আগের পোস্ট
মোদের গরব মোদের আশা আ’মরি বাংলা ভাষা
সভ্যতার অপ্রতিহত গতির মুখে ‘৭১এর স্বাধীনতা সংগ্রাম এদেশের মানুষের কাছে ছিল অমোঘ দাবী। এ ক্ষেত্রে আমরা ইতিহাসের পুরনাবৃত্তি লক্ষ করি। সুদূর অতিতে আর্য্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি কতৃক তৎকালীন ‘বঙ্গ’কে ঘৃণা ও অবহেলার প্রয়াস কিংবা সপ্তম ও অষ্টম শতকে “বঙ্গ”নাম মুছে দিয়ে গৌড় বা রাঢ় এর আওতায় এতদঞ্চলকে একত্রিত করার প্রয়াস ব্যার্থ হয়েছে। একইভাবে পূর্বপাকিস্তান নামে কৃত্তিম উপরাষ্ট্র সৃষ্টি করে একে টিকিয়ে রাখার যাবতিয় প্রয়াস ‘৭১এর আগমনের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণরূপে মাত্র.২৪ বছরেই ব্যার্থ হয়েছে। আরো লক্ষণিয় যে, আমাদের প্রাচীণতম কাল থেকে অদ্যাবধি বিস্ততৃত সূদীর্ঘ ইতিহাসের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত চূড়ান্ত বিজয় যে কোন বিশ্লেষনে বাঙালী জাতির জন্য শ্রেষ্ঠতম গৌরবজনক ঘটনা।
অতিত ইতিহাসের আর কোন ঘট্না যেমন এই ঘটনার সাথে তুলনীয় হতে পারে না, তেমনি আমাদের অনাগত দিনেও যে ইতিহাস সৃষ্টি হবে তাতেও এমন ঘটনা ঘটনা সম্ভাবনা খুবই কম। ‘৭১এর স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি থেকে চুড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত সকল ঘটনাই সর্বযুগের বাঙ্গালীর নিকট একটি নজীর-বিহীন বিষয় হয়ে থাকবে। কারন ‘৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধেই প্রথমবারের মত আপামর জনসাধারনের ব্যাপকতম সক্রিয় অংশগ্রহন ছিল। অতীতে এমন একটি আর ঘটনি।
এই জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আগ্রাসি শক্তিকে সর্বোতভাবে পরাজিত করে এবং বিশ্বের মানচিত্রে একটি আধুনিক বাংলাদেশের সৃষ্টি করে যা বাঙ্গালীসত্বার সকল প্রয়োজনিয় উপাদান যথার্থভাবে ধারন করে।এই সময়ের বাঙ্গালীর নেতৃত্বের বলিষ্ঠতা, নেতৃত্বের সাথে আপামর বাঙ্গালীর স্বতস্ফুর্ত একাত্বতা, স্বদেশ ও জাতি রক্ষায় বাঙ্গালীর অভূতপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ প্রত্যয় ও অন্তর্নিহিত বিশাল শক্তিকে বাঙ্গালী নিজেই যেমন সবিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছে তেমনি চূড়ান্ত বিজয় অর্যনের মধ্য দিয়ে নিজেই ইতিহাসের মহা নয়কে পরিনত হয়েছে।
সুতরাং আমাদের আত্মপরিচয় নিয়ে যেমন সংশয়ের কোন অবকাশ নেই তেমনি আমাদের পূর্বপুরুষদের উত্তরসূরী হিসাবে অর্পিত জাতীয় দ্বায়িত্ব সম্পর্কে কাল্কখেপনেরও কোন অবকাশ নেই। এই মাটির বুকে মহাকাল জুড়ে যে মহা কাব্যের সৃষ্টি হয়েছে তাকে ধারন করার জন্য গোটা জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়াই এখন ঐতিহাসিক দায়িত্ব।
লোভ, লালসা, হিংসা, লিপ্সা, অহংকার এই শ্যামল কোমল গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের মাটিতে জন্মনেয়া মাটির সোঁদা গন্ধে বেড়ে উঠা বাঙ্গালীর মাঝে নেই। এই মাটির মানুষগুলি খুব সোজা সহজ সরল । দৃঢ় চিত্তের, এই মাটির জন্য বাজি ধরে প্রাণের । এরা সন্ত্রাস জানে না। এরা শুধু মার খেয়ে ধৈর্য্যধরে ্প্রতিবাদে গড়ে তোলে প্ররিরোধ। এরাই বাঙ্গালী। জ্বলে পুড়ে মরে ছাড়খার তবু মাথা নোয়াবার নয়।
