আমার অল্প কিছু ভ্রমণের অভিজ্ঞতার মধ্যে সব গুলো জায়গাই ভালোলাগার। নতুন নতুন জায়গা দেখা আমার মনে হয় সবারই পছন্দের। আমিও এর ব্যাতিক্রম নই। আর এই পছন্দকে বাস্তবরূপ দিতে পেরেছি একান্তই আমার কন্যার বাবার জন্য। এটা স্বীকার করা আর ধন্যবাদ দেয়া একান্তই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ধন্যবাদ তাকে আমাকে পছন্দসই জায়গায় যাওয়ার স্বাধীনতা দেয়ার জন্য।
আমার হঠাৎ করেই বাংলাদেশের সীমানা গুলো দেখার প্রবল ইচ্ছা হয়েছিল। কিন্তু ছোট মেয়েকে নিয়ে দূরের কোন বর্ডারে যাওয়া সম্ভব ছিল না। আমার নানা বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া তাই হটাৎ মনে হলো আখাউড়া বর্ডার কাছাকাছি হবে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার। বলতে লজ্জা নেই যে বাংলাদেশের মানচিত্র সমন্ধে আমার তেমন জ্ঞান নেই। গুগল মামার সাহায্যে সব খুটিনাটি দেখা শুরু করলাম। আমার নানা বাড়ি থেকে কত দূর হবে, কোন রাস্তায় যেতে হবে ইত্যাদি।
আমার মায়ের গ্রামে কিছু কাজ থাকায় সেই সুবাদে পতি দেব এর সম্মতিতে মায়ের সাথে গ্রামে গেলাম। সাথে ভাবি, ভাতিজা ও ভাগ্নিও ছিল। তারা কেউই আমার আসল উদ্দেশ্য জানতো না। রাতে মায়ের আর সবার সাথে কথা বললাম। প্রথমে বাঁধা দিলেও পরে বুঝতে পেরেছে যে রাজি না হলে আমি একাই ড্রাইভার নিয়ে রওনা দিব। শেষ মেষ রাজি হলো আর জানালেন তারাও সংগী হবেন।
সকাল ৯ টার দিকে যাত্রা শুরু করলাম। গুগল বললো যে ১ঃ৩০ ঘন্টা লাগবে। ম্যাপ সেট করে গাড়ী ছুটে চললো। পথে তো নজর কারা সবুজের সাগর দেখলাম। সাথে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার শহর, জেলা হাসপাতাল, শিশু পার্ক, কোর্ট, ভূমি অফিস, জেলখানা, কলেজ, শহীদ মিনার সহ আমার ভাতিজা যে হাসপাতালে জন্ম নিয়েছিল সে হাসপাতাল দেখলাম। আমি সামনের সিটে বসে কোন কথা না বলে সব নজরবন্দিতে ব্যস্ত। এক সময় লোকালয় পেরিয়ে একটি রাস্তায় গাড়ি প্রবেশ করলো। যতদূর চোখ গেল শুধুই ধু ধু ধানের ক্ষেত। আর রাস্তার দু পাশে সারি সারি গাছ। কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ মোবাইলে দেখলাম ভূল পথে যাচ্ছি। গাড়ি থামিয়ে একজনকে জিজ্ঞাসা করলে বললো আমরা অনেক পেছনে বর্ডার রেখে এসেছি। ড্রাইভার সাহেব একটু ভয় পেল কিন্তু আমি খুশিই হয়েছিলাম। ওকে বললাম ভূল না হলে তো এত সুন্দর পথ দেখতেই পেতাম না। গাড়ি ঘুরিয়ে আবার বর্ডার এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। একজনকে জিজ্ঞাসা করায় সে পথ দেখিয়ে দিল। কিছুদূর যাওয়ার পর বিজিবিদের ক্যাম্প দেখলাম। সিকিউরিটির একজন বললো এটা ক্যাম্প এখান থেকে পারমিশন ছাড়া ভেতরে যেতে দিবে না। কিন্তু বুঝতে বাকি রইলো না যে এবার ও ভূল হয়েছে। কারণ আমরা শুধু সীমানা নয় যেখান দিয়ে মানুষ ইন্ডিয়া যাতায়াত করে সে জায়গাটি দেখতে গিয়েছিলাম। পরে সে আবার রাস্তা দেখিয়ে দিল। অপরূপ দৃশ্য সে গ্রামের। মনে হচ্ছিল সবুজ রঙ দিয়ে একে রেখেছে কেউ। কিছুদূর যাওয়ার পর কাঙ্খিত সে জায়গার দেখা পেলাম। ড্রাইভার তো পারেনা বর্ডার এর গেইট দিয়েই গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়। তাকে অনেক বোঝানোর পরে সে বুঝলো যে পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়া যাবে না।
