দ্বৈতাদ্বৈতের গুঞ্জন তুলে, অর্জন-উপার্জনের কথা ভেবে, বদলাতে হবে না,
বদলে যাবও না, এই অপেক্ষা-প্রহরে, নিবিড় নিবিষ্ট নিশীথের আলপথে ফোটা
গোলাপগন্ধা শাড়ি-ফুল, সহসা আঁতিপাঁতি করে হাতড়াতে হাতড়াতে এড়িয়ে-মাড়িয়ে
আস্তব্যস্ত হয়ে বেপথু-আঙিনায় উঁকি দেব, স্থাণু হব!
এমন-ও-না,
জ্বলজ্বলে উন্মুখ বুকে-মুখে বিষ পুষে রাখিনি,
একাট্টা জ্ঞানী-নির্জ্ঞানের অশনি-শাসনে চিৎকার করিনি,
সায়ানাইড নেব বলে ঠোঁট তুলে হাঁ-হয়ে আছি
নীলকণ্ঠ নই, তা-তো জানি-ই।
চেনা-অচেনায় খুঁজে ফেরে নিজেকে নিজে
আসমুদ্রবালিয়ারির ধার ঘেঁসে অপেক্ষা, অপেক্ষা করছে
একদিকদর্শিতায় খুবই চেনা-অচেনার দহন-বুকে, চুপেচুপে,
বিস্ময়বিমুগ্ধ শব্দছন্দনহরের আড়ালে, দুহি নীরব যন্ত্রণা সঙ্গোপনে,
নিশি নিশ্বাসের দীর্ঘশ্বাসে, কাঁদি নিরালকান্নায়, স্বর্গোদ্যানে,
সব-ই রয়ে যায়, না-প্রকাশে;
বুকে কান পাতি, শুনি,
জন্মজন্মান্তরে ব’য়ে যাওয়া জাতিস্মরের প্রতিধ্বনি
শ’য়ে-শ’য়ে বিমূর্ত বিস্ময়, হতবাক এখানেও দিব্যি;
সব ঝিনুকে মুক্তো হয় না, সব বৃষ্টিও চাতকের না,
তবুও অপেক্ষা অপেক্ষায় থাকে
ঝলমলে বিচূর্ণ আলোয় না-ঘুম শিথানে;
(ফারসি আপ্তবাক্য—‘দুনিয়া বা উমিদ খরদা শুদা’
দুনিয়া চলছে আশায় ভরসা করে,)
৩৬টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
আবারও পড়তে হবে। স্কিন শর্ট দিয়ে নিলাম। বুইঝা লই পরে আসতেছি।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা আচ্ছা, ব্যাপার না।
নীহারিকা জান্নাত
যাই ডিকশনারি বাইর কইরা আনি। ^:^
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁকি দিচ্ছেন না তো!!
নীহারিকা জান্নাত
ধুর, আপ্নের জ্বালায় ফাঁকিও দেউন যায় না।
ছাইরাছ হেলাল
নো ফাঁকি মুনে থাকে যেন,
ইঞ্জা
মুগ্ধতা নিন এই ভক্তের, আজ ফারসি শব্দ শিখলাম যা কিছুটা চট্টগ্রামের ভাষার মতো।
ছাইরাছ হেলাল
আমি নিজেই আপনার লেখার ভক্ত,
এ লেখাটি লিখতে যেয়ে এটি মনে পড়ে গেল,
ইঞ্জা
ভাইজান সত্যি কইলেন তো, কাঁইন্দা দিছি কিন্তু। ;(
ছাইরাছ হেলাল
এই ন্যান টিস্যু,
থাকুক কান্দন চালু!
অনিকেত নন্দিনী
… খাইসেরে!
উপরের লেখাগুলি মাথার উপর দিয়েই গেলো, বোধে কিছুই আসেনাই। একদম শেষের দিকে গিয়ে যাও কিছুটা বুঝলাম, ফারসি বলে আবার বোধগম্যতা নাই করে দিলেন।
ফারসি শেখার প্রয়োজনীয়তাটা কী হতে পারে ভাবছি। ;?
ছাইরাছ হেলাল
আসলে অপেক্ষার অপেক্ষা বিষয়ে কিছু বলতে চেয়েছি।
ফারসি বাক্যটি বলেছি এজন্য যে, এই অপেক্ষার আশায় আমারা থাকি,
ফারসি শেখার কিছু নেই, আবার কেউ চাইলে ‘হাফিজ’ একটু ভালবাসতেও পারে।
আবার বলি এখানে তিনটি স্টেপ,
অপেক্ষা>অপেক্ষার অপেক্ষা> অপেক্ষা অপেক্ষার আশা,
ভুল-ভাল বলছি কী না কে জানে!!
