জয় টেবিল ছেড়ে উঠে যাওয়ার সময় পিছন থেকে হঠাৎ একটা কোমল হাত তার বাহু ছুঁয়ে গেল ।
কোথায় যাচ্ছেন আমাকে একা রেখে?
আপনি না বললেন ?
আমার কথাটা পুরোটা তো আগে শুনুন
পৃথিবীর সব ছেলে এক রকম কিন্তু আপনি পৃথিবীর সব ছেলের মত নন । আপনার সাথে আমার তিন মাস যোগাযোগ নেই । কিন্তু আমি এই তিন মাসে আমি আপনার সব খবর রেখেছি । এই ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করেছে মিলন ভাইয়া । আমি জেনেছি একটা অলস ছেলের কর্মঠ হয়ে ওঠার গল্প । হঠাৎ করে পাল্টে যাওয়া একটা ছেলের কথা । যে আমার জন্য এত কিছু করতে পারে তাঁকে আমি কিভাবে ফিরিয়ে দেব!!
আপনি কিভাবে বুঝলেন আমি এ সব আপনার জন্যই করছি?
জয় বাবু মেয়েদের একটা ৬ষ্ঠ ইন্দ্রিয় আছে তাঁরা পুরুষের দৃষ্টির ভাষা বুঝতে পারে । সব কথা মুখে বলে দিতে হয় না কিছু কথা চোখের ভাষায় বুঝে নিতে হয় ।
মিলন:
অনেক হয়েছে আর না এবার মিষ্টি মুখ হয়ে যাক । বৌদি আপনারা বসুন আমি মিষ্টি নিয়ে আসছি । আর একটা ব্যাপার আজ থেকে আর আপনি আপনি নয় শুধু তুমি ঠিক আছে ।
অর্পিতা আমি আজ সত্যিই অনেক সুখী । সুখী হতে আমার আর কিছু চাইনা যদি শুধু তুমি আমার পাশে আজীবন থাক ।
কিন্তু সেটা তো এখন হচ্ছে না জনাব আমি এখনই বাড়ি চলে যাব নয়ত রাত হয়ে গেলে মা বাবা টেনশন করবেন । মায়ের তো টেনশন করতে একেবারে ই নিষেধ করেছে ডাক্তার । আজ তাহলে উঠি । মিলন ভাই ভাল থাকবেন আর আপনার বন্ধুর দিকে একটু খেয়াল রাখবেন ।
সেটা তো আর এখন শুনব না বৌদি এই চার বছর আমি দেখে রেখেছি এখন আপনার পালা ।
জয়:
অর্পিতা সাবধানে বাড়ি যেও । বাড়ি পৌছে অবশ্যই আমাকে ফোন দিও নয়ত কিন্ত আমি টেনশন করব ।
ঠিক আছে । টেক কেয়ার ।
জয় আজ অনেক খুশি । তার এই ছোট্ট জীবনের অনেক বড় চাওয়া টা আজ পূরণ হয়েছে । আজ বাড়ি যাবে তারপর বাড়ি থেকে সরাসরি ঢাকা । শুধু মিলন আর অর্পিতার জন্য একটু খারাপ লাগছে । এত দিন কাছে ছিল কেউ এত আপন হয়নি আজ যখন কেউ আপন হল তখনই তাঁকে ছেড়ে যেতে হচ্ছে অনেক দূর । যত দূরেই থাক মনের মাঝে তো সে সবসময়ই আছে ।
মিলন আজ আমার মন অনেক ভাল বল তুই কি খেতে চাস ? পকেটেও অনেক টাকা আছে ।
না রে দোস্ত তোর মুখে যে হাসি আজ আমি দেখেছি এর চেয়ে বেশী আর কিছু আমার লাগবে না ।
মিলন এই চার বছর একসাথে ছিলাম দুই ভাইয়ের মত । তোকে ছেড়ে যেতে আমারও খুব কষ্ট হচ্ছে । চিন্তা করিস না আমি ঢাকায় একটা ভাল বাসা নিই তারপর তুই ও চলে আসবি । দুই বন্ধু আবার একসাথে থাকব ।
জয় বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়িতে । ইয়ার ফোনে বাজছে
পাগল তোর জন্যে রে পাগল এ মন পাগল
মুখে বলি দূরে যা মন বলে থেকে যা
দূরে গেলেই মন বোঝে তুই কত আপন…………..
রাত দশটা ……..
মিলনের ফোন
জয় তুই কি বাড়িতে ?
হ্যাঁ এই মাত্র পৌছালাম ।
খুব খারাপ একটা খবর আছে
কি বল তারাতারি
চলবে……………………
১৭টি মন্তব্য
সঞ্জয় কুমার
পাঠকদের কাছে প্রশ্ন থাকল। সম্ভাব্য দু:সংবাদ কি হতে পারে ।অনুমান করে বলুন
মশাই
আমি আত্মসমর্পণ করলাম দাদা। তবে যতটুকু মনে হচ্ছে আমার তা হলো, অর্পিতার কিছু একটা হয়েছে।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ অাাপনাকে
শুন্য শুন্যালয়
আমারও তাই মনে হচ্ছে, হয়তো একসিডেন্ট। দেখা যাক।
সঞ্জয় কুমার
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
সবই আশা নিয়ে চলে। শেষে মন খারাপ করে দিলেন দাদা, না পেতেই হারানোর বুকে হাড় ভাংগার টেউ তুলে ভাল লেখক বনে যাচেন। যান না কতদুর জেতে পারেন।
না পাওয়ার সুর তুললেন, বেশ ……………। কি মাসিমা ?
সুন্দর চলুক…………।।
সঞ্জয় কুমার
মাসিমা হলেন মায়ের বোন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
আদিব আদ্নান
অর্পিতার মা কি মারা গেলেন ?
সঞ্জয় কুমার
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ.
পুষ্পবতী
অর্পিতার পরিবারের কারো কিছু হয়েছে?অর্পিতার বাবা?নাকি জয়ের পরিবারের কারোর?এমন কিছু হয়তো। কি হয়েছে জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
সঞ্জয় কুমার
দেখা যাক কি হয়
জিসান শা ইকরাম
গল্প পড়ে ভালো লাগার আমেজটা শেষ হয়ে গেলো মিলনের ফোনে ।
অর্পিতা এক্সিডেন্ট করেছে হয়ত ।
সঞ্জয় কুমার
হতে পারে আগেই কিছু বলাযাচ্ছে না
বনলতা সেন
অর্পিতার কিছু হতে যাবে কেন ?
জয়ের ঘাড় মটকে গেলে কেমন হয় ?
সঞ্জয় কুমার
জয়ের উপর আপনার রাগ আছে নাকি????
ব্লগার সজীব
আপনার লেখা অর্পিতা সব গুলোই পড়েছি । লগইন হতে পারছিলামনা বলে মন্তব্য করা হয়নি । ভালো লিখছেন । চলুক ।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ সজীব ভাই