বর্ডার নামার পরে দেখলাম সেখানে ভ্রমণ কর দেয়ার জন্য সোনালী ব্যাংক এর শাখা আছে। সেখানে ভ্রমণ কর সহজেই দেয়া যায়। আর ডিউটি ফ্রি একটি দোকানও আছে। যদিও সে দোকানটি সব সময় বন্ধই থাকে, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেছি । বাংলাদেশ অন্যান্য বর্ডার এর চেয়ে এই বর্ডার একটু কম জনপ্রিয় তাই এখানে ভীর কম থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশন এর জন্য অনেক লাইন ধরতে হয় না। ঢাকা থেকে এই জায়গাটির দূরত্ব ও কম। বাস বা ট্রেনে করে সহজেই আসা যায়।
বর্ডার এর ওপাশে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহর। এটি ইন্ডিয়ার একমাত্র শহর যা বর্ডার এর এতো কাছে। ১৯৭৪ সালে ১৬ ই মে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত বাংলাদেশের সীমানা চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তা সঠিকভাবে কার্যকর হয় ২০১৫ সালের ৭ই মে। বর্তমানে এদেশের বিপুল পরিমাণ পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেন। আর পর্যটন সেবা ও দুদেশের বানিজ্যিক খাত উন্নয়ন করার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্দ্যোগ নিচ্ছেন। দুদেশের বানিজ্যিক উন্নয়ন এর লক্ষ্যে সপ্তাহে সাতদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এই বর্ডার খোলা থাকে। ইমিগ্রেশন শেষ করে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই আগরতলা শহরে প্রবেশ করা যায়। এই বর্ডারটি জনপ্রিয় করার জন্য রেল মন্ত্রণালয় থেকেও অনেক প্রচারণা করছে। আর আগরতলা থেকে মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাই সহ অনেক জায়গারই সরাসরি ট্রেনে যাওয়ার সুবিধা আছে। সাথে বিমানবন্দর ও আছে।
আমরা বর্ডার দেখার পরে সেখানের গার্ড রা জানালেন যে বিকাল ৫ টা বাজে অনুষ্ঠানে যেতে পারবো চাইলে। সে অনুষ্ঠান এ দুদেশের মানুষই যেতে পারবে। কিন্তু অপরিচিত জায়গা এই ভেবে সেখানে অনুষ্ঠান পর্যন্ত থাকিনি। বর্ডারে প্রতি বৃহস্পতিবার বর্ডার হাট বসে। বাংলাদেশ আর ভারত দুই দেশের মানুষের জন্যই হাট উন্মুক্ত থাকে। বর্ডারের পাশে দেখে এখানকার লোকজন ইন্ডিয়ান জিনিসপত্রের ব্যবসায় বেশী করে। নারী পুরুষ উভয়ই বিভিন্ন ব্যবসায় করে। যেমন শাড়ী, থ্রি পিস, মেডিক্যাল এর সামগ্রী, প্রশাধনী । আমার এক দূরের আত্নীয়ের মাধ্যমে এটা জানতে পারি। এবং বেশিরভাগ জিনিসই আসে চোরাই পথে। কিভাবে আনে আল্লাহই জানেন। আমরা সেখানে আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি।