অনিকেত নন্দিনী
…”সব ঝিনুকে মুক্তো হয় না, সব বৃষ্টিও চাতকের না” এদ্দুর ছাড়া কিস্যু বুজিনাই ;(
হের উপ্রে আবার কয়, “তিনটি স্টেপ,
অপেক্ষা>অপেক্ষার অপেক্ষা> অপেক্ষা অপেক্ষার আশা” ^:^
ছাইরাছ হেলাল
দ্বৈতাদ্বৈতের গুঞ্জন তুলে, অর্জন-উপার্জনের কথা ভেবে, বদলাতে হবে না,
বদলে যাবও না, >>>>> নো দনোমোনো, নো হিসাব-নিকাশ, যেমন তেমনি-ই
থাকার প্রতিশ্রুতি, বর্তমানে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতে ভাবনা।
এই অপেক্ষা-প্রহরে, নিবিড় নিবিষ্ট নিশীথের আলপথে ফোটা
গোলাপগন্ধা শাড়ি-ফুল, সহসা আঁতিপাঁতি করে হাতড়াতে হাতড়াতে এড়িয়ে-মাড়িয়ে
আস্তব্যস্ত হয়ে বেপথু-আঙিনায় উঁকি দেব, স্থাণু হব!
এমন-ও-না, >>>>>>>> প্লেটনিক ভালোবাসা
জ্বলজ্বলে উন্মুখ বুকে-মুখে বিষ পুষে রাখিনি,
একাট্টা জ্ঞানী-নির্জ্ঞানের অশনি-শাসনে চিৎকার করিনি,
সায়ানাইড নেব বলে ঠোঁট তুলে হাঁ-হয়ে আছি
নীলকণ্ঠ নই, তা-তো জানি-ই।>>>>>> অতীত ভুলে গিয়ে সমার্পণ।
চেনা-অচেনায় খুঁজে ফেরে নিজেকে নিজে
আসমুদ্রবালিয়ারির ধার ঘেঁসে অপেক্ষা, অপেক্ষা করছে
একদিকদর্শিতায় খুবই চেনা-অচেনার দহন-বুকে, চুপেচুপে,>>>>>>>>>
অসংখ্য অনির্দিষ্টতার মাঝেই কষ্ট চেপে অপেক্ষা,
বিস্ময়বিমুগ্ধ শব্দছন্দনহরের আড়ালে, দুহি নীরব যন্ত্রণা সঙ্গোপনে,
নিশি নিশ্বাসের দীর্ঘশ্বাসে, কাঁদি নিরালকান্নায়, স্বর্গোদ্যানে,
সব-ই রয়ে যায়, না-প্রকাশে;>>>>>>>>>>>
স্বর্গসুখেও ভালোবাসার অপেক্ষা অপ্রকাশিত রেখে অপেক্ষা।
বুকে কান পাতি, শুনি,
জন্মজন্মান্তরে ব’য়ে যাওয়া জাতিস্মরের প্রতিধ্বনি
শ’য়ে-শ’য়ে বিমূর্ত বিস্ময়, হতবাক এখানেও দিব্যি;>>>>>>>>>
মৃত্যুর পরের জীবনেও সবাই হতবাক এই অপেক্ষাএ অপেক্ষাপ্রেম দেখে।
সব ঝিনুকে মুক্তো হয় না, সব বৃষ্টিও চাতকের না,
তবুও অপেক্ষা অপেক্ষায় থাকে
ঝলমলে বিচূর্ণ আলোয় না-ঘুম শিথানে;>>>>>>>>>>>>
ঘুমহীন অপেক্ষা উজ্জ্বলতার জন্য।
(ফারসি আপ্তবাক্য—‘দুনিয়া বা উমিদ খরদা শুদা’
দুনিয়া চলছে আশায় ভরসা করে,)>>>>>>>>
অপেক্ষার আশাবাদ।
========================================
টিচার আর ছাত্রের পিঠে ছালা বাঁধা লাগবে!!
নাসির সারওয়ার
ও টিচার, কি দিয়া কি বুঝাইলো এইডা!
