ফসল কুড়োতে হলে ফিরে-ফিরে আসতে হবে
ফেলে আসা আল-পথের পথে,
যেখানে উৎসব-ফসলের-অপেক্ষা দাঁড়িয়ে আছে
উঠবে ঘরে।
হাসিমুখ কৃষকের গোলা উপচে, পালের নৌকা গরু/মহিষের গাড়ী
ঘাম-শরীর-কৃষকের মাথায় চড়ে দিনান্তে, নবান্নের উৎসবে দিকে দিকে,
সেবারের সিডরে পরাস্ত-কৃষক, এবারে হাসি-মুখ উদ্বাহু দাঁড়িয়ে;
নিঃশব্দ একাকীর মাঠ নীরব অপেক্ষায়,
লাঙলের চাষি আসবেই, নিত্য আলোর বিন্যাসে।
৫০টি মন্তব্য
রিতু জাহান
পত্থম
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী, রিতু-জি।
প্রহেলিকা
আপনি পত্থম, বাট আমি ফার্স্ট
ছাইরাছ হেলাল
এক দম ঠিক আছে এবার।
প্রহেলিকা
হেলাল ভাই ছাড়া আর কেউই নাই আমার। থাকবেও না। কিন্তু উনি একাই একশো।
ছাইরাছ হেলাল
একে বারে একশত!! ইট্টু কম-সম করা গেলে ভাল হবে মনে হয়।
রিতু জাহান
☺☺☺☺☺☺পত্থম
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত ছোট্ট লেখায়!! লেখা সইতে পাড়বে তো!!
রিতু জাহান
কৃষক তখনই স্বার্থক যখন সে তার কাঙ্খিত ফসল পায়।
সিডরের আঘাতের সে ক্ষত এখনো ঘুরে ফিরে কৃষকের মনে।
নতুন ফসলের নাড়ার গন্ধ এখনো নাকে লেগে আছে। আহা! আমার সে শৈশব।
ছাইরাছ হেলাল
এখানেও কৃষক এসেছে জীবনের প্রতীক হয়ে।
সময়ের সাথে যুদ্ধ, এগিয়ে যাওয়া, বিদ্ধস্ত হওয়া এগুলো সহজে বলা, সহজ করে বলা।
শেষে এসে উৎসবে আবার জীবন ফিরে পাওয়া, এগুলোই বলতে চাওয়া।
রিতু জাহান
শৈশব কৈশোর জীবন চলার শুরু যে। নতুন ফসলের মতোই। একটু অযত্ন হলেই যে চিটা পড়ে যায়। কখনো বৈরি আবহাওয়া কখনো বা কৃষকের অযত্নেই।
ছাইরাছ হেলাল
জীবন চলে যায় নিজ নিয়মে, নিজের গতিতে।
প্রহেলিকা
আহা কি সুন্দর কবিতা। মায়াময়তা ছড়িয়ে পড়েছে প্রকৃতির হাত ধরেই। কৃষক, মাটি, নবান্ন বা প্রকৃতির সান্নিধ্যে কবিতার ভেতর থেকেও ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে। এমন লেখা ভালো না লেগে পারেই না।
কঠিন দূরে থাক, এভাবেই চালু থাকুক। মাথার চুল উড়কি না। সাধের চুল হারাতে চাই না। কবি আরও লিখবে এই আশাই করি, সহজে সহজে দ্যোতনায়।
ছাইরাছ হেলাল
আহা!! কী সুন্দর মন্তব্য!! জোর করে হলেও ভাল লাগিয়েই ছাড়ব।
এভাবেই চলুক!! চললে তখন আবার অন্য কিছু বের হবে। তা ছাড়া চাইলেই কী সব কিছু চালানো যায়?
যায়, যায়-ও না।
কঠিন কোমল সব সময় নিয়ন্ত্রিত নয়, আপনি তা জানেন।
প্রহেলিকা
কবিরা সবই পারে, এটাই বিশ্বাস করি। গ্যাপগুপ দেয়া চলবেই না।
ছাইরাছ হেলাল
কবিরা খুপ খারাপ হয়।
প্রহেলিকা
কেন জানি মনে হচ্ছে, এই নবান্নের শুরু। যদি তাই হয় তাহলে মন্দ হবে না। ভালো বিষয়াদি আছে এতে। চলুক চলুক।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা!! চলতে শুরু করলে তখন হবে এত নবান্ন কৈ থুমু, অন্য কিছু দ্যান!!
প্রহেলিকা
এমন আমরা কেউই কমু না। সবে তো শুরু মাত্র, দিতে থাকেন খুশিতে খুশিতে।
ছাইরাছ হেলাল
কবিদের চিনি না!! দেয়া শুরু হলেই জ্বালা শুরু হবে!!
তৌহিদ
বিশ্বাস করেন অনেকদিন পরে আপনার লেখাটি মনের গভীরে প্রবেশ করলো। কারন কি জানেন? সহজবোধ্য লেগেছে কবিতাটি।
আমি কঠিন শব্দ কম বুঝি, আমার আর কি দোষ বলুন?
