ভাবী ভাইয়া এসেছে ।
তোরা সবাই ডায়নিং রুমে আয় । তোর দুই ভাইয়া কে ও আসতে বল ।
ড্রয়িং রুমে শাহিন সাহেবের প্রবেশ ।
আরে জয় ভাই আপনি এখনো লাঞ্চ করেন নি !!
আপনার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম , চলুন একসাথে বসি ।
খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ ।
শাহিন এবং জয় বাসার সামনের ব্যালকনিতে বসে আছে । ।
শাহিন :
জয় ভাই আপনি কোথায় যেন চাকরি করেন ?
সম্ভবত মিরপুর ১২ নম্বর ।
ও তাহলে তো ভালোই হল এটাই তো মিরপুর বার নম্বর । আপনার সাইট কোথায় ?
DOHS এর মধ্যে ।
অহ । ঐ যে ওটাই DOHS ।
জয় :
শাহিন ভাই আপনার অফিস ?
আমার অফিস সারে এগার তে ।
সারে এগার !!!
হ্যাঁ বার আর এগারোর মাঝামাঝি ।
নামটা অদ্ভুত !
চলুন বাইরে থেকে ঘুরে আসি । ঢাকায় নতুন এসেছেন ঢাকা শহর চেনাটাও জরুরী ।
আসলে লং জার্নী করে এসেছি তো তাই একটু ক্লান্ত লাগছে । আপনি তো আছেনই একদিন সময় করে বের হওয়া যাবে ।
তা অবশ্য ঠিক ।
রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে জয় ছাদে এসে বসেছে ।
এই বাড়িটা ছয় তলা । ছাদ থেকে যতদূর পর্যন্ত দৃষ্টি যাচ্ছে সব খানেই আলোর ঝলকানি । বিভিন্ন কোম্পানির বড় বড় বিল বোর্ড , কোথাও নিয়ন আলোয় আলোকিত রাস্তা । অনেকদূরের রাস্তায় গাড়ির আলো গুলো তাঁরার মত মিটমিট করছে । শতশত গাড়ি হাজার হাজার লোক , শহরের ব্যাস্ততা কখনোই যেন শেষ হওয়ার নয় ।
যান্ত্রিক শহরের সব কিছুই যেন যান্ত্রিক ।
ওয়াও আকাশে এত সুন্দর চাঁদ উঠছে । জোৎসনার আলো ঠিক বোঝা যাচ্ছে না শহরের কৃত্রিম আলোর সাথে বেচারা পেরে উঠছে না । জোৎসনা উপভোগ করতে হলে গ্রামে যেতে হবে । এখানকার চাঁদ টাও মনে হয় শহুরে । গ্রামের চাঁদের মত অতটা মায়াবী নয় ।
অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল এমন চাঁদনি পসর রাতে বড় দীঘির পাড়ে বসে অর্পার সাথে গল্প করার । অর্পা আমার বুকে মাথা রেখে একটু কাত হয়ে বসবে , ওর চুল থেকে বেলী ফুলের সুবাস আসবে । দীঘির জলে চাঁদের ছায়া দেখা যাবে । অদ্ভুত রোমান্টিক পরিবেশ ।
কল্পনায় জয় এতোটাই ডুবে গিয়েছিল যে
,পাশে কেউ একজন ওর দিকে একদৃষ্টে তাঁকিয়ে আছে ও সেটা খেয়াল করেনি ।
হঠাৎ
চলবে……………………
৪টি মন্তব্য
মেহেরী তাজ
পুর্বের পর্ব গুলো পড়া হয়নি। এত গুলো পর্ব কখন পড়বো ?
সঞ্জয় কুমার
তবে আপনি মাঝ থেকেই সুরু করুন
অলিভার
নগর জীবনের গল্পে তরুণের অবস্থান ভালোই ফুটিয়ে তুলছেন।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়….
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ অলিভার ভাই ।