হ্যালো হ্যালো হ্যালো, কোথায় সবাই? অনেক চিঠি লেখা হলো, আমাদের স্বপ্নের ই-ম্যাগাজিন বের হলো, অনেক অনেক মজা করলাম সবাই, আর এই ফাঁকে পড়ালেখা কোথায় যে চলে গেলো……
আসুন আর ফাঁকি নয়, একটু পড়াশুনা করি। নাহলে কিন্ত আম্মু বকবে…… ।
অশুদ্ধ – শুদ্ধ
৫৭। আঁড়াআড়ি – আড়াআড়ি
৫৮। আঁড়িপাতা – আড়িপাতা
৫৯। আকষ্কিক – আকস্মিক
৬০। আকাংখা – আকাঙ্ক্ষা
৬১। আকাবাকা – আঁকাবাঁকা
৬২। আকুতি – আকূতি
৬৩। আকূল – আকুল
৬৪। আক্রমন – আক্রমণ
৬৫। আটপৌড়ে – আটপৌরে
৬৬। আড়ষ্ঠ – আড়ষ্ট
৬৭। আড়ৎ – আড়ত
৬৮। আতংক – আতঙ্ক
৬৯। আত্মস্যাৎ – আত্মসাৎ
৭০। আদ্যান্ত – আদ্যন্ত
৭১। আদ্র – আর্দ্র
৭২। আনবিক – আণবিক
৭৩। আনুষাঙ্গিক – আনুষঙ্গিক
৭৪। আপাতঃদৃষ্টে – আপাতদৃষ্টে
৭৫। আপাততঃ – আপাতত
৭৬। আপোষ – আপোস
৭৭। আভ্যন্তরীণ – অভ্যন্তরীণ
৭৮। আয়ত্ব – আয়ত্ত
৭৯। আয়ত্বাধীন – আয়ত্তাধীন
৮০। আরাম্ভ – আরম্ভ
৮১। আলিংগন – আলিঙ্গন
৮২। আলোচ্যমান – আলোচ্য
৮৩। আশংকা – আশঙ্কা
৮৪। আশক্তি – আসক্তি
৮৫। আশ্বস্থ – আশ্বস্ত
৮৬। আস্তাকুঁড় – আঁস্তাকুড়
৮৭। ইংগিত – ইঙ্গিত
৮৮। ইতঃস্তত – ইতস্তত
৮৯। ইতিপূর্বে – ইতঃপূর্বে
৯০। ইতিমধ্যে – ইতোমধ্যে
৯১। ইদানিং – ইদানীং
৯২। ইয়ত্বা – ইয়ত্তা
৯৩। ইষ্ঠ – ইষ্ট
৯৪। ইষৎ – ঈষৎ
৯৫। ঈস্পিত – ঈপ্সিত
চলবে ………………
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া
৩৯টি মন্তব্য
মেহেরী তাজ
পর্ব-২। তারমানে কোন কারনে প্রথম টা মিস করছি।
এন্ড্রয়েড এর অটো সাজেশন একটা বিচ্ছিরি জিনিস। যা বানান চর্চার ১৪ টা বাজিয়ে দিয়েছে। আবার এক দিক থেকে ভালো জিনিস, কারন সময় বেঁচে যাচ্ছে।
আপু এই মন্তব্য লেখার সময় খুব ভেবে ভেবে লিখেছি তাও কোন বানান ভুল হলে বুঝতে হবে বিধিবাম।
সব গুলো পড়ে দেখলাম আপু। 😀
অসংখ্য ধন্যবাদ।
নীহারিকা
এত টেনশনের কিছু নাই। জেনে রাখা ভালো তাই জেনে রাখছি। মোবাইল বাবায় যে মাঝে মধ্যে ওস্তাদি করে তা তো জানিই। অসুবিধা নাই 🙂
প্রহেলিকা
আকুতি – আকূতি???
