দুর্যোগ-রাতের এই রাত-বিরাতে
সদা-বন্ধ দরজার ওপাশে কে দাঁড়ায়ে! কে তুমি!
ক্ষণে ক্ষণে কড়া নেড়ে নীরবে ডেকে যাও!
কী-ই বা চাও!!
অশরীরী সেজে ভয় দেখাতে চাও!
হে মহান! দগ্ধ-দহন-যন্ত্রণার কামরূপ-শয়তান!
দেখাও; যত যত চাও;
সকাল-সুন্দরী রাত-প্রেতিনির বেশে!
অলীক কোন ভালোবাসার-ঢংয়ের-ভড়ং দেখাতে চাও!
যদি-না ভয়হীন চাদরে ঢেকে দাও;
ভয় তো পেতেই চাই, পাই-ও;
ভয়হীন মুক্তি-মৃত্যু! তাও চাই;
নাহ্, এখানে নেই কোন ক্রৌঞ্চ ক্রৌঞ্চীর সুগভীর প্রণয় মেলা
ব্যাধের বেশে তীর ছুড়ে বুকের মাঝে এফোঁড়-ওফোঁড় করে
বুনে ফেলবে কোন মহা-কাব্য-কলা;
সেরে ফেল দ্রুত, অতি দ্রুত, এই নেও তীক্ষ্ণ ধার ছুড়ি,
তুলে নাও হৃদপিণ্ড নিঃশব্দ শোণিতে
ব্রহ্মতালুতে নখর বিঁধিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে খাও তাজা মগজ,
এই খুলে দিলাম হাট করে হৃদ-দরজা;
হাসির নহর বইয়ে আধ-গাওয়া গান, সু-মলিন ফুলের পাপড়ি
পথে পথে ছড়িয়ে পালিয়ে গেলে! গিয়েছ যেমন আগেও!
ওহে ডাইনী বুড়ি! তাও এসো আবার, ফি বার এসেছো যেমন
শ্মশান মাড়িয়ে!
কোজাগরীর এই পূর্ণিমায়! কে কে!
ডাকিনী বিদ্যা শেখাবে!
ডাইনী-রানী-সখ্যতার আনকাট স্বীকারোক্তি
এখানেই উন্মুক্ত করে রেখেছি অজস্র কথকতায়
সে কবেই (পড়ে নিও সময় করে)!
ভাগ এবার এ-বেলায়, দেখা হবে সেখানেই;
উহ্! আবার কে!!
মেহের আলী (ক্ষুধিত পাষাণ)!!
তোমাকে-ই খুঁজছি; তুমি-ই ঠিকঠাক বলেছে
সব-ই ঝুটা, সত্যি সত্যি;
কে কড়া নাড়ে এই নব-জ্যোৎস্না-প্রহরের স্বপ্ন-দিগন্তে!
পুণ্যাত্মা!! মহান দেবদূত!
বিধাতার চিঠি! ক্ষাণিক ফিরে যেতে হবে উৎস মূলে!!
এত্ত দেরিতে কেন এলে, একান্ত প্রতীক্ষায় (অনন্ত কাল)অধির আগ্রহে!
ডানা ঝাপটে ছুটছে এবার বোরাক।
এলে তাহলে! মরণ-দেব!
আর কোন দেরি নয়!! চল চল ফিরে যাই
সৃষ্টি-আনন্দের-উৎস-মূলে, ছিলাম যেখানে
সেই শুরুর আনন্দধামে।
২৬টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
উফ কী ভয়ঙ্কর কথাবার্তা!
“মরিতে চাহিনা আমি এ সুন্দর ভুবনে।”
আরোও কয়েকবার পড়লেও বুঝমু না। বুঝাইয়া দ্যান। অনন্তের পথে যাত্রা করমু না।
ছাইরাছ হেলাল
এট্টু টাইম দেন, আম্নেরে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা থাকবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আইচ্ছা টাইম দিয়া গেলাম। এখন ঘুমাই। কাইল দেখি কখন ফ্রি হই!
