কেউ কি একটা গল্প লিখবে জলে ভেসে থাকা পদ্মকে নিয়ে? সে, কী কথা বলে ওই আকাশের সাথে? কিংবা অযত্নে, অবহেলায় ফুটে থাকা জংলী ফুলকে নিয়ে? কেমন করে বিশাল অরণ্যকে সৌন্দর্য দিয়ে যাচ্ছে নিরন্তর? কোনো উপন্যাস চাই না আমি।
কে জানে কোনো একদিন গল্প হয়ে যাবে ওই ফুল,
অথবা পাখী,
নয়তো মেঘ,
হতে পারে অরণ্য, আকাশ কিংবা সাগর।
এমনও হতে পারে একদিন আমিই হয়ে যাবো সেই ফুল, পাখী, মেঘ, অরণ্য, আকাশ, সাগর।
কোনো এক অ-লেখক একদিন আচমকাই লিখে ফেলবে জীবনের গল্প, কবিতা এবং অসম্পূর্ণ উপন্যাস।
হ্যামিল্টন , কানাডা (এইমাত্রই লিখলাম। ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল আজ।)
★ছবি আপলোড কিভাবে করবো? সাইজ কিছুতেই কমাতে পারছিনা।★
৪০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
এখন ১তম
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই প্রথম হবার জন্য আপনার জন্য এই গানখানি পুরষ্কার স্বরূপ প্রদান করিলাম।
https://youtu.be/8uB9XN44v_c
মোঃ মজিবর রহমান
ঝর ঝর বাদল দিনে মন পড়ে রয় প্রেমময় জিবনে, সেই ব্রিস্টি ভেজা দিন গুলয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই দিনগুলো!
ছাইরাছ হেলাল
আমি সেই অ-লেখক!
লিখে দিয়েছি/রেখেছি জীবনের কিছু কবিতা
স্বপ্ন ফুলের মত, স্বপ্ন গানের মত, স্বপ্ন স্বপ্নের মত, ভালোবেসে।
সময় করে পড়ে নেবেন, প্লিজ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
সময় অফুরন্ত আমার। আর তাই জানি অ-লেখক যে আপনি মোটেও নন। তাহলে তো আমি আপনাকেই সরাসরি বলতাম, পিলিজ একটা গল্প আর কবিতা লিখুন আমায় নিয়ে। আপনার লেখা পড়ি। প্লিজ বলার দরকার নেই গো কুবিরাজ ভাই। এত্তো পেরেমের লেখা লেখেন ক্যাম্নে কন সাই দ্যাহি!
ছাইরাছ হেলাল
অলেখক বানিয়ে আপনার কপালে/মাথায়!! তুলুন!! নাচি!!
অবশ্যই আপনাকে নিয়েই লিখব!!
পেরেমগুলো জমা রেখে গিয়েছিলেন বলেই একটু একটু ঝেরে দিচ্ছি,
সবই আপনার কল্যাণে।
এখানে সব গুলোই আপনাকে নিয়ে লেখা(!!!!), একটু পড়ে পরে অভ্যাস করুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
অ-লেখক বানানো যায় নাকি? জানতাম না তো! আপনার কাছে কি রেসিপি আছে? প্লিজ প্লিজ দিন।
আপনি চিরকালের লেখক। তা লেখকসাব এখানে কোথায় লেখা আমাকে নিয়ে(!!!), ব্রেকেটটা না দিলে তো বিশ্বাস করে নিতাম কনফার্ম।
ছাইরাছ হেলাল
আহা গুপন কথা এর থেকে কী ভাল বলা যায়!!
পড়ে পড়ে মিলিয়ে নিন!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার মতো জ্ঞানী হলে তো কথাই ছিলো!
শব্দগুলোর শরীরের কারুকার্য কখন, কার জন্য, আজও সেটা বোধগম্য হলোনা। তাই আপনেই কইয়া ফ্যালেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আকাংখ্যা পুরনতা পাক।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই আমাদের সোনেলায় কোনো অ-লেখক নেই। তাই আশা পূর্ণ হবে না। এখানে কান্নার ইমো হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
মনের গভীর ভাবনা। কেউ একজন অকবি লিখবে। মনের আওয়নায় স্বপ্নের মত। দারুন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই একজন অ-কবি কোথায় পাই বলুন তো!