”আকুতি”টাকেই শুদ্ধ মনে হচ্ছে।
প্রহেলিকা
বাংলা একাডেমি বাংলা বানান-অভিধান [পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত তৃতীয় সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০০৮] আকুতি অন্তর্ভুক্ত করেছে, ‘আকূতি’ করেনি।
প্রহেলিকা
আস্তাকুঁড় ও আঁস্তাকুড় নিয়ে কিছু বলতে চাই।
২০০০ সংস্করণের বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী শব্দটি অবিকল্পভাবে আঁস্তাকুড়।
অন্যদিকে, ২০০৮ সংস্করণের বাংলা একাডেমি বাংলা বানান-অভিধান অনুযায়ী শব্দটি অবিকল্পভাবে আস্তাকুঁড়।
আর, সবশেষে, ২০১৩ সংস্করণের বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান প্রথম খণ্ড (অ-ঞ) অনুযায়ী শব্দটি দুভাবেই বিরাজমান: আঁস্তাকুড় ও আস্তাকুঁড়।
অনলাইন সংসদ বাংলা অভিধান আরও পোক্ত করে বিকল্প রেখেছে: আঁস্তা-কুড় ও আঁস্তা-কুঁড়। তাহলে কোনটিকে শুদ্ধ বা কোনটিকে অশুদ্ধ ধরে নিব!
নীহারিকা
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে মাথা বিগড়ে যায়। এখানে এটা ঠিক তো ওখানে ওটা ঠিক। কিন্ত যে বানানগুলো চর্চার অভাবে বা ভুল দেখতে দেখতে নিজেকে কনফিউজড করে দেয় সেগুলো আবার পড়তে গিয়ে দেখছি অনেক বদল। কিছু আবার অজানাও। সব ঘুরে শেষে বাবা উইকিপিডিয়াতে স্থির হলাম। কিন্ত কি বিপদ দেখেন, এখানেও যদি কনফিউশন থাকে তাইলে যামু কই?
প্রহেলিকা
ব্যুৎপত্তির দিক থেকে, চন্দ্রবিন্দুর অস্তিত্বের কারণের মূলে ন বা ণ-এর যোগাযোগ বিবেচনায় রেখে, বাংলা একাডেমি বাংলা বানান-অভিধান সমর্থিত অবিকল্প আস্তাকুঁড় বানানের পক্ষপাতী আমি।
নীহারিকা
সে নাহয় একটি পক্ষ আপনি নিলেন। কিন্ত এত দেখে, খুঁজে কি সাধারণের পক্ষে বানান শেখা সম্ভব? কিভাবে এই বিড়ম্বনা কমানো যায় তাই ভাবছি।
প্রহেলিকা
(y)
ব্লগার সজীব
বাংলা বানানে এত বিকল্প কেন? 🙁 অভিধান পকেটে নিয়ে চলাফেরা করতে হবে দেখছি 🙂
নীহারিকা
ঠিকই বলেছেন। একেক অভিধানে একরকম, অন্য বই/পত্রিকায় একরকম, মোবাইলে একরকম, উইকিপিডিয়ায় একরকম। কি বিপদ! এদিক দিয়ে ইংরেজি পানির মত সহজ।
লীলাবতী
মন্তব্য লিখতেই তো ভয় করছে। কয়টা অশুদ্ধ বানান লিখে ফেলি কে জানে? প্রয়োজনীয় পোস্ট আপু।
নীহারিকা
ভয়ের কিছু নেই। ভুল করতে করতেই একসময় শুদ্ধটা শিখে যাবো। তবে হ্যা, শেখার ইচ্ছেটা অবশ্যই থাকতে হবে 🙂
আমরা আজকাল বাংলা বানান নিয়ে অনেক কনফিউজড থাকি। এর কারণ একেক জায়গায় শব্দের বানান একেকরকম। আমি নিজেও যেহেতু এ সমস্যার সম্মুখীন হই প্রতিদিন তাই শেষে উইকিপিডিয়ার দরবারে সাহায্য চাইলাম। দেখি কিছু শিখতে পারি কি না।
ছাইরাছ হেলাল