আরো কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো আরো অনেক কিছু জানা যেত। কিন্তু সময় এর কাছে মানুষ অসহায়। তবে অনেক ভালো লাগা নিয়ে ফিরেছি। আমি অনেক এক্সাইটেড ছিলাম, যতদূর চোখ যায় বর্ডারের ওপাশে দেখার চেষ্টা করছিলাম। আমার মা বাচ্চাদের মত শত প্রশ্ন করছিলেন বিপরীত পাশ নিয়ে। তাকে বোঝাতে পারছিলাম না তুমি যা দেখছো আমিও তাই দেখছি। আমার সহযাত্রীরা প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেও পরে অনেক উপভোগ করেছে। আমার মেয়েটি আমাকে খুবই ভালো সময় দিয়েছে। দীর্ঘ পথ হলেও ছোট মানুষ হিসেবে কোন প্রকার বিরক্ত করেনি।
আরেকটি বিষয় হলো কেউ খাবার ব্যাপারে একটু বেশী সচেতন হলে সাথে করে খাবার নিয়ে যাবেন। কারণ সেখানে খাবার এর দোকান নেই। যাওয়ার সময় বাজার আছে সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারবেন। তারপরেও অনেক ভালো কিছু পাবেন এটা আশা করা সঠিক হবে না। যেমন আমার মেয়ে আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল কিন্তু কোথাও পাইনি। সব দোকানে ফ্রিজ আছে কিন্তু ফ্রিজে বিদুৎ সংযোগ ছিল না।
কোন নতুন জায়গায় গেলে সেখানের স্থানীয় মানুষদের সম্মান করুণ ও নিয়ম মেনে চলুন। তাহলে ভ্রমণ একটু নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যের হবে।
ধন্যবাদ।
৩১টি মন্তব্য
রোবায়দা নাসরীন
সুন্দর বর্ননা করলেন। তথ্য গুলো কাজের।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ পাশে থেকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভ্রমনের আনন্দ আর বর্ননা অত্যন্ত চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার এই লেখায়। সোনেলাও আনন্দিত আপনার মত ভ্রমন প্রিয় সুলেখিকাকে পেয়ে। ভ্রমন বেশ উপভোগ্যের ব্যপার, কিন্তু ভ্রমন লেখা তখনি সার্থক হয় যখন এমন বিষদ বর্ননায় পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। অনেক অভিনন্দন আপনার লেখাটির মাধ্যমে পাঠকদের অনেক কিছু অবগত করার জন্যে।
এটি আপনার ভ্রমন সংক্রান্ত দ্বিতীয় পোস্ট। আপনার ভ্রমনপথ আরও ব্যাপকতা লাভ করুক, আর ভ্রমনের গল্পে আমাদের সম্মৃদ্ধি আসুক। শুভ কামনা+ভালোবাসা। ❤❤
★ যেকনো জায়গায় গেলে স্থানীয়দের সাথে সদ্বভাব বজায় রাখা আবশ্যক। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উত্তম।
শাহরিন
অসংখ্য ধন্যবাদ, সময় নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য। এরকম মন্তব্য দেখলে লেখার উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। দোয়া করবেন যেন আরো নতুন কিছু দেখতে পাই।
মাছুম হাবিবী
ভ্রমণের সুন্দর একটি অভিজ্ঞতার কথা অামাদের সাথে শেয়ার করলেন অাপু। বেশ ভালো লাগলো, অামি কখনো বর্ডার দেখিনি তবে ইচ্ছে অাছে দেখার জানিনা কোনদিন বর্ডার দেখার সুভাগ্য হবে। তবে হ্যাঁ, অাপনার কথা মত সবকিছু মেনে চলার চেষ্টা করবো। অনেক ভালো থাকববেন