ছাইরাছ হেলাল
ভাল লেগেছে এটুকু মেনে নিয়ে ধন্যবাদ বলছি। লেখাটি আপনার কাছে পৌছুছে।
তবে সহজ কী না তা বুঝতে পারছি না।
কঠিন শব্দ বলে কিচ্ছু নেই। আর দোষ বা গুনের ও কিচ্ছু নেই।
তৌহিদ
ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও।
সাবিনা ইয়াসমিন
এসো আজ লাঙ্গলের ছুটি মঞ্জুর করে
উঠোন শুকনো করি মাটি-গোবর-খড়ে
ফসলের ধুম লেগেছে আজ সিডর ধোয়া মাঠে,
ঢেঁকি-ঘরটা তুমি সাজাও
নতুন মাটিতে চুলা পাতি আমি ,
লাল-পাড় শাড়ির আঁচল গুঁজেছি কোমরে
বাঁশিতে তোলো নতুন সুর শুনি,,,
শুরু হয়েছে নবান্ন, এসো নবান্নের উৎসবে রাঙি..
ছাইরাছ হেলাল
এ সব কৈথথে পাইলেন!! এই সামান্য লেখায় এ সব আছে!!
আমি কিন্তু কিছু জানি না।
আপনি বরং নবান্ন-লেখা শুরু করে দিন, কব্জি ডুবিয়ে পড়ি!!
আমি তো কিছুই বুঝছি না, এ লেখা কোথা থেকে তুলছেন!! কেমন করে তা জানতে চাচ্ছি না।
নীলাঞ্জনা নীলা
পথভোলা পথিক চলে যাচ্ছে রাঙিয়ে দিয়ে, আর এখানে কিনা চলছে নবান্নের উৎসব! সোনালী স্বপ্নদের কাছে ফিরে যেতে মন চাইছে বুঝি? তাহলে ফিরেই না হয় যাই সেখানে, যেখানে আলোর প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে অঘ্রাণের ফুলে।
কি কেমন হইলো মন্তব্য?
ছাইরাছ হেলাল
এই যে!! একটার সাথে অন্যটি মিলিয়ে দিলে হবে না।
অধরা স্বপ্ন সে সোনালী বা রূপোলি যাই হোক না কেন, ছুঁতে চায়/চাই। আর সেখানে শুধু প্রজাপতি না
লেজ ঝোলা ফিঙ্গে ও থাকে।
সে আর বলতে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
অতো কিছু বুঝিনা বাপু। মিলিয়েই দেবো। তা না হলে মিলিয়েই যাবো। 🥶
ছাইরাছ হেলাল
বেশি করে বেশি হয়ে মিলিয়ে যান নিজেই!!
নিষেধের বালাই নেই, আপনার জন্য।
মাহমুদ আল মেহেদী
আমিতো বৈশাখী আমেজ পাচ্ছি।
গন্ধ পাচ্ছি নবান্নের,
কৃষকতো আসবেই
প্রতীকি হয়ে জীবনের।
ছাইরাছ হেলাল
তা নবান্নের ঘ্রাণ নিতে নিতে কিছু একটা শুরু করে দিন।
মাহমুদ আল মেহেদী
আসতেছে না যে ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না।
শুন্য শুন্যালয়
একাকীর মাঠ, কৃষক, ফেলে আসা আল-পথ, ফসল
কে কার অপেক্ষা করে, কেন করে, কিসের উৎসবের নেশায় তার উত্তর এতোটা সহজে পাওয়া যাবেনা, যায়ও না। কবির জন্যে তা কোন ব্যাপারই নয় যদিও।
ইলিশ পান্তার পার্টনার নেই বলে বৈশাখের কাছাকাছি নবান্ন এনে ফেলবেন মনের দুঃখে?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি জানেন,
হৃদপিণ্ডের পোস্টমর্টেম করা যায়, হৃদয়ের না।
আপনি এ ও জানেন,
লেখকের চাঁদ ভর দুপুরেও জেগে ওঠে,
সূর্য্য জেগে থাকে পূর্ণ জ্যোৎস্নায় (পাগলের খ্যাতা পুড়িয়ে)।
আপনি কবি, আপনি আরও জানেন,
লেখকের কৃষক-নবান্ন, মৌসুম-ক্যালেণ্ডারের হিসেব রাখে না।
জিসান শা ইকরাম
চাষী আসেনি এখনো!
নবান্নের অপেক্ষার সময় দ্রুত শেষ হোক।
ছাইরাছ হেলাল
লাঙলের ফলায় ধার উঠলে খবর আছে কিন্তু।
জিসান শা ইকরাম
ফলায় ডরেনা বীর,
ছাইরাছ হেলাল
অহ্ আপনি বীর!!
প্রহেলিকা
গ্যাপ দিলেন মনে হয় আজকে? নাকি মঙ্গলবারে পোস্ট দেয়া মানা?
ছাইরাছ হেলাল
গ্যাপের সুবিধা নিতে দিচ্ছি না, আউল-ফাউল দিয়ে হলেও।
প্রহেলিকা
ব্লগে আইসা মশা মারি, গপ্পো করার মানুষ নাই। কাজকাম খালি আমারই নাই।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর কী না কী কন!
প্রহেলিকা
কবি কি গ্রন্থকীট সাজলো নাকি ৫০০ পূরণে ব্যস্ত কে জানে। তবে আমি না জানলেও জিউস সব জানে।
ছাইরাছ হেলাল
৫০০ অইলে তো আবার পোস্ট চামু!! সেই ভয়ে আছেন, তাইনা।
প্রহেলিকা
একলাই একলাই বকবকাইতে পারি। হুদাই
ছাইরাছ হেলাল
দোকলা তো!!
প্রহেলিকা
নবান্ন কিন্তু শেষ হয়নি।
ছাইরাছ হেলাল
এ তো অশেষ!