-এই কে রে তুই? মাতালের মতো প্রলাপ বকছিস, তোকে বাড়িতে ঢুকতে দিলো কে?
-আরে আমার বাড়িতে আমি ঢুকেছি তাতে তোর কি? প্রশ্নটা তো আমার করার কথা ছিলো, তুই কে?
-আজব তো, মাতালের কথায় দেখি মাতলামির সাথে আরও কিছু, তা এটা কি আপনার বাড়ি? আপনার বাবার নাম কি? মায়ের নাম কি? অতঃপর বলুন আপনার বউয়ের নাম কি?
– হাসতে হাসতে মনে হচ্ছে তানিমের বুকে খিল লেগে যাচ্ছে, এভাবেই হাসির মাঝে থেমে থেমে বললেন, তা বউয়ের নাম দিয়ে কি হবে? বাবা-মায়ের নামে কি চলে না? ও বুঝতে পারছি বউ বুঝি আপনাকে বেধম পেটায়?
-হতভম্ব হয়ে করিম সাহেব বলতে লাগলেন, বউ আমাকে পেটাবে ক্যানো? বউ কি স্বামী পেটায়?
-না মানে, বউয়ের নাম জিজ্ঞেস করলে তো তাই
-এতো শতো কথা বুঝিনা আপনি এইবাড়িতে ক্যানো এসেছেন বলুন, মাতালের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না।
-ক্যানো এটা আমার বাড়ি
-এই কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে, গার্ড ডেকে পেটাতে পেটাতে বাড়ি থেকে বের করে দিবো..
-পূর্বের ন্যায় হাসতে হাসতে তানিম বললেন, আপনার বাড়ির যে গার্ড সেতো আপনার মতোই, বউ ভীতু, আর সেই সুযোগটা নিয়ে তাকে গার্ড টয়লেটে ঢুকিয়ে বাহিরে আটকিয়ে দিয়েছি। তা তার মতো কি আপনাকেও করবো নাকি?
-যাক গে এবার বলুন, ক্যানো এবং কি কারনে এই বাড়িতে আপনি প্রবেশ করেছেন?
-দেখুন এককথা বার বার বলতে ভালোবাসি না, মাথাটা খারাপ হলে কিন্তু আপনার অবস্থা খারাপ হবে
-বিরবিরিয়ে করিম সাহেব বলতে লাগলেন, মাতালের আবার মাথা খারাপ-ভালো, শালা মাতলামী করছে আবার বলছে মাথা খারাপ হলে খারাপ হবে কিন্তু
-হঠাৎ জোরে চিৎকার করে উঠলেন তানিম, এই বউয়ের চামচা আকাশের দিকে তাকিয়ে কি কথা হচ্ছে? কাক পায়খানা করবে তো..
-আপনি কিন্তু ধৈর্যের সীমানা অতিক্রম করে ফেলছেন, এতো বাড়াবাড়ি না করে বলুন, ক্যানো এসেছেন?
-এটা আমার বাড়ি, আর আমার বাড়িতে তো আমি আসবোই
-তা কি করে আপনার বাড়ি হলো বুঝি?
-আপনার বউ আমার প্রাক্তন প্রেমিকা, প্রেম করা কালীন বেশ অর্থকরি আত্মসাৎ করেছেন, আর আমাকে ফাঁকি দিয়ে আপনার মতো অর্ধমহিলাকে বিয়ে করেছে, শুনুন তার সাথে তখন আমার অন্তরঙ্গ মেলামেশা ছিলো, আজ আমি নেশা করেছি একটু বেশি, এতোদিন পর তার সন্ধান পেয়েছি।
-তা বুঝলাম, সে কথা না হয় আরেকদিন শুনবো, ক্যানো এসেছেন সেই কথার জবাব দিন
-আবারও কিন্তু আপনি এক কথাই বলছেন, আরে ভাই আপনার সাথে বিয়ে হয়েছে তার ৫ বছর আর আমাদের সাথে সম্পর্কও ছিলো ৫ বছর..এবার হিসেব করুন, ভাগাভাগির অংক করেছেন কোনোদিন… সমানে সমান। এটা আপনার বাড়ি হলে আমার কোনো কথাই নেই কিন্তু আপনার বউয়ের বাড়ি হলে এটার অর্ধেক আমার..
-মহা বিপদে পড়লাম লোকটাকে নিয়ে, কি সব বলছে, আচ্ছা শুনুন আপনি শুক্রবার আসবেন বাসায়, আমরা বাসায় থাকবো দুজনা, তারপর আপনার হিসেব আপনি বুঝে নিবেন।
-ধন্যবাদ, এমন সহজ কথায় আপনাকে ধন্যবাদ, আসুন হাতে হাত মেলাই..
—চলবে
১০টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল আমিন দা
শামীম চৌধুরী
মাতালের পাল্লায় পড়েছিলেন?
ভাল লাগলো।
ফয়জুল মহী
মুগ্ধকর অনুভূতির সৃষ্টিশীল প্রকাশ। l
আরজু মুক্তা
বাহবা! জাতে মাতাল তালে ঠিক।
গল্প কিন্তু ভালো লাগলো।
পরের পর্বের অপেক্ষায়
মনির হোসেন মমি
হা হা হা মাতালের মাতলামী দিয়ে চমৎকার উপস্থাপনায় শুরু করলেন সিরিজ গল্প।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কী চমক থাকে।ব্লগে আপনার উপস্থিতি আমাকে আমাদের উৎসাহিত করে।সিনিয়র ব্লগাররা মাঝে মধ্যে এলে ব্লগ প্রান ফিরে পায়।আশা করি পাশেই থাকবেন।
রুদ্র আমিন
ভাই ইচ্ছে করে কিন্তু সময় করে উঠতে পারি না, নিউজপ্রোর্টাল নিয়ে ব্যস্ত থাকি বেশি… তার সাথে অফিস তো আছেই… ইচ্ছে তো করে আগের মতোই সচল হই ব্লগে। সেই ইচ্ছে থেকেই মাঝে মাঝে এসে হাজিরা দিই। প্রিয় অনেক মুখ এখানে আছে যে….
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ প্রিয়।অবশ্যই জানি আপনি ব্যাস্ত মানুষ।নিউজ পোর্টাল ছাড়াও আজকাল মিউজিক এ্যালভাম নিয়ে কাজ করছেন।এতো ব্যাস্ততার মাঝেও যে সময় দিচ্ছেন সোনেলায় এটাই অনেক পাওয়া। আপনার সাফল্য কামনা করছি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
গল্পের সূচনা টা মাতালদের মাতলামি দিয়ে জমিয়ে দিলেন ভাইয়া। মাতাল হলেও হিসাবে একদম পাক্কা। আপনার লেখা মনে হয় এখানে প্রথম পড়লাম। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা নিরন্তর
হালিম নজরুল
“আচ্ছা শুনুন আপনি শুক্রবার আসবেন বাসায়, আমরা বাসায় থাকবো দুজনা, তারপর আপনার হিসেব আপনি বুঝে নিবেন।”
—————– শুক্রবারের প্রতীক্ষায় রইলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
এই রুদ্র ভাই, জায়গা পেলেন না পাগলামিটা বেড়েই যাচ্ছে। যাচ্ছেই তো।
আইসা পঅড়েন ফুস্কি হুস্কি হয়া যাক বোতলে বোতল। ড্রেনের জল জইমা গে ছে।