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন লেখকের ভাব বোঝার দায় অনেক, তারা একটু ইয়ো ইয়ো টাইপ হয়,
আপনি নিজের দিকে তাকিয়েই তা বুঝতে পারেন, তবে আশার কথা হলো
এই লেখক তেমন না মোটেই, সাক্ষাৎ তুলসী গাছ বা খাটি দুধের ধোয়া,
তা অবশ্য আপনি ভালই জানেন, এই ল্যাখা ল্যাখির সুবাদে!! উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দিচ্ছি, একটি লেখায় লেখক অনেক কিছুই বলে (পাগলের সুখ তাল বনে), আপনি যে বার রাগ করে সাঁতরে দামোদর নদী রাতে পার হতে গিয়ে
চোখের জল নাকের জল নদীর জল এক করে মাঝ নদীতে কান্নার রোল তুলে ফেললেন তখন কেউ একজন আপনাকে বাঁচিয়ে তুলে ছিল (আমি) সেটা কি জনরোলে বলে দেয়া যায়!! বা বলে দেয়া ঠিক!! (বানানো)।
আদিখ্যেতা বাদ দিয়ে ল্যাহার কথায় আসি পাঠক হিশেবে
(ভাব নিলাম আর-কী)।
মানুষ আসলে খুবই একা, শুরু থেকে শেষ-ও, জীবনের নানা প্রবাহের মধ্যে দিয়ে সে তার নির্ধারিত সময় পার করে যায়, সে প্রেম চায়, পায় আবার পায় না, প্রতারিত হয়, আবার যা পায় তা সে চায় না, তবুও সে বুক চিতিয়ে সময়ের
সামনে দাঁড়ায়, অযুত ক্ষতি/যন্ত্রণার দায় নিয়েও।
এক সময় সে বোধি প্রাপ্ত হয়, ও আনন্দ চিত্তে ঈশ্বরের কাছে ফিরে যায়;
কবি-জী এবার মাফ করে দিন,
শেষে কী না কী লিখে-টিখে ফেলব আপনার চাকা পাঞ্চার হয়ে যাবে!!!
খাইছে!! গদ্যের মত কিছু একটা লিখে পেলেছি!! এখন কী হপে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
বাপ্রেএএএএএএ! কবিতা যতো বড়ো না, তার দ্বিগুণ কবিতার মর্মার্থ। তবে বুঝেছি।
শীতের ভুতে বলে এসেছি।
ছাইরাছ হেলাল
আকলমান কে লিয়ে ইশারায় ই কাফি!!
মাহমুদ আল মেহেদী
আমিও ভালোভাবে বুঝতে চাই!
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্যের উত্তর পড়ে দেখতে পারেন,
ধন্যবাদ।
রিতু জাহান
আচ্ছা সে ডাইনি বুঝি খুবই সুন্দর। এতো ডাইনি নিয়ে কবিতা পড়তে পড়তে হুর পরী ভুইলা গেলাম তো।
কথাগুলো ওখানে উম্মুক্ত কথা বলুক,
এক কোজাগরি চাঁদে তাতে পদ্ম হাসুক।
আর একবার আসতেছি। এটুকু এখন নিয়ে গেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন, হুর-পরী ভেড়াতে পারিনি শত করেও, তবে ডাইনীরা কিন্তু
আমাকে আপন-ই ভেবেছে/ ভাবেও, আপনি জানেন তাদের নিয়ে
কতশত গল্প ফেঁদে রেখেছি এই এখানেই, হ্যাঁ, তারা সুন্দ্রীর বেশেই
অন্তত আমার সাথে দেখা দেয়, তবে গায়ে উৎকট গন্ধ থাকে, শ্মশান
থেকে আসে, মানুষ বা পশু পচা-গলা খায়, সাথে হাড় গোড় রাখে ব্যাগে পুড়ে;
আমার সামনেও খিদে পেলে কড়মড় করে খায়-টায়, গা সহা হয়ে গেছে, সমস্যা হয় না।
তবে খুব হিংসুটে মারাত্মক রকমের, আগেও বলেছিলাম,
একবার শ্মশানে নিয়ে গিয়েছিল, আনন্দ বিহারে, বেশ ফুরফুরে মেজাজে পোড়া-পুড়ি দেখতে দেখতে আত্মহত্যা করা এক রূপবতীর পোড়া-কর্ম দেখে থমকে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ফেলেছিলাম, ব্যাস আর যায় কোথায়!!
জ্ঞান ফিরে নিজেকে আবিষ্কার করি নদী তীরে কাদায় আধ পোতা অবস্থায়, অবশ্য তার দয়ার শরীর, প্রাণে মেরে ফেলেনি, কাদা থেকে উঠিয়ে চিতার আগুনে শেকে বাড়িতে পোঁছে দিয়েছে, (অবশ্য ভয় এই ডাইনির ও ছিল, ডাইনি রানীর সাথে আবার খানিক জানা-শোনা ছিল, যদিও নালিশ-ফালিশ করিনি, অভ্যাস নেই একদম-ই!!)
ভবিষ্যতের জন্য চরম হুশিয়ারি শেষে, ছরি বলেছে!!
মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে কী সব লিখছি, রিতুজি!!