আমার মাথা-মুথা আউলাইলে আপনারাই দায়ী হবেন আগেই বলে রাখলাম।
নীহারিকা
আপনি নিজের মাথা আগেই আউলায়া রাখছেন। যে কঠিন কঠিন শব্দ লেখেন, তার বেশিরভাগ তো পড়া দুরের কথা, জীবনে শুনিও নাই। তাই আমরারে দোষ দিয়া লাভ নাই।
মিষ্টি জিন
এই যে মাষ্টার আফা তার আসল রূপে ফিরে আসছে।
আপা মনি মাথাতো পুরা এলোমেলো করে দিলেন। প্রত্যেকটা বানানই টুকে রাখছি। বেশ কাজে লাগবে।
এখন বলেন কয়টা বানান ভুল করেছি। 😀
নীহারিকা
আফা, শুরুতেই তো ভুল কইরালচুইন। “মাষ্টার” শব্দটি হবে “মাস্টার”। বিদেশি শব্দে “ষ” হয় না। যেমন: স্টেশন, স্টোর, স্টাডি, পোস্ট ইত্যাদি।
আশাকরি এখন থেকে মনে থাকবে 🙂
আপা, এভাবেই ভুল করতে করতে শিখবো। আমার ভুল হলে সেটাও বলবেন। অবশ্যই শুধরে নেবো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মিষ্টি জিন
এই না হইলে মাস্টার আফা। এই জন্যই তো ভুলটা দেখিয়ে দিতে বললাম। এই বানান জীবনেও আর ভুল হবে না।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
নীহারিকা
আপা, এইযে একটি জিনিস যেভাবে শিখলেন, আমিও অনেকের থেকে এভাবে শিখেছি। এবং সেগুলো আর কখনো ভুল হয় না। এটাই লাভ।
আপা ভালো থাকবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার কাছে সংসদ বাংলা অভিধান আছে। বাংলা একাডেমীরটা দেশে। তাই শব্দ যতোই পরিবর্তন হোক বানানে, আমি এটাকে নিয়েই থাকি। কিন্তু কিছু শব্দের জন্য দ্বারস্থ হতেই হয় আধুনিক শব্দভান্ডারের কাছে। তখন অবশ্য গুগলে লিখে সার্চ দেই। আজকাল বানান নিয়ে খুব বেশি ঝামেলা হয়। এই তো যেমন,
বেশি = পরিমাণ
বেশী = ধারণ
শুভ নববর্ষ আপু।
নীহারিকা
জি দিদি, বানান নিয়ে বিরাট ঝামেলা হয়। বেশি, বেশী নিয়েও খুব ঝামেলা হতো, এখন আর হয় না।
আমি বেশি বেশি পড়াশুনা করি।
সে একজন ছদ্মবেশী। 🙂
ধন্যবাদ আপা।
নীলাঞ্জনা নীলা
তবে আপনার এই পোষ্ট আমার খুব কাজে লাগছে।
ধন্যবাদ তো আপনার প্রাপ্য।
নীহারিকা
দিদি আপনাকেও ধন্যবাদ পাশে থাকবার জন্য, মতামত দেয়ার জন্য।
ইলিয়াস মাসুদ
আমি খুব চেষ্টা করেও বানান মাথায় বসাতে পারি না, খুব হ্যাল্পফুল একটা পোষ্ট আমার জন্য আপা।
অনেক ধন্যবাদ
নীহারিকা
বানান মাথায় রাখার দরকার নাই। পড়তে পড়তে একসময় নিজেই বসে যাবে। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ইতিমধ্যে লিখতে লিখতে অভ্যস্থ হয়ে গেছি। আমি বাংলা শিখুম না ;( ইংরেজীই ভালো।
প্রিয়তে নিচ্ছি আপু, তবে গ্রন্থগত বিদ্যা না হলেই হয়। দেখবো আশা করছি নিয়মিত।
এই পোস্ট নিয়মিত চালু রাখবেন আপু। আর আপনি যেহেতু সবার লেখা পড়েন, কোন বানানগুলো সবাই বেশি ভুল করে নিশ্চয়ই চোখে পড়বে। সেসব নিয়েও পোস্ট দিন। যেমন শ্রেষ্ট নয়, শ্রেষ্ঠ।