শাহরিন
ইনশাআল্লাহ পারবেন। ইচ্ছা থাকলে কিভাবে যেন পূরন ও হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে লেখা পড়ার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
গোছানো ভ্রমন কাহিনী পড়তে ভালই লাগল।
কিছু তথ্য জানা ছিল না, যেমন ত্রিশ মিনিটেই আগরতলা পৌঁছানো যায়।
এমন অল্প অল্প করে লিখুন।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ হেলাল ভাই। আমিও একটু একটু করে অনেকের কাছে থেকে এই বিষয় গুলো জেনেছি।
অনেক বানান ভুল আছে লেখাতে, অভ্রতে অতোটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারিনি। দয়া করে যদি ঠিক করে দিতেন 😌
ছাইরাছ হেলাল
কৈ!! তেমন ভুল-তো কিছু ঠাহর করতে পারছি না।
দেখলে অবশ্যই ঠিক করে দেয়ার চেষ্টা নেব অবশ্যই।
ব্যাপার না কোন!! ঠিক হয়ে যাবে।
শাহরিন
কয় কি!!! নাই বলে!!!
আচ্ছা এর পরে আরো খেয়াল রাখবো 🙂
মাসুদ চয়ন
ভ্রমণের সুন্দর উপাখ্যান-মনে হচ্ছিলো জীবন্ত চক্ষুপেয় দৃশ্য।ভ্রমণ বিলাসী ‘মানুষ আমি-যদিও কল্পনার আকাশেই বিচরণ করি।বাস্তবে তেমন কিছুই দেখিনি।
শাহরিন
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য। জীবনটা অনেক বড়, হঠাৎ দেখবেন ঠিকই সময় সুযোগ হয়ে গিয়েছে।
আরজু মুক্তা
ভ্রমণ কাহিনী ছিলো জীবন্ত। ভালো লাগলো।
ভ্রমণ শুধু আনন্দ দেয় তা নয় অনেক কিছু শেখায়।
শাহরিন
ধন্যবাদ আপু। জীবন আমাদের সব সময় শেখায় কেউ বুঝতে পারে আর কেউ বুঝতে পারে না।
মনির হোসেন মমি
দারুণ উপস্থাপনা।মনে হল এই আমরা সোনেলা পরিবারও আপনার সাথেই ছিলাম।নতুন জায়গা নতুন অভিজ্ঞতা খুব ভাল লাগল।আপনার উপদেশগুলো ছিলো শিক্ষণীয় মনে থাকবে বোন।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাদের লেখা দেখে একটু একটু চেষ্টা করছি। পাশে থাকবেন এভাবে সব সময় এই আশা করি।
তৌহিদ
আপনি কিন্তু দারুণভাবে ভ্রমণ কাহিনী লিখতে পারেন আপু। এর আগেও সুন্দরবন ভ্রমন পড়েছিলাম আপনার লেখা। আজ এটি পড়ে আপনার লেখার হাত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা হলো আমার। তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি পড়ে উপকৃত হলাম।
শুভকামনা জানবেন।
শাহরিন
আপনাদের লেখা দেখে একটু একটু করে চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ অনেক এভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। পাশে থাকবেন আশাকরি।
তৌহিদ
পাশেই আছি আপুমনি।
শামীম চৌধুরী
আপনার ভ্রমন কাহিনীটি পড়লাম। অল্প কথায় খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। লেখার শেষ লাইনটি চিরন্তন সত্য কথা। যেখানেই ভ্রমনে যাই না কেন “স্থানীয় মুরুব্বী মানুষদের সম্মান করুন ও নিয়ম মেনে চলুন। তাহলে ভ্রমণ একটু নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যের হবে”। এটা মনে রেখে ভ্রমন করলে সত্যিই ভ্রমনটা সুখের হয় ও যে স্থানে ভ্রমন করা হয় সেখানকার