রিতু জাহান
সেটাই তো দেখছি। ককো কি কিচ্চা কাহিনী করে বেড়াচ্ছেন আপনি। আমার তো কলিজায় পানি নাই। আসতেছি কালকে ঘুরে রংপুর থেকে। পুরো দমে।
ছাইরাছ হেলাল
আসুন আসুন!!
ভয়ের কিচ্ছু নেই, দু’একটিকে না হয় আপনার খেদমতে পাঠিয়ে দেব!!
সাবিনা ইয়াসমিন
ভয় পেয়েছি। রাত বিরাতে এই লেখাটি পড়া ঠিক হয়নি।যখন থেকে আপনার লেখা একটু বুঝতে শুরু করেছি ,তখনই কিনা আপনি এমন ভয়ংকর কবিতা দিলেন !! একদম ভালো হয়নি।
ছাইরাছ হেলাল
আগে বলতে হবে-তো,
তাহলে দিনেই দিতাম!!
ঠিক আছে লতা-পাতা নিয়ে লিখে দিচ্ছি!!
লতা ক্রমশ হয়ে যাচ্ছে পাতা
পাতা থেকে ফুল, ভ্রমর আর প্রজাপতির আসা-যাওয়া,
লতা কি শুধুই ফুল লতা-পাতা, নাকি চকমকি রাংতা;
নাকি ছদ্মবেশী কোন ডাইনি ছানা………………
হচ্ছে না কী চোখের ছানাবড়া!!
দিলাম আবজাব লিখে!!
সাবিনা ইয়াসমিন
এখানেও ডাইনি !! মাফ চাই ,,আপনাকে দিয়ে আবজাব লেখা হবে না।আপনি আপনার নিজ ভংগীতেই ভারি ভারি কবিতা লেখুন।আমরা ডিকশনারি ঘেটে ঘেটে আপনার কঠিন হরফের লেখা গুলো পড়ে যাব।আর ভয় একটু কম দেখিয়ে লিখবেন।নয়তো ভীতু কাপা হাতে ঠিক মতো comment ও লিখতে পারবো না। 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
ডিকশনারিতে না পেলে কী হবে তাই ভাবতে বসুন!
মোঃ মজিবর রহমান
অশরীরী সেজে ভয় দেখাতে চাও!
হে মহান!</strongদগ্ধ-দহন-যন্ত্রণার কামরূপ-শয়তান!
দেখাও; যত যত চাও;
সকাল-সুন্দরী রাত-প্রেতিনির বেশে!
অলীক কোন ভালোবাসার-ঢংয়ের-ভড়ং দেখাতে চাও!
যদি-না ভয়হীন চাদরে ঢেকে দাও;
কে কড়া নাড়ে এই নব-জ্যোৎস্না-প্রহরের স্বপ্ন-দিগন্তে!
পুণ্যাত্মা!! মহান দেবদূত!
বিধাতার চিঠি! ক্ষাণিক ফিরে যেতে হবে উৎস মূলে!!
এত্ত দেরিতে কেন এলে, একান্ত প্রতীক্ষায় (অনন্ত কাল)অধির আগ্রহে!
সব দেবেন তাঁর ইচ্ছা মত আমার হে মহান! কি আশ্চরশজনক আক্ষাদান।
ভয় তো পেতেই চাই, পাই-ও;
ভয়হীন মুক্তি-মৃত্যু! তাও চাই;
কি সাহস বাপ্রে বাপ। হ্যাঁ যেতেই হবে আমাদের তা হক ভয়ভিতিহীন। নির্ভেজাল দাও প্রভু।
ছাইরাছ হেলাল
ডরাইলেই ডর,
না ডরাইলে কিচ্ছু না,
মোঃ মজিবর রহমান
মহান সবাইকে সেই সাহস ও ভাবার গুনাবলি দেয়না। যারা পায় তারা খোদার আশীর্বাদ প্রাপ্ত।
যারা নিচু ও কাপুরুস তারাও খোদার সৃষ্টি।
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার-না কোন!
চালু থাকবে।
জিসান শা ইকরাম
জীবনের অনতিক্রম্য কিছু কথা এলো লেখায়,
ক্যামনে লেখেন এমন করে!!!
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের অনতিক্রম্য কিছু থেকেই যায়।
মায়াবতী
ও মা! কি সব লিখে ফেলেছেন কবি! কিভাবে পারেন লিখতে এই সব!!!
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো দেখে দেখে শিখি আর ভাবি আপনারা ক্যামনে লেখেন
এত্ত কিছু!!
নাসির সারওয়ার
আপনি সাতরাতে থাকুন। আমি ওই পাড়ে যাবোই না।
ছাইরাছ হেলাল
যাদের ওপার এপার এক পাড়,
তাদের আর যাওয়ার কোন কায়দা-কানুন নেই-তো।