নীহারিকা
লিখতে লিখতে, পড়তে পড়তে কিন্ত অনেক বানান সমস্যা কেটে যায়। এটা সবথেকে সহজ উপায়। আরও একটি বিষয় হলো বই পড়ে শব্দ ও বাক্যবিন্যাস খেয়াল করা। একটু চোখ-কান খোলা রাখা আর কি।
আমি নিয়মিত সবার লেখাগুলোই পড়ি। আর সেজন্যই শুরুর দিকে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। যেমন অনেকে লেখেন “সবায়”। এটি ভুল। শুদ্ধ “সবাই”। আবার “আমি বাজারে যায়।” এটি ভুল। শুদ্ধ “আমি বাজারে যাই।” এই আর কি। সবাই যদি বেশি বেশি পড়েন এবং খেয়াল করেন তাহলে আমাদের অনেক ভুলই কমে যেতে বাধ্য। আর হ্যা, আমার ভুল হলেও বলে দিও। সত্যিকথা বলতে আমিও শিখছি এবং সেগুলোই শেয়ার করছি তোমাদের সাথে। মাস্টারি করার জন্য পোস্ট দিচ্ছি তা কিন্ত নয় 🙂
আগুন রঙের শিমুল
আকাংখা, আরষ্ঠ এইগুলান রে এতদিন সঠিক ভাবতাম 🙁
আর যদ্দুর মনে পরে ” ি “আর “ী ‘ এর পার্থক্য তুলে দেয়া হয়েছে বাংলা একাডেমীর নতুন বানান রীতিতে, যদিও একাডেমীর নামেই গলদ আকাদেমী লেখার কথা :D)
নীহারিকা
কত কিছু যে বদলাচ্ছে দিন দিন! এতে বেশি বেশি সমস্যায় পড়ছি আমরা। কি যে ঠিক আর কি বেঠিক সব গুলিয়ে ফেলছি। তার থেকে ইংরেজি কি সহজ বলুন? নো চেঞ্জ 🙂
ইঞ্জা
বাপরে এতো ভূল শুদ্ধ করলেন, ভাবছি প্রিন্ট করে রাখবো।
নীহারিকা
হাহাহাহা আমি কিছু করি নাই। উইকিপিডিয়া সব করে রাখছে ভাই।
ভালো বুদ্ধি করেছেন।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ দাদী আম্মা, খুব ভালো একটা লেখা।
নীহারিকা
আপনাকেও ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
পারুম না ;(
চুল সব গ্যাছেগা। বাকি যা আছে মাথাতেই থাকুক।
এতো ক্যান জুটিল 🙁 আপনার ও প্রহেলিকার সাথে একমত। কিছু কিছু বানান একেক যায়গায় একেকরকম।
আমি শুধু কপি করলাম। ঠিক কইরা লিখুম কিনা কইতে পারি না।
ম্যাডাম এই বয়সে একটু কম মার্ক কাটলে হয় না 🙂
দেখতে সবে তো, এই ছাত্রী বুড়ি হইতেছে :p
নীহারিকা
হায় হায় এত ডরের কি আছে? আমিতো আপনেরে আগেই ফুল মার্কস দিয়ে রাখছি। এখন আর কষ্ট করে মনে রাখার দরকার নাই। শুধু চোখ বোলান, তাহলেই হবে 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ভাল, সুন্দর, উপকারী, মনোরম পোষ্টের জন্য প্লাসিত ধন্যবাদ। -{@
নীহারিকা
অনেক ধন্যবাদ ভাই। পাশে থাকবেন।
ইকরাম মাহমুদ
পড়া শেষ করে ব্লগে এসে দেখি এখানেও নীহারিকা আপু হোমওয়ার্ক দিয়ে রেখেছেন।
কি আর করার– আবার একটু রিভিশন করে নিলাম। চাকুরির পরীক্ষায় ১ মার্ক কম কথা নয়। ধন্যবাদ আপু।
নীহারিকা
হাহাহা একটু কাজে লাগলেও এই পোস্ট সার্থক।
ধন্যবাদ।