এ দেহি হেই অঙ্কের মত – “৯ আর ৬ আনায় ১ টাকা, আপনে ১ আনা কম দেন”।
নাসির সারওয়ার
বাহ, কি সুন্দর ঝকঝকে লেখা। খুবই সুন্দর। দেখতে যে কি ভাল্লাগতাছে তা কেমতে কই। ও টিচার, শানেনুজুল বলেন।।।।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই ঝক্ঝকে, কত্ত কত্ত কমা হাইফেন লাইন বেলাইন,
খাটুনি দিয়ে আঁকলে এমন ভাল আগার -ই কথা,
টিচার ব্যস্ত!! হের ও মাথার উপ্রে দিয়ে গ্যাছে,
অনিকেত নন্দিনী
…হয়। টিচার নিজেও কিছুই বুজেনাই, হে আবার বুজাইবে কী?
ব্যস্ত থাকা ভালো। এতে ঝুট-ঝামেলা কম হয়। সারাদিনের ক্লান্তির পর শুইতে না শুইতেই ঘুম। রাতজাগা সিথানে স্মৃতিরা ডানা ঝাপ্টায়না। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এতোদিন পর এসে এখন ফারসি শিখতে হবে? ;(
হাতের ব্যথাটা মনে হয় আবার বাড়ছে। দুষ্টুমী করে বলছি না কিন্তু, সত্যি সত্যি। 🙁
“সব ঝিনুকে মুক্তো হয় না, সব বৃষ্টিও চাতকের না,
তবুও অপেক্ষা অপেক্ষায় থাকে” \|/
তাইতো আইস্যা পড়লাম কুবিরাজ ভাই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
শিখবেন শেখাবেন কত্ত কিছুই তো শেখা-শিখি বাকী!
হাতের ব্যাথা কমে যাবে অবশ্যই, অন্য কোথাও ব্যাথা চ্যাগার দিয়ে না উঠলেই হয়।
আপনি ইলে কাম হইব?
যে আসবে বলে কথা দিয়েছিল সেই তো এখনও এলো না।
অপেক্ষার আশা ছাড়ছি না।
নীলাঞ্জনা নীলা
হাতের ব্যথাই কমে নাইক্কা।
থাকেন আশায় বইস্যা।
ছাইরাছ হেলাল
অন্য কোন ব্যাথা না থাকলেই হয়,
হ, বইয়াই আছি!!
মিষ্টি জিন
কি কমু ? লেখার সময় ছয় ছোট্ট মানুষটার কঁথা একটু মনে রাখলে ভালু হইতো। এই কবিতা বুঝতে যেয়ে ছোট মাথায় ফেটে গেলে কিন্তু মরা মেরে খুন্র দায়ে পড়বেন বলে দিলাম।
সব ঝিনুকে মুক্তো হঁয় না , সব বৃষ্টিও চাতকের না
তবুও অপেক্ষা , অপেক্ষায় থাকে।
অসাধারন, অদ্ভুত সুন্দর লাইন দুটো।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই ছয়-ছোট্টদের কথা মনে থাকে, তবে ঝুম উঠলে সব একাকার।
চাতকেরা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে তা না পেলেও।
লেখ দিচ্ছেন না কিন্তু, অজুহাত দিন অন্তত!!
শুন্য শুন্যালয়
আফসোস আমি নিজের বুকে কখনো কান পাততে পারিনা, তাই শব্দগুলো আর শোনাই হলোনা।
কিসের যন্ত্রণা, কিসের বিষ পুষে রেখেছেন কে জানে, সত্যিই আপনি আর বদলাবেন না।
চাতকের নয় তাতে কী? অপেক্ষাকেই এবার বৃষ্টির পানিতে চুবানি দেন।
কেউ বোঝে নাই কবিতা, আমি বুঝছি বললে সবাই আমারে মাইর দেবে। আমিও বুঝিনাই, কী সব যে লেখেন!
তরজমার আবার কী দরকার ছিলো? আমরা সবাই ফারসি বুঝি।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো আসল কথা, সবাই ফারসি বোঝে, শধু আমি ছাড়া!! তাজ্জব কী বাত!!
চাইলেই কী বদলানো যায়!! চাঁদ, পাখি, জ্যোৎস্না বদলে দিতে পারবেন!!
চুবাচুবি মন্দ না, ডাকতেছে (পরের লেখায় আসবে)।
নিজেই তো সব বুঝিনা, অন্যদের আর কী বলব!!
