসিতে
যা সে লুকিয়ে রেখেছিল বনের জলজ উঠনে
সেই কত কাল আগে;
কত জল বয়ে গেল কত জল ঢেউয়ে হারালো
দুকুল উপচে, কত চাঁদ মুখ লুকালো
তেষ্টা-তপ্ত হৃদয়ের
আহ্নিক-বার্ষিক ধাঁধার গোলকে;
সুদীর্ঘ ফেরারি বৃষ্টি অতর্কিতে নেমে এসে
বুনে দিয়েছে প্রাণে লীলা বীজ
তুঙ্গ-হাসির কোলাহলে।
৪৪টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আজ তারার উৎসব,
শতাব্দীর ঘুম ভেংগে জোছনার জাগরনে হেসেছে তিমির রাত,
কালচে–সবুজ বনের লাজুক হাসিতে ম্লান হয়েছে জ্বোনাকির মিছিল। সে এসেছে, প্রত্যাশিত পথে
প্রত্যাখ্যানের ধুধু মরূ পাড়ি দিয়ে,
চাঁদ উঠবে আজ মরু-মেরুতে …
এটা অর্ধেক বাকিটা ভাত খেয়ে দিচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
বিধাতা রহম করুন, খাওয়ার পর কী হবে কে জানে।
সাবিনা ইয়াসমিন
অট্টহাসির রাশি রাশি সুর-মূর্ছনায়
জেগেছে শীতল হিমালয়,
উত্তাপ-হীন চন্দ্রিমায় তরল হবে আজ।
পরিযায়ীর দল ভুলেছে পথ,
আলাপনের তীর আগন্তুকের আগমনে।
মরুর রুক্ষতায় আর মেরুর হিমে
ধূসরিত উপেক্ষার বীজে বেজে উঠে প্রাণের বাঁশি,
তুঙ্গ-হাসিতে মুখোরিত চারিদিক…
ছাইরাছ হেলাল
এ মন্তব্যের উত্তর দিতে অপারগ।
আপনি কৈ ছিলেন এত এত এ দিন!
কোন শৈলের-গুহায়, কোন হিম-চুড়ায়
রুক্ষ-মরুর আচ এড়িয়ে
চন্দ্রের চন্দ্রিলতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে,
প্রাণ-বাঁশির তুঙ্গ-হাসিতে!!
ছিলেন হয়ত ছায়া পথের ধার ঘিরে
আলতো পায়ে আল-পথের নূপুর পায়ে!!
এই তো এই সোনেলার হৃদয় জুড়ে।
সাবিনা ইয়াসমিন
সব পেয়ারা নৌকায় তুলে রাখলে হবে ? আমাদের জন্য কিছুই রাখলেন না 😒😕
ছাইরাছ হেলাল
বনজ-হাসি!!
সে তো সবার।
সাবিনা ইয়াসমিন
এসব বলে কাজ হবেনা, পেয়ারা খাবো। আমি পেয়ারা চাই। তাড়াতাড়ি দিন।
ছাইরাছ হেলাল
পেয়ারা না, এ তো মরুর ফল!! খেয়ে ফেলুন!!
প্রহেলিকা
কবিদের নিয়ে দেখছি বড় বিপদে পড়েছি! কবিতার রথ এত দ্রুত চলে, যা নিয়ে আর কিছু বলার থাকে না।
এবার কবিতা থেকে দূরে যাওয়া দরকার, এ আমার কাম্য নহে, যারা সকাল বিকালে এভাবে কবিতার ঘোড়াদৌড়ে সামিল হতে কবিতা তাদের জন্যই!
গোলকধাঁধাকে কবি কিভাবে ধাঁধার গোলক বানায় তাকিয়েই দেখছি কেবল। সব দেখে ফেলা কবিদের মতো কবিতা লিখেছেন এবারে! কোথাকার জল কোথায় কোথায় বয়ে যায় সবই জানাফানা!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কবি!! আপনার কূন দুস নেই, অ-কবিরা লিখলেই কইবেন,
ল্যাকছে!!