বাসিন্দাগন ভ্রমনকারীদেরও শ্রদ্ধার চোখে দেখন। আমি আখাউড়া গিয়েছিলাম সেখানে কল্লাশাহ নামক একজন পীরের মাজার আছে সেটা দেখতে। মাজারের ভিতরে যে কার্যকলাপ দেখলাম তাতে মনে হলো সাধারন মানুষদের ধোঁকা দিয়ে তারা সেখানে আমোদ ফুর্ত করে। আপনার উপদেশগুলি মনে থাকবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখা পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য।
শাহরিন
আপনার মতামত পড়ে অনেক অনুপ্রানিত হলাম ভাইয়া। আপনার অনেক অভিজ্ঞতা আছে তাই এই বিষয়ে ভুল গুলো বলে দিয়েন ভাইয়া। আপনারা না শেখালে কার কাছে শিখবো 🙂
কল্লাশাহ মাজার আমিও দেখেছি, আসলে মাজার মানেই ভন্ডদের আস্তানা।
জিসান শা ইকরাম
বাংলাদেশের বর্ডার দেখার শখ!
অত্যন্ত ব্যতিক্রমী এমন শখ এর কথা এই প্রথম শুনলাম।
আগরতলা এত কাছে, তা তোমার এই পোষ্টের আগে ধারনা করিনি,
আসলে খুঁজেও দেখিনি কত কাছে এটি, কখনো আগরতলা যাব তা ভাবিনি এ কারনে।
ঢাকা থেকে বর্ডারের ঝামেলা সহ তাহলে চার ঘন্টার মধ্যেই আগরতলা পৌছানো যায়!
আখাউড়া বর্ডারই তাহলে ঢাকা থেকে সবচেয়ে কাছের বর্ডার হবে।
একবার যেতে হয় তাহলে এই বর্ডার দিয়ে।
ভ্রমন বিষয়ক উপদেশ ভালো হয়েছে।
ভ্রমন কাহিনী ভাল হয়েছে, আরো লেখো।
শুভ কামনা।
শাহরিন
আমাদের অত বিদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়নি তাই আশে পাশে যেয়েই খুশি।
মনের মধ্যে সখ কিভাবে যে উত্তপত্তি হয় আল্লাহই জানেন। বুঝতে পারছি যে অনেক দূরে ভ্রমণ বর্তমানে আমি করতে পারবো না তাই আশেপাশে খোজ খবর নিয়ে ঢু মেরে আসি। আমি তো লেখক না তবে ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেহানা বীথি
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ সুন্দর ভ্রমণকাহিনী। ভালো লাগলো ভীষণ।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনাদের মন্তব্য অনেক প্রেরনা জোগায়।
জাহিদ হাসান শিশির
ভালো লাগলো।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি/মার্চের দিকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা বেড়াতে গিয়েছিলাম। ৪দিন ছিলাম। অনেকগুলো পর্যটন স্পট ভ্রমণ করেছিলাম। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন শহর আগরতলা। মানুষগুলোও ভালো মনের। বিশেষ করে বাংলাদেশীদের সমাদর করে। এ নিয়ে আমি ফেসবুকে ধারাবাহিক কয়েকদিন লিখেছিলামও।
আপনার ভ্রমণ কাহিনী সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
কামাল উদ্দিন
আখাউড়া অনেক বার গিয়াছি, কিন্তু বর্ডারটা এখনো দেখা হয়নি। আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে দেখার ইচ্ছেটা জাগল মনে।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ, সময় নিয়ে পড়ার জন্য। ঘুরে আসতে পারেন। সুন্দর জায়গা। আমরা সবাই মেয়ে আর জায়গাটি একেবারেই নতুন ছিল বলে অনেক কিছু দেখতে পারিনি।
কামাল উদ্দিন
যাবো কোন এক সময়