প্রহেলিকা
কি যে ফকফকা এক লেখা! বেঁচে গ্যাছি তাও জানি কারণ সব লেখা বুঝতে গেলে অক্কা পেতে হবে। একদিকদর্শিতাও একদিন হাহাকার চেপে রাখতে রাখতে শিখে যাক দশদিকের কথা। আর কিছু না হলেও চেনা-অচেনার হাহাকার থেকে পরিত্রাণ পাবে। তবে কিছু হাহাকারও থাকে কাঙখিত বা বিলাসী, তাহলে অন্য কথা।
মৌসুমি বৃষ্টির দেশে কিভাবে বুঝে বলেনতো কোম বৃষ্টি কার? যাইহোক লাইনগুলো কিন্তু বৃষ্টিখেকো প্রশংসার দাবীদার।
বাংলা শেষ করে ফারসি এর দিকে নজর। এম্নিতেই বুঝতে গেলে চুল পড়ে এবার যদি হয় ফারসি তাইলে অবস্থা কেমন হবে? ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হোক সেটা অবশ্যই চাই।
ছাইরাছ হেলাল
যাদের বৃষ্টি দরকার তারা ঠিক বুঝতে পারে, তাই তারা অপেক্ষার আশা নিয়ে অপেক্ষা করে।
হাফিজ তো আপনাকে পড়তেই হবে, অনুবাদ-ই ভরসা,
এটি অবশ্য হাফিজ কি না জানি না।
কিছু বিলাস-ব্যসন আমাদের থাকেই, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে।
ফকফকা অবশ্যই, এবং এটি আমার খুব পছন্দের লেখা, বুঝবে বুঝবে অবশ্যই বুঝে, ডাইনিরা তো আছেই,
প্রহেলিকা
আপনার পছন্দের লেখা আমার মত আমজনতা না বুঝলেও প্রেতাত্মারা যে বুঝবে তা আর বলতে! আশা তো এই যে ছিঁটেফোটা আমরাও কুঁড়িয়ে নিই। অমৃতের মতোই কাজ করে, নিরব ভেষজরূপে বৃষ্টি নামে।
কৈশরে পড়েছিলাম এ মহান কবির কথা। একটি লাইন আজো মনে আছে, ” এক লহমার খুশির তুফান, এটাইতো জীবন। ভাবনা কিসের?” তখনের বয়সে ডায়েরীর পাতায় লেখা ছিল লাইনটি অনেক অনেক দিন। অথচ তাকে ভুলেই গেছি, মনে পড়ত কি না জানি না যদি নামটা উচ্চারণ না করতেন। ধন্যবাদ দিচ্ছি না, কৈশোর আর এখনে বিস্তর ফারাক তাই অনুবাদই সই। দিয়ে দিন দেরী না করে।
এখনো দেশীয় সাহিত্যকে সুবিশাল আকাশের মত মনে হয় যেখানে একখণ্ড ও বোধকরি জানি না। তবে আপনি এদিকে অনেক উর্ধ্বে। বিশ্বসাহিত্যকে এবার আপনিই পারেন তুলে ধরতে। ঝেড়ে কাশুন অনতিবিলম্বে।
আমার জন্য না হোক অন্তত ডাইনী বলে যাদের ডেকেছেন তাদের জন্য হলেও। চাতক কিন্তু তারাও। জেনেই বলছি।
ছাইরাছ হেলাল
কে যে আমজনতা তাই-তো বুঝছি না,
তবে আপনার ভাল লাগছে যেনে আনন্দিত হলাম,
আপনি যেখানে শৈশবে শুরু আমি তো মাত্র শৈশবে!!
এখন নব্বুই ভাগ কবিতা পড়ি, আর সব মিলিয়ে বাকিটুকু, নব্বুই ভাগের সত্তুর ভাগ অনুবাদ,
আসলে কবিতার কিছুটা যদি বুঝতে পারি, তাই এহেন চেষ্টা।
এবারে ডাইনি পর্বের শেষ আউল-ফাউল টুকু দিয়ে দেব ভাবছি,
রিমি রুম্মান
সব ঝিনুকে মুক্তো হয় না, সব বৃষ্টিও চাতকের না,
তবুও অপেক্ষা অপেক্ষায় থাকে__ লাইন দুটি গেঁথে থাকলো মনে।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
রিফাত নওরিন
কবিতা সবটা বুঝে উঠতে না পারলেও শেষ লাইনটা অসম্ভব ভালো হয়েছে….
সব ঝিনুকে মুক্তো হয় না, সব বৃষ্টিও চাতকের না,
তবুও অপেক্ষা অপেক্ষায় থাকে,
অসাধারন !!!!
ছাইরাছ হেলাল
একদম সহজ করে বলার চেষ্টা করেছি ভাবটুকু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য,
মৌনতা রিতু
অপেক্ষা শুধু অপেক্ষার জন্যই।
শুধু এটুকুই বলে গেলাম সাথে রেখে গেলাম মুগ্ধতা।
লেখার লাইন চুরি হইলে দুষ নাই কইলাম।
ছাইরাছ হেলাল
চোরা লেখা চুরি করতে নেই মানা।