মোঃ মজিবর রহমান
সোনেলায় সবাই ো কবি হতে চাই কিন্তু সবাই পটু। কোত্রহায় যেন পাই সার্চ করতে হবে।
সার্চ………………………
নীলাঞ্জনা নীলা
পাওয়া গেলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন কিন্তু মজিবর ভাই।
মাহমুদ আল মেহেদী
স্বপ্নকে নিয়ে স্বপ্ন। স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্ন। ছোট সেই ফুলের বর্ননায় পুরো পৃথিবীই রাখতে পারে কবিরাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্যই তো দেখি একটা আস্ত কবিতা হয়ে গেলো! আপনি নিজেই তো কবি।
তৌহিদ
আপনার মনোবাসনা পূর্ণ হোক আপু। এমন করে লিখলেন, মন খারাপ কি আজ কবির?
আপু আমার পোষ্ট আছে ছবির সাইজ ছোট করবেন কিভাবে” ক’দিন আগেই দিয়েছি ব্লগে। পড়ে দেখতে পারেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
“মনের হদিস কেইবা রাখে!
কে যে থাকে মনের ঘরে!!
কেউ জানেনা, কেউ জানেনা, সেও জানেনা যে ধারণ করে।”
ঠিক আছে পড়ে নেবো। মন খারাপের কালের ভেতরেই আছি। ভালো থাকবেন।
তৌহিদ
বুঝতে পারছি আপু আপনার মনের অবস্থা! তবুও নিজের জন্য পরিবারের জন্য ভালো থাকতেই হবে আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
দায়িত্বে একটুকুও ঘাটতি হচ্ছেনা। শুধু এই মনটা স্বাভাবিক বোধ হয় আর হতে পারবেনা।
অনেক ভালো থাকুন আপনি।
মনির হোসেন মমি
লেখায় পরজন্মের ইঙ্গিত পেলাম।আপনার লেখাগুলোর মধ্যে এই প্রথম ভিন্ন এক অভিন্ন বিষয়ে লেখা।বেশ ভাল লাগল।
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই ঠিক ধরেছেন। এজন্য আপনার একটা পুরষ্কার পাওনা রইলো। কি চান, বলুন!
মনির হোসেন মমি
আপনি ভাল থাকুন সব সময় এইটুই ভাইটির চাওয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত মনির ভাই।
অনেক ভালো থাকুন আপনি।
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখা হবে কিছু স্মৃতি কথা
অ–লেখকের কাঁচা হাতে অসম্পূর্ণ
গল্প–উপন্যাসের মতোই,
সমাপ্ত জীবনীগ্রন্থে উঠে আসবে অসমাপ্ত
স্বপ্ন গুচ্ছো, যা দেখা হয়েছিলো
কোনো উদাসী প্রহরের ছায়া–ছায়া একাকিত্বের
মিছিলে, উত্তেজিত আত্মনিমগ্নতায়…
কবির সাধ জাগে লিখবে অ–কবিতা
আনাড়ি মনে ঠিক ঠিক লেখায়
গোপনে সাজাবে অক্ষরের আল্পনা,
সমান্তরাল শব্দগুলো নেচে উঠে এলোমেলো
হাওয়ায়, অ–লেখকের নির্বাক অনুভবে
ভর করে বিষাদ নীল পদ্ম…
নীলাঞ্জনা নীলা
অ-লেখকের ডায়েরিতে কোনো গল্প, কবিতা থাকেনা।
পাতায় পাতায় কেবল জীবনের ধারাপাত
হিসেব ছাড়া হিসেব কষে বেড়ায় এলোমেলো পান্ডুলিপি
বিবর্ণ বিষাদ মোড়া চাদরে লিপিবদ্ধ একেকটি স্মৃতি
ফাল্গুণ এসে চলেও যায়, পথভোলা সেই পথিক আর ফিরে আসেনা
বোশেখের আগমনী গানে লাল-সাদা রঙের ফাঁকে ফাঁকে কালবোশেখী আঘাত এনে বলে,
অ-লেখকের কাছে কেউ থাকেনা।—-আপু আপনার চমৎকার কবিতার পাশে এই লেখা কিছুই নয়। আমি মুগ্ধ। কী দারুণ লেখেন আপনি! বিশাল পুরষ্কার পাওনা রইলো আপনার। বলুন কি চাই!