আমি তো দেখে দেখে শিখি/লিখি
প্রহেলিকা
লতার উপর দিয়ে লতা গ্যাছে, টানতে গিয়েই ছিঁড়ে গ্যাছে!
ছাইরাছ হেলাল
লতা পাতা কৈ পাইলেন!!
কত কী লেখলাম!! সব পণ্ডে গেল!!
প্রহেলিকা
আপনার লেখা কখনো পণ্ডে যেতে পারে না। কবিতার ভেতর পেয়ারা আছে, পেয়ারা সব খাওয়া শেষ তাই এই আউল ফাউল মন্তব্য! দুশ আমার না!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কবি, কবিদের কুন দুস হয় নয়া।
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত কবিদের ভিড়ে কৈ যামু!!
আপনি দূরে যাওনের কালে আমারে লইয়া যাইয়েন।
প্রহেলিকা
চালে চালে কুষমাণ্ড, হরির মায়ের গলগণ্ড!
আবার এটাও বলা এক গাঁয়ে ঢোল বাজে আরেক গাঁয়ে বিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
এখন এগুলাইন তো বুঝতে পারি না,
খুব কঠিন লাগে।
প্রহেলিকা
ছবিতে নৌকায় পেয়ারা দেখা যাচ্ছে। কবিতায় নৌকা আর পেয়ারা নাই ক্যান!!!
শুন্য শুন্যালয়
আপনি ধরে নিন অতর্কিত বৃষ্টির ফলেই গাছে এতো এতো পেয়ারা ধরেছে, পেয়ারা ভর্তি নৌকা এখন জলের ঢেউয়ে হারাবে, আর এতো এতো পেয়ারা দেখে কতদিন ধরে এসব খাবে এই ভেবে কবির মনে তুঙ্গ হাসির কোলাহল বাজছে, এছাড়াতো আর উপায় দেখছিনা।
প্রহেলিকা
আপনি জব্বর একখান ছবি আর কবিতার তরজমা করেছেন! এউভাবে ভাবা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই! আপনার এই তরজমা ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতোই।
ছাইরাছ হেলাল
তরজমার সাথে সাথে মন্তব্যখানিও ফ্রেমেই রাখতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
লেখায়-ও আছে, আমাদেরগুলো কে আর দেখতে পায়!
বনের জলজ উঠোন কে নদী ভাবতে পারেন, আর প্রকৃতি যখন জল পেয়ে হাসাহাসি শুরু করবে
তখন ফুল-ফলে সব কিছু ভরে উঠবে।
কী পাইলেন জানান দিয়েন।
শুন্য শুন্যালয়
আমাদেরগুলো!! আহারে, কারে আবার দলে টানতেছেন?
যা ভাবাবেন, তাইই ভেবে নেবো এতো সহজ নাকি! চাঁদ রাত্রিতে অট্টহাসির প্রিপারেশন নিতে নিতেই কী বৃষ্টি চলে এলো! নাকি বৃষ্টি শেষে প্রিপারেশন নিলো মাথায় ঢুকতেছেনা। এমনিতেই মাথা ব্যথা করতেছে, মাথা টেপার লোক নাই, তার মধ্যে এইসব যা তা লেখা!
ছাইরাছ হেলাল
ফেরারি বৃষ্টি! তাও রেহাই দিচ্ছেন না!
না কিছুই সহজ না, বৃষ্টি, সে যখন যেমন করেই আসুক না কেন,
তাকে ছাড়া আমাদের চলেই না।
আহা মাথা!!
প্রহেলিকা
কি পাওয়া গেলো না গেলো তা আর বলে কি হবে। শুন্য আপু বলেই দিছে আসল কাহিনী। উহাই থাকলো!
ছাইরাছ হেলাল
আপুর মাথায় জল ফেলে/ঢেলে দিলেন!
