আবির অনেক বেশি ভালবাসে অর্থীকে কিন্তু
কখনোই বুঝাতে পারেনি আসলে আবির
অনেক অভিমানী, বোকা আর লাজুক টাইপের…
অর্থীও জানে ও নিজে আবিরকে অনেকে
ভালবাসে কিন্তু বেচারি বলতে পারে না..
ওদের দুইজনের পরিচয় হয় ফেবু থেকে…
আবির প্রচুর নেশা করতো আর ও কারো
শাসন পছন্দ করতো নাহ্ । পুরোপুরি
নিজের মনের কথায়ই কাজ করে,
নিজের যা করতে ইচ্ছে করে তাই করে
তবে ছেলেটা অনেক ভালো মনের, সবাইকে
নিজের মত করে নিরবে অনেক বেশি
ভালবাসতে জানে..
অর্থী খুব বুদ্ধিমতী আর জ্ঞানী মেয়ে, অর্থী
একা থাকতে পছন্দ করে, কারো সাথে
কথা তেমন না বললেও ফেবুতে সারাক্ষণ
থাকে আর আবিরও…
দুজনের সারাক্ষণ ফেবুতেই থাকে আর
সারাক্ষণই ওদের মাঝে ম্যাসেজিং হতেই
থাকে । একজন আরেক জনের অনেক
বেশি আপন হয়ে গেছে । এখন ফেবুতে
দুজনই কম আসে কারণ ওরা এখন সারাদিন
মোবাইলে কথা বলে ।
ছোট ছোট জিনিস নিয়ে দুজনের মাঝে
সারাক্ষন খুনসুটি হতে থাকে তবে বড়
মাপের ঝগড়া তেমন হয়না কারণ, দুজনই
দুজনকে অনেক ভালো বুঝে আর দুইজন
এমনিতেই কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না, তারা জনম
জনম এভাবেই থাকতে চায় । দুজনেই
অনেক রাগী কিন্তু কখনোই ওরা ওদের
সাথে করেনি । যে কিছুতেই আবির মানিয়ে
নিতো ।
আবির অর্থীর জন্য সব ধরণের খারাপ
নেশা চিরতরের জন্য ছেঁড়ে দেয়,
শুধু নেশাই না আবিরের আবেগী জীবন
দিয়ে হলেও অর্থীকে চায়..
তবে অর্থীর মাঝে একটা সমস্যা ছিলো
আর এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা ।
ওর অনুভূতি জিনিশটা এতটাই কম যে
কখনোই কারো জন্য ওর কষ্ট লাগে না,
কাউকে ভালবাসতে ইচ্ছে করে না আর
এই ব্যপারটা নিয়ে হঠাৎ করেই ওদের
মাঝে একটু একটু ঝগড়া শুরু হতে থাকে ।
ব্যপার গুলো অনেকটা এমন যে –
আবির যখন অর্থীকে ওর না বলা
অনুভূতি প্রকাশ করবে তখনই কথা
ঘুড়িয়ে দেয়, না হয় কথা বলে না । কিন্তু
আবির অর্থীর এতটুকু অনুভূতি হীনতার
জন্য অনেক কষ্ট পায় তবে সবসময়ই
লুকিয়ে রাখে বুঝতেই দেয় না কাউকে।
এমন অবস্থায় আবির মনে করছে ও অর্থীকে
একতরফা ভালবাসছে আর অর্থীও এই
প্রেমের ব্যপারটা শুনতে একদমই পছন্দ
করে নাহ্…
এক রাতে আবির অর্থীকে কল করে সরাসরি
বলেই দেয় ও ভালবাসে আর ওকেই চায় আর
যদি না পায় তবে আর কখনোই কারো
হবে না, হয়তো ভুলে যাবে না হয় অনেক
দূরে হারিয়ে যাবে । আবির খুব ধরা ধরা
কন্ঠে কথা বলছে, মনে হচ্ছে পৃথিবীর
সবচেয়ে দুঃখি মানুষ । ও অর্থীকে বুঝাতে
চাচ্ছে ওকে ছাঁড়া বাঁচতে চায় না কিন্তু
অর্থীর মাঝে কোনো ফিলিং নাই ও আগের
মতই শুনেও না শুনার অভিনয় করছে, ও
কথাটা ঘুরাতে চেয়েছিলো কিন্তু আবিরের
জড়াজড়িতে ও শুধু শুনছে কিন্তু কিছুই
বলছে না । আবির অনেকক্ষণ একা একাই
কথা বলছে আর নিজের মাঝে নিজেকে
পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণীত মানুষে রুপান্তরিত
করে চলছে । আবির শেষবারের মত অর্থীকে
জিজ্ঞাসা করে ” তুমি কি আমাকে
ভালবাসো”…………….?
