পৃথিবীতে বহু ধরনের মানুষ আছে।সাধারণত এদেরকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়।ভাল এবং খারাপ।খারাপ বলতে আমরা তাকেই বুঝি যে অন্যের ক্ষতি করে।তবে অনেক সময় সময়ের পরিবর্তনের টানে খারাপ মানুষগুলোকে আমরা ক্ষমা করে দিতে বাধ্য হই।বা নিজের অজান্তেই ক্ষমা করে দেই।
তবে সেই মানুষগুলোকে কখনই ক্ষমা করা উচিত নয়,যারা গীবত গেয়ে বেড়ায়।একজনের সম্পর্কে খারাপ কথা আরেকজনকে বলে।এতে সে তার নিজের অজান্তেই মানুষটার সব থেকে বড় ক্ষতি করে দিচ্ছে।সে যদি কাছে গিয়ে ইট দিয়ে মেরে তাকে রক্তাক্ত করে হাসপাতালেও পাঠাত, তবুও তার অত বড় ক্ষতি হত না।
#কি_করে_সম্ভব_এটা?
উদাহরণ :আজ আপনি একজনের নামে খারাপ কথা অন্যকে গিয়ে বলছেন।সে আবার আরেকজনকে গিয়ে বলছে।সে কি করবে, আপনি যা বলেছেন তার থেকে একটু বাড়িয়েই বলবে।এভাবে বাড়তে বাড়তে তার সম্পর্কে সবার মনে ভয়ংকর একটা খারাপ ধারনা তৈরী হবে।তার উপর থেকে সবার বিশ্বাস ভরসা উঠে যাবে।সবাই তার দিকে ঘৃনার দৃস্টিতে তাকাবে।হোক তার নামে বলা খারাপ কথাটা সত্ত্যি ছিল।কিন্তু আপনি কি জানেন, কেন সে ওই খারাপ কাজটা করেছে?হতে পারে সে ভুল করে করেছে কিংবা বাধ্য হয়ে।যার শাস্তি স্বরূপ আপনি তার এত বড় ক্ষতি করলেন।কিন্তু আপনি কে তাকে শাস্তি দেওয়ার?
এখন আপনি যদি তাকে মেরে হাসপাতালে পাঠাতেন,তবুও কি তার এত বড় একটা ক্ষতি হত???
তাই সবারই এই কাজটা করার আগে দুইবার ভাবা উচিত।কাজটা কোন পর্যায়ে গিয়ে কতটা খারাপ হতে পারে।
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ (বিশেষ করে আমাদের দেশের)প্রতি নিয়ত এই কাজটি করে যাচ্ছে।অনেক সময় আড্ডার মূল প্রসঙ্গই এটা থাকে।অথচ চাইলেই এই বড় পাপটাকে পূন্যে পরিণত করা যায়।
#কিভাবে?
মানুষটার ভুল গুলো অন্যকে গিয়ে না বলে সরাসরি তাকে গিয়ে বললে সে তার ভুলটা বুঝতে পেরে সেই ভুল থেকে সরে আসতে পারবে।অথবা সে তার ভুলের কারনটা আপনার সাথে শেয়ার করে নিজেকে হালকা করতে পারবে আর আপনার ভুল ধারনাটাও কাটিয়ে দিতে পারবে।
#সহজ_স্বীকারোক্তি
আমি যে ধোয়া তুলসী পাতা তাও না।আমি নিজেও এই পাপে পাপী।তবে যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলার চেস্টা করি।হয়ত কখনো করি ভুল করে। কখনো বা বাধ্য হয়ে।ইচ্ছাকৃত নয়।এই মনবলে লিখতে পারলাম।
#ধন্যবাদ
১৭টি মন্তব্য
তৌহিদ
এক কথায় গীবত খুব খারাপ জিনিস। আজ আপনি যার সম্পর্কে বলবেন কাল সে আপনার সম্পর্কে অন্যের কাছে বলবে যা অনুচিত।
সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখলেন। লিখুন নিজের মতন করে।
নাফিছা সুলতানা ইলমি
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
একেই বলে গীবত করা মহাপাপ, সুন্দর এবং যথা উপযুক্ত লিখলেন, অন্যের সম্পর্কে খারাপ বলার আগে একবার ভেবে দেখা উচিত তার কতবড়ই না ক্ষতি করছি।
নাফিছা সুলতানা ইলমি
জ্বী।মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা জানবেন।
হালিম নজরুল
তবে সেই মানুষগুলোকে কখনই ক্ষমা করা উচিত নয়,যারা গীবত গেয়ে বেড়ায়।একজনের সম্পর্কে খারাপ কথা আরেকজনকে বলে।এতে সে তার নিজের অজান্তেই মানুষটার সব থেকে বড় ক্ষতি করে দিচ্ছে।সে যদি কাছে গিয়ে ইট দিয়ে মেরে তাকে রক্তাক্ত করে হাসপাতালেও পাঠাত, তবুও তার অত বড় ক্ষতি হত না।
————–সুন্দর কথা।
নাফিছা সুলতানা ইলমি
অসংখ্য ধন্যবাদ
সাবিনা ইয়াসমিন
গীবত বা পরচর্চা কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না। পরচর্চা যারা করেন তারা নিজের অজান্তে নিজেরও ক্ষতি করেন। সমাজে পরচর্চা কারীদের নুন্যতম মুল্য থাকে না। তারা সমাজে থেকে অসামাজিক মানুষে পরিনত হোন।
ভালো লিখেছেন। অন্যদের লেখাতেও কম-বেশি যাওয়ার চেষ্টা করুন। সোনেলা পরিবার আন্তরিকতায় বিশ্বাসী। যতটা দিবেন তার থেকে বহুগুণ ফেরত পাবার শতভাগ গ্যারান্টি দিলাম 🙂
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা 🌹🌹
নাফিছা সুলতানা ইলমি
জ্বি অবশ্যই পড়ব। মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পরনিন্দা, পরচর্চা খুব খারাপ। এটা আমরা হরহামেশাই করে থাকি অন্যের অগোচরে। অন্যের ক্ষতি চাইলে নিজের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়, খুব ভালো সম্পর্ক ও এরজন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভালো লাগলো বিষয়টি। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন
নাফিছা সুলতানা ইলমি
আপনিও খুব ভাল থাকুন। মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফয়জুল মহী
চমৎকার উপস্থাপন
নাফিছা সুলতানা ইলমি
ধন্যবাদ
আলমগীর সরকার লিটন
অসাধারণ
নাফিছা সুলতানা ইলমি
ধন্যবাদ
সৈকত দে
বর্তমান সমাজে গীবত চর্চায় বেশি হয়। আফসোস হয় সভ্যতার স্বর্ণযুগে এসেও কেন এ হেন কাজ??
নাফিছা সুলতানা ইলমি
স্বর্ণ যুগেই এই কাজ বেশি হচ্ছে।