সাবিনা ইয়াসমিন
পুরষ্কার পেয়ে গেছি আপনি ফিরে আসার সাথে সাথেই। বিশাল পুরষ্কার একটাই চাই, সব সময় সোনেলায় থাকুন। আমাদের সাথে ছায়া-মায়া হয়ে।
ভালোবাসা নিরন্তর প্রিয় ❤❤
নীলাঞ্জনা নীলা
কখনোই তো যাইনি, ছিলাম, আছি, থাকবোও। চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত যেনো নিজের সাথে নিজের একটিবার দেখা হয়। নিজেকে অসম্পূর্ণ দেখতে কেইবা চায় আপু?
অনেক ভালো থাকুন আপু।
মেহেরী তাজ
অনেক দিন পর আপনাকে পড়ছি। ভালো লাগছে। কেমন আছেন আপু?
লেখার জন্য মন্তব্য হবে পরে।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু যদি বলি ভালো আছি, তাহলে মিথ্যে বলা হবে। মনটা এখনও কেমন জানি বিবর্ণ হয়ে আছে। একদিন এই সময় পার হয়ে যাবে। কিন্তু শূন্যতা কখনোই কাটবে না।
তুমি কেমন আছো আপু?
মেহেরী তাজ
আপু শূন্যতা পুরন হবে না হয়তো কিন্তু অন্য সকল শূন্যতা এই শূন্যতার কষ্টটাকে ঢেকে দিবে এক সময়।
সব মিলিয়ে ভালোই আছি আপু। ব্লগে আপনাকে দেখে ভালো লাগছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ব্লগে এসে আমারও ভালো লাগছে আপু। দেখি এভাবে কতোদিনে নিজের মনের কাছে পোঁছোতে পারি।
অনেক ভালো থেকো।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা আচ্ছা লিখে দেবোনে,
আমার চেয়ে বড় অ-লেখক কে আছে এই বাংলায়?
অ তে অখাদ্য 🙂
কবিতা ভালো হয়েছে।
মোবাইল কি আই-ফোন? নাকি এন্ড্রয়েড?
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তুমি অ-লেখক!!! তাহলে আমিও অ-লেখক। ঠিক আছে? কবে লিখে দেবে বলো, তা না হলে তোমার খবর আছে। হুমকি দিলাম কিন্তু!
আইফোন না-পছন্দ। আমি সবসময়ই স্যামসাং এর।
প্রহেলিকা
লেখাটিকে প্রিয়তে তুলে নিয়েছি। বললে অবশ্য অনেক কিছুই বলা যায় লেখাটি নিয়ে।
প্রথমে আকুতি, আকুতির পর আকাঙ্ক্ষা, এবং সবশেষে নিজেকে প্রকাশ। এই তিনটি ধাপে লেখাটিকে প্রাণ দিতে পেরেছে লেখক। লেখাটি গল্পের উর্ধ্বে চলে গিয়েছে। ভালো লাগছে এই ভেবে যে অনেক অকবিতার ভিড়ে একটি প্রকৃত কবিতা পড়লাম।
ভালো থাকুন আর লিখুনও। শব্দই পারে লীন ব্যথাগুলো প্রকাশ করতে, আপন ভেবেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
বিশাল বড়ো পাওয়া হয়ে গেলো আমার। ভেবেচিন্তে লিখতে পারিনা আমি। যখন যা মনে আসে লিখে ফেলি আর সেসবকে এই সোনেলা ভালোবেসে স্থান দিয়ে দেয়। যে কয়েকজনের মন্তব্যকে আমি প্রেরণা হিসেবে পাই, তাঁদের মধ্যে আপনিও একজন।
এভাবেই লেখার পাশে থাকবেন সবসময়, এটুকুই চাওয়া।
রিতু জাহান
‘লিখে ফেলব আমিই আমার অ-লেখা কবিতা, না লেখা গল্প যদি তুমি মুগ্ধ হয়ে শোনো।’
কি হয় বলো লিখে! লেখা বা প্রেম, বা দুঃখ গাঁথা কি কারো মনোরঞ্জন?
না, হতে চাই না কারো মনোরঞ্জন।
খসড়া খাতা পড়ে আছে পড়ে থাক যত্নে অযত্নে।
নীলাঞ্জনা নীলা
উফ! কী দারুণ লাইনটা!! “খসড়া খাতা পড়ে আছে পড়ে থাক যত্নে অযত্নে।”
আপু গো আরোও ছাড়িয়ে যাও নিজেকে, এই প্রার্থনা করি ঈশ্বরের কাছে।
ভালো থেকে ভালো রেখো নিজেকে।