অর্থী এবার কিছুক্ষন সময় নেয় কিছুক্ষন
চুপ থাকার পর আবিরকে উত্তর দেয়
“আমার পক্ষে এখন এইসব নিয়ে চিন্তা
ভাবনা করার একটুও সময় নেই আর তুমি
যদি আমাদের এই সম্পর্কটা না রাখতে
চাও তবেও কোনো সমস্যা নেই ”
কিছু সময় কারো কোনো সারা শব্দ নেই
একদম নিস্তব্ধ, হঠাৎ করেই একটা
পিস্তলের ছোঁড়া গুলির শব্দ ভেসে আসে
অর্থীর কানে, অর্থীর আর কিছুই বুঝার
বাকি নেই…
১৪টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
পড়লাম, বেশ আবেগময়তা নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছেন।
বেশি করে লিখুন ও সাথে আরও পড়ুন মনের আনন্দে।
নীলাদ্রি
জ্বী ভাই, আর আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ. .
স্বপ্ন নীলা
ভাল লাগলো লিখাটা —– সুন্দর — আরো লিখুন
নীলাদ্রি
জ্বী ধন্যবাদ 🙂
তানজির খান
পড়লাম লেখাটা।সাদামাটা লেখায় একটা তীব্র আবেগের ঘ্রাণ আছে।আরো পড়ুন, আরো লিখুন। অনেক অনেক ভাল লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। (y) (y) (y)
নীলাদ্রি
জ্বী ভাই মাথা রাখলা। আগামীতে আরো ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টায় থাকবো আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ. …
সীমান্ত উন্মাদ
প্রেমময়তা ভরপুর লিখা। ভালই লাগলো। চালিয়ে যান। শুভকামনা থাকলো।
নীলাদ্রি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো প্রেম! আবেগে টই-টুম্বুর হৃদয়।
ভালোবাসা অভিমানে নয়, মৌণতার আহ্লাদে স্থান পাক।
চলুক লেখা। 🙂
নীলাদ্রি
অনেক অনেক ধন্যবাদ, অনেক দোয়া রইলো…..:)
ব্লগার সজীব
অর্থী খুবই খারাপ।এভাবে একটি ছেলেকে শেষ করে না দিলেও পারতো।ভালো লেগেছে ভাইয়া।
* লেখাটির লাইন গুলো কেমন কবিতার মতো।আপনি কি এমন ভাবেই লিখতে চেয়েছেন?
নীলাদ্রি
ভাই আমি প্রায় ৮ বছর পর আবার
লিখালিখি শুরু করেছি,
স্কুল লাইফে অনেক গল্প লিখতাম,
এতবেশি সময় লিখনির বাহিরে
তাই কেমন কেমন জেনো
মিলাতে কষ্ট হয়ে যায়…
অরণ্য
গল্প শুনে কেউ হয়তো বলবে “আরে ভাই, আর কউয়েন না। আজকালকার পোলাপাইন – মাল-মূল খাইয়া মাথা পুরা শেষ। এই কামে এই কাম!”। এমন কোন ঘটনা যদি ঘটে যায় কখনও (আমি চাই না তা) আমি অর্থীর চেয়েও বেশি ব্লেম দেব সমাজকে।
নীলাদ্রি
জ্বী সমাজই এমন শত শত অর্থীকে
প্রতিনিয়ত তৈরি করছে