মিলন অবাক চোখে দেখে জয় হঠাৎ করে এতটা পাল্টে যায় কিভাবে ।
খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, তারপর প্রাইভেট পড়ানো এরপর দ্রুত রেডি হয়ে ক্লাসে । আবার বিকালে আড্ডায় জয়কে পাওয়া যায় না । ক্লাস শেষে ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত কনষ্ট্রাকশন সাইটে । সেখান থেকে ফিরে রাতের খাবার খেয়েই । একটানা রাত বারটা পর্যন্ত পড়ার টেবিলে । ইচ্ছা থাকলেও ওর সাথে কথা বলার সুযোগ নেই ।
তিন মাস পর ……………..
জয়ের অষ্টম পর্ব ফাইনাল পরিক্ষা শেষ । ঢাকায় একটা রিয়েল এষ্টেট কোম্পানি তে ওর চাকুরী হয়ে গেছে । ও যে কোম্পানি তে তিন মাস বিনা বেতনে কাজ করত ওরাই চাকুরী টা দিয়েছে । ওর সহপাঠি রা যখন রেজাল্টের অপেক্ষায় । তখন জয় ঢাকায় যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে ।
প্যাকট্রিক্যাল পরিক্ষা শেষ হলেই ও ঢাকা চলে যাবে ।
ক্লাসের অনেকেই ব্যাপারটা জানে না শুধু জানে মিলন ।
আজ বিদায় অনুষ্ঠান
কলেজের অধ্যক্ষ স্যার ব্যক্তিতা শেষ করার আগে মঞ্চে ডাকলেন জয় কে ।
আজ আমি তোমাদের আমি এমন একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যে তোমাদের বড় ভাই কারও সহপাঠি বন্ধু । আমাদের কলেজের কৃতি সন্তান । যে বর্তমানের এই চাকুরির বাজারে যেখানে তদবীর মামা চাচা ঘুষ ছাড়া চাকুরি পাওয়া যায় না সেখানে সে পাশ করার আগেই চাকুরী পেয়ে গেছে । আমি তার নাম বলার আগে তাঁকে এই মঞ্চে আসতে বলছি ।
পুরো অডিটোরিয়াম ভরা শিক্ষক ছাত্র সবাই একবার ঘুরে পিছনে তাঁকালো । কে সে????
ব্যাস্ততার কারনে জয় অডিটোরিয়ামে বসার ছিট পাইনি সে পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল ।
সবাইকে পেছনে ফেলে জয় আজ এই উচ্চতায় । অধ্যক্ষ স্যার জয় কে বুকে টেনে নিলেন । আবেগে জয় কাঁদছে ।
অধ্যক্ষ স্যার বললেন
আমি জয় কে সমাবেত ছাত্রদের উদ্দেশে কিছু বলার জন্য মাইকে আসতে বলছি ।
সম্মানিত স্যার এবং সহপাঠী বন্ধু ছোট ভাইদের কে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম । ।
আমি আজ যেখানে পৌছেছি তার পিছনে দুই জন মানুষ আমাকে অক্লান্ত ভাবে প্রেরণা সাহস জুগিয়েছেন । তার একজন হলেন আমাদের অধ্যক্ষ স্যার । আমি বিশেষভাবে তার কাছে ঝণী ।
সবার উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলব সফলতার রাস্তা একটাই সেটা হল কঠিন পরিশ্রম । এর কোন বিকল্প নেই । মনে রেখ পৃথিবীতে কেউ তোমার সুখের দায়িত্ব নিয়ে বসে নেই , তোমার সুখের জন্য তোমাকেই পরিশ্রম করতে হবে । ধন্যবাদ সবাইকে ।
কিরে মিলন তোকে অডিটোরিয়ামে দেখলাম না ।
একটু ব্যাস্ত ছিলাম ।
জয় তোর জন্য একটা মহা সুখবর আছে ।
কি বল ???
চলবে……………….
১৭টি মন্তব্য
মশাই
গল্পটি বেশ বড় মনে হচ্ছে, এমন বড় গল্প লেখা কঠিন। আপনি সেই কঠিন কাজটি সুন্দরভাবে করেছেন। আপনাকে অভিনন্দন।
সঞ্জয় কুমার
আপনাকেও অভিনন্দন
স্বপ্ন
‘ সফলতার রাস্তা একটাই সেটা হল কঠিন পরিশ্রম । এর কোন বিকল্প নেই । মনে রেখ পৃথিবীতে কেউ তোমার সুখের দায়িত্ব নিয়ে বসে নেই , তোমার সুখের জন্য তোমাকেই পরিশ্রম করতে হবে । ‘ খুব সত্যি একটি কথা বলেছেন । নিজের জন্য নিজেকেই পরিশ্রম করতে হবে । পড়লাম আপনার পুর্বের পর্ব গুলো । ভালো লিখছেন ।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ
শুন্য শুন্যালয়
ভালো লিখছেন ভাইয়া।
সঞ্জয় কুমার
আপনাকে ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ, চাই এরকম প্রেরনামুলক গল্প উজ্জিবিত করবে সবাইকে।
অপেক্ষায় থাকলাম প……………………।।
সঞ্জয় কুমার
আপনাদের প্রেরণা আমাকে লিখতে উজ্জিবিত করে । ধন্যবাদ আপনাকে
জিসান শা ইকরাম
ফটো আপলোডের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেননি 🙂
দুই জন মানুষ প্রেরণা সাহস জুগিয়েছেন , অন্য জনের কথা জানবো না আমরা ?
ভালো লিখছেন ।
সঞ্জয় কুমার
ফেবুতে আলোচনা করব ।
পুষ্পবতী
সফলতার রাস্তা একটাই সেটা হল কঠিন পরিশ্রম । এর কোন বিকল্প নেই । মনে রেখ পৃথিবীতে কেউ তোমার সুখের দায়িত্ব নিয়ে বসে নেই , তোমার সুখের জন্য তোমাকেই পরিশ্রম করতে হবে । -{@
এই কথা গুলো খুব ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।
সঞ্জয় কুমার
আপনার জন্যে ও শুভ কামনা ।
মিথুন
সব গুলো পড়া হয়নি, পড়ে দেখতে হবে। ভালোই লেগেছে।
সঞ্জয় কুমার
অবসর পেলে অবশ্যই পড়বেন । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
ছাইরাছ হেলাল
এতগুলো পর্ব টেনে নিয়ে যাওয়া কঠিন হলেও আপনি লিখছেন বেশ ভালই ।
সঞ্জয় কুমার
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আপনাদের উৎসাহ ই আমার লেখার চালিকা শক্তি
স্বপ্ন নীলা
দারুন লিখেছেন —- সুন্দর আর সাবলীল
চলুক গল্পের গতিতে