এদেশ সন্ত্রাস জঙ্গীর অভয়ারন্য হতে পারে না , হবে না। তাই তোল হাত ,গর্জে উঠ, চিৎকার করে উঠো। রুখে দাও সন্ত্রাস।
২০টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
” লোভ, লালসা, হিংসা, লিপ্সা, অহংকার এই শ্যামল কোমল গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের মাটিতে জন্মনেয়া মাটির সোঁদা গন্ধে বেড়ে উঠা বাঙ্গালীর মাঝে নেই। এই মাটির মানুষগুলি খুব সোজা সহজ সরল । দৃঢ় চিত্তের, এই মাটির জন্য বাজি ধরে প্রাণের । এরা সন্ত্রাস জানে না। এরা শুধু মার খেয়ে ধৈর্য্যধরে ্প্রতিবাদে গড়ে তোলে প্ররিরোধ। এরাই বাঙ্গালী। জ্বলে পুড়ে মরে ছাড়খার তবু মাথা নোয়াবার নয়। ”
……….. আমরা এমনই জাতি,এ জাতি পরাভব মানে না। এমন পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।
খসড়া
ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
সন্ত্রাস আমাদের রুখতেই হবে।
কত যত্নে লিখেছেন, অবশ্যই ধন্যবাদ।
খসড়া
রুখেতো দিচ্ছি সময়তো একটু দিতেই হবে।
বৃষ্টিহত ফাহিম
কালক্ষেপনের অবকাশ নেই, আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তা নিজেদেরই গড়ে তুলতে হবে।
খসড়া
অবশ্যই,
প্রহেলিকা
রুখে দাড়াবার সময় অনেক আগেই এসেছে কিন্তু ক’জনে করছি বলুন। প্রায় সবার মাঝেই উদাসীনতা এই ব্যাপারে। দেশের এই চলমান পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা বুঝতে পারছি না তবে এখনি যদি রুখে দাড়ানো না হয় তাহলে প্রস্তুত থাকতে হবে আরো ভয়াবহ কিছুর জন্য।
খসড়া
করছি আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় ওরা শক্তিশালী কিন্তু আমরা ১৬কোটি পরিবার।
জিসান শা ইকরাম
মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই অবধারিত ছিলো —
বাংগালীরা স্বাধীন হতোই………
সন্ত্রাস বাদ নিপাত যাক।
এমন লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খসড়া
আপনারা পড়ছেন বুঝছেন অন্যকে জানাবেন এটাই লেখার সার্থকতা।
স্বপ্ন
এ বিষয়ে আপনার সব গুলো লেখা পড়লাম।খুব সহজে সুন্দর করে বুঝিয়েছেন।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খসড়া
ধন্যবাদ
নুসরাত মৌরিন
এদেশ কখনই সন্ত্রাসের অভয়ারন্য হতে পারে না।আমরা তা হতে দেব না।
খুব ভাল লাগলো লেখাটি। (y)
খসড়া
্ধন্যবাদ
খেয়ালী মেয়ে
আর কত প্রাণ গেলে এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ হবে?….কবে গর্জে উঠবে?…
খসড়া
হচ্ছে বন্ধু হচ্ছে।
প্রজন্ম ৭১
প্রতিটি পর্ব আগেই পড়েছি আপু।মন্তব্য করা হয়নি।অসাধারন লিখছেন আপনি।
খসড়া
ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রাম আমাদের অহংকার। তাকে বিনষ্ট করতে দেয়া হবেনা, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এটা হচ্ছে এবং আরো হবে।
অপেক্ষা করছি পরের পর্বের।
খসড়া
হবে না দূর্বৃত্ত সব সময়ই দূর্বৃত্ত একদিন থামবেই। রুখে দেবে সব কিছু