অর্পিতা ২৭

সঞ্জয় কুমার ২৭ অক্টোবর ২০১৪, সোমবার, ০৯:২৯:০৩পূর্বাহ্ন গল্প ৪ মন্তব্য

O

ভাবী ভাইয়া এসেছে ।

তোরা সবাই ডায়নিং রুমে আয় । তোর দুই ভাইয়া কে ও আসতে বল ।

ড্রয়িং রুমে শাহিন সাহেবের প্রবেশ ।

আরে জয় ভাই আপনি এখনো লাঞ্চ করেন নি !!

আপনার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম , চলুন একসাথে বসি ।

খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ ।

শাহিন এবং জয় বাসার সামনের ব্যালকনিতে বসে আছে । ।

শাহিন :
জয় ভাই আপনি কোথায় যেন চাকরি করেন ?

সম্ভবত মিরপুর ১২ নম্বর ।

ও তাহলে তো ভালোই হল এটাই তো মিরপুর বার নম্বর । আপনার সাইট কোথায় ?

DOHS এর মধ্যে ।

অহ । ঐ যে ওটাই DOHS ।

জয় :
শাহিন ভাই আপনার অফিস ?

আমার অফিস সারে এগার তে ।

সারে এগার !!!

হ্যাঁ বার আর এগারোর মাঝামাঝি ।

নামটা অদ্ভুত !

চলুন বাইরে থেকে ঘুরে আসি । ঢাকায় নতুন এসেছেন ঢাকা শহর চেনাটাও জরুরী ।

আসলে লং জার্নী করে এসেছি তো তাই একটু ক্লান্ত লাগছে । আপনি তো আছেনই একদিন সময় করে বের হওয়া যাবে ।

তা অবশ্য ঠিক ।

রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে জয় ছাদে এসে বসেছে ।

এই বাড়িটা ছয় তলা । ছাদ থেকে যতদূর পর্যন্ত দৃষ্টি যাচ্ছে সব খানেই আলোর ঝলকানি । বিভিন্ন কোম্পানির বড় বড় বিল বোর্ড , কোথাও নিয়ন আলোয় আলোকিত রাস্তা । অনেকদূরের রাস্তায় গাড়ির আলো গুলো তাঁরার মত মিটমিট করছে । শতশত গাড়ি হাজার হাজার লোক , শহরের ব্যাস্ততা কখনোই যেন শেষ হওয়ার নয় ।

যান্ত্রিক শহরের সব কিছুই যেন যান্ত্রিক ।

ওয়াও আকাশে এত সুন্দর চাঁদ উঠছে । জোৎসনার আলো ঠিক বোঝা যাচ্ছে না শহরের কৃত্রিম আলোর সাথে বেচারা পেরে উঠছে না । জোৎসনা উপভোগ করতে হলে গ্রামে যেতে হবে । এখানকার চাঁদ টাও মনে হয় শহুরে । গ্রামের চাঁদের মত অতটা মায়াবী নয় ।

অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল এমন চাঁদনি পসর রাতে বড় দীঘির পাড়ে বসে অর্পার সাথে গল্প করার । অর্পা আমার বুকে মাথা রেখে একটু কাত হয়ে বসবে , ওর চুল থেকে বেলী ফুলের সুবাস আসবে । দীঘির জলে চাঁদের ছায়া দেখা যাবে । অদ্ভুত রোমান্টিক পরিবেশ ।

কল্পনায় জয় এতোটাই ডুবে গিয়েছিল যে
,পাশে কেউ একজন ওর দিকে একদৃষ্টে তাঁকিয়ে আছে ও সেটা খেয়াল করেনি ।

হঠাৎ

চলবে……………………

৮৪৫জন ৮৪৫জন
0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