ইঞ্জা
চমৎকার লিখেছেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
যাহা বলিবেন তাহাই সত্য, ভাইজান।
ইঞ্জা
😉😆
বন্যা লিপি
এবার মৌসুমে আয়োজন হোক সোনেলা যোদ্ধাদের এই বনজ হাসির সঙ্গে পরিচিতি করিয়ে দেবার। মৌসুম এলে দল বেঁধে ভিমরুলি,বা আটঘর কুড়িয়ানা নৌ ভ্রমনে আমন্ত্রন জানানো হোক। ইচ্ছে মতো বনজ অট্টের হাসি প্রান ভরে দেখে আসবে।
অনেক ভালো লাগলো লেখা। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
মন তো কত কিছুই চায়!
চাওয়া গুলো পাওয়ায় হেসে ওঠে না যে!!
ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
মাহমুদ আল মেহেদী
লুকিয়ে রাখা শব্দগুলো যে জানা যাচ্ছে কবিতার উঠানে, আপনার কল্যানে। পেয়ারা খেতে মনে যে চাচ্ছে, কি ছবি যে দিলেন ভাইয়া। পেয়ারা বনে গিয়ে পেয়ারা খেতে মনে চাইছে।
ছাইরাছ হেলাল
শব্দ তো আমার তৈরি না, আর এতো লুকিয়ে রাখার বস্তু নয়।
এক ছবি দেখেই এই অবস্থা!! হাজার ছবি দেখলে কী করবেন।
এই রাজ্যে গেলে কিছুই খেতে পারবেন না, দেখেই কাৎ হবেন।
ভাল থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
অট্টহাসিতে ঠান্ডা বুঝি মাথা
অট্টহাসির জবাব কিন্তু না হয় গরমে ঠান্ডা
ঐচাদ, ঐজোস্না এখনও বুঝি ডাকে ঐবনবাদালে।
মনে বুঝি জাগে টেউ বসন্তের কুহু কুহুকুহুটানে!!
ছাইরাছ হেলাল
মনের ঢেউ কেউ রুখতে পারে না।
ভাল থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার লেখায় সাড়া জাগে ভাল কেমনে থাকি বলুন্তো! টেউয়ের তালে মন উচাটন, তরঙ্গের উথাল্পাথালে হৃদয়ে সুর তোলে।
ছাইরাছ হেলাল
খুব সাবধান কিন্তু, শুধু ডুবে না গেলেই হলো।
জিসান শা ইকরাম
বনের জলজ উঠোন থেকে উঠে এসেছে তাহলে!
কোলাহল চলুক,
প্রহেলিকা
জিসান ভাই কিন্তু মন্তব্য করেনি, অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়েছে!
ছাইরাছ হেলাল
আহারে এভাবে ধরা পড়ে গেল,
ইহাই প্রহেলিকা।
রিতু জাহান
সে জলের বয়ে চলাতে গভীর রাতে কুল ভাঙ্গে। তবু কুল যায় জলের কাছে।
নাকি জলই বুক পেতে থাকে?
চাঁদের রুপালী আলোর ছোঁয়ায় গভীর রাতে বন জেগে ওঠে। বন কেয়ার ফিসফিসানি শুনি সুপারি ফুলের সাথে। শুকনো পাতায় মরমর ভেঙ্গে উঠে আসে লক্ষী প্যাঁচা।
যাবার আগে চলে যায় রাতচোরা পাখি।’
,,,,,আর কিছু কমু না। আমি কুবি না। কুবি হইতারলাম না আর।
শিখে আসতেছি,,,
ছাইরাছ হেলাল
চাঁদের আলোয় জল আর কুলের মাতামাতি এ এক আজব উপাখ্যান,
কে যে কার কাছে যায় বা যায়-না, তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না।
আপনি যা হওয়ার তা হয়েই আছেন, শুধু চালু রাখলেই হবে।
রিতু জাহান
এ উপাখ্যানের এক বাস্তব সাক্ষী আমি। নদীর দেশের মেয়ে বলে কথা!
কতো কতো অপলোক সময় গেছে সে সব চাঁদ রাতে ও জলের পানে চেয়ে!!
চালু তো থাকেই। চলতেই থাকে। শুধু থেমে থাকে নিজস্ব কিছু সময়।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু সময় থেমে থেকে থমকে দেয়। আমারা দাঁড়াই, অপেক্ষা আমাদের দাঁড় করিয়েই রাখে।